পরিচ্ছেদঃ ইবন সায়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।

২২৪৯. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ্জ (কিংবা উমরা) এর সফরে ইবন সায়্যাদ আমার সঙ্গী হয়। লোকেরা চলে গেলে আমি এবং সে রয়ে গেলাম। আমি তার সাথে একা হয়ে গেলে তার সম্পর্কে লোকেরা যা বলাবলি করত তা ভেবে আমি ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লাম। এক স্থানে বিশ্রামের জন্য আমি অবতরণ করলে তাকে বললামঃ ঐ গাছটার কাছে তোমার সামান-পত্র রাখ।

আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেনঃ সে কিছু বকরী দেখতি পেয়ে একটি পেয়ালা নিয় গিয়ে সেদিকে গেল এবং কিছু দুধ দোহন করে আমার কাছে তা নিয়ে এল। আমাকে বললঃ আবূ সাঈদ, পান কর। মানুষ যেহেতু তার সম্পর্কে নানা কথা বলত তাই তার হাতে কিছু পান করতে আমার ভাল লাগছিল না। তাই আমি তাকে বললামঃ আজকের দিনটি খুব গরম, এমন দিনে আমি দুধ পছন্দ করি না।

সে বললঃ হে আবূ সাঈদ, লোকেরা যে আমাকে এবং আমর সম্পর্কে নানা কথা বলে সেই জন্য আমার ইচ্ছা হয় একটি দড়ি নিয়ে একটি গাছে বেধে ফাসিয়ে লাগিয়ে আত্মহত্য করে ফেলি। তুমি কি মনে কর, আমার বিষয়টি কারো কাছে অস্পষ্ট থাকলেও তোমরা আনসারীদের কাছে তো আর কখনো অস্পষ্ট থাকার কথা নয়। হে আনসার সম্প্রদায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস সম্পর্কে তোমরা কি সবচেয়ে বেশী জ্ঞাত নও? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননি যে দাজ্জাল হল কাফির আথচ আমি মুসলিম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আরো বলেন নি যে, সে হবে নিঃসন্তান তার কোন সন্তান থাকবে না। আর আমি তো মদীনায় আমার সন্তান রেখে এসেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননি যে, মক্কা এবং মদীনা তার জন্য হালাল নয়। (সে মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না)। আমি কি নিজে মদীনাবাসী নই আর এই তো এখন তোমার সঙ্গে মক্কায় চলছি।

আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, সে এমনভাবে একটার পর একটা যুক্তি উত্থাপন করতে লাগল যে আমি মনে মনে বললাম, হয়ত লোকটির সম্পর্কে লোকেরা মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এরপর সে বললঃ হে আবূ সাঈদ, আল্লাহর কসম, তোমাকে অবশ্যই আমি একটি সত্য খবর দিচ্ছি। আল্লাহর কসম, আমি অবশ্যই তাকে (দাজ্জালকে) জানি, তার পিতাকে চিনি এবং এখন সে পৃথিবীর কোথায় আছে তা-ও আমি জানি। আমি বললামঃ তোর জন্য ধ্বংস আসুক সারা দিন। সহীহ, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান।

بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ صَحِبَنِي ابْنُ صَائِدٍ إِمَّا حُجَّاجًا وَإِمَّا مُعْتَمِرِينَ فَانْطَلَقَ النَّاسُ وَتُرِكْتُ أَنَا وَهُوَ فَلَمَّا خَلَصْتُ بِهِ اقْشَعْرَرْتُ مِنْهُ وَاسْتَوْحَشْتُ مِنْهُ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ فِيهِ فَلَمَّا نَزَلْتُ قُلْتُ لَهُ ضَعْ مَتَاعَكَ حَيْثُ تِلْكَ الشَّجَرَةِ ‏.‏ قَالَ فَأَبْصَرَ غَنَمًا فَأَخَذَ الْقَدَحَ فَانْطَلَقَ فَاسْتَحْلَبَ ثُمَّ أَتَانِي بِلَبَنٍ فَقَالَ لِي يَا أَبَا سَعِيدٍ اشْرَبْ ‏.‏ فَكَرِهْتُ أَنْ أَشْرَبَ مِنْ يَدِهِ شَيْئًا لِمَا يَقُولُ النَّاسُ فِيهِ فَقُلْتُ لَهُ هَذَا الْيَوْمُ يَوْمٌ صَائِفٌ وَإِنِّي أَكْرَهُ فِيهِ اللَّبَنَ ‏.‏ قَالَ لِي يَا أَبَا سَعِيدٍ هَمَمْتُ أَنْ آخُذَ حَبْلاً فَأُوثِقَهُ إِلَى شَجَرَةٍ ثُمَّ أَخْتَنِقُ لِمَا يَقُولُ النَّاسُ لِي وَفِيَّ أَرَأَيْتَ مَنْ خَفِيَ عَلَيْهِ حَدِيثِي فَلَنْ يَخْفَى عَلَيْكُمْ أَلَسْتُمْ أَعْلَمَ النَّاسِ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ كَافِرٌ وَأَنَا مُسْلِمٌ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ عَقِيمٌ لاَ يُولَدُ لَهُ وَقَدْ خَلَّفْتُ وَلَدِي بِالْمَدِينَةِ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَدْخُلُ أَوْ لاَ تَحِلُّ لَهُ مَكَّةُ وَالْمَدِينَةُ أَلَسْتُ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ ذَا أَنْطَلِقُ مَعَكَ إِلَى مَكَّةَ ‏.‏ فَوَاللَّهِ مَا زَالَ يَجِيءُ بِهَذَا حَتَّى قُلْتُ فَلَعَلَّهُ مَكْذُوبٌ عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَبَا سَعِيدٍ وَاللَّهِ لأُخْبِرَنَّكَ خَبَرًا حَقًّا وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْرِفُهُ وَأَعْرِفُ وَالِدَهُ وَأَعْرِفُ أَيْنَ هُوَ السَّاعَةَ مِنَ الأَرْضِ ‏.‏ فَقُلْتُ تَبًّا لَكَ سَائِرَ الْيَوْمِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏صَحِيحٌ.

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا عبد الاعلى بن عبد الاعلى، عن الجريري، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد، قال صحبني ابن صاىد اما حجاجا واما معتمرين فانطلق الناس وتركت انا وهو فلما خلصت به اقشعررت منه واستوحشت منه مما يقول الناس فيه فلما نزلت قلت له ضع متاعك حيث تلك الشجرة ‏.‏ قال فابصر غنما فاخذ القدح فانطلق فاستحلب ثم اتاني بلبن فقال لي يا ابا سعيد اشرب ‏.‏ فكرهت ان اشرب من يده شيىا لما يقول الناس فيه فقلت له هذا اليوم يوم صاىف واني اكره فيه اللبن ‏.‏ قال لي يا ابا سعيد هممت ان اخذ حبلا فاوثقه الى شجرة ثم اختنق لما يقول الناس لي وفي ارايت من خفي عليه حديثي فلن يخفى عليكم الستم اعلم الناس بحديث رسول الله صلى الله عليه وسلم يا معشر الانصار الم يقل رسول الله صلى الله عليه وسلم انه كافر وانا مسلم الم يقل رسول الله صلى الله عليه وسلم انه عقيم لا يولد له وقد خلفت ولدي بالمدينة الم يقل رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يدخل او لا تحل له مكة والمدينة الست من اهل المدينة وهو ذا انطلق معك الى مكة ‏.‏ فوالله ما زال يجيء بهذا حتى قلت فلعله مكذوب عليه ثم قال يا ابا سعيد والله لاخبرنك خبرا حقا والله اني لاعرفه واعرف والده واعرف اين هو الساعة من الارض ‏.‏ فقلت تبا لك ساىر اليوم ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏صحيح.


Abu Sa'eed said:
"I was accompanied by Ibn Sa'eed- either performing Hajj or 'Umrah - the people departed, and he and I were left. When I was alone with him I trembled and felt frightened of him because of what the people were saying about him. When I halted I said to him: 'Put your belongings near that tree.'" "he saw a sheep, took out a cup, and went to milk, it. Then he came to me with some milk and said to me: 'Drink Abu Sa'eed!' But I loathed drinking anything from his hand because of what the people were saying about him. So I said to him: 'It is very hot today, and I would not like to drink milk.' So he said to me: 'O Abu Sa'eed, I think I should take a rope, tie it to the tree, then hang myself because of what the people are saying about me. You see those who may be unaware of some narrations, while you are not unaware of them. You people are the most knowledgeable among the people of the Ahadith of the Messenger of Allah, O people of the Ansar! Did the Messenger of Allah not say: "He is a disbeliever" while I am a Muslim? Did the Messenger of Allah not said: "He is sterile, having no children" while I have left my children behind in Al-Madinah? Did the Messenger of Allah not say: "[He will not enter or] Makkah [and Al-Madinah] are not lawful for him" and am I not from the inhabitants of Al-Madinah, and who is the one who accompanied you to Makkah?'" "By Allah, he continued talking like this until I said: 'Perhaps he has been falsely accused' then he said: 'O Abu Sa'eed! By Allah, I can inform you of some information that is true, by Allah! Verily, I know him, I know his father, [and I know] where he is at this time in the land.' So I said: 'May the rest of your day be but grief.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৬/ ফিতনা (كتاب الفتن عن رسول الله ﷺ) 36/ Chapters On Al-Fitan

পরিচ্ছেদঃ ইবন সায়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।

২২৫০. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদীনার কোন এক রাস্তায় ইবন সায়্যাদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত হয়। তখন তিনি তাঁকে থামালেন। সে ছিল এক ইয়াহূদী বালক। তার চুল ছিল বেনীবদ্ধ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আবূ বকর এবং উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমাও ছিলেন। তাকে রাসয়ূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসূল?

সে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তো আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনের উপর ঈমান এনেছি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আরো বললেনঃ তুমি কি দেখতে পাও?

সে বললঃ পানির উপর একটি সিংহাসন দেখতে পাচ্ছি।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সাগরের উপর ইবরীশের আসন দেখতে পাচ্ছ।

তিনি বললেনঃ আর কি দেখ?

সে বলল একজন সত্যবাদী ও দুইজন মিথ্যাবাদী কিংবা দুইজন সত্যবাদী ও একজন মিথ্যাবাদীকে দেখি।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার উপর বিষয়টি অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। অতএব তোমরা একে ছেড়ে দাও। সহীহ, সহিহাহ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে উমার, হুসায়ন ইবন আলী, ইবন উমার, আবূ যারর, ইবন মাসউদ, জাবির এবং হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান।

بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْنَ صَائِدٍ فِي بَعْضِ طُرُقِ الْمَدِينَةِ فَاحْتَبَسَهُ وَهُوَ غُلاَمٌ يَهُودِيٌّ وَلَهُ ذُؤَابَةٌ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَتَشْهَدُ أَنْتَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ آمَنْتُ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا تَرَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَرَى عَرْشًا فَوْقَ الْمَاءِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَرَى عَرْشَ إِبْلِيسَ فَوْقَ الْبَحْرِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا تَرَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَرَى صَادِقًا وَكَاذِبَيْنِ أَوْ صَادِقَيْنِ وَكَاذِبًا ‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لُبِّسَ عَلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ فَدَعَاهُ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَحَفْصَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا عبد الاعلى، عن الجريري، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد، قال لقي رسول الله صلى الله عليه وسلم ابن صاىد في بعض طرق المدينة فاحتبسه وهو غلام يهودي وله ذوابة ومعه ابو بكر وعمر فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اتشهد اني رسول الله ‏"‏ ‏.‏ فقال اتشهد انت اني رسول الله فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ امنت بالله وملاىكته وكتبه ورسله واليوم الاخر ‏"‏ ‏.‏ قال له النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما ترى ‏"‏ ‏.‏ قال ارى عرشا فوق الماء ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ترى عرش ابليس فوق البحر ‏.‏ قال ‏"‏ فما ترى ‏"‏ ‏.‏ قال ارى صادقا وكاذبين او صادقين وكاذبا ‏.‏ قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لبس عليه ‏"‏ ‏.‏ فدعاه قال وفي الباب عن عمر وحسين بن علي وابن عمر وابي ذر وابن مسعود وجابر وحفصة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏


It was narrated that Abu Sa'eed said:
"The Messenger of Allah(s.a.w) met Ibn Sa'eed on one of the streets of Al-Madinah, so he stopped him- and he was a Jewish boy with locks- and Abu Bakr and 'Umar were with him. So the Messenger of Allah(s.a.w) said to him: 'Do you testify that I am the Messenger of Allah?' So he replied: 'Do you testify that I am Allah's Messenger?' So the Prophet(s.a.w) said: 'I believe in Allah, His Angels, His Books, His Messengers, and the Last Day.'Then the Prophet(s.a.w) said to him: 'What do you see?' He said: 'I see a throne above the water.' So the Prophet(s.a.w) said: 'He sees the throne of Iblis above the sea.' He said: 'What else do you see?' He said: 'I see a truthful one,and two liars- or two truthful ones and a liar.' So the Prophet (s.a.w)said:"He has been confounded. So leave him.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৬/ ফিতনা (كتاب الفتن عن رسول الله ﷺ) 36/ Chapters On Al-Fitan

পরিচ্ছেদঃ ইবন সায়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।

২২৫১. আবদুল্লাহ ইবন মুআবিয়া জুমাহী (রহঃ) ..... আবদুর রাহমান ইবন আবূ বকরা তার পিতা আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দাজ্জালের পিতা-মাতা ত্রিশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তাদের কোন সন্তান হবে না। পরে তাদের এক কানা শিশুর জন্ম হবে। যা হবে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং অত্যন্ত অনুপোকারী। তার চোখ তো হবে নিদ্রিত কিন্তু অন্তর হবে না।

এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পিতা-মাতার বিবরণ দিলেন। বললেনঃ তার পিতা হবে লম্বা, পাতলা গড়ানের। তার নাকটা যেন পাখির ঠোট। তার মা হবে স্থুলকায়, সুদীর্ঘ স্তন বিশিষ্টা মহিলা।

আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেনঃ মদীনায় ইয়াহুদীদের একটি সন্তানের কথা শুনে আমি এবং যুবায়র ইবন আওওয়াম সেখানে গেলাম। আমরা তার পিতা-মাতার কাছে গিয়ে দেখলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছিলেন এরা ঠিক তদ্রুপ। আমরা বললামঃ তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বললঃ ত্রিশ বছর আমাদের কোন সন্তান হয় নাই। এরপর একটি কানা বাচ্চা হয়েছে। সে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং কম উপকারী। তার দুচোখ তো ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না।

আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহ বললেনঃ আমরা তাদের ওখান থেকে বের হয়ে এলাম। হঠাত দেখি বালকটি একটি চাঁদর লেপটে রোদে শুয়ে আছে আর বিড় বিড় করছে। সে তার মাথা থেকে কাপড় সরাল, বলল, তোমরা কি বলছ?

আমরা বললামঃ আমরা কি বলেছি তুমি শুনেছ নাকি?

সে বললঃ হ্যাঁ, আমার দু’চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না। যঈফ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ৫৫০৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-গারীব। হাম্মাদ ইবন সালামা (রহঃ) এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।

بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَمْكُثُ أَبُو الدَّجَّالِ وَأُمُّهُ ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ أَبُوهُ طِوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فَرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُودِ بِالْمَدِينَةِ فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ فَقَالاَ مَكَثْنَا ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مُنْجَدِلٌ فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ فَقَالَ مَا قُلْتُمَا قُلْنَا وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا قَالَ نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَاىَ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن معاوية الجمحي، حدثنا حماد بن سلمة، عن علي بن زيد، عن عبد الرحمن بن ابي بكرة، عن ابيه، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يمكث ابو الدجال وامه ثلاثين عاما لا يولد لهما ولد ثم يولد لهما غلام اعور اضر شيء واقله منفعة تنام عيناه ولا ينام قلبه ‏"‏ ‏.‏ ثم نعت لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ابويه فقال ‏"‏ ابوه طوال ضرب اللحم كان انفه منقار وامه امراة فرضاخية طويلة اليدين ‏"‏ ‏.‏ فقال ابو بكرة فسمعنا بمولود في اليهود بالمدينة فذهبت انا والزبير بن العوام حتى دخلنا على ابويه فاذا نعت رسول الله صلى الله عليه وسلم فيهما فقلنا هل لكما ولد فقالا مكثنا ثلاثين عاما لا يولد لنا ولد ثم ولد لنا غلام اعور اضر شيء واقله منفعة تنام عيناه ولا ينام قلبه ‏.‏ قال فخرجنا من عندهما فاذا هو منجدل في الشمس في قطيفة له وله همهمة فكشف عن راسه فقال ما قلتما قلنا وهل سمعت ما قلنا قال نعم تنام عيناى ولا ينام قلبي ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث حماد بن سلمة ‏.‏


It was narrated from 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah from his father who said:
"The Messenger of Allah(s.a.w) said: 'The father of the Dajjal and hid mother, will abide for thirty years without bearing a son. Then a boy shall be born to them, having one eye in which there is some defect, providing little use. His eyes sleep but his heart does not sleep.' Then the Messenger of Allah(s.a.w) described his parents for us: 'His father is tall, with little fat, with a nose as if it were a beak. His mother is a bulky woman with long breasts.'" So Abu Bakrah said: "I heard about a child being born to some Jews in Al-Madinah. So Az-Zubair bin Al-'Awwam and I went until we entered upon his parents. They appeared as the Messenger of Allah(s.a.w) had described them. We said: 'Do you have any children?' They said: 'We remained for thirty years without any children being born to us, then we bore a boy, having one eye in which there is some defect, providing little use. His eyes sleep but his heart does not sleep.'" He said: "So we were leaving them, when he appeared, glittering in the sunlight in a velvet garment, murmuring something. He uncovered his head and said: 'What were you saying?' We said: 'Did you hear what we were saying?' He said: 'Yes, that my eyes sleep but my heart does not sleep.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৬/ ফিতনা (كتاب الفتن عن رسول الله ﷺ) 36/ Chapters On Al-Fitan

পরিচ্ছেদঃ ইবন সায়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।

২২৫২. ’আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, সাহাবীগণের এক দলসহ একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবন সাইয়াদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই দলে উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। বানূ মাগালায় উচুমহলের পাশে ইবন সায়্যাদ তখন কিছু বালকের সাথে খেলছিল। সেও ছিল একজন বালক। সে টের পাওয়ার আগেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গিয়ে তার পিঠে হাত-চাপড় দিলেন। পরে বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসূল?

ইবন সায়্যাদ তাঁর দিকে তাকিয়ে বললঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল।

আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেনঃ এরপর ইবন সায়্যাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছি।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ কি আসে তোমার কাছে?

ইবন সায়্যাদ বললঃ আমার কাছে সত্যও আসে মিথ্যাও আসে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বিষয়টি তোমার কাছে মিশ্রিত হয়ে গেছে।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমার জন্য একটি বিষয় ধ্যানে লুকিয়ে রাখলাম বল তো কি? তিনি(‏يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ)‏ আয়াতটি গোপনে পাঠ করেছিলেন।

ইবন সায়্যাদ বললঃ তা হল ’’দুখ’’

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দূর হ, তুই কখনো তোর তাকদীর অতিক্রম করতে পারবি না।

উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যদি সত্যই (দাজ্জাল) হয়ে থাকে তবে তো তার উপর তোমার ক্ষমতা হবে না। আর যদি (দাজ্জাল) না হয়ে থাকে তবে একে হত্যা করা তো তোমার জন্য কল্যাণকর নয়।

রাবী আবদুর রাজ্জাক (রহঃ) বলেন, শব্দটিতে দাজ্জালকে বুঝানো হয়েছে। আদাবুল মুফরাদ, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِابْنِ صَيَّادٍ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ وَهُوَ غُلاَمٌ فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَنَظَرَ إِلَيْهِ ابْنُ صَيَّادٍ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَشْهَدُ أَنْتَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرُسُلِهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا يَأْتِيكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنِّي خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا ‏"‏ ‏.‏ وَخَبَأَ لَهُ ‏:‏ ‏(‏يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ)‏ فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ هُوَ الدُّخُّ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اخْسَأْ فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنْ يَكُ حَقًّا فَلَنْ تُسَلَّطَ عَلَيْهِ وَإِنْ لاَ يَكُنْهُ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ يَعْنِي الدَّجَّالَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن سالم، عن ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم مر بابن صياد في نفر من اصحابه فيهم عمر بن الخطاب وهو يلعب مع الغلمان عند اطم بني مغالة وهو غلام فلم يشعر حتى ضرب رسول الله صلى الله عليه وسلم ظهره بيده ثم قال ‏"‏ اتشهد اني رسول الله ‏"‏ ‏.‏ فنظر اليه ابن صياد فقال اشهد انك رسول الاميين ‏.‏ ثم قال ابن صياد للنبي صلى الله عليه وسلم اتشهد انت اني رسول الله فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ امنت بالله وبرسله ‏"‏ ‏.‏ ثم قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما ياتيك ‏"‏ ‏.‏ قال ابن صياد ياتيني صادق وكاذب ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خلط عليك الامر ‏"‏ ‏.‏ ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اني خبات لك خبيىا ‏"‏ ‏.‏ وخبا له ‏:‏ ‏(‏يوم تاتي السماء بدخان مبين)‏ فقال ابن صياد هو الدخ ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اخسا فلن تعدو قدرك ‏"‏ ‏.‏ قال عمر يا رسول الله اىذن لي فاضرب عنقه ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان يك حقا فلن تسلط عليه وان لا يكنه فلا خير لك في قتله ‏"‏ ‏.‏ قال عبد الرزاق يعني الدجال ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


It was narrated from Ibn 'Umar, that the Messenger of Allah(s.a.w) passed by Ibn Sayyad with a group of his Companions – among them `Umar bin Al-Khattab – while he was playing with two boys at the fort of Banu Maghalah, and he was a boy. He did not realize until the Messenger of Allah(s.a.w) struck him with his hand on his back, then he said:
“Do you testify that I am the Messenger of Allah?” So Ibn Sayyad looked at him, and said: 'I testify that you are the Messenger to the illiterates.'” He said: “Then Ibn Sayyad said to the Prophet(s.a.w): 'Do you testify that I am the Messenger of Allah?' So the Prophet(s.a.w) said: 'I believe in Allah and His Messengers.' Then the Prophet(s.a.w) said: 'Who has come to you?' Ibn Sayyad said: 'A truthful one and a liar came to me.' So the Prophet(s.a.w) said: 'The matter has been confused for you.' Then the Messenger of Allah(s.a.w) said: 'I have concealed something from you.' And he had concealed (the verse): The day when the sky will bring forth a visible smoke. Ibn Sayyad said: 'It is, “Ad-Dukh.'” So the Messenger of Allah(s.a.w) said: 'Beat it! You can never surpass your ability.' `Umar said: 'O Messenger of Allah! Permit me to chop off his head!' The Messenger of Allah(s.a.w) said: 'If he is indeed him, then you will never overpower him, and if he is not, then there is no good in you killing him.'”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৬/ ফিতনা (كتاب الفتن عن رسول الله ﷺ) 36/ Chapters On Al-Fitan
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে