পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي (হে মুমিনগণ) তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠ উঁচু করোনা (৪৯ঃ২) تشعرون মানে তোমরা জ্ঞাত আছ। الشاعر শব্দটি এ ধাতু থেকেই নির্গত হয়েছে।

সুরা হুজুরাত

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, لَاتُقَدِّمُوْا অর্থ, রসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন বিষয় তোমরা জিজ্ঞেস করবে না যতক্ষণ না, আল্লাহ্ তাঁর যবানে এর ফয়সালা জানিয়ে দেন। امْتَحَنَ মানে পরিশুদ্ধ করেছেন। لَا تَنَابَزُوْا ইসলাম গ্রহণের পর অপরকে যেন কুফরীর প্রতি না ডাকা হয়। يَلِتْكُمْ মানে হ্রাস করা হবে তোমাদের أَلَتْنَا মানে হ্রাস করেছি আমি।


৪৪৮৫। ইয়াসারা ইবনু সাফওয়ান ইবনু জামীল লাখমী (রহঃ) ... ইবনু আবূ মুলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উত্তম দুই জন- আবূ বকর ও উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কন্ঠস্বর উঁচু করে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছিলেন। যখন বনী তামীম গোত্রের একদল লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছিল। তাদের একজন বনী মাজাশে গোত্রের আকরা ইবনু হাবিসকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করল এবং অপরজন অন্য ব্যাক্তির নাম প্রস্তাব করল। নাফি বলেন, এ লোকটির নাম আমার মনে নেই। তখন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, আপনার ইচ্ছাই হল কেবল আমার বিরোধিতা করা। তিনি বললেন, না, আপনার বিরোধিতা করার ইচ্ছা আমার নেই। এ ব্যাপারটি নিয়ে তাঁদের কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গেল। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেন, “হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর নিজেদের কন্ঠস্বর উঁচু করবে না” … শেষ পর্যন্ত।

ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর উমর (রাঃ) এতো আস্তে কথা বলতেন যে, দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনতে পেতেন না। তিনি আবূ বকর (রাঃ) সম্পর্কে এ ধরনের কথা বর্ণনা করেন নি।

باب لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي الآية تشعرون تعلمون ومنه الشاعر

حَدَّثَنَا يَسَرَةُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ جَمِيلٍ اللَّخْمِيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ كَادَ الْخَيِّرَانِ أَنْ يَهْلِكَا ـ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ رَفَعَا أَصْوَاتَهُمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ عَلَيْهِ رَكْبُ بَنِي تَمِيمٍ، فَأَشَارَ أَحَدُهُمَا بِالأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ أَخِي بَنِي مُجَاشِعٍ، وَأَشَارَ الآخَرُ بِرَجُلٍ آخَرَ ـ قَالَ نَافِعٌ لاَ أَحْفَظُ اسْمَهُ ـ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ خِلاَفِي‏.‏ قَالَ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ‏.‏ فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فِي ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ‏)‏ الآيَةَ‏.‏ قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَمَا كَانَ عُمَرُ يُسْمِعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الآيَةِ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ عَنْ أَبِيهِ، يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ‏.‏

حدثنا يسرة بن صفوان بن جميل اللخمي، حدثنا نافع بن عمر، عن ابن ابي مليكة، قال كاد الخيران ان يهلكا ـ ابا بكر وعمر ـ رضى الله عنهما ـ رفعا اصواتهما عند النبي صلى الله عليه وسلم حين قدم عليه ركب بني تميم، فاشار احدهما بالاقرع بن حابس اخي بني مجاشع، واشار الاخر برجل اخر ـ قال نافع لا احفظ اسمه ـ فقال ابو بكر لعمر ما اردت الا خلافي‏.‏ قال ما اردت خلافك‏.‏ فارتفعت اصواتهما في ذلك، فانزل الله ‏(‏يا ايها الذين امنوا لا ترفعوا اصواتكم‏)‏ الاية‏.‏ قال ابن الزبير فما كان عمر يسمع رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد هذه الاية حتى يستفهمه‏.‏ ولم يذكر ذلك عن ابيه، يعني ابا بكر‏.‏


Narrated Ibn Abi Mulaika:

