পরিচ্ছেদঃ তিন দিনের পরও কুরবানীর গোশত আহার করার অনুমতি
১৫১৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার, মাহমূদ ইবনু গায়লান, হাসান ইবনু আলী আল-খাললাল (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা তার পিতা বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে তিন দিনের পরও কুরবানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছিলাম যেন স্বচ্ছল ব্যক্তিরা অসামর্থ ব্যক্তিদের উদারভাবে তা দিতে পারে। এখন তোমরা যা ইচ্ছা খাও। অন্যকেও খাওয়াও এবং সঞ্চয়ও করে রাখতে পার। সহীহ, ইরওয়া ৪/৩৬৮-৩৬৯, মুসলিম,তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫১০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ বিষয়ে ইবনু মাসঊদ, আয়িশা নুবায়শা, আবূ সাঈদ, কাতাদা ইবনুন নু’মান, আনাস, উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ফকীহ সাহাবী ও অপরাপর আলিমদের এতদনুসারে আমল রয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي أَكْلِهَا بَعْدَ ثَلاَثٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِي فَوْقَ ثَلاَثٍ لِيَتَّسِعَ ذُو الطَّوْلِ عَلَى مَنْ لاَ طَوْلَ لَهُ فَكُلُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ وَنُبَيْشَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَقَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ وَأَنَسٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ .
Narrated Sulaiman bin Buraidah:
From his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I used to prohibit you from (eating) the meat of Sacrifice beyond three days so that those who have the ability would give to those who do not have it. So (now) eat as you like, feed others, and save from it."
পরিচ্ছেদঃ তিন দিনের পরও কুরবানীর গোশত আহার করার অনুমতি
১৫১৭। কুতায়বা (রহঃ) ... আবিস ইবনু রাবীআ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মূল মু’মিনীন (আয়িশা)-কে বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কুরবানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছেন? তিনি বললেন, না, তবে কম সংখ্যক লোকই কুরবানী করার সামর্থ রাখতেন। তাই তিনি পছন্দ করতেন তারা যেন যারা কুরবানী দিতে পারে নি তাদের খাওয়ায়, (পরবর্তীতে) আমরা তো কুরবানীর পশুর ঠ্যাং রেখে দিতাম এবং দশ দিন পরেও তা খেতাম।
এই বর্ণনাটি দুর্বল, এর মূল বক্তব্য সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, ইরওয়া ৪/৩৭০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫১১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীস হাসান-সহীহ। এখানে উম্মূল মু’মেনীন বলতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী ’আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে বুঝানো হয়েছে। তাঁর থেকে এ হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي أَكْلِهَا بَعْدَ ثَلاَثٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ قُلْتُ لأُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِي قَالَتْ لاَ وَلَكِنْ قَلَّ مَنْ كَانَ يُضَحِّي مِنَ النَّاسِ فَأَحَبَّ أَنْ يُطْعَمَ مَنْ لَمْ يَكُنْ يُضَحِّي وَلَقَدْ كُنَّا نَرْفَعُ الْكُرَاعَ فَنَأْكُلُهُ بَعْدَ عَشَرَةِ أَيَّامٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأُمُّ الْمُؤْمِنِينَ هِيَ عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رُوِيَ عَنْهَا هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ .
Narrated 'Abis bin Rabi'ah:
"I said to the Mother of the Believers: 'Did the Messenger of Allah (ﷺ) prohibit from the meat of the sacrifice?' She said: 'No, but only a few people could slaughter, so he liked that they feed those who did not slaughter. (Later) we would store a leg to eat after ten days."