পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৮৫. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ....... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি উছমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বললাম আপনারা মাছানীর (যে সূরার আয়াত সংখ্যা একশ’র কম) অন্তর্ভক্ত সূরা আনফাল আর মিঈন এর (একশ’ বা ততোধিক আয়াত বিশিষ্ট সূরা) অন্তর্ভূক্ত বারাআতকে মিলিত করেছেন আরও দুটোর মাঝে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লাইনটি লিখেন নি সাথে সাথে সূরা আনফালকে সাবা’য়ে তুওয়াল (সাতটি দীর্ঘ সূরা)-এর অন্তর্ভূক্ত করেছেন- এরূপ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল?
উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর এমন এক যামানাও এসেছে যখন তাঁর উপর বহুসংখ্যক সূরা এক সঙ্গে নাযিল হয়েছে। ঐ যুগে তাঁর উপর কোন বিষয় নাযিল হলে ওয়াহী লেখকগণের কাউকে ডেকে তিনি বলতেন এ আয়াতগুলো যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে, সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর। কোন আয়াত নাযিল হলে বলতেন, এই আয়াতটি যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর।
মদীনায় প্রথম দিকে যে সব সূরা নাযিল হয় সূরা আনফাল ছিল সেগুলোর অন্যতম আর বারাআত ছিল কুরআনের শেষের দিকে নাযিলকৃত সূরাসমূহের অন্যতম। কিন্তু এর বিষয়বস্ত হল সূরা আনফালের বিষয় বস্তর অনুরূপ। ফলে এটি আনফালের অন্তর্গত বলে আমি মনে করলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইনতিকাল হয়ে যায় কিন্তু তিনি এ কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে যান নি যে, এটি আনফালের অংশ। এ কারণে আমি দু’টোকে মিলিত করেছি কিন্তু এতদুভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখিনি। আর এটিকে সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্তর্ভূক্ত করেছি।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান। আওফ-ইয়াযীদ ফারসী ... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিন্তু জানা নেই।
ইয়াযীদ ফারসী (রহঃ) ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাকে ইয়াযীদ ইবন হুরমুযও বলা হয়। ইয়াযীদ রাকাশী (রহঃ) হলেন ইয়াযীদ ইবন আবান রাকাশী। তিনি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাক্ষাৎ পাননি। আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন। উভয়ই বসরাবাসী। ইয়াযীদ ফারসী (রহঃ) ইয়াযীদ রাকাশী (রহঃ) থেকে বয়সে বড়।
হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৮৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَسَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَارِسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي وَإِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَوَضَعْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ عُثْمَانُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يَأْتِي عَلَيْهِ الزَّمَانُ وَهُوَ تَنْزِلُ عَلَيْهِ السُّوَرُ ذَوَاتُ الْعَدَدِ فَكَانَ إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ الشَّىْءُ دَعَا بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَؤُلاَءِ الآيَاتِ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَإِذَا نَزَلَتْ عَلَيْهِ الآيَةُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَائِلِ مَا أُنْزِلَتْ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ قَرَنْتُ بَيْنَهُمَا وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَوَضَعْتُهَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ قَدْ رَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَيُقَالُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ وَيَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ هُوَ يَزِيدُ بْنُ أَبَانَ الرَّقَاشِيُّ وَلَمْ يُدْرِكِ ابْنَ عَبَّاسٍ إِنَّمَا رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَكِلاَهُمَا مِنَ التَّابِعِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ أَقْدَمُ مِنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"I said to 'Uthman bin 'Affan: 'What was your reasoning with Al-Anfal - while it is from the Muthani (Surah with less than one-hundred Ayat), and Bara'ah while it is from the Mi'in (Surah with about one-hundred Ayat), then you put them together, without writing the line Bismillahir-Rahmanir-Rahim between them, and you placed them with the seven long (Surah) - why did you do that?' So 'Uthman said: 'A long time might pass upon the Messenger of Allah (ﷺ) without anything being revealed to him, and then sometimes a Surah with numerous (Ayat) might be revealed. So when something was revealed, he would call for someone who could write, and say: "Put these Ayat in the Surah which mentions this and that in it." When an Ayah was revealed, he would say: "Put this Ayah in the Surah which mentions this and that in it." Now Al-Anfal was among the first of those revealed in Al-Madinah, and Bara'ah among the last of those revealed of the Qur'an, and its narrations (those of Bara'ah) resembled its narrations (those of Al-Anfal), so we thought that it was part of it. Then the Messenger of Allah (ﷺ) died, and it was not made clear to us whether it was part of it. So it is for this reason that we put them together without writing Bismillahir-Rahmanir-Rahim between them, and we put that with the seven long (Surahs).'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৮৬. হাসান ইবন আলী কাললাল (রহঃ) ..... সুলায়মান ইবন আমার ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমার পিতা বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে হাযির ছিলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে আল্লাহর হামদ ও ছানা বর্ণনা করলেন এরপর ওয়ায নসীহত করলেন এবং বললেনঃ কোন দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? কোন দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? কোন দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? লোকেরা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হাজ্জে আকবারের এ দিনটি। তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের সম্মান তোমাদের উপর হারাম যেমন হারাম তোমাদের উপর আজকের দিনটি তোমাদের এই নগরে, তোমাদের এই মাসে। শোন, অপরাধী কেবল নিজের উপরই অপরাধ করে থাকে। পিতার অপরাধ তার পুত্রের উপর এবং পুত্রের অপরাধ তার পিতার উপর বর্তাবে না। শোন, এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। কোন মুসলিমের জন্য মুসলিম ভাইয়ের কিছূ হালাল হবে না যা সে নিজে তার জন্য হালাল করে দেয় তা ছাড়া।
শোন, জাহিলী যুগের সব সুদ বিলুপ্ত করা হল। তোমাদের জন্য তোমাদের মূলধন থাকবে। তোমরা নিজেরাও জুলুম করবে না এবং তোমাদের উপরও কোন জুলুম করা হবে না। তবে আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিবের রক্তের দাবী। সে বানু লায়ছ গোত্রে দুগ্ধ পোষ্য ছিল। হুযায়ল গোত্র তাকে হত্যা করল। শোন, তোমরা নারীদের ব্যপারে সদ্ব্যবহারের ওসীয়ত গ্রহণ কর। তারা তোমাদের কাছে আবদ্ধ। এ ছাড়া তোমরা তাদের মালিক নও। কিন্তু তারা যদি সুস্পষ্ট অন্যায় কর্মে লিপ্ত হয়। তবে তাদের বিছানা পৃথক করে দিবে এবং হালকা ভাবে প্রহার করবে। এতে যদি তারা তোমাদের বাধ্য হয়ে যায় তবে আর তাদের বিরুদ্ধে পথ তালাশ করবে না। শোন, তোমাদের স্ত্রীদের উপরও তোমাদের হক হল যাদের তোমরা অপছন্দ কর তাদের তোমার বিছানায় বসাবে না। যাদের তোমরা অপছন্দ কর তাদের তোমার ঘরে প্রবেশের অনুমতি দিবে না। শোন, তোমাদের উপর তাদের হক হল, তাদের খোরপোষের বিষয়ে তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শণ করবে।
হাসান, ইবনু মাজাহ ১৮৫১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবুল আহওয়াস (রহঃ) এটি শাবীব ইবন গারকাদা থেকে বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ ثُمَّ قَالَ " أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ " . قَالَ فَقَالَ النَّاسُ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ وَلاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ وَلَدٌ عَلَى وَالِدِهِ أَلاَ إِنَّ الْمُسْلِمَ أَخُو الْمُسْلِمِ فَلَيْسَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ إِلاَّ مَا أَحَلَّ مِنْ نَفْسِهِ أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ رِبًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ لَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ غَيْرَ رِبَا الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ دَمٍ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ دَمُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٌ عِنْدَكُمْ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئًا غَيْرَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ فَإِنْ فَعَلْنَ فَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً أَلاَ إِنَّ لَكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ حَقًّا وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقًّا فَأَمَّا حَقُّكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ فَلاَ يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ وَلاَ يَأْذَنَّ فِي بُيُوتِكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ أَلاَ وَإِنَّ حَقَّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ .
Narrated Sulaiman bin 'Amr bin Al-Ahwas:
"My father narrated to me that he attended the Farewell Hajj with the Messenger of Allah (ﷺ). He (ﷺ) expressed his gratitude to Allah and praised Him, and reminded and exhorted, then he said: 'Which day is most sacred? Which day is most sacred? Which day is most sacred?' He said: "So the people said: 'The day of Al-Hajj Al-Akbar O Messenger of Allah!' So he said: 'Indeed, your blood, your wealth, your honor, is as sacred for you as the sacredness of this day of yours, in this city of yours, in this month of yours. Behold! None commits a crime but against himself, none offends a father for a son, nor a son for a father. Behold! Indeed the Muslim is the brother of the Muslim, so it is not lawful for the Muslim to do anything to his brother, which is not lawful to be done to himself. Behold! All Riba from Jahiliyyah is invalid, for you is the principle of your wealth, but your are not to wrong nor be wronged - except in the case of Riba of Al-'Abbas bin 'Abdul-Muttalib - otherwise it is all invalid. Behold! All retribution regarding cases of blood during Jahiliyyah are invalid. The first case of blood retribution invalidated among those of Jahiliyyah, is the blood of Al-Harith bin 'Abdul-Muttalib who was nursed among Banu Laith and killed by Hudhail. Behold! I order you to treat women well, for they are but like captives with you, you have no sovereignty beyond this over them, unless they manifest lewdness. If they do that, then abandon their beds, and beat them with a beating that is not painful. Then if they obey you, then there is no cause for you against them beyond that. Behold! There are rights for you upon your women, and rights for your women upon you. As for your rights upon them,then they are not to allow anyone on your bedding whom you dislike, nor to permit anyone whom you dislike in your homes. Behold! Indeed their rights upon you are that you treat them well in clothing them and feeding them.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৮৭. আবদুল ওয়ারিছ ইবন আবদুস সামাদ ইবন আবদুল ওয়ারিছ (রহঃ) ...... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাজ্জে আকবরের দিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেনঃ তা হল ইয়ামুন নাহর - কুরবানীর দিন।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ يَوْمِ الْحَجِّ الأَكْبَرِ فَقَالَ " يَوْمُ النَّحْرِ " .
Narrated 'Ali:
"I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about the day of Al-Hajj Al-Akbar, and he said: "The day of An-Nahr."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৮৮. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ হজ্জে আকবরের দিন হল ইয়ামুন নাহর - কুরবানীর দিন।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রহঃ) -এর রিওয়ায়ত (৩০৮৭) অপেক্ষা এটি অধিক সহীহ। কেনন, এ হাদিসটি আবূ ইসহাক-হারীছ আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক সূত্রে মাওকূফ রূপে বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রহঃ)-এর বর্ণনা ছাড়া অন্য কেউ মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ يَوْمُ النَّحْرِ . قَالَ هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ لأَنَّهُ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ إِلاَّ مَا رُوِيَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا .
Narrated 'Ali:
"The day of Al-Hajj Al-Akbar is the day of An-Nahr."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৮৯. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারাআতের ঘোষণার জন্য আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে (মক্কায়) প্রেরণ করেছিলেন। পরে তাঁকে ডেকে বললেনঃ পরিবারের কারো পক্ষ থেকেই এ ঘোষণা হওয়া উচিত। এরপর তিনি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে ডেকে তাঁকে এ দায়িত্ব দিলেন।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়ত হাসান-গারীব।
হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَعَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِبَرَاءَةَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ " لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يُبَلِّغَ هَذَا إِلاَّ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِي " . فَدَعَا عَلِيًّا فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ .
Narrated Anas bin Malik:
"The Prophet (ﷺ) sent Abu Bakr with the (announcement of) Bara'ah (the declaration to publicize the disavowal of the idolaters). Then he summoned him and said: 'It is not right for anyone to convey this except a man among my family.'"So he called for 'Ali and gave it to him."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯০. মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে (মক্কায়) প্রেরণ করেন এবং এ কথাগুলোর (বারাআতের) ঘোষণা প্রদানের জন্য তাঁকে নির্দেশ দেন। পরে তাঁর পেছনে পেছনে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে পাঠান। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পথেই ছিলেন হঠাৎ একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উটনী কাসওয়া-এর আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি খুব বিচলিত হয়ে বেরিয়ে আসলেন। তিনি মনে করলেন হয়ত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসেছেন। পরে দেখতে পেলেন যে, তিনি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি তার কাছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্রটি হস্তান্তর করলেন এবং তিনি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে এ বাণীগুলো প্রচার করার নির্দেশ দিলেন। পরে উভয়েই রওয়ানা হলেন এবং হজ্জ করলেন। আইয়ামে তাশরীকের সময় আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু উটে দাঁড়ালের এবং ঘোষণা দিলেনঃ মুশরিকদের থেকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দায়িত্ব মুক্ত। সুতরাং তোমরা এ ভূমিতে চার মাস চলাফেরা করতে পার। এই বছরের পর আর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না। বায়তুল্লাহর তওয়াফ উলঙ্গ হয়ে আর করা যাবে না। জান্নাতে মু’মিন ছাড়া কেউ প্রবেশ করবে না। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-ই ঘোষণা দিতেন, তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়লে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে এর ঘোষণা দিতেন।
(আবু ঈসা বলেন)ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রিওয়ায়ত হিসাবে এ সূত্রে হাদিসটি গারীব।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَبَا بَكْرٍ وَأَمَرَهُ أَنْ يُنَادِيَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ ثُمَّ أَتْبَعَهُ عَلِيًّا فَبَيْنَا أَبُو بَكْرٍ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ إِذْ سَمِعَ رُغَاءَ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقَصْوَاءَ فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَزِعًا فَظَنَّ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ عَلِيٌّ فَدَفَعَ إِلَيْهِ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يُنَادِيَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ فَانْطَلَقَا فَحَجَّا فَقَامَ عَلِيٌّ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فَنَادَى ذِمَّةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ بَرِيئَةٌ مِنْ كُلِّ مُشْرِكٍ فَسِيحُوا فِي الأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَلاَ يَحُجَّنَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلاَ يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَلاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَكَانَ عَلِيٌّ يُنَادِي فَإِذَا عَيِيَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَنَادَى بِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"The Messenger of Allah (ﷺ) dispatched Abu Bakr ordering him to announce these statements. Then 'Ali followed him. When Abu Bakr was at a particular road, he heard the heavy breathing of Al-Qiswa, the she camel of the Messenger of Allah (ﷺ), so Abu Bakr appeared frightened because he thought that it was the Messenger of Allah (ﷺ). When he saw that it was 'Ali, he gave him the letter of the Messenger of Allah (ﷺ), and told 'Ali to announce the statements. So he left to perform Hajj. During the day of At-Tashriq 'Ali stood to announce: 'The protection of Allah and His Messenger is removed from every idolater. So travel in the land for four months. There is to be no idolater performing Hajj after this year, nor may anyone perform Tawaf around the House while naked. None shall enter Paradise but a believer.' 'Ali was making the announcement, so when he became exhausted Abu Bakr would announce it."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯১. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ...... যায়দ ইবন ইউছায়্যি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমরা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনি কি বিষয় নিয়ে হজ্জে (৯ম হিজরী সনে) প্রেরিত হয়েছিলেন? তিনি বললেনঃ আমাকে চারটি বিষয়সহ প্রেরণ করা হয়েছিল। উলঙ্গ হয়ে কেউ তাওয়াফ করবে না; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং যাদের মধ্যে কোন চুক্তি আছে তাদের মুদ্দত পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে; আর যাদের সাথে কোন চুক্তি নেই তাদের জন্য অবকাশ হল চার মাসের; মুমিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এই বছরের পর আর কোন সময় মু’মিন ও মুশরিকরা এখানে একত্র হবে না।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এটি হল আবূ ইসহাক থেকে ইবন উয়ায়না (রহঃ) এর রিওয়ায়ত। সুফইয়ান ছাওরী (রহঃ) এটি আবূ ইসহাক - তাঁর কোন সঙ্গী ... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
নাসর ইবন আলী প্রমুখ (রহঃ) ... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، قَالَ سَأَلْنَا عَلِيًّا بِأَىِّ شَيْءٍ بُعِثْتَ فِي الْحَجَّةِ قَالَ بُعِثْتُ بِأَرْبَعٍ أَنْ لاَ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَهْدٌ فَهُوَ إِلَى مُدَّتِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ عَهْدٌ فَأَجَلُهُ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَلاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ نَفْسٌ مُؤْمِنَةٌ وَلاَ يَجْتَمِعُ الْمُشْرِكُونَ وَالْمُسْلِمُونَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ حَدِيثُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ عَنْ عَلِيٍّ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَهُ .
Narrated Zaid bin Yuthai':
"We asked 'Ali what he had been dispatched with during the Hajj. He said: 'I was sent with four: That there shall be no Tawaf around the House while naked, that if there is a treaty between someone and the Prophet (ﷺ), then the treaty remains until its expiration, and whoever does not have a treaty, then he has the span of four months, none shall enter Paradise except a believer, and the idolaters and Muslims shall not congregate (for Hajj) after this year.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯২. আলী ইবন খাশরাম (রহঃ) ....... আলীরাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই উভয় রিওয়ায়তই ইবন উয়ায়না (রহঃ) থেকে ইবন উছায়’ এবং ইউচায়্যি’ (রহঃ) এর বরাতে বর্ণিত আছে। সহীহ হল যায়দ ইবন ইউছায়্যি’ (রহঃ)। শু’বা (রহঃ)-ও আবূ ইসহাক (রহঃ) সূত্রে অন্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি এই নামের ক্ষেত্রে ভূল বুঝাবুঝির শিকার হয়েছেন। তিনি এই নামটি যায়দ ইবন উছায়ল রূপে উল্লেখ করেছেন। এই ক্ষেত্রে তার সমর্থনে কোন রিওয়ায়ত নেই।
সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯২ এর শেষাংশ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، كِلْتَا الرِّوَايَتَيْنِ يُقَالُ عَنْهُ عَنِ ابْنِ أُثَيْعٍ، وَعَنِ ابْنِ يُثَيْعٍ، وَالصَّحِيحُ، هُوَ زَيْدُ بْنُ أُثَيْعٍ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدٍ، غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ فَوَهِمَ فِيهِ وَقَالَ زَيْدُ بْنُ أُثَيْلٍ وَلاَ يُتَابَعُ عَلَيْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
same narration. see previous Hadith.
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯৩. আবূ কুরায়ব ...... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাউকে যদি দেখ যে, সে মসজিদে আসা যাওয়ার অভ্যাস রাখে তবে তোমরা তার ঈমানের সাক্ষ্য দিবে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ্ ও পরকালে (৯ঃ ১৮)।
ইবন আবূ উমর (রহঃ) ... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এতে يَتَعَاد এর স্থলেيَتَعَاهَدُ শব্দ আছে। হাদীসটি হাসান-গারীব। রাবী আবুল হায়ছাম (রহঃ) এর নাম হল সুলায়মান ইবন আমর ইবন আবদ উতওয়ারী। তিনি আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর তত্ত্বাবধানে লালিত ইয়াতীম ছিলেন।
যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ يَعْتَادُ الْمَسْجِدَ فَاشْهَدُوا لَهُ بِالإِيمَانِ . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ) . " .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " يَتَعَاهَدُ الْمَسْجِدَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو الْهَيْثَمِ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيُّ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حَجْرِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ .
Narrated Abu Sa'eed:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When you see a man frequenting the Masjid, then testify to his faith. Indeed Allah, Most High, said: The Masjid shall be maintained by those who believe in Allah and the Last day (9:18)."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯৪. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ....... ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ (الَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ) যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভূত করে (৯ঃ ৩৪)। আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর এক দিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। কতক সাহাবী তাঁকে বললেনঃ সোনা-রূপার বিষয়ে এ (কঠোর) বাণী নাযিল হয়েছে। আমরা যদি জানতাম কোন সম্পদটি উত্তম তা হলে আমরা সে সম্পদ সঞ্চয় করতাম। তিনি বললেনঃ সর্বোত্তম সম্পদ হল জিকিররত জিহ্বা, কৃতজ্ঞ অন্তর এবং মুমিনা স্ত্রী, যে স্বামীর ঈমানে সহযোগিতা করে।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৮৫৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করে বলেছিলামঃ সালিম ইবন আবুল জা’দ (রহঃ) কি সরাসরি ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস শুনেছেন? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ সাহাবীদের মধ্যে কার নিকট থেকে তিনি সরাসরি হাদীস শুনেছেন? তিনি বললেনঃ জাবির ইবন আবদুল্লাহ্, আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে তিনি সরাসরি হাদীস শুনেছেন এবং আরো কয়েকজন সাহাবীর কথা তিনি উল্লেখ করলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : ( وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ ) قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ أُنْزِلَ فِي الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مَا أُنْزِلَ . لَوْ عَلِمْنَا أَىُّ الْمَالِ خَيْرٌ فَنَتَّخِذَهُ فَقَالَ " أَفْضَلُهُ لِسَانٌ ذَاكِرٌ وَقَلْبٌ شَاكِرٌ وَزَوْجَةٌ مُؤْمِنَةٌ تُعِينُهُ عَلَى إِيمَانِهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَقُلْتَ لَهُ سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ سَمِعَ مِنْ ثَوْبَانَ فَقَالَ لاَ . فَقُلْتُ لَهُ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعَ مِنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَذَكَرَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Thawban:
"When (the following) was revealed: And those who hoard up gold and silver... (9:34)" He said: "We were with the Messenger of Allah (ﷺ) during one of his journeys, so some of his Companions said: (This) has been revealed about gold and silver, if we knew which wealth was better then we would use it. So he (ﷺ) said: 'The most virtuous of it is a remembering tongue, a grateful heart, and a believing wife that helps him with his faith.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯৫. হুসায়ন ইবন ইয়াযীদ কূফী (রহঃ) ...... আদী ইবন হাতিম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আমি হাজির হলাম। আমার গলায় তখন একটি স্বর্ণের ক্রুশ ঝুলছিল। তিনি বললেনঃ হে আদী! এই মূর্তিটি ফেলে দাও। আমি তাঁকে সূরা বারাআত পাঠ করতে শুনেছিঃ (اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ ) তারা আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের পন্ডিতদের ও সংসার বিরাগীদের আহবার রূপে গ্রহণ করেছে। (৯ঃ ৩১)।
তিনি বললেনঃ এ কথা নয় যে তারা এদের ইবাদত করত। বস্তত এরা যদি তাদের জন্য কিছূ হালাল করে দিতে তখন তারা তা হালাল বলে গ্রহণ করত; এরা যখন কোন কিছু হারাম বলে স্থির করত তখন তারাও তা হারাম বলে গ্রহণ করত। হাদীসটি হাসান গারীব। আবদুস সালাম ইবন হারব-এর রিওয়ায়ত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। রাবী গুতায়ফ ইবন আ’য়ূন (রহঃ) হাদীস বিষয়ে পরিচিত নন।
হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ غُطَيْفِ بْنِ أَعْيَنَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَفِي عُنُقِي صَلِيبٌ مِنْ ذَهَبٍ . فَقَالَ " يَا عَدِيُّ اطْرَحْ عَنْكَ هَذَا الْوَثَنَ " . وَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فِي سُورَةِ بَرَاءَةََ : ( اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ ) قَالَ " أَمَا إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ . وَغُطَيْفُ بْنُ أَعْيَنَ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ فِي الْحَدِيثِ .
Narrated 'Adi bin Hatim:
"I came to the Prophet (ﷺ) while I had a cross of gold around my neck. He said: 'O 'Adi! Remove this idol from yourself!' And I heard him reciting from Surah Bara'ah: They took their rabbis and monks as lords besides Allah (9:31). He said: 'As for them, they did not worship them, but when they made something lawful for them, they considered it lawful, and when they made something unlawful for them, they considered it unlawful.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯৬. যিয়াদ ইবন আয়্যূব বাগদাদী (রহঃ) ..... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, (হিজরতের সময়) ছাওর গুহায় আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললামঃ এদের (মুশরিকদের) কেউ যদি তার পায়ের দিকে তাকায় তবে তো তার পায়ের নীচ দিয়ে আমাদের দেখে ফেলবে। তিনি বললেনঃ হে আবূ বকর! তোমার কি ধারণা সে দু’জন সম্পর্কে যাদের তৃতীয় জন হলেন আল্লাহ।
সহীহ, তাখরিজু ফিকহিস সীরাহ ১৭৩, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। হাম্মাম (রহঃ) সূত্রে এটি বর্ণিত। হাব্বান ইবন হিলাল প্রমুখ (রহঃ) এ হাদীসটি হাম্মাম (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، حَدَّثَهُ قَالَ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي الْغَارِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ يَنْظُرُ إِلَى قَدَمَيْهِ لأَبْصَرَنَا تَحْتَ قَدَمَيْهِ . فَقَالَ " يَا أَبَا بَكْرٍ مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللَّهُ ثَالِثُهُمَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا يُعْرَفُ مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ تَفَرَّدَ بِهِ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هَمَّامٍ نَحْوَ هَذَا .
Narrated Anas:
that Abu Bakr narrated to him, he said: "While were in the cave, I said to the Prophet (ﷺ): 'If one of them were to look down at his feet, then he would see us under his feet.' So he said: 'O Abu Bakr! What do you think about two, the third of whom is Allah?'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯৭. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে আমি বলতে শুনেছি যে, আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই-এর মৃত্যুর পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার সালাতে জানাযা আদায়ের জন্য আহবান করা হল। তিনি সেখানে গেলেন। যখন তিনি সালাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন তখন আমি ঘুরে গিয়ে তার সীনার বরাবর দাঁড়ালাম এবং বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর দুশমন এই আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই, যে অমুক দিন তা, অমুক দিন তা, অমুক দিন তা, অমুক দিন তা বলেছিল, আপনি কি তার সালাতে জানাযা আদায় করবেন? রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসছিলেন। শেষে আমি যখন অনেক বেশী বলে ফেললাম তিনি বললেনঃ উমর, সরে দাঁড়াও। আমাকে তো এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে, তাই আমি এর সালাতুল জানাযা আদায় করাকেই এখতিয়ার করেছি। আমাকে তো বলা হয়েছেঃ আপনি এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন, যদি সত্তর বারও এদের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তবুও আল্লাহ কখনও এদের ক্ষমা করবেন না। (সূরা তওবা ৯ : ৮০)। আমি যদি জানতাম যে, সত্তর বারের বেশী এর জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করলে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন তবে আমি তাই করতাম। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ এরপর তিনি এর জানাযার সালাত (নামায) আদায় করলেন, তিনি তার জানাযার সঙ্গে গেলেন এবং যতক্ষণ না দাফন শেষ হয়েছে তার কবরে দাঁড়িয়ে রইলেন।
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি আমার দুঃসাহসিকতার জন্য আমি বিস্মত। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আল্লাহর কসম, অল্পক্ষণ পরেই এ দু’টি আয়াত নাযিল হয়ঃ
اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারোর মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার সালাত (নামায) পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বে দাঁড়াবে না ...... (৯ঃ ৮৪)।
উমর (রাঃ) বলেনঃ এরপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ইন্তেকাল পর্যন্ত আর কখনো কোন মুনাফিকের সালাতুল জানাযা পড়েন নি, তার কবর পার্শ্বেও দাঁড়ান নি।
সহীহ, আহকামুল জানাইয ৯৩, ৯৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلصَّلاَةِ عَلَيْهِ فَقَامَ إِلَيْهِ فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِ يُرِيدُ الصَّلاَةَ تَحَوَّلْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي صَدْرِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَى عَدُوِّ اللَّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ الْقَائِلِ يَوْمَ كَذَا كَذَا وَكَذَا يَعُدُّ أَيَّامَهُ . قَالَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَبَسَّمُ حَتَّى إِذَا أَكْثَرْتُ عَلَيْهِ قَالَ " أَخِّرْ عَنِّي يَا عُمَرُ . إِنِّي خُيِّرْتُ فَاخْتَرْتُ قَدْ قِيلَ لِي : ( اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ) لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي لَوْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ " . قَالَ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ وَمَشَى مَعَهُ فَقَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى فُرِغَ مِنْهُ قَالَ فَعَجَبٌ لِي وَجُرْأَتِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَوَاللَّهِ مَا كَانَ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى نَزَلَتْ هَاتَانِ الآيَتَانِ : (وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ فَمَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَهُ عَلَى مُنَافِقٍ وَلاَ قَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"I heard 'Umar bin Al-Khattab saying: 'When 'Abdullah bin Ubayy died, the Messenger of Allah (ﷺ) was called to perform the funeral prayer over him. The Messenger of Allah (ﷺ) came to him, and when he stood over him, about to perform the prayer, he turned until he was standing at his chest. I said: "O Messenger of Allah! (You pray) for Allah's enemy 'Abdullah bin Ubayy, who on this day said this and that" - mentioning different days. He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) was smiling until I had said too much to him and he said: 'Leave me O 'Umar! Indeed I have been given the choice, so I chose. I was told: Whether you ask forgiveness for them, or do not ask for forgiveness for them. Even though you ask for their forgiveness seventy times, Allah will not forgive them (9:80). If I knew that were I to ask more than seventy times that he would be forgiven, then I would do so." He said: "Then he performed the Salat for him and walked with him (his funeral procession) and he stood at his grave until it was finished. I was amazed at myself and my daring to talk like that to the Messenger of Allah (ﷺ), while Allah and His Messenger (ﷺ) know better. But by Allah! It was not long until these two Ayat were revealed: 'And never pray for any of them who dies nor stand at his grave... (9:84) until the end of the Ayah. He said: "So afterwards the Messenger of Allah (ﷺ) did not perform the Salat for a hypocrite, nor would he stand at his grave until Allah took him."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯৮. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ্ ইবন উবাই-এর পুত্র আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতার মৃত্যুর পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলেনঃ আপনার জামাটি দিন তা দিয়ে আমি তার কাফন দিব, আপনি তার সালাতুল জানাযা পড়ুন এবং তার জন্য ইস্তিগফার করুন। তখন তিনি তাঁর জামা দিলেন এবং বললেনঃ তোমরা (আনুষঙ্গিক) কাজ শেষ করে আমাকে সংবাদ দিও।
শেষে তিনি যখন তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করতে ইচ্ছা করলেন তখন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে টেনে ধরে বললেনঃ মুনাফিকদের জানাযার সালাত (নামায) আদায় করতে কি আল্লাহ্ আপনাকে নিষেধ করেন নি?
তিনি বললেনঃ আমাকে তো আল্লাহ্ তা’আলা দু’টো বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণের এখতিয়ার দিয়েছেনঃ এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন ...... শেষে তিনি তার সালাতুল জানাযা আদায় করলেন। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারোর মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার সালাত (নামায) পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বের্ দাঁড়াবে না। (৯ঃ ৮৪)। এরপর তিনি মুনাফিকদের সালাতুল জানাযা পড়া ছেড়ে দেন।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৫২৩, বুখারি ৪৬৭০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ مَاتَ أَبُوهُ فَقَالَ أَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ وَصَلِّ عَلَيْهِ وَاسْتَغْفِرْ لَهُ . فَأَعْطَاهُ قَمِيصَهُ وَقَالَ " إِذَا فَرَغْتُمْ فَآذِنُونِي " . فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يُصَلِّيَ جَذَبَهُ عُمَرُ وَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ نَهَى اللَّهُ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ " أَنَا بَيْنَ خِيرَتَيْنِ : (اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ ) " . فَصَلَّى عَلَيْهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: (وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ ) فَتَرَكَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ibn 'Umar:
"'Abdullah bin 'Abdullah bin Ubayy came to the Messenger of Allah (ﷺ) when his father died, and said: 'Give me your shirt to shroud him in and perform the Salat upon him, and seek forgiveness for him.' So he (ﷺ) gave him his shirt, and said: 'When you are finished then inform me.' So when he wanted to perform the Salat, 'Umar tugged at him and said: 'Has not Allah prohibited that you perform Salat over the hypocrites?' He said: 'I have been given the choice between two: 'Whether you seek forgiveness for them or you do not seek forgiveness for them.... (9:80)' So he performed the Salat for him. Then Allah revealed: 'And never pray for any of them who dies, nor stand at his grave... (9:84)' So he abandoned praying for them."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩০৯৯. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’প্রথম দিন থেকেই যে মসজিদটির ভিত্তি তাকওয়ার উপর’ - সে মসজিদটির বিষয়ে দুই ব্যক্তি বিতর্ক করে। একজন বললঃ এটি হল কুবা মসজিদ। অপরজন বললঃ এটি হল মসজিদে নববী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ হল আমার এই মসজিদ।
সহীহ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৯৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এটি সূত্রেও বর্ণিত আছে। উনায়স ইবন আবূ ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) তৎপিতা ইয়াহ্ইয়া ... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে এটি রিওয়ায়ত করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ تَمَارَى رَجُلاَنِ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ فَقَالَ رَجُلٌ هُوَ مَسْجِدُ قُبَاءَ وَقَالَ الآخَرُ هُوَ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هُوَ مَسْجِدِي هَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ أُنَيْسُ بْنُ أَبِي يَحْيَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رضى الله عنه .
Narrated Abu Sa'eed Al-Khudri:
"Two men disagreed over the Masjid whose foundation was laid upon Taqwa from the first day (9:108). A man said: 'It is Masjid Quba' and the other said: 'It is the Masjid of the Messenger of Allah (ﷺ).' So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'It is this Masjid of mine.'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩১০০. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ আয়াতটি কুবাবাসীদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ
فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
সেখানে এমন লোক আছে যারা পবিত্রতা অর্জন ভালবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ্ পছন্দ করেন।(৯ঃ ১০৮)।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ এরা পানির সাহায্যে শৌচক্রিয়া করতেন বলে তাঁদের বিষয়ে এ আয়াতটি নাযিল হয়।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৫৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১০০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি এ সূত্রে গারীব। এ বিষয়ে আবূ আয়্যূব, আনাস ইবন মালিক ও মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي أَهْلِ قُبَاء : (فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ ) " . قَالَ كَانُوا يَسْتَنْجُونَ بِالْمَاءِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِيهِمْ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Prophet (ﷺ) said: "This Ayah was revealed about the people of Quba: In it are men who love to purify themselves. And Allah loves those who make themselves pure (9:108)." He said: "They used water to perform Istinja so this Ayah was revealed about them."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩১০১. মাহামূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ...... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শুনতে পেলাম যে, এক ব্যক্তি তার মুশরিক পিতা-মাতার জন্য ইস্তিগফার করছে। আমি তাকে বললামঃ তুমি তোমার পিতা-মাতার জন্য ইস্তিগফার করছ অথচ তারা উভয়েই মুশরিক? লোকটি বললঃ ইবরাহীম (আঃ) কি তাঁর পিতার জন্য ইস্তিগফার করেন নি। অথচ সেও তো মুশরিক ছিল। আমি বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সমানে পেশ করলাম। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ
মুশরিকদের ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও মুমিনদের জন্য সংগাত নয়। (৯ঃ ১১৩)।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৫২৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান। এ বিষয়ে সাঈদ ইবন মুসায়্যাব তার পিতা মুসায়্যাব রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، كُوفِيٌّ عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، يَسْتَغْفِرُ لأَبَوَيْهِ وَهُمَا مُشْرِكَانِ فَقُلْتُ لَهُ أَتَسْتَغْفِرُ لأَبَوَيْكَ وَهُمَا مُشْرِكَانِ . فَقَالَ أَوَلَيْسَ اسْتَغْفَرَ إِبْرَاهِيمُ لأَبِيهِ وَهُوَ مُشْرِكٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ : ( مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ .
Narrated 'Ali:
"I heard a man seeking forgiveness for his parents who were idolaters, so I said to him: 'You seek forgiveness for your parents while they are idolaters?' He said: 'Did Ibrahim not seek forgiveness for his father, and he was an idolater?' So I mentioned that to the Prophet (ﷺ) and (the following) was revealed: It is not for the Prophet nor those who believe, that they should seek forgiveness for the idolaters (9:113)."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩১০২. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... কা’ব ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ তাবূক যুদ্ধ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যত যুদ্ধ করেছেন কোনটি থেকেই আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পেছনে পড়ে থাকিনি, বদর যুদ্ধ ব্যতীত। আর বদর যুদ্ধে যারা পেছনে পড়ে থেকেছে তাদের কাউকেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভৎসনা করেননি। সে যুদ্ধে তো তিনি মূলত (কুরায়শদের তেজারতী) কাফেলা ধরার উদ্দেশ্যে অভিযাত্রা করেছিরেন। আর কুরায়শরা তাদের কাফেলার সাহোয্যে বের হয়েছিল। তারপর পূর্ব নির্ধারিত সময় ছাড়া তারা (বদর) পরস্পর সম্মুখীন হয়। যেমন আল্লাহ্ তা’আলা উল্লেখ করেছেন। আমার জীবনের কসম, মানুষের কাছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বাধিক মর্যাদাবান যুদ্ধ হল গাযওয়ায়ে বদর। এতদসত্ত্বেও আমরা আকাবা রাত্রিতে (আনসারীরা) ইসলামের উপর যে অঙ্গীকার করেছিলাম আমার সে রায়আতের স্থলে বদরে শরীক থাকটা আমার কাছে প্রিয়তম নয়। এই বদরের পর তাবুক পর্যন্ত আর কোন গাযওয়া থেকে ই আমি পেছনে থাকি নি। তাবুক যুদ্ধ ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শেষ যুদ্ধ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ যুদ্ধে যাত্রার জন্য ঘোষণা দিয়ে দিলেন। ...... এরপর কা’ব দীর্ঘ হাদীসটির বিবরণ দেন।
তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে (আমার তওবা কবুলের আয়াত নাযিল হওয়ার পর) আমি গেলাম। তিনি তখন মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন। মুসলিমরা ছিলেন তাঁর চতুষ্পার্শ্বে। চাঁদের মত জ্বলজ্বল করছিলেন তিনি। কোন বিষয়ে তিনি যদি আনন্দিত হতেন তবে উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হয়ে যেতেন তিনি। আমি এসে তাঁর সামনে বসলাম। তিনি বললেনঃ হে কা’ব ইবন মালিক! তোমার মা তোমাকে প্রসব করার পর থেকে সর্বোত্তম দিনটির জন্য তুমি সুসংবাদ গ্রহণ কর।
আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ্! এ সুসংবাদ কি আল্লাহর পক্ষ থেকে না আপনার পক্ষ থেকে? তিনি বললেনঃ না, এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে। এরপর তিনি এ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেনঃ
لَقََدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ *** حَتَّى بَلَغََّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
আল্লাহ্ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি যারা তার অনুগমন করেছিল সংকটকালে, এমনকি যখন তাদের এক দলে চিত্তবৈকল্যের উপক্রম হয়েছিল। পরে আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করলেন, তিনি তাদের প্রতি দয়ার্দ্র পরম দয়ালু। (৯ঃ ১১৭)
