পরিচ্ছেদঃ ৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি

৬৬৭২। আদম (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আবূ বকরা (রাঃ) তাঁর ছেলেকে লিখে পাঠালেন- সে সময় তিনি সিজিস্থানে অবস্থানরত ছিলেন যে, তুমি রাগের অবস্থায় বিবাদমান দু’ব্যাক্তির মাঝে ফায়সালা করো না। কেননা, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে কোন বিচারক রাগের অবস্থায় দু’জনের মধ্যে বিচার করবে না।

باب هَلْ يَقْضِي الْحَاكِمُ أَوْ يُفْتِي وَهْوَ غَضْبَانُ

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ كَتَبَ أَبُو بَكْرَةَ إِلَى ابْنِهِ وَكَانَ بِسِجِسْتَانَ بِأَنْ لاَ تَقْضِيَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ، فَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَقْضِيَنَّ حَكَمٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهْوَ غَضْبَانُ ‏"‏‏.‏

حدثنا ادم، حدثنا شعبة، حدثنا عبد الملك بن عمير، سمعت عبد الرحمن بن ابي بكرة، قال كتب ابو بكرة الى ابنه وكان بسجستان بان لا تقضي بين اثنين وانت غضبان، فاني سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ لا يقضين حكم بين اثنين وهو غضبان ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdur Rahman bin Abi Bakra:

Abu Bakra wrote to his son who was in Sijistan: 'Do not judge between two persons when you are angry, for I heard the Prophet (ﷺ) saying, "A judge should not judge between two persons while he is in an angry mood."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮২/ আহকাম (كتاب الأحكام) 82/ Judgements (Ahkaam)

পরিচ্ছেদঃ ৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি

৬৬৭৩। মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি অমুক ব্যাক্তির কারণে ফজরের জামাতে উপস্থিত হই না। কেননা, তিনি আমাদেরকে নিয়ে দীর্ঘ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কোন ওয়াযে সে দিনের মত অধিক রাগাম্বিত হতে আর দেখিনি। এরপর উনি বললেনঃ হে লোক সকল! তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বিরক্তির উদ্রেককারী রয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করবে সে যেন সংক্ষিপ্ত করে। কেননা তাদের মধ্যে রয়েছে বয়ষ্ক, দুর্বল ও কর্মব্যস্ত লোকেরা।

باب هَلْ يَقْضِي الْحَاكِمُ أَوْ يُفْتِي وَهْوَ غَضْبَانُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي وَاللَّهِ لأَتَأَخَّرُ عَنْ صَلاَةِ الْغَدَاةِ مِنْ أَجْلِ فُلاَنٍ، مِمَّا يُطِيلُ بِنَا فِيهَا‏.‏ قَالَ فَمَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَطُّ أَشَدَّ غَضَبًا فِي مَوْعِظَةٍ مِنْهُ يَوْمَئِذٍ، ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ، فَأَيُّكُمْ مَا صَلَّى بِالنَّاسِ فَلْيُوجِزْ، فَإِنَّ فِيهِمُ الْكَبِيرَ وَالضَّعِيفَ وَذَا الْحَاجَةِ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن مقاتل، اخبرنا عبد الله، اخبرنا اسماعيل بن ابي خالد، عن قيس بن ابي حازم، عن ابي مسعود الانصاري، قال جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله، اني والله لاتاخر عن صلاة الغداة من اجل فلان، مما يطيل بنا فيها‏.‏ قال فما رايت النبي صلى الله عليه وسلم قط اشد غضبا في موعظة منه يومىذ، ثم قال ‏ "‏ يا ايها الناس، ان منكم منفرين، فايكم ما صلى بالناس فليوجز، فان فيهم الكبير والضعيف وذا الحاجة ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Mas`ud Al-Ansari:

A man came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! By Allah, I fail to attend the morning congregational prayer because so-and-so (i.e., Mu`adh bin Jabal) prolongs the prayer when he leads us for it." I had never seen the Prophet (ﷺ) more furious in giving advice than he was on that day. He then said, "O people! some of you make others dislike (good deeds, i.e. prayers etc). So whoever among you leads the people in prayer, he should shorten it because among them there are the old, the weak and the busy (needy having some jobs to do).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮২/ আহকাম (كتاب الأحكام) 82/ Judgements (Ahkaam)

পরিচ্ছেদঃ ৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি

৬৬৭৪। মুহাম্মাদ ইবনু আবূ ইয়াকুব কিরমানী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে ঋতুবতী অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) এ ঘটনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বর্ণনা করেন। এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগাম্বিত হন। এরপর তিনি বলেনঃ সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং তাকে আটকিয়ে রাখে, যতক্ষন পর্যন্ত সে পবিত্র হয়ে পুনরায় ঋতুবতী না হয় এবং পুনরায় পবিত্র না হয়। এরপরও যদি তার তালাক দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে যেন তখন (পবিত্রাবস্থায়) তালাক দেয়। আবূ আবদুল্লাহ (বুখারী) (রাঃ) বলেন, যুহরী-ই মুহাম্মাদ।

باب هَلْ يَقْضِي الْحَاكِمُ أَوْ يُفْتِي وَهْوَ غَضْبَانُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ الْكِرْمَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ، فَذَكَرَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَتَغَيَّظَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ لِيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ لْيُمْسِكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ، ثُمَّ تَحِيضَ فَتَطْهُرَ، فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَلْيُطَلِّقْهَا ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن ابي يعقوب الكرماني، حدثنا حسان بن ابراهيم، حدثنا يونس، قال محمد اخبرني سالم، ان عبد الله بن عمر، اخبره انه، طلق امراته وهى حاىض، فذكر عمر للنبي صلى الله عليه وسلم، فتغيظ فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال ‏ "‏ ليراجعها، ثم ليمسكها حتى تطهر، ثم تحيض فتطهر، فان بدا له ان يطلقها فليطلقها ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin `Umar:

That he had divorced his wife during her menses. `Umar mentioned that to the Prophet. Allah's Apostle became angry and said, "He must take her back (his wife) and keep her with him till she becomes clean from her menses and then to wait till she gets her next period and becomes clean again from it and only then, if he wants to divorce her, he may do so."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৮২/ আহকাম (كتاب الأحكام) 82/ Judgements (Ahkaam)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে