পরিচ্ছেদঃ ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
৩১৩৮। হুমায়দী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি এবং তিনি যে লোক [সালিহ (আঃ) এর] উটনী যখম করেছিল তাঁর উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, উট্নীকে হত্যা করার জন্য এমন এক লোক (কিদার) তৈরি হয়েছিল যে তাঁর গোত্রের মধ্যে প্রবল ও শক্তিশালী ছিল, যেমন ছিল আবূ যাম’আ।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا} {كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ} مَوْضِعُ ثَمُودَ، وَأَمَّا {حَرْثٌ حِجْرٌ} حَرَامٌ، وَكُلُّ مَمْنُوعٍ فَهْوَ حِجْرٌ مَحْجُورٌ، وَالْحِجْرُ كُلُّ بِنَاءٍ بَنَيْتَهُ، وَمَا حَجَرْتَ عَلَيْهِ مِنَ الأَرْضِ فَهْوَ حِجْرٌ وَمِنْهُ سُمِّيَ حَطِيمُ الْبَيْتِ حِجْرًا، كَأَنَّهُ مُشْتَقٌّ مِنْ مَحْطُومٍ، مِثْلُ قَتِيلٍ مِنْ مَقْتُولٍ، وَيُقَالُ لِلأُنْثَى مِنَ الْخَيْلِ الْحِجْرُ. وَيُقَالُ لِلْعَقْلِ حِجْرٌ وَحِجًى. وَأَمَّا حَجْرُ الْيَمَامَةِ فَهْوَ مَنْزِلٌ
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرَ الَّذِي عَقَرَ النَّاقَةَ قَالَ انْتَدَبَ لَهَا رَجُلٌ ذُو عِزٍّ وَمَنَعَةٍ فِي قَوْمِهِ كَأَبِي زَمْعَةَ
পরিচ্ছেদঃ ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
৩১৩৯। মুহাম্মদ ইবনু মিসকীন আবূল হাসান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুকের যুদ্বের সময় যখন হিজর নামক স্থানে অবতরণ করলেন, তখন তিনি সাহাবাগণকে নির্দেশ দিলেন, তাঁরা যেন এখানে কূপের পানি পান না করে, এবং মশকেও পানি ভরে না রাখে। তখন সাহাবাগন বললেন, আমরা তো এর পানি দ্বারা রুটির আটা গুলে ফেলেছি এবং পানিও ভরে রেখেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে সেই আটা ফেলে দেয়ার এবং পানি ঢেলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। সাবরা ইবনু মা’বাদ এবং আবূশ শামূস (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্য ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আর আবূ যার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, এর পানি দ্বারা যে আটা গুলেছে (সে যেন তা ফেলে দেয়।)
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا} {كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ} مَوْضِعُ ثَمُودَ، وَأَمَّا {حَرْثٌ حِجْرٌ} حَرَامٌ، وَكُلُّ مَمْنُوعٍ فَهْوَ حِجْرٌ مَحْجُورٌ، وَالْحِجْرُ كُلُّ بِنَاءٍ بَنَيْتَهُ، وَمَا حَجَرْتَ عَلَيْهِ مِنَ الأَرْضِ فَهْوَ حِجْرٌ وَمِنْهُ سُمِّيَ حَطِيمُ الْبَيْتِ حِجْرًا، كَأَنَّهُ مُشْتَقٌّ مِنْ مَحْطُومٍ، مِثْلُ قَتِيلٍ مِنْ مَقْتُولٍ، وَيُقَالُ لِلأُنْثَى مِنَ الْخَيْلِ الْحِجْرُ. وَيُقَالُ لِلْعَقْلِ حِجْرٌ وَحِجًى. وَأَمَّا حَجْرُ الْيَمَامَةِ فَهْوَ مَنْزِلٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ أَبُو الْحَسَنِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ بْنِ حَيَّانَ أَبُو زَكَرِيَّاءَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا نَزَلَ الْحِجْرَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ أَمَرَهُمْ أَنْ لَا يَشْرَبُوا مِنْ بِئْرِهَا وَلَا يَسْتَقُوا مِنْهَا فَقَالُوا قَدْ عَجَنَّا مِنْهَا وَاسْتَقَيْنَا فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَطْرَحُوا ذَلِكَ الْعَجِينَ وَيُهَرِيقُوا ذَلِكَ الْمَاءَ وَيُرْوَى عَنْ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ وَأَبِي الشُّمُوسِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِإِلْقَاءِ الطَّعَامِ وَقَالَ أَبُو ذَرٍّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اعْتَجَنَ بِمَائِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
