পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন
৩৯৭১। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আমর ইবনু সালিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আইয়ুব (রহঃ) বলেছেন, আবূ কিলাবা আমাকে বললেন, তুমি আমর ইবনু সালিমার সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাস কর না কেন? আবূ কিলাবা (রহঃ) বলেন, এরপর আমি আমর ইবনু সালিমার সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, আমরা (আমাদের গোত্র) পথিকদের যাতায়াত পথের পাশে একটি ঝর্নার নিকট বাস করতাম, (মক্কার) লোকজনের কি অবস্থা?
মক্কার লোকজনের কি অবস্থা? আর ঐ লোকটিরই কি অবস্থা? তারা বলত, সে ব্যাক্তি তো দাবি করেন যে, আল্লাহ্ তাঁকে রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁর প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেছেন। (কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করে বললেন) তাঁর কাছে আল্লাহ্ এ রকম ওহী নাযিল করেছেন। (আমর ইবনু সালিমা বলেন) তখন (পথিকদের মুখ থেকে শুনে) আমি সে বাণীগুলো মুখস্থ করে ফেলতাম যেন তা আজ আমার হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে।
সমগ্র আরববাসী ইসলাম গ্রহণের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিজয়ের অপেক্ষা করছিল। তারা বলত, তাঁকে তাঁর স্বগোত্রীয় লোকদের সঙ্গে (প্রথমে) বোঝাপড়া করতে দাও। কেননা তিনি যদি তাদের উপর বিজয় লাভ করেন তাহলে তিনি সত্য সত্যই নবী। এরপর মক্কা বিজয়ের ঘটনা সংঘটিত হল। এবার সব গোত্রই তাড়াহুড়া করে ইসলামে দীক্ষিত হতে শুরু করল। আমাদের কাওমের ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে আমার পিতা বেশ তাড়াহুড়া করলেন। যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করে বাড়ি ফিরলেন তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, আমি সত্য নবীর নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছি। তিনি বলে দিয়েছেন যে, অমুক সময়ে তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে কুরআন মেশি মুখস্থ করেছে সে সালাতের ইমামতি করবে।
(এরপর সালাত আদায় করার সময় হল) সবাই এ রকম একজন লোককে খুঁজতে লাগল। কিন্তু আমার চেয়ে অধিক কুরআন মুখস্থকারী অন্য কাউকে পাওয়া গেল না। কেননা আমি কাফেলার লোকদের থেকে শুনে (কুরআন) মুখস্থ করতাম। কাজেই সকলে আমাকেই (সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের জন্য) তাদের সামনে এগিয়ে দিল। অথচ তখনো আমি ছয় কিংবা সাত বছরের বালক। আমার একটি চাঁদর ছিল, যখন আমি সিজ্দায় যেতাম তখন চাঁদরটি আমার গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে উপরের দিকে উঠে যেত। (ফলে পেছনের অংশ অনাবৃত হয়ে পড়ত) তখন গোত্রের জনৈক মহিলা বলল, তোমরা তোমাদের ইমামের পেছনের অংশ আবৃত করে দাও না কেন? তাই সবাই মিলে কাপড় খরিদ করে আমাকে একটি জামা তৈরি করে দিল। এ জামা পেয়ে আমি এত আনন্দিত হয়েছিলাম যে, কখনো অন্য কিছুতে এ আনন্দিত হইনি।
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو قِلاَبَةَ أَلاَ تَلْقَاهُ فَتَسْأَلَهُ، قَالَ فَلَقِيتُهُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كُنَّا بِمَاءٍ مَمَرَّ النَّاسِ، وَكَانَ يَمُرُّ بِنَا الرُّكْبَانُ فَنَسْأَلُهُمْ مَا لِلنَّاسِ مَا لِلنَّاسِ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُونَ يَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ أَوْحَى إِلَيْهِ، أَوْ أَوْحَى اللَّهُ بِكَذَا. فَكُنْتُ أَحْفَظُ ذَلِكَ الْكَلاَمَ، وَكَأَنَّمَا يُغْرَى فِي صَدْرِي، وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَلَوَّمُ بِإِسْلاَمِهِمِ الْفَتْحَ، فَيَقُولُونَ اتْرُكُوهُ وَقَوْمَهُ، فَإِنَّهُ إِنْ ظَهَرَ عَلَيْهِمْ فَهْوَ نَبِيٌّ صَادِقٌ. فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلاَمِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلاَمِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَقًّا فَقَالَ " صَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، وَصَلُّوا كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ، فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا ". فَنَظَرُوا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرَ قُرْآنًا مِنِّي، لِمَا كُنْتُ أَتَلَقَّى مِنَ الرُّكْبَانِ، فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ، سِنِينَ وَكَانَتْ عَلَىَّ بُرْدَةٌ، كُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَقَلَّصَتْ عَنِّي، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْحَىِّ أَلاَ تُغَطُّوا عَنَّا اسْتَ قَارِئِكُمْ. فَاشْتَرَوْا فَقَطَعُوا لِي قَمِيصًا، فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ فَرَحِي بِذَلِكَ الْقَمِيصِ.
Narrated `Amr bin Salama:
We were at a place which was a thoroughfare for the people, and the caravans used to pass by us and we would ask them, "What is wrong with the people? What is wrong with the people? Who is that man?. They would say, "That man claims that Allah has sent him (as an Apostle), that he has been divinely inspired, that Allah has revealed to him such-and-such." I used to memorize that (Divine) Talk, and feel as if it was inculcated in my chest (i.e. mind) And the 'Arabs (other than Quraish) delayed their conversion to Islam till the Conquest (of Mecca). They used to say." "Leave him (i.e. Muhammad) and his people Quraish: if he overpowers them then he is a true Prophet. So, when Mecca was conquered, then every tribe rushed to embrace Islam, and my father hurried to embrace Islam before (the other members of) my tribe. When my father returned (from the Prophet) to his tribe, he said, "By Allah, I have come to you from the Prophet (ﷺ) for sure!" The Prophet (ﷺ) afterwards said to them, 'Offer such-and-such prayer at such-and-such time, and when the time for the prayer becomes due, then one of you should pronounce the Adhan (for the prayer), and let the one amongst you who knows Qur'an most should, lead the prayer." So they looked for such a person and found none who knew more Qur'an than I because of the Qur'anic material which I used to learn from the caravans. They therefore made me their Imam ((to lead the prayer) and at that time I was a boy of six or seven years, wearing a Burda (i.e. a black square garment) proved to be very short for me (and my body became partly naked). A lady from the tribe said, "Won't you cover the anus of your reciter for us?" So they bought (a piece of cloth) and made a shirt for me. I had never been so happy with anything before as I was with that shirt.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।
৫৮৫. মূসা ইবনু ইসমাঈল ...... আমর ইবনু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা লোকজনের সমবেত কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আগমন করে। তাঁরা প্রত্যাবর্তনের সময় আমাদের পাশ দিয়ে গমনকালে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এইরূপ বলেছেন। রাবী বলেন, এ সময় আমার বয়স কম ছিল এবং স্মরণশক্তি ছিল প্রখর। ফলে এ সময়ে আমি কুরআনের অনেকাংশ কন্ঠস্থ করে ফেলি।
রাবী বলেন, একদা আমার পিতা তাঁর গোত্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট যান। তখন তিনি তাদেরকে নামাযের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেন এবং এ কথাও বলেন যে, তোমাদের মধ্যে যার অধিক কুরআন মুখস্ত আছে- সে যেন ইমামতি করে। আমি অধিক কুরআন মুখস্থকারী ও বিশুদ্ধরূপে পাঠকারী হিসেবে তারা আমাকেই ইমামতির দায়িত্ব প্রদান করেন।
অতঃপর আমি তাদের ইমামতি করতে থাকি। এ সময় আমার গায়ে হলুদ বর্ণের একটি ছোট চাঁদর ছিল। নামাযের সময় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন তা খুলে যেত। মহিলাদের মধ্যে একজন বলেন, তোমরা তোমাদের ইমামের সতর ঢাকার ব্যাবস্থা কর। অতঃপর তারা আমার জন্য একটি ইয়ামন দেশীয় জামা খরিদ করেন; ষার ফলে ইসলাম গ্রহণের পর আমি এর চাইতে অধিক খুশী আর হই নাই। আমি এমন সময় হতে তাদের ইমামতি করতে আরম্ভ করি যখন আমার বয়স ছিল মাত্র ৭ বা ৮ বছর। (বুখারী, নাসঈ)।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ كُنَّا بِحَاضِرٍ يَمُرُّ بِنَا النَّاسُ إِذَا أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا مَرُّوا بِنَا فَأَخْبَرُونَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَذَا وَكَذَا وَكُنْتُ غُلاَمًا حَافِظًا فَحَفِظْتُ مِنْ ذَلِكَ قُرْآنًا كَثِيرًا فَانْطَلَقَ أَبِي وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ فَعَلَّمَهُمُ الصَّلاَةَ فَقَالَ " يَؤُمُّكُمْ أَقْرَؤُكُمْ " . وَكُنْتُ أَقْرَأَهُمْ لِمَا كُنْتُ أَحْفَظُ فَقَدَّمُونِي فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَعَلَىَّ بُرْدَةٌ لِي صَغِيرَةٌ صَفْرَاءُ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَكَشَّفَتْ عَنِّي فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسَاءِ وَارُوا عَنَّا عَوْرَةَ قَارِئِكُمْ . فَاشْتَرَوْا لِي قَمِيصًا عُمَانِيًّا فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحِي بِهِ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ سِنِينَ .
