পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

লায়স [ইবনু সা‘দ (রহ.)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনু শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাবা ইবনু সু‘আইর (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন করেছিলেন।

৩৯৭০। ইব্‌রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি সুনাইন আবূ জামিলা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমরা (সাঈদ) ইবনু মূসায়্যিব (রহঃ) এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় আবূ জামিলা (রাঃ) দাবি করেন যে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ পেয়েছেন এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মক্কা বিজয়ের বছর (যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য) বের হয়েছিলেন।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سُنَيْنٍ أَبِي جَمِيلَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا وَنَحْنُ، مَعَ ابْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ وَزَعَمَ أَبُو جَمِيلَةَ أَنَّهُ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، وَخَرَجَ مَعَهُ عَامَ الْفَتْحِ‏.‏

حدثني ابراهيم بن موسى، اخبرنا هشام، عن معمر، عن الزهري، عن سنين ابي جميلة، قال اخبرنا ونحن، مع ابن المسيب قال وزعم ابو جميلة انه ادرك النبي صلى الله عليه وسلم، وخرج معه عام الفتح‏.‏


Narrated Az-Zuhri:

While we were in the company of the Ibn Al-Musaiyab, Sunain Abi Jamila informed us (a Hadith), Abu Jamila said that he lived during the lifetime of the Prophet (ﷺ) and that he had accompanied him ( to Mecca) during the year of the Conquest (of Mecca).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭১। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আমর ইবনু সালিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আইয়ুব (রহঃ) বলেছেন, আবূ কিলাবা আমাকে বললেন, তুমি আমর ইবনু সালিমার সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাস কর না কেন? আবূ কিলাবা (রহঃ) বলেন, এরপর আমি আমর ইবনু সালিমার সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, আমরা (আমাদের গোত্র) পথিকদের যাতায়াত পথের পাশে একটি ঝর্নার নিকট বাস করতাম, (মক্কার) লোকজনের কি অবস্থা?

মক্কার লোকজনের কি অবস্থা? আর ঐ লোকটিরই কি অবস্থা? তারা বলত, সে ব্যাক্তি তো দাবি করেন যে, আল্লাহ্ তাঁকে রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁর প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেছেন। (কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করে বললেন) তাঁর কাছে আল্লাহ্ এ রকম ওহী নাযিল করেছেন। (আমর ইবনু সালিমা বলেন) তখন (পথিকদের মুখ থেকে শুনে) আমি সে বাণীগুলো মুখস্থ করে ফেলতাম যেন তা আজ আমার হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে।

সমগ্র আরববাসী ইসলাম গ্রহণের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিজয়ের অপেক্ষা করছিল। তারা বলত, তাঁকে তাঁর স্বগোত্রীয় লোকদের সঙ্গে (প্রথমে) বোঝাপড়া করতে দাও। কেননা তিনি যদি তাদের উপর বিজয় লাভ করেন তাহলে তিনি সত্য সত্যই নবী। এরপর মক্কা বিজয়ের ঘটনা সংঘটিত হল। এবার সব গোত্রই তাড়াহুড়া করে ইসলামে দীক্ষিত হতে শুরু করল। আমাদের কাওমের ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে আমার পিতা বেশ তাড়াহুড়া করলেন। যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করে বাড়ি ফিরলেন তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি সত্য নবীর নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছি। তিনি বলে দিয়েছেন যে, অমুক সময়ে তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে কুরআন মেশি মুখস্থ করেছে সে সালাতের ইমামতি করবে।

(এরপর সালাত আদায় করার সময় হল) সবাই এ রকম একজন লোককে খুঁজতে লাগল। কিন্তু আমার চেয়ে অধিক কুরআন মুখস্থকারী অন্য কাউকে পাওয়া গেল না। কেননা আমি কাফেলার লোকদের থেকে শুনে (কুরআন) মুখস্থ করতাম। কাজেই সকলে আমাকেই (সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের জন্য) তাদের সামনে এগিয়ে দিল। অথচ তখনো আমি ছয় কিংবা সাত বছরের বালক। আমার একটি চাঁদর ছিল, যখন আমি সিজ্‌দায় যেতাম তখন চাঁদরটি আমার গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে উপরের দিকে উঠে যেত। (ফলে পেছনের অংশ অনাবৃত হয়ে পড়ত) তখন গোত্রের জনৈক মহিলা বলল, তোমরা তোমাদের ইমামের পেছনের অংশ আবৃত করে দাও না কেন? তাই সবাই মিলে কাপড় খরিদ করে আমাকে একটি জামা তৈরি করে দিল। এ জামা পেয়ে আমি এত আনন্দিত হয়েছিলাম যে, কখনো অন্য কিছুতে এ আনন্দিত হইনি।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو قِلاَبَةَ أَلاَ تَلْقَاهُ فَتَسْأَلَهُ، قَالَ فَلَقِيتُهُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كُنَّا بِمَاءٍ مَمَرَّ النَّاسِ، وَكَانَ يَمُرُّ بِنَا الرُّكْبَانُ فَنَسْأَلُهُمْ مَا لِلنَّاسِ مَا لِلنَّاسِ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُونَ يَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ أَوْحَى إِلَيْهِ، أَوْ أَوْحَى اللَّهُ بِكَذَا‏.‏ فَكُنْتُ أَحْفَظُ ذَلِكَ الْكَلاَمَ، وَكَأَنَّمَا يُغْرَى فِي صَدْرِي، وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَلَوَّمُ بِإِسْلاَمِهِمِ الْفَتْحَ، فَيَقُولُونَ اتْرُكُوهُ وَقَوْمَهُ، فَإِنَّهُ إِنْ ظَهَرَ عَلَيْهِمْ فَهْوَ نَبِيٌّ صَادِقٌ‏.‏ فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلاَمِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلاَمِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَقًّا فَقَالَ ‏ "‏ صَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، وَصَلُّوا كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ، فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا ‏"‏‏.‏ فَنَظَرُوا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرَ قُرْآنًا مِنِّي، لِمَا كُنْتُ أَتَلَقَّى مِنَ الرُّكْبَانِ، فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ، سِنِينَ وَكَانَتْ عَلَىَّ بُرْدَةٌ، كُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَقَلَّصَتْ عَنِّي، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْحَىِّ أَلاَ تُغَطُّوا عَنَّا اسْتَ قَارِئِكُمْ‏.‏ فَاشْتَرَوْا فَقَطَعُوا لِي قَمِيصًا، فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ فَرَحِي بِذَلِكَ الْقَمِيصِ‏.‏

حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، عن ايوب، عن ابي قلابة، عن عمرو بن سلمة، قال قال لي ابو قلابة الا تلقاه فتساله، قال فلقيته فسالته فقال كنا بماء ممر الناس، وكان يمر بنا الركبان فنسالهم ما للناس ما للناس ما هذا الرجل فيقولون يزعم ان الله ارسله اوحى اليه، او اوحى الله بكذا‏.‏ فكنت احفظ ذلك الكلام، وكانما يغرى في صدري، وكانت العرب تلوم باسلامهم الفتح، فيقولون اتركوه وقومه، فانه ان ظهر عليهم فهو نبي صادق‏.‏ فلما كانت وقعة اهل الفتح بادر كل قوم باسلامهم، وبدر ابي قومي باسلامهم، فلما قدم قال جىتكم والله من عند النبي صلى الله عليه وسلم حقا فقال ‏ "‏ صلوا صلاة كذا في حين كذا، وصلوا كذا في حين كذا، فاذا حضرت الصلاة، فليوذن احدكم، وليومكم اكثركم قرانا ‏"‏‏.‏ فنظروا فلم يكن احد اكثر قرانا مني، لما كنت اتلقى من الركبان، فقدموني بين ايديهم، وانا ابن ست او سبع، سنين وكانت على بردة، كنت اذا سجدت تقلصت عني، فقالت امراة من الحى الا تغطوا عنا است قارىكم‏.‏ فاشتروا فقطعوا لي قميصا، فما فرحت بشىء فرحي بذلك القميص‏.‏


Narrated `Amr bin Salama:

We were at a place which was a thoroughfare for the people, and the caravans used to pass by us and we would ask them, "What is wrong with the people? What is wrong with the people? Who is that man?. They would say, "That man claims that Allah has sent him (as an Apostle), that he has been divinely inspired, that Allah has revealed to him such-and-such." I used to memorize that (Divine) Talk, and feel as if it was inculcated in my chest (i.e. mind) And the 'Arabs (other than Quraish) delayed their conversion to Islam till the Conquest (of Mecca). They used to say." "Leave him (i.e. Muhammad) and his people Quraish: if he overpowers them then he is a true Prophet. So, when Mecca was conquered, then every tribe rushed to embrace Islam, and my father hurried to embrace Islam before (the other members of) my tribe. When my father returned (from the Prophet) to his tribe, he said, "By Allah, I have come to you from the Prophet (ﷺ) for sure!" The Prophet (ﷺ) afterwards said to them, 'Offer such-and-such prayer at such-and-such time, and when the time for the prayer becomes due, then one of you should pronounce the Adhan (for the prayer), and let the one amongst you who knows Qur'an most should, lead the prayer." So they looked for such a person and found none who knew more Qur'an than I because of the Qur'anic material which I used to learn from the caravans. They therefore made me their Imam ((to lead the prayer) and at that time I was a boy of six or seven years, wearing a Burda (i.e. a black square garment) proved to be very short for me (and my body became partly naked). A lady from the tribe said, "Won't you cover the anus of your reciter for us?" So they bought (a piece of cloth) and made a shirt for me. I had never been so happy with anything before as I was with that shirt.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭২। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। অন্য সনদে লায়েস (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উতবা ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) তার ভাই সা’দ [ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)] কে ওয়াসিয়াত করে গিয়েছিল যে, সে যেন যামআর বাঁদীর সন্তানটি তাঁর নিজের কাছে নিয়ে নেয়। উতবা বলেছিল, পুত্রটি আমার ঔরসজাত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা বিজয়কালে সেখানে আগমন করলেন (সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাসও তাঁর সাথে মক্কায় আসেন। সুযোগ পেয়ে) তখন তিনি যামআর বাঁদীর সন্তানটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত করলেন। তাঁর সাথে আবদ ইবনু যামআ (যামআর পুত্র)ও আসলেন।

সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস দাবি উত্থাপন করে বললেন, সন্তানটি তো আমার ভাতিজা। আমার ভাই আমাকে বলে গিয়েছেন যে, এ সন্তান তার ঔরসজাত কিন্তু আবদ ইবনু যামআ তার দাবি পেশ করে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ আমার ভাই, এ যাম্‌আর সন্তান, তাঁর বিছানায় এর জম্ম হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন যামআর ক্রীতদাসীর সন্তানের প্রতি নযর দিয়ে দেখলেন যে, সন্তানটি দৈহিক আকৃতিগত দিক থেকে উতবা ইবনু আবূ ওয়াক্কাসের সাথেই বেশি সা’দৃশ্যপূর্ণ।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবদ ইবনু যামআ! সন্তানটি তুমি নিয়ে যাও। সে তোমার ভাই। কেননা সে তার (তোমার পিতা যামআর) বিছানায় জম্মগ্রহণ করেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সন্তানটির দৈহিক আকৃতি উতবা ইবনু আবী ওয়াক্কাসের আকৃতির সাদৃশ্য দেখার কারণে (তাঁর স্ত্রী) সাওদা বিনতে যামআ (রাঃ)-কে বললেন, হে সওদা! তুমি তার (বিতর্কিত সন্তানটির) থেকে পর্দা করবে। ইবনু শিহাব যুহরী (রহঃ) বলেন, আয়িশা (রাঃ) বলেছেন যে এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সন্তানের (আইনগত) পিতৃত্ব স্বামীর। আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। ইবনু শিহাব যুহরী (রহঃ) বলেছেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর নিয়ম ছিল যে তিনি এ কথাটি উচ্চস্বরে বলতেন।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدٍ أَنْ يَقْبِضَ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، وَقَالَ عُتْبَةُ إِنَّهُ ابْنِي‏.‏ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ فِي الْفَتْحِ أَخَذَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَأَقْبَلَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَأَقْبَلَ مَعَهُ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ هَذَا ابْنُ أَخِي، عَهِدَ إِلَىَّ أَنَّهُ ابْنُهُ‏.‏ قَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَخِي، هَذَا ابْنُ زَمْعَةَ، وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ‏.‏ فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى ابْنِ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَإِذَا أَشْبَهُ النَّاسِ بِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هُوَ لَكَ، هُوَ أَخُوكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ ‏"‏‏.‏ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احْتَجِبِي مِنْهُ يَا سَوْدَةُ ‏"‏‏.‏ لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَصِيحُ بِذَلِكَ‏.‏

حدثني عبد الله بن مسلمة، عن مالك، عن ابن شهاب، عن عروة بن الزبير، عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ وقال الليث حدثني يونس عن ابن شهاب اخبرني عروة بن الزبير ان عاىشة قالت كان عتبة بن ابي وقاص عهد الى اخيه سعد ان يقبض ابن وليدة زمعة، وقال عتبة انه ابني‏.‏ فلما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم مكة في الفتح اخذ سعد بن ابي وقاص ابن وليدة زمعة، فاقبل به الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، واقبل معه عبد بن زمعة، فقال سعد بن ابي وقاص هذا ابن اخي، عهد الى انه ابنه‏.‏ قال عبد بن زمعة يا رسول الله، هذا اخي، هذا ابن زمعة، ولد على فراشه‏.‏ فنظر رسول الله صلى الله عليه وسلم الى ابن وليدة زمعة، فاذا اشبه الناس بعتبة بن ابي وقاص، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هو لك، هو اخوك يا عبد بن زمعة ‏"‏‏.‏ من اجل انه ولد على فراشه، وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احتجبي منه يا سودة ‏"‏‏.‏ لما راى من شبه عتبة بن ابي وقاص‏.‏ قال ابن شهاب قالت عاىشة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الولد للفراش وللعاهر الحجر ‏"‏‏.‏ وقال ابن شهاب وكان ابو هريرة يصيح بذلك‏.‏


Narrated `Aisha:

`Utba bin Abi Waqqas authorized his brother Sa`d to take the son of the slave-girl of Zam`a into his custody. `Utba said (to him). "He is my son." When Allah's Messenger (ﷺ) arrived in Mecca during the Conquest (of Mecca), Sa`d bin Abi Waqqas took the son of the slave-girl of Zam`a and took him to the Prophet (ﷺ) `Abd bin Zam`a too came along with him. Sa`d said. "This is the son of my brother and the latter has informed me that he is his son." `Abd bin Zam`a said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This is my brother who is the son of the slave-girl of Zam`a and was born on his (i.e. Zam'as) bed.' Allah's Apostle looked at the son of the slave-girl of Zam`a and noticed that he, of all the people had the greatest resemblance to `Utba bin Abi Waqqas. Allah's Messenger (ﷺ) then said (to `Abd), " He is yours; he is your brother, O `Abd bin Zam`a, he was born on the bed (of your father)." (At the same time) Allah's Messenger (ﷺ) said (to his wife Sauda), "Veil yourself before him (i.e. the son of the slave-girl) O Sauda," because of the resemblance he noticed between him and `Utba bin Abi Waqqas. Allah's Apostle added, "The boy is for the bed (i.e. for the owner of the bed where he was born), and stone is for the adulterer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭৩। মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... উরওয়া ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় (মক্কা) বিজয় অভিযানের সময়ে জনৈকা মহিলা চুরি করেছিল। তাই তার গোত্রের লোকজন আতংকিত হয়ে গেল এবং উসামা ইবনু যায়িদ (রাঃ) এর কাছে এসে (উক্ত মহিলার ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করল। উরওয়া (রাঃ) বলেন, উসামা (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যখনি কথা বললেন, তখন তাঁর চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে গেল। তিনি উসামা (রাঃ) কে বললেন, তুমি কি আল্লাহর নির্ধারিত একটি হুকুম (হাদ) প্রয়োগ করার ব্যাপারে আমার কাছে সুপারিশ করছ?

উসামা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। এরপর সন্ধ্যা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। যথাযথভাবে আল্লাহর হাম্‌দ ও প্রশংসা পাঠ করে বললেন, “আম্মা বাদ” তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতরা এ কারণে ধ্বংস হয়েছিল যে, তারা তাদের মধ্যকার অভিজাত শ্রেণীর কোন লোক চুরি করলে তার উপর শরীয়ত নির্ধারিত দন্ড প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকত। পক্ষান্তরে কোন দুর্বল লোক চুরি করলে তার উপর দন্ড প্রয়োগ করত।

যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ তাঁর শপথ, যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত তা হলে আমি তার হাত কেটে দিতাম। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই মহিলাটির হাত কেটে দিতে আদেশ দিলেন। ফলে তার হাত কেটে দেওয়া হল। অবশ্য পরবর্তীকালে সে উত্তম তওবার অধিকারিণী হয়েছিল এবং (বানু সুলায়েম গোত্রের এক ব্যাক্তির সঙ্গে) তার বিয়ে হয়েছিল। আয়িশা (রাঃ) বলেন, এ ঘটনার পর সে আমার কাছে প্রায়ই আসত। আমি তার বিভিন্ন প্রয়োজন ও সমস্যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে পেশ করতাম।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَرَقَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ الْفَتْحِ، فَفَزِعَ قَوْمُهَا إِلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ يَسْتَشْفِعُونَهُ، قَالَ عُرْوَةُ فَلَمَّا كَلَّمَهُ أُسَامَةُ فِيهَا تَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَتُكَلِّمُنِي فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ أُسَامَةُ اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ فَلَمَّا كَانَ الْعَشِيُّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّمَا أَهْلَكَ النَّاسَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمِ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ، وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا ‏"‏‏.‏ ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ، فَقُطِعَتْ يَدُهَا، فَحَسُنَتْ تَوْبَتُهَا بَعْدَ ذَلِكَ وَتَزَوَّجَتْ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تَأْتِي بَعْدَ ذَلِكَ فَأَرْفَعُ حَاجَتَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

حدثنا محمد بن مقاتل، اخبرنا عبد الله، اخبرني يونس، عن الزهري، قال اخبرني عروة بن الزبير، ان امراة، سرقت في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزوة الفتح، ففزع قومها الى اسامة بن زيد يستشفعونه، قال عروة فلما كلمه اسامة فيها تلون وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ اتكلمني في حد من حدود الله ‏"‏‏.‏ قال اسامة استغفر لي يا رسول الله‏.‏ فلما كان العشي قام رسول الله صلى الله عليه وسلم خطيبا، فاثنى على الله بما هو اهله ثم قال ‏"‏ اما بعد، فانما اهلك الناس قبلكم انهم كانوا اذا سرق فيهم الشريف تركوه، واذا سرق فيهم الضعيف اقاموا عليه الحد، والذي نفس محمد بيده، لو ان فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها ‏"‏‏.‏ ثم امر رسول الله صلى الله عليه وسلم بتلك المراة، فقطعت يدها، فحسنت توبتها بعد ذلك وتزوجت‏.‏ قالت عاىشة فكانت تاتي بعد ذلك فارفع حاجتها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated `Urwa bin Az-Zubair:

A lady committed theft during the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) in the Ghazwa of Al-Fath, ((i.e. Conquest of Mecca). Her folk went to Usama bin Zaid to intercede for her (with the Prophet). When Usama interceded for her with Allah's Messenger (ﷺ), the color of the face of Allah's Messenger (ﷺ) changed and he said, "Do you intercede with me in a matter involving one of the legal punishments prescribed by Allah?" Usama said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Ask Allah's Forgiveness for me." So in the afternoon, Allah's Apostle got up and addressed the people. He praised Allah as He deserved and then said, "Amma ba'du ! The nations prior to you were destroyed because if a noble amongst them stole, they used to excuse him, and if a poor person amongst them stole, they would apply (Allah's) Legal Punishment to him. By Him in Whose Hand Muhammad's soul is, if Fatima, the daughter of Muhammad stole, I would cut her hand." Then Allah's Messenger (ﷺ) gave his order in the case of that woman and her hand was cut off. Afterwards her repentance proved sincere and she got married. `Aisha said, "That lady used to visit me and I used to convey her demands to Allah's Messenger (ﷺ)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭৪। আমর ইবনু খালিদ (রহঃ) ... মুজাশি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের পর আমি আমার ভাই (মুজালিদ) কে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার ভাইকে আপনার কাছে নিয়ে এসেছি যেন আপনি তার কাছ থেকে হিজরত করার ব্যাপারে বায়াআত গ্রহণ করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হিজরতকারিগণ (মক্কা বিজয়ের পূর্বে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতকারিগণ) হিজরতের সমুদয় মর্যাদা ও বরকত পেয়ে গেছেন। (এখন আর হিজরতের অবকাশ নেই) আমি বললাম, তা হলে কোন্ বিষয়ের উপর আপনি তার কাছ থেকে বায়আত গ্রহণ করবেন? তিনি বললেন, আমি তাঁর কাছ থেকে বায়আত গ্রহণ করবো ইসলাম, ঈমান ও জিহাদের উপর। [বর্ণনাকারী আবূ উসমান (রাঃ) বলেছেন] পরে আমি আবূ মাবাদ (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। তিনি ছিলেন তাঁদের দু’ভাইয়ের মধ্যে বড়। আমি তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, মুজাশি’ (রাঃ) ঠিকই বর্ণনা করেছেন।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُجَاشِعٌ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِأَخِي بَعْدَ الْفَتْحِ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، جِئْتُكَ بِأَخِي لِتُبَايِعَهُ عَلَى الْهِجْرَةِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَهَبَ أَهْلُ الْهِجْرَةِ بِمَا فِيهَا ‏"‏‏.‏ فَقُلْتُ عَلَى أَىِّ شَىْءٍ تُبَايِعُهُ قَالَ ‏"‏ أُبَايِعُهُ عَلَى الإِسْلاَمِ وَالإِيمَانِ وَالْجِهَادِ‏" فَلَقِيتُ أَبَا مَعْبَدٍ بَعْدُ وَكَانَ أَكْبَرَهُمَا فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ صَدَقَ مُجَاشِعٌ‏.

حدثنا عمرو بن خالد، حدثنا زهير، حدثنا عاصم، عن ابي عثمان، قال حدثني مجاشع، قال اتيت النبي صلى الله عليه وسلم باخي بعد الفتح قلت يا رسول الله، جىتك باخي لتبايعه على الهجرة‏.‏ قال ‏"‏ ذهب اهل الهجرة بما فيها ‏"‏‏.‏ فقلت على اى شىء تبايعه قال ‏"‏ ابايعه على الاسلام والايمان والجهاد‏" فلقيت ابا معبد بعد وكان اكبرهما فسالته فقال صدق مجاشع‏.


Narrated Majashi:

I took my brother to the Prophet (ﷺ) after the Conquest (of Mecca) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have come to you with my brother so that you may take a pledge of allegiance from him for migration." The Prophet (ﷺ) said, The people of migration (i.e. those who migrated to Medina before the Conquest) enjoyed the privileges of migration (i.e. there is no need for migration anymore)." I said to the Prophet, "For what will you take his pledge of allegiance?" The Prophet (ﷺ) said, "I will take his pledge of allegiance for Islam, Belief, and for Jihad (i.e. fighting in Allah's Cause).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুজাশি‘ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭৫। মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকর (রহঃ) ... মুজাশি’ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ মা’বাদ (রাঃ) (মুজালিদ) কে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম, যেন তিনি তাঁর কাছ থেকে হিজরতের জন্য বায়আত গ্রহণ করেন। তখন তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, হিজরতের মর্যাদা (মক্কা বিজয়ের পূর্বেকার) হিজরতকারীদের দ্বারা সমাপ্ত হয়ে গেছে। আমি তার কাছ থেকে ইসলাম ও জিহাদের জন্য বায়আত গ্রহণ করব। [বর্ণনাকারী আবূ উসমান নাহদী (রহঃ) বলেন] এরপরে আমি আবূ মা’বাদ (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, মুজাশি’ (রাঃ) সত্যই বলেছেন। অন্য সনদে খালিদ (রহঃ) আবূ উসমান (রহঃ)-এর মাধ্যমে মুজাশি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তার ভাই মুজালিদ (রাঃ)-কে নিয়ে এসেছিলেন।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ مُجَاشِعِ بْنِ مَسْعُودٍ، انْطَلَقْتُ بِأَبِي مَعْبَدٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِيُبَايِعَهُ عَلَى الْهِجْرَةِ، قَالَ ‏ "‏ مَضَتِ الْهِجْرَةُ لأَهْلِهَا، أُبَايِعُهُ عَلَى الإِسْلاَمِ وَالْجِهَادِ." فَلَقِيتُ أَبَا مَعْبَدٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ صَدَقَ مُجَاشِعٌ‏.‏ وَقَالَ خَالِدٌ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ مُجَاشِعٍ أَنَّهُ جَاءَ بِأَخِيهِ مُجَالِدٍ‏.‏

حدثنا محمد بن ابي بكر، حدثنا الفضيل بن سليمان، حدثنا عاصم، عن ابي عثمان النهدي، عن مجاشع بن مسعود، انطلقت بابي معبد الى النبي صلى الله عليه وسلم ليبايعه على الهجرة، قال ‏ "‏ مضت الهجرة لاهلها، ابايعه على الاسلام والجهاد." فلقيت ابا معبد فسالته فقال صدق مجاشع‏.‏ وقال خالد عن ابي عثمان عن مجاشع انه جاء باخيه مجالد‏.‏


Narrated Mujashi bin Masud:

I took Abu Mabad to the Prophet (ﷺ) in order that he might give him the pledge of allegiance for migration. The Prophet (ﷺ) said, "Migration has gone to its people, but I take the pledge from him (i.e. Abu Mabad) for Islam and Jihad."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুজাশি‘ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্‌শার (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে বললাম, আমি সিরিয়া দেশে হিজরত করার ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, এখন হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই, বরং প্রয়োজন আছে জিহাদের। সুতরাং যাও, নিজ অন্তরের সাথে বোঝাপড়া করে দেখ, যদি জিহাদের সাহস খুঁজে পাও (তবে ভাল, গিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ কর)। অন্যথায় হিজরতের ইচ্ছা থেকে ফিরে আস।

অন্য সনদে নাযর [ইবনু শুমাইল (রহঃ)] মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেছেন) আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে (এ কথা) বললে তিনি উত্তর করলেন, বর্তমানে হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই, অথবা তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পর হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই। এরপর তিনি উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُهَاجِرَ إِلَى الشَّأْمِ‏.‏ قَالَ لاَ هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ، فَانْطَلِقْ فَاعْرِضْ نَفْسَكَ، فَإِنْ وَجَدْتَ شَيْئًا وَإِلاَّ رَجَعْتَ‏.‏
وَقَالَ النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ فَقَالَ لاَ هِجْرَةَ الْيَوْمَ، أَوْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ‏.‏

حدثني محمد بن بشار، حدثنا غندر، حدثنا شعبة، عن ابي بشر، عن مجاهد، قلت لابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ اني اريد ان اهاجر الى الشام‏.‏ قال لا هجرة ولكن جهاد، فانطلق فاعرض نفسك، فان وجدت شيىا والا رجعت‏.‏ وقال النضر اخبرنا شعبة، اخبرنا ابو بشر، سمعت مجاهدا، قلت لابن عمر فقال لا هجرة اليوم، او بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم مثله‏.‏


Narrated Mujahid:

I said to Ibn `Umar, "I want to migrate to Sham." He said, "There is no migration, but Jihad (for Allah's Cause). Go and offer yourself for Jihad, and if you find an opportunity for Jihad (stay there) otherwise, come back."

(In an other narration) Ibn `Umar said:
"There is no migration today or after Allah's Messenger (ﷺ)." (and completed his statement as above.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুজাহিদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭৭। ইসহাক ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) ... মুজাহিদ ইবনু জাব্‌র আল-মাক্কী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলতেনঃ মক্কা বিজয়ের পর হিজরতের কোন প্রয়োজন অবশিষ্ট নেই।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ مُجَاهِدِ بْنِ جَبْرٍ الْمَكِّيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ كَانَ يَقُولُ لاَ هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ‏.‏

حدثني اسحاق بن يزيد، حدثنا يحيى بن حمزة، قال حدثني ابو عمرو الاوزاعي، عن عبدة بن ابي لبابة، عن مجاهد بن جبر المكي، ان عبد الله بن عمر ـ رضى الله عنهما ـ كان يقول لا هجرة بعد الفتح‏.‏


Narrated Mujahid bin Jabr:

`Abdullah bin `Umar used to say, "There is no migration after the Conquest (of Mecca).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭৮। ইসহাক ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) ... ’আতা ইবনু আবূ রাবাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবায়দ ইবনু উমায়র (রহঃ) সহ আয়িশা (রাঃ) এর সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। সে সময় উবায়দ (রহঃ) তাঁকে হিজরত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, বর্তমানে হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই। পূর্বে মু’মিন ব্যাক্তির এ অবস্থা ছিল যে, সে তার দ্বীনকে ফিত্‌নার হাত থেকে হিফাজত করতে হলে তাকে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের দিকে (মদিনার দিকে) পালিয়ে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে (মক্কা বিজয়ের পর) আল্লাহ্ ইসলামকে বিজয় দান করেছেন। তাই এখন ম’মিন যেখানে যেভাবে চায় আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। তবে বর্তমানে জিহাদ এবং হিজরতের সওয়াবের নিয়্যাত রাখা যেতে পারে।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ زُرْتُ عَائِشَةَ مَعَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ فَسَأَلَهَا عَنِ الْهِجْرَةِ، فَقَالَتْ لاَ هِجْرَةَ الْيَوْمَ، كَانَ الْمُؤْمِنُ يَفِرُّ أَحَدُهُمْ بِدِينِهِ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مَخَافَةَ أَنْ يُفْتَنَ عَلَيْهِ، فَأَمَّا الْيَوْمَ فَقَدْ أَظْهَرَ اللَّهُ الإِسْلاَمَ، فَالْمُؤْمِنُ يَعْبُدُ رَبَّهُ حَيْثُ شَاءَ، وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ‏.‏

حدثنا اسحاق بن يزيد، حدثنا يحيى بن حمزة، قال حدثني الاوزاعي، عن عطاء بن ابي رباح، قال زرت عاىشة مع عبيد بن عمير فسالها عن الهجرة، فقالت لا هجرة اليوم، كان المومن يفر احدهم بدينه الى الله والى رسوله صلى الله عليه وسلم مخافة ان يفتن عليه، فاما اليوم فقد اظهر الله الاسلام، فالمومن يعبد ربه حيث شاء، ولكن جهاد ونية‏.‏


Narrated `Ata' bin Abi Rabah:

`Ubaid bin `Umar and I visited `Aisha, and he asked her about the migration. She said, "There is no migration today. A believer used to flee with his religion to Allah and His Prophet for fear that he might be put to trial as regards his religion. Today Allah has rendered Islam victorious; therefore a believing one can worship one's Lord wherever one wishes. But there is Jihad (for Allah's Cause) and intentions." (See Hadith 42, in the 4th Vol. for its Explanation)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন

৩৯৭৯। ইসহাক (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুত্‌বার জন্য দাঁড়িয়ে বললেন, যেদিন আল্লাহ্ সমুদয় আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সেই দিন থেকেই তিনি মক্কা নগরীকে সম্মান দান করেছেন। তাই আল্লাহ্ কর্তৃক এ সম্মান প্রদানের কারণে এটি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সম্মানিত থাকবে। আমার পূর্বেকার কারো জন্য তা (কখনো) হালাল করা হয়নি, আমার পরবর্তী কারো জন্যও তা হালাল করা হবে না। আর আমার জন্যও মাত্র একদিনের সামান্য অংশের জন্যই তা হালাল করা হয়েছিল। এখানে অবস্থিত শিকারকে তাড়ানো যাবে না, কাঁটাযুক্ত বৃক্ষের কাঁটাতেও কাস্তে ব্যবহারে করা যাবে না। ঘাস কাটা যাবে না। রাস্তায় পড়ে থাকা কোন জিনিসকে মালিকের হাতে পৌঁছেয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হারানো প্রাপ্তি সংবাদ প্রচারকারী ব্যতীত অন্য কেউ তুলতে পাবে না।

এ ঘোষণা শুনে আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয্‌খির ঘাস ব্যতীত। কেননা ইয্‌খির ঘাস আমাদের কর্মকার ও বাড়ির (ঘরের ছাউনির) কাজে প্রয়োজন হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন। এর কিছুক্ষণ পরে বললেন, ইয্‌খির ব্যতীত। ইয্‌খির ঘাস কাটা জায়েয। অন্য সনদে ইবনু জুবায়ের (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে। তাছাড়া এ হাদীস আবূ হুরায়রা (রাঃ) ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي حَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَامَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَهْىَ حَرَامٌ بِحَرَامِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، لَمْ تَحِلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي، وَلاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ بَعْدِي، وَلَمْ تَحْلِلْ لِي إِلاَّ سَاعَةً مِنَ الدَّهْرِ، لاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلاَ يُعْضَدُ شَوْكُهَا، وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا وَلاَ تَحِلُّ لُقَطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلاَّ الإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّهُ لاَ بُدَّ مِنْهُ لِلْقَيْنِ وَالْبُيُوتِ، فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّهُ حَلاَلٌ ‏"‏‏.‏ وَعَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْكَرِيمِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِمِثْلِ هَذَا أَوْ نَحْوِ هَذَا‏.‏ رَوَاهُ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

حدثنا اسحاق، حدثنا ابو عاصم، عن ابن جريج، قال اخبرني حسن بن مسلم، عن مجاهد، ان رسول الله قام يوم الفتح فقال ‏"‏ ان الله حرم مكة يوم خلق السموات والارض، فهى حرام بحرام الله الى يوم القيامة، لم تحل لاحد قبلي، ولا تحل لاحد بعدي، ولم تحلل لي الا ساعة من الدهر، لا ينفر صيدها، ولا يعضد شوكها، ولا يختلى خلاها ولا تحل لقطتها الا لمنشد ‏"‏‏.‏ فقال العباس بن عبد المطلب الا الاذخر يا رسول الله، فانه لا بد منه للقين والبيوت، فسكت ثم قال ‏"‏ الا الاذخر فانه حلال ‏"‏‏.‏ وعن ابن جريج اخبرني عبد الكريم عن عكرمة عن ابن عباس بمثل هذا او نحو هذا‏.‏ رواه ابو هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Mujahid:

Allah's Messenger (ﷺ) got up on the day of the Conquest of Mecca and said, "Allah has made Mecca a sanctuary since the day He created the Heavens and the Earth, and it will remain a sanctuary by virtue of the sanctity Allah has bestowed on it till the Day of Resurrection. It (i.e. fighting in it) was not made lawful to anyone before me!, nor will it be made lawful to anyone after me, and it was not made lawful for me except for a short period of time. Its game should not be chased, nor should its trees be cut, nor its vegetation or grass uprooted, not its Luqata (i.e. Most things) picked up except by one who makes a public announcement about it." Al-Abbas bin `Abdul Muttalib said, "Except the Idhkhir, O Allah's Messenger (ﷺ), as it is indispensable for blacksmiths and houses." On that, the Prophet (ﷺ) kept quiet and then said, "Except the Idhkhir as it is lawful to cut."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুজাহিদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে