পরিচ্ছেদঃ ১. ন্যায়বিচারে উৎসাহ প্রদান
রেওয়ায়ত ১. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী উম্মে সালমা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, আমি একজন মানুষ, তোমরা আমার নিকট ঝগড়া-বিবাদ লইয়া আস। এমনও হইতে পারে যে, একে অপরের তুলনায় অধিক চালাকী ও চাতুরির আশ্রয় লইবে এবং নিজ দাবি প্রমাণিত করিবে এবং আমি তাহার বাহ্যিক প্রমাণের দিকে লক্ষ্য করিয়া তাহার পক্ষে রায় দিয়া দিব। সুতরাং এমতাবস্থায় যদি আমি অপরের হক কাহাকেও দিয়া দেই তবে তাহার জন্য উক্ত বস্তু গ্রহণ করা উচিত নহে। কেননা উহা তাহার জন্য আগুনের টুকরা।
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْقَضَاءِ بِالْحَقِّ
حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَإِنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ إِلَيَّ فَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ مِنْ بَعْضٍ فَأَقْضِيَ لَهُ عَلَى نَحْوِ مَا أَسْمَعُ مِنْهُ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِشَيْءٍ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ فَلَا يَأْخُذَنَّ مِنْهُ شَيْئًا فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنْ النَّارِ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father from Zaynab bint Abi Salama from Umm Salama, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "I am but a man to whom you bring your disputes. Perhaps one of you is more eloquent in his proof than the other, so I give judgement according to what I have heard from him. Whatever I decide for him which is part of the right of his brother, he must not take any of it, for I am granting him a portion of the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ১. ন্যায়বিচারে উৎসাহ প্রদান
রেওয়ায়ত ২. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, একদা উমর (রাঃ)-এর দরবারে এক ইহুদী ও এক মুসলিম কোন বিবাদ লইয়া আসিল। উমর (রাঃ) বুঝিতে পারিলেন যে, ইহুদীর দাবি সত্য। তাই ইহুদীর সপক্ষে রায় দিয়া দিলেন। ইহুদী সর্বশেষে বলিল, আল্লাহর কসম, আপনি হক ফায়সালা করিয়াছেন। ইহা শুনিয়া উমর (রাঃ) তাহাকে বেত্র দ্বারা আঘাত করিয়া বলিলেন, কিভাবে জানিতে পারিয়াছ যে, এই বিচার হক হইয়াছে? ইহুদী বলিল, আমি আমাদের আসমানী কিতাবে দেখিয়াছি যে, যে বিচারক সত্য ফয়সালা করে তাহার ডান দিকের এবং বাম দিকের কাধে একজন করিয়া ফেরেশতা থাকেন। তাহারা তাহাকে শক্তিশালী রাখে এবং সৎ পথ দেখাইতে থাকে যতক্ষণ সে হকের উপর থাকে। আর যদি সে হককে ছাড়িয়া দেয় তবে ফেরেশতারাও তাহাকে ছাড়িয়া ঊর্ধ্বজগতে উঠিয়া যায়।
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْقَضَاءِ بِالْحَقِّ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ اخْتَصَمَ إِلَيْهِ مُسْلِمٌ وَيَهُودِيٌّ فَرَأَى عُمَرُ أَنَّ الْحَقَّ لِلْيَهُودِيِّ فَقَضَى لَهُ فَقَالَ لَهُ الْيَهُودِيُّ وَاللَّهِ لَقَدْ قَضَيْتَ بِالْحَقِّ فَضَرَبَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بِالدِّرَّةِ ثُمَّ قَالَ وَمَا يُدْرِيكَ فَقَالَ لَهُ الْيَهُودِيُّ إِنَّا نَجِدُ أَنَّهُ لَيْسَ قَاضٍ يَقْضِي بِالْحَقِّ إِلَّا كَانَ عَنْ يَمِينِهِ مَلَكٌ وَعَنْ شِمَالِهِ مَلَكٌ يُسَدِّدَانِهِ وَيُوَفِّقَانِهِ لِلْحَقِّ مَا دَامَ مَعَ الْحَقِّ فَإِذَا تَرَكَ الْحَقَّ عَرَجَا وَتَرَكَاهُ
Malik related to me from Yahya ibn Said from Said ibn al-Musayyab that Umar ibn al-Khattab had a dispute brought to him between a muslim and a jew. Umar saw that the right belonged to the jew and decided in his favour. The jew said to him, "By Allah! You have judged correctly.'' So Umar ibn al-Khattab struck him with a whip and said, "How can you be sure." The jew said to him, "We find that there is no judge who judges correctly but that there is an angel on his right side and an angel on his left side who guide him and give him success in the truth as long as he is with the truth. When he leaves the truth, they rise and leave him."