‘Amr b. Salamah said ; we lived at a place where the people would pass by us when they came to the prophet (ﷺ). When they returned they would again pass by us. And they used to inform us that the Messenger of Allah (ﷺ) said so –and-so. I was a boy with a good memory. From the( process) I memorized a large portion of the Qur’an. Then my father went to the Messenger of Allah(ﷺ) along with a group of his clan. He (the Prophet) taught them prayer. And he said:
The one of you who knows most of the Qur’an should act as your imam. I knew the Qur’an better than most of them because I had memorized it. They, therefore, put me in front of them, and I would lead them in prayer. I wore a small yellow mantle which, when I prostrated myself, went up on me, and a woman of the clan said: Cover the back side of your leader from us. So they bought an ‘Ammani shirt for me, and I have never been so pleased about anything after embracing Islam as I was about that (shirt). I used to lead them in prayer and I was only seven or eight year old.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।
৫৮৬. আন-নুফায়লী ....... আমর ইবনু সালামা (রাঃ) হতে এই হাদীছটি বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি আমার সম্প্রদায়ের ইমামতি করতাম একটি চাঁদর পরিধাণ করে। যা ফাটা ও তালিযুক্ত ছিল। এমতাবস্থায় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন আমার পশ্চাৎদেশ অনাবৃত হয়ে যেত।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ فِي بُرْدَةٍ مُوصَلَةٍ فِيهَا فَتْقٌ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ خَرَجَتِ اسْتِي .
This tradition has also been transmitted through a different chain by ‘Amr b. Salamah. This version says:
“I used to lead them in prayer with a sheet of cloth on me that was patched and torn. When I prostrated myself, my buttocks were disclosed.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।
৫৮৭. কুতায়বা ..... আমর ইবনু সালামা (রাঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তাঁরা প্রতিনিধি হিসাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে উপস্থিত হন। তাঁরা সেখান হতে প্রত্যাবর্তনের সময় বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের নামাযে কে ইমামতি করবে? তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞ বা অধিক জ্ঞানী- সে ইমামতি করবে। রাবী বলেন, এ সময় আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে কুরআন সম্পর্কে আমিই অধিক অভিজ্ঞ ছিলাম। তাই তারা আমাকে ইমাম নিযুক্ত করেন, কিন্তু তখন আমার বয়স ছিল খুবই কম। তখন আমার পরনে একটি ছোট চাঁদর থাকত এবং বয়সের সল্পতা হেতু আমি তাদের সাথে উঠাবসা না করলেও আমি তাদের জামাআতে ইমামতি করতাম এবং জানাযার নামাযও পড়াতাম।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াযীদ ইবনু হারূনের সূত্রে বর্ণিত হাদীছে “আন আবীহি” শব্দের উল্লেখ নেই।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَلِمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُمْ وَفَدُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَنْصَرِفُوا قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ يَؤُمُّنَا قَالَ " أَكْثَرُكُمْ جَمْعًا لِلْقُرْآنِ " . أَوْ " أَخْذًا لِلْقُرْآنِ " . قَالَ فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ الْقَوْمِ جَمَعَ مَا جَمَعْتُهُ - قَالَ - فَقَدَّمُونِي وَأَنَا غُلاَمٌ وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ لِي فَمَا شَهِدْتُ مَجْمَعًا مِنْ جَرْمٍ إِلاَّ كُنْتُ إِمَامَهُمْ وَكُنْتُ أُصَلِّي عَلَى جَنَائِزِهِمْ إِلَى يَوْمِي هَذَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ قَالَ لَمَّا وَفَدَ قَوْمِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبِيهِ .
صحيح لكن قوله عن أبيه غير محفوظ (الألباني
‘Amr b. Salamah reported on the authority of his father (Salamah) that they visited the Prophet (ﷺ). When they intended to return, they said:
Messenger of Allah, who will lead us in prayer? He said: The one of you who knows most of the Qur’an, or memorizes most of the Qur’an, (should act as your imam). There was none in the clan who knew more of the Qur’an than I did. They, therefore, put me in front of them and I was only a boy. And I wore a mantle, Whenever I was present in the gathering of Jarm (name of his clan), I would act as their Imam, and lead them in their funeral prayer until today.
Abu Dawud said: This tradition has been narrated by ‘Amr b. Salamah through a different chain of transmitter. This version has: “When my clan visited the Prophet( may peace be upon him) ....” He did not report it on the authority of his father.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যাক্তি সম্পর্কে।
৫৮৮. আল-কানবী .... নাফে (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুহাজিরদের প্রথম দলটি যখন কুবার নিকটবর্তী আসবাহ নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু অলাইহে ওয়া সাল্লামের আগেই অবতরণ করেন-তখন তাঁদের ইমামতি করতেন সালেম (রাঃ), যিনি ছিলেন আবূ হুযায়ফা (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম। তাদের মধ্যে তিনই ছিলেন কুরআন সম্পর্কে সমধিক অভিজ্ঞ।
রাবী হাইছামের বর্ণনায় আরও আছেঃ ঐ দলে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এবং আবূ সালামা ইবনু আব্দুল আসাদ প্রমুখ বিশিষ্ট সাহাবীরাও ছিলেন। (বুখারী)।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ، ح وَحَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَالِدٍ الْجُهَنِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ الأَوَّلُونَ نَزَلُوا الْعَصْبَةَ قَبْلَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ يَؤُمُّهُمْ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَكَانَ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا . زَادَ الْهَيْثَمُ وَفِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الأَسَدِ .