The two righteous persons were about to be ruined. They were Abu Bakr and `Umar who raised their voices in the presence of the Prophet (ﷺ) when a mission from Bani Tamim came to him. One of the two recommended Al-Aqra' bin Habeas, the brother of Bani Mujashi (to be their governor) while the other recommended somebody else. (Nafi`, the sub-narrator said, I do not remember his name). Abu Bakr said to `Umar, "You wanted nothing but to oppose me!" `Umar said, "I did not intend to oppose you." Their voices grew loud in that argument, so Allah revealed: 'O you who believe! Raise not your voices above the voice of the Prophet.' (49.2) Ibn Az-Zubair said, "Since the revelation of this Verse, `Umar used to speak in such a low tone that the Prophet (ﷺ) had to ask him to repeat his statements." But Ibn Az-Zubair did not mention the same about his (maternal) grandfather (i.e. Abu Bakr).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي (হে মুমিনগণ) তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠ উঁচু করোনা (৪৯ঃ২) تشعرون মানে তোমরা জ্ঞাত আছ। الشاعر শব্দটি এ ধাতু থেকেই নির্গত হয়েছে।

৪৪৮৬। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবিত ইবনু কায়স (রাঃ) কে খুঁজে পেলেন না। একজন সাহাবী বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাঁর সংবাদ নিয়ে আসছি। তারপর লোকটি তাঁর কাছে গিয়ে দেখলেন যে, তিনি তাঁর ঘরে অবনত মস্তকে বসে আছেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কি অবস্থা? তিনি বললেন, খারাপ। কারণ এই (অধম) তার কন্ঠস্বর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্ঠস্বরের চেয়ে উঁচু করে কথা বলত। ফলে, তার আমল বরবাদ হয়ে গেছে এবং সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। তারপর লোকটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ফিরে এসে সংবাদ দিলেন যে, তিনি এমন এমন কথা বলছেন। মূসা বলেন, এরপর লোকটি এক মহা সুসংবাদ নিয়ে তাঁর কাছে ফিরে গেলেন (এবং বললেন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন তুমি যাও এবং তাকে বল, তুমি জাহান্নামী নও; বরং তুমি জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত।

باب لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي الآية تشعرون تعلمون ومنه الشاعر

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ أَنْبَأَنِي مُوسَى بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم افْتَقَدَ ثَابِتَ بْنَ قَيْسٍ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا أَعْلَمُ لَكَ عِلْمَهُ‏.‏ فَأَتَاهُ فَوَجَدَهُ جَالِسًا فِي بَيْتِهِ مُنَكِّسًا رَأْسَهُ فَقَالَ لَهُ مَا شَأْنُكَ‏.‏ فَقَالَ شَرٌّ‏.‏ كَانَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ، وَهْوَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ‏.‏ فَأَتَى الرَّجُلُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ قَالَ كَذَا وَكَذَا ـ فَقَالَ مُوسَى ـ فَرَجَعَ إِلَيْهِ الْمَرَّةَ الآخِرَةَ بِبِشَارَةٍ عَظِيمَةٍ فَقَالَ ‏ "‏ اذْهَبْ إِلَيْهِ فَقُلْ لَهُ إِنَّكَ لَسْتَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، وَلَكِنَّكَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا ازهر بن سعد، اخبرنا ابن عون، قال انباني موسى بن انس، عن انس بن مالك ـ رضى الله عنه ـ ان النبي صلى الله عليه وسلم افتقد ثابت بن قيس فقال رجل يا رسول الله انا اعلم لك علمه‏.‏ فاتاه فوجده جالسا في بيته منكسا راسه فقال له ما شانك‏.‏ فقال شر‏.‏ كان يرفع صوته فوق صوت النبي صلى الله عليه وسلم فقد حبط عمله، وهو من اهل النار‏.‏ فاتى الرجل النبي صلى الله عليه وسلم فاخبره انه قال كذا وكذا ـ فقال موسى ـ فرجع اليه المرة الاخرة ببشارة عظيمة فقال ‏ "‏ اذهب اليه فقل له انك لست من اهل النار، ولكنك من اهل الجنة ‏"‏‏.‏


Narrated Anas bin Malik:

The Prophet (ﷺ) missed Thabit bin Qais for a period (So he inquired about him). A man said. "O Allah's Apostle! I will bring you his news." So he went to Thabit and found him sitting in his house and bowing his head. The man said to Thabit, " 'What is the matter with you?" Thabit replied that it was an evil affair, for he used to raise his voice above the voice of the Prophet (ﷺ) and so all his good deeds had been annulled, and he considered himself as one of the people of the Fire. Then the man returned to the Prophet (ﷺ) and told him that Thabit had said, so-and-so. (Musa bin Anas) said: The man returned to Thabit with great glad tidings. The Prophet (ﷺ) said to the man. "Go back to him and say to him: "You are not from the people of the Hell Fire, but from the people of Paradise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে