পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭২। ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনু মাখরাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন (অভ্যর্থনার জন্য) এরপর তারা অর্থ-সম্পদ ও বন্দীদেরক ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালো। তখন তিনি বললেন, তোমরা দেখছো, আমার সাথে আরো, ’সাহাবী আছেন। আর সত্য ভাষণই আমার নিকট প্রিয়। কাজেই অর্থ-সম্পদ ও বন্দী এ দু’টির যে কোন একটি তোমরা বেছে নাও। বন্দীদের বণ্টনের ব্যাপারে আমি বিলম্বও করেছিলাম। (রাবী বলেন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফ থেকে ফিরে প্রায় দশরাত তাদেরকে সুযোগ দিয়েছিলেন। যখন প্রতিনিধি দলের কাছে সুষ্পষ্ট হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দু’টির যে কোন একটি ফেরত দিবেন, তখন তারা বলল, তবে আমরা আমাদের বন্দীদেরই পছন্দ করছি।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবার সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযোগ্য প্রশংসা করার পর বললেন, তোমাদের ভাইয়েরা তাওবা করে আামদের কাছে এসেছে। এমতাবস্থায় আমি তাদেরকে তাদের বন্দীদের ফেরত দিতে মনস্থ করেছি। কাজেই, তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে তা পছন্দ করে, তারা যেন তাই করে। আর যারা তাদের নিজেদের হিসসা পেতে পছন্দ করে। তা এভাবে যে, প্রথম যে ’ফায় আল্লাহপাক আমাকে দান করবেন, সেখান থেকে আমি তাদের যে হিসসা আদায় করে দিবো। সে যেন তা করে। তখন সবাই বললো, আমরা আপনার জন্য সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে রাযি আছি।
তিনি বললেন, আমি বুঝতে পারছি না, তোমাদের মুখপাত্ররা তোমাদের মতামত আমার কাছে উত্থাপন করুক। তারপর সবাই ফিরে গেলো আর তাদের মুখপাত্ররা তাদের সাথে আলোচনা সেরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ফিরে এসে জানালেন যে তারা সকলেই সন্তুস্টচিত্তে সম্মতি প্রকাশ করেছে। (ইবনু শিহাব যুহরী (রহঃ) বলেন) হাওযাযিন গোত্রের যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে এতটুকুই আমাদের কাছে পৌছেছে। আনাস (রাঃ) বলেন, আব্বাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন (বদর যুদ্ধে) আমি (একাই) নিজের ও আকীলের মুক্তিপণ আদায় করেছি।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلاً عَبْدًا مَمْلُوكًا لاَ يَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ وَمَنْ رَزَقْنَاهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَجَهْرًا هَلْ يَسْتَوُونَ الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ}
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، ذَكَرَ عُرْوَةُ أَنَّ مَرْوَانَ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ فَقَالَ " إِنَّ مَعِي مَنْ تَرَوْنَ، وَأَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَىَّ أَصْدَقُهُ، فَاخْتَارُوا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ إِمَّا الْمَالَ، وَإِمَّا السَّبْىَ، وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِهِمْ ". وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم انْتَظَرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً حِينَ قَفَلَ مِنَ الطَّائِفِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلاَّ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ قَالُوا فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا. فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ ". فَقَالَ النَّاسُ طَيَّبْنَا ذَلِكَ. قَالَ " إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ ". فَرَجَعَ النَّاسُ، فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُمْ طَيَّبُوا وَأَذِنُوا، فَهَذَا الَّذِي بَلَغَنَا عَنْ سَبْىِ هَوَازِنَ. وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ عَبَّاسٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَادَيْتُ نَفْسِي، وَفَادَيْتُ عَقِيلاً.
Narrated Marwan and Al-Miswar bin Makhrama:
When the delegates of the tribe of Hawazin came to the Prophet (ﷺ) and they requested him to return their properties and captives. The Prophet (ﷺ) stood up and said to them, "I have other people with me in this matter (as you see) and the most beloved statement to me is the true one; you may choose either the properties or the prisoners as I have delayed their distribution." The Prophet (ﷺ) had waited for them for more than ten days since his arrival from Ta'if. So, when it became evident to them that the Prophet (ﷺ) was not going to return them except one of the two, they said, "We choose our prisoners." The Prophet got up amongst the people and glorified and praised Allah as He deserved and said, "Then after, these brethren of yours have come to us with repentance, and I see it logical to return them the captives. So, whoever amongst you likes to do that as a favor, then he can do it, and whoever of you likes to stick to his share till we recompense him from the very first war booty which Allah will give us, then he can do so (i.e. give up the present captives)." The people unanimously said, "We do that (return the captives) willingly." The Prophet (ﷺ) said, "We do not know which of you has agreed to it and which have not, so go back and let your leaders forward us your decision." So, all the people then went back and discussed the matter with their leaders who returned and informed the Prophet (ﷺ) that all the people had willingly given their consent to return the captives. This is what has reached us about the captives of Hawazin. Narrated Anas that `Abbas said to the Prophet, "I paid for my ransom and `Aqil's ransom."
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭৩। আলী ইবনু হাসান ইবনু শাকীক (রহঃ) ... ইবনু আউন (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাফি’ (রহঃ) কে পত্রে লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে লিখলেন যে, বনী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিলো। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিন জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন) কে লাভ করেন। (নাফি’ (রহঃ) বলেন) আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلاً عَبْدًا مَمْلُوكًا لاَ يَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ وَمَنْ رَزَقْنَاهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَجَهْرًا هَلْ يَسْتَوُونَ الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ}
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى نَافِعٍ فَكَتَبَ إِلَىَّ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَغَارَ عَلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَهُمْ غَارُّونَ وَأَنْعَامُهُمْ تُسْقَى عَلَى الْمَاءِ، فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ، وَسَبَى ذَرَارِيَّهُمْ، وَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ جُوَيْرِيَةَ. حَدَّثَنِي بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَكَانَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ.
Narrated Ibn `Aun:
I wrote a letter to Nafi` and Nafi` wrote in reply to my letter that the Prophet (ﷺ) had suddenly attacked Bani Mustaliq without warning while they were heedless and their cattle were being watered at the places of water. Their fighting men were killed and their women and children were taken as captives; the Prophet (ﷺ) got Juwairiya on that day. Nafi` said that Ibn `Umar had told him the above narration and that Ibn `Umar was in that army.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭৪ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসূফ (রহঃ) ... ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ) কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমরা বনী মুস্তালিক যুদ্ধে কিছু আরব যুদ্ধ বন্দী আমাদের হস্তগত হল। তখন আমাদের স্ত্রীদের কথা মনে পড়ে (কেননা) দূর-নিঃসঙ্গ জীবন আমাদের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে পড়েছিল। (সে সময়) আমরা আযল করতে চাইলাম (বাঁদী ব্যবহার করে)। এ সম্পর্কে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এরুপ না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা কিয়ামত পর্যন্ত যাদের জন্ম নির্ধারিত রয়েছে, তারা আসবেই।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلاً عَبْدًا مَمْلُوكًا لاَ يَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ وَمَنْ رَزَقْنَاهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَجَهْرًا هَلْ يَسْتَوُونَ الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ}
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ ـ رضى الله عنه ـ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْىِ الْعَرَبِ، فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ فَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ، فَسَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ وَهْىَ كَائِنَةٌ ".
Narrated Ibn Muhairiz:
I saw Abu Sa`id and asked him about coitus interruptus. Abu Sa`id said, "We went with Allah's Apostle, in the Ghazwa of Bani Al-Mustaliq and we captured some of the 'Arabs as captives, and the long separation from our wives was pressing us hard and we wanted to practice coitus interruptus. We asked Allah's Messenger (ﷺ) (whether it was permissible). He said, "It is better for you not to do so. No soul, (that which Allah has) destined to exist, up to the Day of Resurrection, but will definitely come, into existence."
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭৫। যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু সালাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিনটি কথা শোনার পর থকে বনী তামীম গোত্রকে আমি ভালোবেসে আসছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, দাজ্জালের মুকাবিলায় আমার উম্মতের মধ্যে এরাই হবে অধিকতর কঠোর। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার তাদের পক্ষ থেকে সাদকার মাল আসলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ যে আমার কওমের সাদকা। ’আয়িশা (রাঃ)-এর হাতে তাদের এক বন্দিনী ছিল। তা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একে আযাদ করে দাও। কেননা সে ঈসমাইলের বংশধর।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلاً عَبْدًا مَمْلُوكًا لاَ يَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ وَمَنْ رَزَقْنَاهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَجَهْرًا هَلْ يَسْتَوُونَ الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ}
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لاَ أَزَالُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ. وَحَدَّثَنِي ابْنُ سَلاَمٍ أَخْبَرَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ عَنِ الْمُغِيرَةِ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَعَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ مَا زِلْتُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ مُنْذُ ثَلاَثٍ سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِيهِمْ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ " هُمْ أَشَدُّ أُمَّتِي عَلَى الدَّجَّالِ ". قَالَ وَجَاءَتْ صَدَقَاتُهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذِهِ صَدَقَاتُ قَوْمِنَا ". وَكَانَتْ سَبِيَّةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ عَائِشَةَ. فَقَالَ " أَعْتِقِيهَا فَإِنَّهَا مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ ".
Narrated Abu Huraira:
I have loved the people of the tribe of Bani Tamim ever since I heard, three things, Allah's Messenger (ﷺ) said about them. I heard him saying, These people (of the tribe of Bani Tamim) would stand firm against Ad-Dajjal." When the Sadaqat (gifts of charity) from that tribe came, Allah's Messenger (ﷺ) said, "These are the Sadaqat (i.e. charitable gifts) of our folk." `Aisha had a slave-girl from that tribe, and the Prophet (ﷺ) said to `Aisha, "Manumit her as she is a descendant of Ishmael (the Prophet).