৩১৪০। ইব্রাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংগে সামূদ জাতির আবাসস্থল ’হিজর’ নামক স্থানে অবতরণ করলেন আর তখন তাঁরা এক কূপের পানি মশক ভরে রাখলেন এবং এ পানি দ্বারা আটা গুলে নিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের হুকুম দিলেন, তারা ঐ কূপ থেকে যে পানি ভরে রেখেছে, তা যেন ফেলে দেয় আর পানিতে গোলা আটা যেন উটগুলোকে খাওয়ায় আর তিনি তাদের হুকুম করলেন তারা যেন ঐ কূপ থেকে মশক ভরে নেয় যেখান থেকে (সালিহ (আলাইহিস সালাম) এর উটনীটি পানি পান করত। উসামা (রহঃ) নাফি (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় উবায়দুল্লাহ (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا} {كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ} مَوْضِعُ ثَمُودَ، وَأَمَّا {حَرْثٌ حِجْرٌ} حَرَامٌ، وَكُلُّ مَمْنُوعٍ فَهْوَ حِجْرٌ مَحْجُورٌ، وَالْحِجْرُ كُلُّ بِنَاءٍ بَنَيْتَهُ، وَمَا حَجَرْتَ عَلَيْهِ مِنَ الأَرْضِ فَهْوَ حِجْرٌ وَمِنْهُ سُمِّيَ حَطِيمُ الْبَيْتِ حِجْرًا، كَأَنَّهُ مُشْتَقٌّ مِنْ مَحْطُومٍ، مِثْلُ قَتِيلٍ مِنْ مَقْتُولٍ، وَيُقَالُ لِلأُنْثَى مِنَ الْخَيْلِ الْحِجْرُ. وَيُقَالُ لِلْعَقْلِ حِجْرٌ وَحِجًى. وَأَمَّا حَجْرُ الْيَمَامَةِ فَهْوَ مَنْزِلٌ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّاسَ نَزَلُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْضَ ثَمُودَ الْحِجْرَ فَاسْتَقَوْا مِنْ بِئْرِهَا وَاعْتَجَنُوا بِهِ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُهَرِيقُوا مَا اسْتَقَوْا مِنْ بِئْرِهَا وَأَنْ يَعْلِفُوا الْإِبِلَ الْعَجِينَ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَسْتَقُوا مِنْ الْبِئْرِ الَّتِي كَانَتْ تَرِدُهَا النَّاقَةُ تَابَعَهُ أُسَامَةُ عَنْ نَافِعٍ
পরিচ্ছেদঃ ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
৩১৪১। মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাবুকের পথে) যখন ’হিজর’ নামক স্থান অতিক্রম করলেন, তখন তিনি বললেন, তোমরা এমন লোকদের আবাসস্থলে প্রবেশ করো না যারা নিজেরাই নিজেদের উপর যুল্ম করেছে। তবে প্রবেশ করতে হলে, ক্রন্দনরত অবস্থায়, যেন তাদের প্রতি যে বিপদ এসেছিল তোমাদের প্রতি অনুরূপ বিপদ না আসে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহনের উপর বসা অবস্থায় নিজ চাঁদর দিয়ে চেহারা মোবারক ঢেকে নিলেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا} {كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ} مَوْضِعُ ثَمُودَ، وَأَمَّا {حَرْثٌ حِجْرٌ} حَرَامٌ، وَكُلُّ مَمْنُوعٍ فَهْوَ حِجْرٌ مَحْجُورٌ، وَالْحِجْرُ كُلُّ بِنَاءٍ بَنَيْتَهُ، وَمَا حَجَرْتَ عَلَيْهِ مِنَ الأَرْضِ فَهْوَ حِجْرٌ وَمِنْهُ سُمِّيَ حَطِيمُ الْبَيْتِ حِجْرًا، كَأَنَّهُ مُشْتَقٌّ مِنْ مَحْطُومٍ، مِثْلُ قَتِيلٍ مِنْ مَقْتُولٍ، وَيُقَالُ لِلأُنْثَى مِنَ الْخَيْلِ الْحِجْرُ. وَيُقَالُ لِلْعَقْلِ حِجْرٌ وَحِجًى. وَأَمَّا حَجْرُ الْيَمَامَةِ فَهْوَ مَنْزِلٌ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرَّ بِالْحِجْرِ قَالَ لَا تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ أَنْ يُصِيبَكُمْ مَا أَصَابَهُمْ ثُمَّ تَقَنَّعَ بِرِدَائِهِ وَهُوَ عَلَى الرَّحْلِ
পরিচ্ছেদঃ ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
৩১৪২। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাবুকের পথে সাহাবাদেরকে) নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা একমাত্র ক্রন্দনরত অবস্থায় এমন লোকদের আবসস্থালে প্রবেশ করবে যারা নিজেরাই নিজেদের উপর যুল্ম করেছে। তাদের উপর যে মুসিবত এসেছে তোমাদের উপরও যেন সে মুসীবত না আসে।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا} {كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ} مَوْضِعُ ثَمُودَ، وَأَمَّا {حَرْثٌ حِجْرٌ} حَرَامٌ، وَكُلُّ مَمْنُوعٍ فَهْوَ حِجْرٌ مَحْجُورٌ، وَالْحِجْرُ كُلُّ بِنَاءٍ بَنَيْتَهُ، وَمَا حَجَرْتَ عَلَيْهِ مِنَ الأَرْضِ فَهْوَ حِجْرٌ وَمِنْهُ سُمِّيَ حَطِيمُ الْبَيْتِ حِجْرًا، كَأَنَّهُ مُشْتَقٌّ مِنْ مَحْطُومٍ، مِثْلُ قَتِيلٍ مِنْ مَقْتُولٍ، وَيُقَالُ لِلأُنْثَى مِنَ الْخَيْلِ الْحِجْرُ. وَيُقَالُ لِلْعَقْلِ حِجْرٌ وَحِجًى. وَأَمَّا حَجْرُ الْيَمَامَةِ فَهْوَ مَنْزِلٌ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَهْبٌ حَدَّثَنَا أَبِي سَمِعْتُ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