Ibn ‘Umar said:
when the first emigrants came (to Madina), they stayed at al-‘Asbah (a place near Madina) before the advent of the Messenger of Allah (ﷺ). Salim, the client of Abu Hudhaifah, acted as their imam, as he knew the Qur’an better than all of them, al-Haitham(the narrator) added: and ‘Umar b. al-Khattab and Abu Salamah b. ‘Abd al-Asad were among them.
পরিচ্ছেদঃ ১৬/ শুধুমাত্র লুঙ্গি পরিধান করে নামায পড়া।
৭৬৮। শুআয়ব ইবনু ইউসূফ (রহঃ) ... আমর ইবনু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমার সস্প্রদায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে প্রত্যাবর্তন করল, তখন তারা বলল যে, তিনি বলেছেন, তোমাদের ইমামতি করবে সে-ই, যে তোমাদের মধ্যে কুরআন বেশি পড়তে পারে। তিনি আরো বলেনঃ তখন তারা আমাকে ডাকল এবং আমাকে রুকু-সিজদা শিখিয়ে দিল। তারপর আমি তাদের নিয়ে সালাত আদায় করতাম। তখন আমার গায়ে থাকত একখানা কাটা চাদর। তারা আমার পিতাকে বলতো, আপনি কি আমাদের থেকে আপনার ছেলের নিতম্ভ ঢাকবেন না?
أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَاصِمٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ لَمَّا رَجَعَ قَوْمِي مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا إِنَّهُ قَالَ " لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قِرَاءَةً لِلْقُرْآنِ " . قَالَ فَدَعَوْنِي فَعَلَّمُونِي الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ فَكُنْتُ أُصَلِّي بِهِمْ وَكَانَتْ عَلَىَّ بُرْدَةٌ مَفْتُوقَةٌ فَكَانُوا يَقُولُونَ لأَبِي أَلاَ تُغَطِّي عَنَّا اسْتَ ابْنِكَ .
It was narrated that 'Amr bin Salamah said:
"When my people came back from the Prophet (ﷺ)they said that he had said: 'Let the one who recites the Quran most lead you in prayer.' So they called me and taught me how to bow and prostrate, and I used to lead them in prayer, wearing a torn cloak, and they used to say to my father: 'Will you not conceal your son's backside from us?"'
পরিচ্ছেদঃ ১১/ বালেগ হওয়ার পূর্বে ইমামত।
৭৯০। মুসা ইবনু আবদুর রহমান মাসরুকী (রহঃ) ... আমর ইবনু সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের নিকট আরোহী যাত্রীগণ আসতেন আমরা তাঁদের নিকট কুরআন শিক্ষা করতাম। আমার পিতা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে যে কুরআন বেশি জানে- সেই ইমামত করবে। আমার পিতা এসে বললেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে বেশি কুরআন জানে, সেই ইমামত করবে। তারা দেখলেন, আমি কুরআন অধিক জানি, তখন আমিই তাদের ইমামত করতাম আর তখন আমি ছিলাম আট বছরের বালক।
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَسْرُوقِيُّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ سَلِمَةَ الْجَرْمِيُّ، قَالَ كَانَ يَمُرُّ عَلَيْنَا الرُّكْبَانُ فَنَتَعَلَّمُ مِنْهُمُ الْقُرْآنَ فَأَتَى أَبِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا " . فَجَاءَ أَبِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا " . فَنَظَرُوا فَكُنْتُ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ .
'Amr bin Salamah Al-Jarmi said:
"Riders used to pass by us and we would leam the Qur'an from them. My father came to the Prophet (ﷺ) and he said: 'Let the one of you who knows most Qur'an leads the prayer.' My father came and said that the Messenger of Allah (ﷺ) had said: 'Let the one of you who knows most Quran lead you in prayer.' They looked and found that I was the one who knew most Qur'an, so I used to lead them in prayer when I was eight years old.'
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৫৪. পরিচ্ছেদ নাই।
৪৩০২. ‘আমর ইবনু সালামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। আইয়ুব (রহ.) বলেছেন, আবূ কিলাবাহ আমাকে বললেন, তুমি ‘আমর ইবনু সালামাহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে (তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে) জিজ্ঞেস কর না কেন? আবূ কিলাবাহ (রহ.) বলেন, অতঃপর আমি ‘আমর ইবনু সালামাহর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে (তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, আমরা লোকজনের চলার পথের পাশে একটি ঝরণার কাছে বাস করতাম। আমাদের পাশ দিয়ে অনেক কাফেলা চলাচল করত। তখন আমরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতাম, (মক্কার) লোকজনের অবস্থা কী? মক্কার লোকজনের অবস্থা কী? আর ঐ লোকটির কী অবস্থা? তারা বলত, ঐ ব্যক্তি দাবী করে যে, আল্লাহ তাঁকে রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন, তাঁর প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ করেছেন। (কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করে বলত) তাঁর কাছে আল্লাহ এ রকম ওয়াহী অবতীর্ণ করেছেন। (‘আমর ইবনু সালামা’হ বলেন) তখন আমি সে বাণীগুলো মুখস্থ করে নিতাম যেন তা আমার হৃদয়ে গেঁথে থাকত। সমগ্র আরব ইসলাম গ্রহণের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিজয়ের অপেক্ষা করছিল। তারা বলত, তাঁকে তার নিজ গোত্রের লোকেদের সঙ্গে (আগে) বোঝাপড়া করতে দাও। অতঃপর তিনি যদি তাদের উপর বিজয়ী হন তবে তিনি সত্য নবী। এরপর মক্কা বিজয়ের ঘটনা ঘটল। এবার সব গোত্রই তাড়াহুড়া করে ইসলাম গ্রহণ করতে লাগল। আমাদের কাওমের ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে আমার পিতা বেশ তাড়াহুড়া করলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণের পর ফিরে এসে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি সত্য নবীর নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছি। তিনি বলে দিয়েছেন যে, অমুক সময়ে তোমরা অমুক সালাত এবং অমুক সময় অমুক সালাত আদায় করবে। এভাবে সালাতের সময় হলে তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে কুরআন অধিক জানে সে সালাতের ইমামাত করবে। সবাই এ রকম একজন লোক খুঁজলেন। কিন্তু আমার চেয়ে অধিক কুরআন জানা একজনকেও পাওয়া গেল না। কেননা আমি কাফেলার লোকদের থেকে কুরআন শিখেছিলাম। কাজেই সকলে আমাকেই তাদের সামনে এগিয়ে দিল। অথচ তখনো আমি ছয় কিংবা সাত বছরের বালক। আমার একটি চাদর ছিল, যখন আমি সিজদা্য় যেতাম তখন চাদরটি আমার গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে উপরের দিকে উঠে যেত। তখন গোত্রের জনৈকা মহিলা বলল, তোমরা আমাদের দৃষ্টি থেকে তোমাদের ক্বারীর নিতম্ব আবৃত করে দাও না কেন? তারা কাপড় খরিদ করে আমাকে একটি জামা তৈরি করে দিল। এ জামা পেয়ে আমি এত খুশি হয়েছিলাম যে, আর কিছুতে এত খুশি হইনি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৬৮)
بَاب
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ أَبِيْ قِلَابَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ قَالَ قَالَ لِيْ أَبُوْ قِلَابَةَ أَلَا تَلْقَاهُ فَتَسْأَلَهُ قَالَ فَلَقِيْتُهُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ كُنَّا بِمَاءٍ مَمَرَّ النَّاسِ وَكَانَ يَمُرُّ بِنَا الرُّكْبَانُ فَنَسْأَلُهُمْ مَا لِلنَّاسِ مَا لِلنَّاسِ مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُوْلُوْنَ يَزْعُمُ أَنَّ اللهَ أَرْسَلَهُ أَوْحَى إِلَيْهِ أَوْ أَوْحَى اللهُ بِكَذَا فَكُنْتُ أَحْفَظُ ذَلِكَ الْكَلَامَ وَكَأَنَّمَا يُقَرُّ فِيْ صَدْرِيْ وَكَانَتْ الْعَرَبُ تَلَوَّمُ بِإِسْلَامِهِمْ الْفَتْحَ فَيَقُوْلُوْنَ اتْرُكُوْهُ وَقَوْمَهُ فَإِنَّهُ إِنْ ظَهَرَ عَلَيْهِمْ فَهُوَ نَبِيٌّ صَادِقٌ فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلَامِهِمْ وَبَدَرَ أَبِيْ قَوْمِيْ بِإِسْلَامِهِمْ فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ جِئْتُكُمْ وَاللهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَقًّا فَقَالَ صَلُّوْا صَلَاةَ كَذَا فِيْ حِيْنِ كَذَا وَصَلُّوْا صَلَاةَ كَذَا فِيْ حِيْنِ كَذَا فَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلَاةُ فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا فَنَظَرُوْا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرَ قُرْآنًا مِنِّيْ لِمَا كُنْتُ أَتَلَقَّى مِنْ الرُّكْبَانِ فَقَدَّمُوْنِيْ بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ سِنِيْنَ وَكَانَتْ عَلَيَّ بُرْدَةٌ كُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَقَلَّصَتْ عَنِّيْ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ مِنَ الْحَيِّ أَلَا تُغَطُّوْا عَنَّا اسْتَ قَارِئِكُمْ فَاشْتَرَوْا فَقَطَعُوْا لِيْ قَمِيْصًا فَمَا فَرِحْتُ بِشَيْءٍ فَرَحِيْ بِذَلِكَ الْقَمِيْصِ.