তিনি আরো বলেনঃ আমাদের বিষয়েই নাযিল হয়ঃ
اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভূক্ত হও। (৯ঃ ১১৯)
আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমার তওবার শুকরিয়া হল আমি জীবনে অসত্য বলব না এবং আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের পথে সাদাকাস্বরূপ দিয়ে দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কিছু অর্থ-সম্পদ তোমার জন্য রেখে দাও। এ-ই তোমার জন্য উত্তম।
আমি বললামঃ খায়বার থেকে আমি যে হিস্যা পেয়েছি তা আমার জন্য রেখে দিলাম। কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বলেনঃ আমি এবং আমার দুই সঙ্গী (তাবুক যুদ্ধে শরীক না হওয়ার বিষয়ে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যে সত্য কথা বলেছিলাম আমার ধারণায় ইসলাম গ্রহণের পর সে সত্য বলার চাইতে বড় কোন নেয়ামত আল্লাহ্ তা’আলা আর আমাকে দান করেন নি। আমরা মিথ্যা বলিনি যদি মিথ্যা বলতাম তবে অন্যদের মত আমরাও ধ্বংস হয়ে যেতাম। আমি আশা করি, সত্য কথা বলার জন্য আল্লাহ্ তা’আলা আর কাউকে এত পরীক্ষায় ফেলেন নি, যে পরীক্ষায় তিনি আমাকে ফেলেছিলেন। পরেও আর কখনও আমি মিথ্যার ইচ্ছাও করিনি। আশা করি অবশিষ্ট জীবনেও তিনি আমাকে হেফাজত করবেন।
সহীহ, সহিহ আবু দাউদ ১৯১২, বুখারি ৪৬৭৬, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১০২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ সনদের বিপরীত আরেক সনদে যুহরী (রহঃ) সূত্রে এ হাদীসটির রিওয়ায়ত আছে। এতে বলা হয়েছে। আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন কা’ব ইবন মালিক তার পিতা আবদুল্লাহ্ ইবন কা’ব ... কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহ সূত্রে বর্ণিত আছে। আবার অন্য কথাও বলা হয়েছে। ইউনুস ইবন ইয়াযীদ এ হাদীসটি যুহরী ... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন মালিক তার পিতা আবদুল্লাহ ... কা’ব ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ إِلاَّ بَدْرًا وَلَمْ يُعَاتِبِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا تَخَلَّفَ عَنْ بَدْرٍ إِنَّمَا خَرَجَ يُرِيدُ الْعِيرَ فَخَرَجَتْ قُرَيْشٌ مُغْوِثِينَ لِعِيرِهِمْ فَالْتَقَوْا عَنْ غَيْرِ مَوْعِدٍ كَمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَلَعَمْرِي إِنَّ أَشْرَفَ مَشَاهِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ لَبَدْرٌ وَمَا أُحِبُّ أَنِّي كُنْتُ شَهِدْتُهَا مَكَانَ بَيْعَتِي لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ حَيْثُ تَوَاثَقْنَا عَلَى الإِسْلاَمِ ثُمَّ لَمْ أَتَخَلَّفْ بَعْدُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ وَهِيَ آخِرُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا وَآذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالرَّحِيلِ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَحَوْلَهُ الْمُسْلِمُونَ وَهُوَ يَسْتَنِيرُ كَاسْتِنَارَةِ الْقَمَرِ وَكَانَ إِذَا سُرَّ بِالأَمْرِ اسْتَنَارَ فَجِئْتُ فَجَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ " أَبْشِرْ يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ بِخَيْرِ يَوْمٍ أَتَى عَلَيْكَ مُنْذُ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ " . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَمِنْ عِنْدِ اللَّهِ أَمْ مِنْ عِنْدِكَ قَالَ " بَلْ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ : ( لَقََدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ ) حَتَّى بَلَغََّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ) قَالَ وَفِينَا أُنْزِلَتْ أَيْضًا : ( اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ) قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَنْ لاَ أُحَدِّثَ إِلاَّ صِدْقًا وَأَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِي كُلِّهِ صَدَقَةً إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . فَقُلْتُ فَإِنِّي أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِي بِخَيْبَرَ قَالَ فَمَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَىَّ نِعْمَةً بَعْدَ الإِسْلاَمِ أَعْظَمَ فِي نَفْسِي مِنْ صِدْقِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ صَدَقْتُهُ أَنَا وَصَاحِبَاىَ لاَ نَكُونُ كَذَبْنَا فَهَلَكْنَا كَمَا هَلَكُوا وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ لاَ يَكُونَ اللَّهُ أَبْلَى أَحَدًا فِي الصِّدْقِ مِثْلَ الَّذِي أَبْلاَنِي مَا تَعَمَّدْتُ لِكَذِبَةٍ بَعْدُ وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَحْفَظَنِي اللَّهُ فِيمَا بَقِيَ . قَالَ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثُ بِخِلاَفِ هَذَا الإِسْنَادِ وَقَدْ قِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَمِّهِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ كَعْبٍ وَقَدْ قِيلَ غَيْرُ هَذَا وَرَوَى يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Ka'b bin Malik:
from his father who said: "I did not remain behind from any of the battles the Prophet (ﷺ) fought in, until the battle of Tabuk, except for Badr. And the Prophet (ﷺ) did not scold anyone who remained behind from Badr, because he only went out to look for the caravan. The Quraish came out to help their caravan, so they met without an appointment as Allah the Mighty and Sublime, said. By my life, people consider the most honorable of battles of the Messenger of Allah (ﷺ) to be that of Badr, but I would not have liked to attend it instead of my oath of allegiance on the night of Al-'Aqabah when we took a covenant for Islam. Afterwards, I did not stay behind from the Prophet (ﷺ) until the battle of Tabuk, and it was the last of the battles he fought. The Messenger of Allah (ﷺ) informed the people of the departure" - and he mentioned the Hadith in its entirety, and said - "So I went to the Prophet (ﷺ) and he was sitting in the Masjid, surrounded by the Muslims. He was beaming like the moon beams. When he was happy about a matter he would beam. So I came and said in front of him. He said: 'Receive glad tidings - O Ka'b bin Malik - of the best day you have seen since your mother bore you!' So I said: 'O Prophet of Allah! Is it from Allah or from you?' He said: 'From Allah.' Then he recited these Ayat: Allah has forgiven the Prophet, the Muhajirin, and the Ansar who followed him in the time of distress, after the hearts of a party of them had nearly deviated, but He accepted their repentance. Certainly, He is unto them full of Kindness, Most Merciful (9:117). [until he reached: Verily, Allah is the One Who accepts repentance, Most Merciful (9:118).] He said: "And it was about us that (the following) was revealed as well: Have Taqwa of Allah, and be with those who are true (9:119)." He said: "O Prophet of Allah! Part of my repentance is to not say but the truth, and give up all of my wealth as charity for Allah and His Messenger.' So the Prophet (ﷺ) said: 'Keep some of your wealth for yourself, for indeed that is better for you.' I said: 'So I will keep my share from Al-Khaibar.'" He said: "So after my acceptance of Islam, Allah did not grant me a greater favor than when I and my two companions told the truth to the Messenger of Allah (ﷺ) and we were not among the liars to be ruined like the others were ruined. Indeed I hope that Allah will not test anyone over telling the truth as he tested me. I did not resort to a lie ever since then, and I hope that Allah will protect me regarding what remains to come."
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩১০৩. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ...... যায়দ ইবন ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনঃ ইয়ামামা যুদ্ধে (বহু হাফিজ সাহাবীর) শাহাদাতের ঘটনার পর আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেখানে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। তিনি বললেনঃ উমর আমার কাছে এসে বলেছেন, ইয়ামামার যুদ্ধে কুরআনের অনেক হাফিজ শহীদ হয়েছেন। আমার আশংকা হয় যে, আরো অনেক স্থানে বহু হাফিযে কুরআন শহীদ হতে পারেন। এতে কুরআনের বহু অংশ বিলীন হয়ে যেতে পারে। সুতরাং কুরআন একত্রকরণের নির্দেশ দান করা আমি ভাল মনে করি। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ’উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন, আমি কি রূপে সে কাজ করি যা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেন নি। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আল্লাহর কসম, এ মঙ্গলজনক হবে। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ তিনি আমাকে বারবার এমনভাবে বলতে লাগলেন যে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলা এ বিষয়টি সম্পর্কে আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিলেন। যে বিষয়ে তিনি উমরের বক্ষ প্রশস্ত করেছিলেন। বিষয়টি সম্পর্কে উমর যেমন ভাবছেন এখন আমিও তা ভাবছি।
যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বললেনঃ তুমি একজন বুদ্ধিমান যুবক, তোমাকে আমরা কোন বিষয়ে সন্দেহ করি না। তুমি রাসূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য ওহী লিখতে। সুতরাং তুমি কুরআন শরীফ তালাশ করে সংগ্রহ করার কাজে লেগে যাও।
যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আল্লাহর কসম, তাঁরা যদি কোন পাহাড় স্থানান্তরিত করার দায়িত্ব আমাকে দিতেন তবে তা আমার কাছে এর চেয়ে বেশী ভারী মনে হতো না। আমি বললামঃ আপনারা কি রূপে এ কাজ করবেন যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেন নি?
আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ আল্লাহর কসম, এটি ভাল কাজ। আবূ বকর এবং উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উভয়েই আমাকে বারবার বিষয়টি বুঝতে লাগলেন, আল্লাহ্ তা’আলা এ বিষয়ে আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিলেন, যে বিষয়ের জন্য আবূ বকর ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উভয়ের বক্ষ প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। তারপর আমি কুরআন তালাশ করে সংগ্রহ করতে শুরু করলাম। আমি কাগজের টুকরা, খেজুর গাছের ডাল, মসৃণ পাথর এবং মানষের সীনায় যা রক্ষিত ছিল তা একত্রিত করতে থাকলাম। সূরা বারাআতের শেষের এ আয়াতটি খুযায়মা ইবন ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে পেলামঃ
قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ * فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে এক রাসূল এসেছে। তোমাদের যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্ট দায়ক। সে তোমাদের কঙ্গলকামী। মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। এরপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলবে আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। আমি তারই উপর নির্ভর করি আর তিনি মহা আরশের অধিপতি।(৯ : ১২৮)।
সহীহ, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১০৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، حَدَّثَهُ قَالَ بَعَثَ إِلَىَّ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ مَقْتَلَ أَهْلِ الْيَمَامَةِ فَإِذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عِنْدَهُ فَقَالَ إِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ أَتَانِي فَقَالَ إِنَّ الْقَتْلَ قَدِ اسْتَحَرَّ بِقُرَّاءِ الْقُرْآنِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ وَإِنِّي لأَخْشَى أَنْ يَسْتَحِرَّ الْقَتْلُ بِالْقُرَّاءِ فِي الْمَوَاطِنِ كُلِّهَا فَيَذْهَبَ قُرْآنٌ كَثِيرٌ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَأْمُرَ بِجَمْعِ الْقُرْآنِ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ كَيْفَ أَفْعَلُ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ هُوَ وَاللَّهِ خَيْرٌ فَلَمْ يَزَلْ يُرَاجِعُنِي فِي ذَلِكَ حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ لَهُ صَدْرَ عُمَرَ وَرَأَيْتُ فِيهِ الَّذِي رَأَى قَالَ زَيْدٌ قَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّكَ شَابٌّ عَاقِلٌ لاَ نَتَّهِمُكَ قَدْ كُنْتَ تَكْتُبُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْوَحْىَ فَتَتَبَّعِ الْقُرْآنَ . قَالَ فَوَاللَّهِ لَوْ كَلَّفُونِي نَقْلَ جَبَلٍ مِنَ الْجِبَالِ مَا كَانَ أَثْقَلَ عَلَىَّ مِنْ ذَلِكَ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ تَفْعَلُونَ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ وَاللَّهِ خَيْرٌ . فَلَمْ يَزَلْ يُرَاجِعُنِي فِي ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ صَدْرَهُمَا صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ فَتَتَبَّعْتُ الْقُرْآنَ أَجْمَعُهُ مِنَ الرِّقَاعِ وَالْعُسُبِ وَاللِّخَافِ يَعْنِي الْحِجَارَةَ الرِّقَاقَ وَصُدُورِ الرِّجَالِ فَوَجَدْتُ آخِرَ سُورَةِ بَرَاءَةَ مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ : ( قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ * فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Az-Zuhri:
"From 'Ubaid bin As-Sabbaq, that Zaid bin Thabit narrated to him, he said: 'Abu Bakr As-Siddiq sent for me - (regarding) those killed at Al-Yamamah - and 'Umar bin Al-Khattab was with him. He (Abu Bakr) said: "'Umar came to me and said: The fighting inflicted many casualties among the reciters of the Qur'an on the Day of Al-Yamamah, and I fear that there will be more casualties among the reciters in other parts of the land, such that much of the Qur'an may be lost. In my view, you should order that the Qur'an be collected.'" Abu Bakr said to 'Umar: "How can I do something which was not done my the Messenger of Allah (ﷺ)?" 'Umar said: 'By Allah! It is something good.' 'Umar continued trying to convince me until Allah opened up my chest to that which He had opened the chest of 'Umar, and I saw it as he saw it." Zaid said: 'Abu Bakr said: "You are a young wise man, and we have no suspicions of you. You used to write down the Revelation for the Messenger of Allah as the Qur'an was revealed." He (Zaid) said: 'By Allah! If they had ordered to move one of the mountains it would have been lighter on me than that.' He said: 'I said: "How will you do something which was not done by the Messenger of Allah (ﷺ)?" Abu Bakr said: "By Allah! It is something good." Abu Bakr and 'Umar continued trying to convince me, until Allah opened up my chest for that, just as He had opened their chests, the chest of Abu Bakr and the chest of 'Umar. So I began searching for Qur'anic material from parchments, leaf stalks of date-palms and Al-Likhaf - meaning stones - and the chests of men. I found the end of Surah Bara'ah with Khuzaimah bin Thabit: Verily, there has come to you a Messenger from among yourselves. It grieves him that you should receive any injury or difficulty. He is eager for you; for the believers (he is) full of pity, kind, and merciful. But if they turn away, say: "Allah is sufficient for me. There is no god but He, in Him I put my trust, and He is the Lord of the Mighty Throne (9:128 & 129).'"
পরিচ্ছেদঃ সূরা তাওবা
৩১০৪. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু উছমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে এলেন। উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু তখন আরমেনিয়া ও আযারবায়জান বিজয়ে ইরাকবাসীদের সঙ্গে শামবাসীদেরও যুদ্ধ-যাত্রার জন্য প্রস্তুত করছিলেন। হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু কুরআনের (পাঠের) ক্ষেত্রে এদের পরস্পর মতানৈক্য দেখেছিলেন। তিনি উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! ইয়াহূদ নাসারারা যেরূপ মতানৈক্যে লিপ্ত হয়েছিল, আল্লাহর কিতাবে সেরূপ মতানৈক্যে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে এ উম্মতকে আপনি রক্ষা করুন।
তখন উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহ এই বলে হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর কাছে লোক পাঠালেন যে, আপনার কাছে রক্ষিত কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, আমরা এটির বিভিন্ন কপি করে পুনরায় আপনার কাছে ফেরত পাঠাব।
হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো উছমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু যায়দ ইবন ছাবিত, সাঈদ ইবন আস, আবদুর রহমান ইবন হারিছ ইবন হিশাম ও আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র রাদিয়াল্লাহু আনহুম-এর কাছে কপিগুলো পাঠিয়ে বললেন যে, তোমরা এই কপিগুলো মুসহাফে লিপিবদ্ধ কর। এই তিনজন কুরায়শী গ্রুপকে বললেনঃ তোমাদের এবং যায়দ ইবন ছাবিতের মাঝে মতানৈক্য দেখা গেলে কুরায়শী ভাষা অনুসারে তা লিপিবদ্ধ করবে। কেননা কুরআন কুরায়শদের ভাষা অনুসারেই নাযিল হয়েছে।
যা হোক, তারা কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো বিভিন্ন মুসহাফে লিপিবদ্ধ করেন। উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বিভিন্ন দিকে তাদের কপি করা মুসহাফগুলো পাঠালেন।
যুহরী (রহঃ) বলেনঃ খারিজা ইবন যায়দ আমাকে বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবন ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনঃ সূরা আহযাবের একটি আয়াত আমি খূঁজে পাচ্ছিলাম না। অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা পাঠ করতে আমি শুনেছি। সেটি হলঃ
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ
মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে। এদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। (৩৩ : ২৩)
পরে তালাশ করে খুযায়মা ইবন ছাবিত কিংবা আবূ খুযায়মার কাছে সেটি পেলাম এবং উক্ত সূরায় তা যুক্ত করে দিলাম।
যুহরী (রহঃ) বলেনঃ একদিন তারাالتابوت এবংالتابوه নিয়ে মতানৈক্য করেন। কুরায়শীরা বললেনঃ التابوت যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃالتابوه তাঁদের এ মতানৈক্যের বিষয়টি উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে পেশ করা হলে তিনি বললেনঃ তোমরাالتابوت লিখ। কেননা কুরআন কুরায়শের ভাষায় নাযিল হয়েছে।
যুহরী বলেনঃ উবায়দুল্লাহ ইবন উতবা বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু যায়দ ইবন ছাবিতের এ তৈরী কপি পছন্দ করেন নি। তিনি বলেছেনঃ হে মুসলিম সম্প্রদায়! কুরআনের মুসহাফ লিপিবদ্ধ করার কাজে আমাকে দূরে রাখা হয়েছে আর এর দায়িত্ব বহন করেছে এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহর কসম আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন সে ছিল এক কাফিরের ঔরসে। (এই কথা বলে তিনি যায়দ ইবন ছাবিতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন)।
আবদুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনঃ হে ইরাকবাসী! তোমাদের কাছে যে মুসহাফগুলো রয়েছে সেগুলো লুকিয়ে রাখ। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেনঃ
وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
এবং কেউ অন্যায়ভাবে কিছু গোপন করলে যা সে অন্যায়ভাবে গোপন করবে কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে আসবে। (৩ : ১৬১) সুতরাং তোমরা তোমাদের মুসহাফসহ আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারবে। যুহরী বলেনঃ বিশিষ্ট সাহাবীগণের অনেকই ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর এ বক্তব্য অপছন্দ করেছেন বলে আমি সংবাদ পেয়েছি।
সহীহ, বুখারি ৪৯৮৭, ৪৯৮৮, মাকতু, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১০৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। এটি হল যুহরী (রহঃ) -এর রিওয়ায়ত। তাঁর রিওয়ায়ত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ حُذَيْفَةَ، قَدِمَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَكَانَ يُغَازِي أَهْلَ الشَّامِ فِي فَتْحِ أَرْمِينِيَّةَ وَأَذْرَبِيجَانَ مَعَ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَرَأَى حُذَيْفَةُ اخْتِلاَفَهُمْ فِي الْقُرْآنِ فَقَالَ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَدْرِكْ هَذِهِ الأُمَّةَ قَبْلَ أَنْ يَخْتَلِفُوا فِي الْكِتَابِ كَمَا اخْتَلَفَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَأَرْسَلَ إِلَى حَفْصَةَ أَنْ أَرْسِلِي إِلَيْنَا بِالصُّحُفِ نَنْسَخُهَا فِي الْمَصَاحِفِ ثُمَّ نَرُدُّهَا إِلَيْكِ فَأَرْسَلَتْ حَفْصَةُ إِلَى عُثْمَانَ بِالصُّحُفِ فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ إِلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِي وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنِ انْسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ وَقَالَ لِلرَّهْطِ الْقُرَشِيِّينَ الثَّلاَثَةِ مَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ أَنْتُمْ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَاكْتُبُوهُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ فَإِنَّمَا نَزَلَ بِلِسَانِهِمْ . حَتَّى نَسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ بَعَثَ عُثْمَانُ إِلَى كُلِّ أُفُقٍ بِمُصْحَفٍ مِنْ تِلْكَ الْمَصَاحِفِ الَّتِي نَسَخُوا . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ فَقَدْتُ آيَةً مِنْ سُورَةِ الأَحْزَابِ كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا : ( مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ ) فَالْتَمَسْتُهَا فَوَجَدْتُهَا مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ أَوْ أَبِي خُزَيْمَةَ فَأَلْحَقْتُهَا فِي سُورَتِهَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَاخْتَلَفُوا يَوْمَئِذٍ فِي التَّابُوتِ وَالتَّابُوهِ فَقَالَ الْقُرَشِيُّونَ التَّابُوتُ . وَقَالَ زَيْدٌ التَّابُوهُ . فَرُفِعَ اخْتِلاَفُهُمْ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ اكْتُبُوهُ التَّابُوتُ فَإِنَّهُ نَزَلَ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَرِهَ لِزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ نَسْخَ الْمَصَاحِفِ وَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ أُعْزَلُ عَنْ نَسْخِ كِتَابَةِ الْمُصْحَفِ وَيَتَوَلاَّهَا رَجُلٌ وَاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْتُ وَإِنَّهُ لَفِي صُلْبِ رَجُلٍ كَافِرٍ يُرِيدُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ وَلِذَلِكَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ اكْتُمُوا الْمَصَاحِفَ الَّتِي عِنْدَكُمْ وَغُلُّوهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ : ( وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ) فَالْقُوا اللَّهَ بِالْمَصَاحِفِ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَبَلَغَنِي أَنَّ ذَلِكَ كَرِهَهُ مِنْ مَقَالَةِ ابْنِ مَسْعُودٍ رِجَالٌ مِنْ أَفَاضِلِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ حَدِيثُ الزُّهْرِيِّ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ .
Narrated Az-Zuhri:
from Anas who said: "Hudhaifah bin Al-Yaman came to 'Uthman, at the time when the people of Ash-Sham and the people of Al-'Iraq were waging war to conquer Arminiyah and Adharbijan. Hudhaifah saw their (the people of Ash-Sham and Al-'Iraq) different forms of recitation of the Qur'an. So he said to 'Uthman: 'O Commander of the Believers! Save this nation before they differ about the Book as the Jews and the Christians did before them.' So he ('Uthman) sent a message to Hafsah (saying): 'Send us the manuscripts so that we may copy them in the Musahif (plural of Mushaf: a written copy of the Qur'an) then we shall return it to you.' So Hafsah sent the manuscripts to 'Uthman bin 'Affan. 'Uthman then sent order for Zaid bin Thabit, Sa'eed bin Al-'As, 'Abdur-Rahman bin Al-Harith bin Hisham, and 'Abdullah bin Az-Zubair to copy the manuscripts in the Musahif. 'Uthman said to the three Quraish men: 'In case you disagree with Zaid bin Thabit on any point in the (recitation dialect of the) Qur'an, then write it in the dialect of Quraish for it was in their tongue.' So when they had copied the manuscripts, 'Uthman sent one Mushaf from those Musahif that they had copied to every province." Az-Zuhri said: "Kharijah bin Zaid [bin Thabit] narrated to me that Zaid bin Thabit said: 'I missed an Ayah of Surat Al-Ahzab that I heard the Messenger of Allah (ﷺ) reciting: Among the believers are men who have been true to their covenant with Allah, of them some have fulfilled their obligations, and some of them are still waiting (33:23) - so I searched for it and found it with Khuzaimah bin Thabit, or Abu Khuzaimah, so I put it in its Surah.'" Az-Zuhri said: "They differed then with At-Tabut and At-Tabuh. The Quraish said: At-Tabut while Zaid said: At-Tabuh. Their disagreement was brought to 'Uthman, so he said: 'Write it as At-Tabut, for it was revealed in the tongue of the Quraish.'" Az-Zuhri said: "'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Utbah informed me that 'Abdullah bin Mas'ud disliked Zaid bin Thabit copying the Musahif, and he said: 'O you Muslims people! Avoid copying the Mushaf and the recitation of this man. By Allah! When I accepted Islam he was but in the loins of a disbelieving man' - meaning Zaid bin Thabit - and it was regarding this that 'Abdullah bin Mas'ud said: 'O people of Al-'Iraq! Keep the Musahif that are with you, and conceal them. For indeed Allah said: And whoever conceals something, he shall come with what he concealed on the Day of Judgement (3:161). So meet Allah with the Musahif.'" Az-Zuhri said: "It was conveyed to me that some men amongst the most virtuous of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) disliked that view of Ibn Mas'ud."