Narrated `Amr bin Salama:
We were at a place which was a thoroughfare for the people, and the caravans used to pass by us and we would ask them, "What is wrong with the people? What is wrong with the people? Who is that man?. They would say, "That man claims that Allah has sent him (as an Apostle), that he has been divinely inspired, that Allah has revealed to him such-and-such." I used to memorize that (Divine) Talk, and feel as if it was inculcated in my chest (i.e. mind) And the 'Arabs (other than Quraish) delayed their conversion to Islam till the Conquest (of Mecca). They used to say." "Leave him (i.e. Muhammad) and his people Quraish: if he overpowers them then he is a true Prophet. So, when Mecca was conquered, then every tribe rushed to embrace Islam, and my father hurried to embrace Islam before (the other members of) my tribe. When my father returned (from the Prophet) to his tribe, he said, "By Allah, I have come to you from the Prophet (ﷺ) for sure!" The Prophet (ﷺ) afterwards said to them, 'Offer such-and-such prayer at such-and-such time, and when the time for the prayer becomes due, then one of you should pronounce the Adhan (for the prayer), and let the one amongst you who knows Qur'an most should, lead the prayer." So they looked for such a person and found none who knew more Qur'an than I because of the Qur'anic material which I used to learn from the caravans. They therefore made me their Imam ((to lead the prayer) and at that time I was a boy of six or seven years, wearing a Burda (i.e. a black square garment) proved to be very short for me (and my body became partly naked). A lady from the tribe said, "Won't you cover the anus of your reciter for us?" So they bought (a piece of cloth) and made a shirt for me. I had never been so happy with anything before as I was with that shirt.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৫। ’আমর ইবনু সালামাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এমন জায়গায় সমবেত ছিলাম যে, লোকেরা আমাদের পাশ দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাতায়াত করত এবং প্রত্যাবর্তনের সময় তারা আমাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বর্ণনা করত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ এরূপ বলেছেন। তখন আমি বালক ছিলাম, যা শুনতাম তাই মুখস্থ করে ফেলতাম। শুনে শুনে আমি কুরআনের কিছু অংশও মুখস্থ করে ফেলি। একবার আমার পিতা কিছু সংখ্যক লোকসহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। তিনি তাদেরকে সালাতের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দিলেন। তিনি আরো বললেনঃ তোমাদের মধ্যকার কুরআন সম্পর্কে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ইমামতি করবে।
আর আমিই ছিলাম কুরআন সম্পর্কে সর্বাধিক অভিজ্ঞ এবং সকলের চেয়ে আমারই কুরআন বেশী মুখস্থ ছিল। সেহেতু তারা আমাকে ইমাম নিযুক্ত করল। আমি তাদের ইমামতি করতাম। এ সময় আমার গায়ে ছোট একটি গেরুয়া রংয়ের চাদর ছিল। আমি যখন সিজদায় যেতাম তখন আমার লজ্জাস্থান অনাবৃত হয়ে যেত। এক মহিলা বলল, তোমাদের ক্বারীর লজ্জাস্থান ঢাকার ব্যবস্থা কর। তারা আমার জন্য একটি ওমানী চাদর খরিদ করল। এতে আমি এতই আনন্দিত হই যে, ইসলাম গ্রহণের পর আর কিছুতে আমি এতটা আনন্দিত হইনি। আমার বয়স যখন মাত্র সাত কি আট বছর তখন থেকেই আমি তাদের ইমামতি করতাম।[1]
সহীহ : অনুরূপ বুখারী।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
নাবালকের ইমামতিতে সালাত আদায় জায়িয। (উল্লেখ্য নাবালকের ইমামতিতে সালাত আদায় জায়িয না অপছন্দনীয় এ নিয়ে লোকেরা মতভেদ করলেও সহীহ কথা হচ্ছে জায়িয। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাবালকের ইমামতিকে সম্মতি দিয়েছেন। তাছাড়া অন্য হাদীসে নাফল সালাত আদায়কারীর পিছনে ফারয সালাত আদায় জায়িযের কথা এসেছে। যেহেতু নাবালকের সালাত নফল)।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ كُنَّا بِحَاضِرٍ يَمُرُّ بِنَا النَّاسُ إِذَا أَتَوُا النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا مَرُّوا بِنَا فَأَخْبَرُونَا أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَذَا وَكَذَا وَكُنْتُ غُلَامًا حَافِظًا فَحَفِظْتُ مِنْ ذَلِكَ قُرْآنًا كَثِيرًا فَانْطَلَقَ أَبِي وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ فَعَلَّمَهُمُ الصَّلَاةَ فَقَالَ " يَؤُمُّكُمْ أَقْرَؤُكُمْ " . وَكُنْتُ أَقْرَأَهُمْ لِمَا كُنْتُ أَحْفَظُ فَقَدَّمُونِي فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَعَلَىَّ بُرْدَةٌ لِي صَغِيرَةٌ صَفْرَاءُ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَكَشَّفَتْ عَنِّي فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسَاءِ وَارُوا عَنَّا عَوْرَةَ قَارِئِكُمْ . فَاشْتَرَوْا لِي قَمِيصًا عُمَانِيًّا فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ بَعْدَ الإِسْلَامِ فَرَحِي بِهِ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ سِنِينَ .
صحيح : خ نحوه
‘Amr b. Salamah said ; we lived at a place where the people would pass by us when they came to the prophet (ﷺ). When they returned they would again pass by us. And they used to inform us that the Messenger of Allah (ﷺ) said so –and-so. I was a boy with a good memory. From the( process) I memorized a large portion of the Qur’an. Then my father went to the Messenger of Allah(ﷺ) along with a group of his clan. He (the Prophet) taught them prayer. And he said:
The one of you who knows most of the Qur’an should act as your imam. I knew the Qur’an better than most of them because I had memorized it. They, therefore, put me in front of them, and I would lead them in prayer. I wore a small yellow mantle which, when I prostrated myself, went up on me, and a woman of the clan said: Cover the back side of your leader from us. So they bought an ‘Ammani shirt for me, and I have never been so pleased about anything after embracing Islam as I was about that (shirt). I used to lead them in prayer and I was only seven or eight year old.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৬। ’আমর ইবনু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে একই হাদীসে বর্ণিত আছে, আমি একটি তালিযুক্ত চাদর গায়ে দিয়ে তাদের ইমামিত করতাম। চাদরটি ছেঁড়া থাকায় সিজদায় গমনকালে আমার নিতম্ব উন্মুক্ত হয়ে যেত।[1]
সহীহ।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ فِي بُرْدَةٍ مُوصَلَةٍ فِيهَا فَتْقٌ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ خَرَجَتِ اسْتِي .
صحيح
This tradition has also been transmitted through a different chain by ‘Amr b. Salamah. This version says:
“I used to lead them in prayer with a sheet of cloth on me that was patched and torn. When I prostrated myself, my buttocks were disclosed.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৭। ’আমর ইবনু সালামাহ হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তারা একটি প্রতিনিধি দল হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যান এবং ফিরে আসার সময় জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের (সালাতে) ইমামতি করবে কে? তিনি বললেন, কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী ব্যক্তি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমিই ছিলাম আমার কওমের মধ্যে কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী। সেজন্য তারা আমাকে (ইমামতির জন্য) আগে দিল। কিন্তু আমি অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক ছিলাম। আমার পরনে ছোট একটি চাদর থাকত। জারাম গোত্রের যে কোন মাজলিসে উপস্থিত হলে আমিই তাদের ইমামতি করতাম এবং আজকের এদিন পর্যন্ত তাদের জানাযার সালাতও আমি পড়াতাম। [1]
সহীহ : কিন্তু তার(عن أبيه) কথাটি অসংরক্ষিত।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াযীদ ইবনু হারূন সূত্রে ’আমর ইবনু সালামাহর বর্ণনায় সানাদে ’আন আবীহি’ উল্লেখ নেই।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَلِمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُمْ وَفَدُوا إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَلَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَنْصَرِفُوا قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ يَؤُمُّنَا قَالَ " أَكْثَرُكُمْ جَمْعًا لِلْقُرْآنِ " . أَوْ " أَخْذًا لِلْقُرْآنِ " . قَالَ فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ الْقَوْمِ جَمَعَ مَا جَمَعْتُهُ - قَالَ - فَقَدَّمُونِي وَأَنَا غُلَامٌ وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ لِي فَمَا شَهِدْتُ مَجْمَعًا مِنْ جَرْمٍ إِلَّا كُنْتُ إِمَامَهُمْ وَكُنْتُ أُصَلِّي عَلَى جَنَائِزِهِمْ إِلَى يَوْمِي هَذَا .
- صحيح : لكن قوله : (عن أبيه) غير محفوظ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ قَالَ لَمَّا وَفَدَ قَوْمِي إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبِيهِ
‘Amr b. Salamah reported on the authority of his father (Salamah) that they visited the Prophet (ﷺ). When they intended to return, they said:
Messenger of Allah, who will lead us in prayer? He said: The one of you who knows most of the Qur’an, or memorizes most of the Qur’an, (should act as your imam). There was none in the clan who knew more of the Qur’an than I did. They, therefore, put me in front of them and I was only a boy. And I wore a mantle, Whenever I was present in the gathering of Jarm (name of his clan), I would act as their Imam, and lead them in their funeral prayer until today.
Abu Dawud said: This tradition has been narrated by ‘Amr b. Salamah through a different chain of transmitter. This version has: “When my clan visited the Prophet( may peace be upon him) ....” He did not report it on the authority of his father.
পরিচ্ছেদঃ ১০. জামা’আতে সালাত সম্পাদন ও ইমামতি - নাবালেগ বালেগের ইমামতি করতে পারে
৪১১. ’আমর বিন সালামাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন- আমার পিতা বলেছেন, সত্যই আমি তোমাদের নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে এসেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-যখন সালাতের সময় হবে তখন তোমাদের কেউ একজন আযান দিবে। আর যে ব্যক্তি তোমাদের মধ্যে কুরআন সম্পর্কে অধিক অবগত সে তোমাদের ইমামতি করবে। তিনি (রাবী ’আমর) বলেন, লোকেরা তাকাল কিন্তু আমার থেকে অধিক কুরআন পাঠ্যকারী অনুসন্ধান করে পেল না। তখন তারা ইমামতি করার জন্য আমাকেই আগে বাড়িয়ে দিল। অথচ তখন আমার বয়স মাত্র ৬-৭ বছর।[1]
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ أَبِي: جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - حَقًّا. قَالَ: «فَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلَاةُ فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ, وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا»، قَالَ: فَنَظَرُوا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرَ قُرْآنًا مِنِّي, فَقَدَّمُونِي, وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ سِنِينَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (4302)، وأبو داود (585، والنسائي (2/ 80 - 81) واللفظ للبخاري من حديث طويل
পরিচ্ছেদঃ ১৬: শুধুমাত্র লুঙ্গি পরিধান করে সালাত আদায় করা
৭৬৭. শু’আয়ব ইবনু ইউসুফ (রহ.) ..... ’আমর ইবনু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমার সম্প্রদায় রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট থেকে ফিরে আসলো তখন তারা বলল যে, তিনি বলছেন, তোমাদের ইমামতি করবে সে-ই যে তোমাদের মধ্যে কুরআন বেশি পড়তে পারে। তিনি আরো বলেন, তখন তারা আমাকে আহ্বান করল এবং আমাকে রুকু সিজদা শিখিয়ে দিল। তারপর আমি তাদের নিয়ে সালাত আদায় করতাম। তখন আমরা গায়ে থাকত একখানা কাটা চাদর। তারা আমার পিতাকে বলতো, আপনি কি আমাদের হাতে আপনার ছেলের নিতম্ব ঢাকবেন না?
الصلاة في الإزار
أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، قال: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قال: أَنْبَأَنَا عَاصِمٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ، قال: لَمَّا رَجَعَ قَوْمِي مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا: إِنَّهُ قَالَ: لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قِرَاءَةً لِلْقُرْآنِ . قَالَ: فَدَعَوْنِي فَعَلَّمُونِي الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ فَكُنْتُ أُصَلِّي بِهِمْ، وَكَانَتْ عَلَيَّ بُرْدَةٌ مَفْتُوقَةٌ فَكَانُوا يَقُولُونَ لِأَبِي: أَلَا تُغَطِّي عَنَّا اسْتَ ابْنِكَ ؟.
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۶۳۷ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 768 - صحيح
16. Praying In An Izar (Waist Wrap)
It was narrated that 'Amr bin Salamah said: When my people came back from the Prophet (ﷺ)they said that he had said: 'Let the one who recites the Quran most lead you in prayer.' So they called me and taught me how to bow and prostrate, and I used to lead them in prayer, wearing a torn cloak, and they used to say to my father: 'Will you not conceal your son's backside from us? '
পরিচ্ছেদঃ ১১: বালেগ হওয়ার পূবে ইমামাত
৭৮৯. মূসা ইবনু আবদুর রহমান আল মাসরূকী (রহ.) ..... ’আমর ইবনু সালামাহ্ আল জারমী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কাছে আরোহী যাত্রীগণ আসতেন, আমরা তাদের কাছে কুরআন শিক্ষা করতাম। আমার পিতা নবী (সা.)-এর কাছে আসলে তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে যে কুরআন অধিক জানে সেই ইমামতি করবে। আমার পিতা এসে বললেন, আল্লাহর রসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে অধিক কুরআন জানে সে ইমামতি করবে। অতঃপর তারা লক্ষ্য করল যে, আমি তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুরআন জানি, তাই আমি তাদের ইমামতি করতাম আর তখন আমি ছিলাম আট বছরের বালক।
إمامة الغلام قبل أن يحتلم
خْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَسْرُوقِيُّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَيُّوبَ، قال: حَدَّثَنِيعَمْرُو بْنُ سَلَمَةَ الْجَرْمِيُّ، قال: كَانَ يَمُرُّ عَلَيْنَا الرُّكْبَانُ فَنَتَعَلَّمُ مِنْهُمُ الْقُرْآنَ فَأَتَى أَبِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا فَجَاءَ أَبِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لِيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا فَنَظَرُوا فَكُنْتُ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ ثَمَانِ سِنِينَ .
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۶۳۷ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 790 - صحيح
11. A Boy Leading The Prayer Before Reaching Puberty
Amr bin Salamah Al-Jarmi said: Riders used to pass by us and we would leam the Qur'an from them. My father came to the Prophet (ﷺ) and he said: 'Let the one of you who knows most Qur'an leads the prayer.' My father came and said that the Messenger of Allah (ﷺ) had said: 'Let the one of you who knows most Quran lead you in prayer.' They looked and found that I was the one who knew most Qur'an, so I used to lead them in prayer when I was eight years old.'