পরিচ্ছেদঃ ২. সাক্ষ্য প্রদান
রেওয়ায়ত ৩. যায়দ ইবন খালেদ জুহানী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, আমি কি তোমাদিগকে সর্বোত্তম সাক্ষীর কথা বলিব? তাহা হইল, যে জিজ্ঞাসা করার পূর্বেই সাক্ষ্য প্রদান করে অথবা যে সাক্ষ্য প্রদান করে তাহাকে জিজ্ঞাসা করার পূর্বেই।
بَاب مَا جَاءَ فِي الشَّهَادَاتِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ عَنْ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ الشُّهَدَاءِ الَّذِي يَأْتِي بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا أَوْ يُخْبِرُ بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Muhammad ibn Amr ibn Hazm from his father from Abdullah ibn Amr ibn Uthman from Abu Amra al-Ansari from Zayd ibn Khalid al-Juhani that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Shall I not tell you who is the best of witnesses? The one who brings his testimony before he is asked for it, or tells his testimony before he is asked for it."
পরিচ্ছেদঃ ২. সাক্ষ্য প্রদান
রেওয়ায়ত ৪. রাবিয়া ইবন আবি আবদির রহমান হইতে বর্ণিত যে, উমর (রাঃ)-এর দরবারে ইরাক হইতে এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, আমি এমন এক ব্যাপার লইয়া আসিয়াছি যাহার কোন আগ-পাছ কিছুই নাই। উমর (রাঃ) বলিলেন, “তাহা কি?” সে বলিল আমাদের দেশে মিথ্যা সাক্ষ্য ছড়াইয়া পড়িয়াছে। উমর (রাঃ) বলিলেন, তুমি কি সত্যই বলিতেছ? সে বলিল, হ্যাঁ, তখন উমর (রাঃ) বলিলেন, ভবিষ্যতে নির্ভরযোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য ব্যতীত কোন মুসলিমকে কয়েদ করা যাইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উমর (রাঃ) বলেন যে, শত্রু এবং দীনের ব্যাপারে দোষারোপ করা হইয়াছে এমন লোকদের সাক্ষ্য জায়েয হইবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الشَّهَادَاتِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ قَالَ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَقَالَ لَقَدْ جِئْتُكَ لِأَمْرٍ مَا لَهُ رَأْسٌ وَلَا ذَنَبٌ فَقَالَ عُمَرُ مَا هُوَ قَالَ شَهَادَاتُ الزُّورِ ظَهَرَتْ بِأَرْضِنَا فَقَالَ عُمَرُ أَوَ قَدْ كَانَ ذَلِكَ قَالَ نَعَمْ فَقَالَ عُمَرُ وَاللَّهِ لَا يُؤْسَرُ رَجُلٌ فِي الْإِسْلَامِ بِغَيْرِ الْعُدُولِ وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَا تَجُوزُ شَهَادَةُ خَصْمٍ وَلَا ظَنِينٍ
Malik related to me that Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman said, "An Iraqi man came before Umar ibn al-Khattab and said, 'I have come to you because of a matter which has no beginning and no end.' Umar said, 'What is it?' The man said, 'False testimony has appeared in our land.' Umar said, 'Is that so?' He said, 'Yes.' Umar said, 'By Allah! A man is not detained in Islam without just witnesses.' "
Malik related to me that Umar ibn al-Khattab said, "The testimony of some one known to bear a grudge or to be unreliable is not accepted."
পরিচ্ছেদঃ ৩. অপবাদকারীর সাক্ষ্যের ফয়সালা করা
মালিক (রহঃ) বলেন যে, সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ)-সহ আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল যে, যে ব্যক্তি অপবাদের দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত তাহার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হইবে কি? তাহারা বলিলেন, হ্যাঁ যখন সে তওবা করিয়াছে বলিয়া জানা যাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, ইমাম জুহরী (রহঃ)-কে ঐরুপ প্রশ্ন করা হইয়াছিল। তিনিও সুলায়মান ইবন ইয়াসারের মতো উত্তর দিয়াছিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার মতও অনুরূপ, কেননা আল্লাহ্ তা’আলা বলেন যে, যে ব্যক্তি নেককার স্ত্রীলোকের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয় এবং চারজন সাক্ষী হাযির করিতে না পারে তবে তাহাদিগকে আশি দোররা মার, অতঃপর কোন সময় তাহার সাক্ষ্য কবুল করিও না, কেননা, ইহারাই পাপাচারী। হ্যাঁ, পরে যাহারা তওবা করিয়া নেয় এবং সংশোধন হইয়া যায় তবে আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমাকারী ও দয়াবান। মালিক (রহঃ) বলেন, এই ব্যাপারে আমাদের নিকট কোন মতভেদ নাই যে, যাহার উপরে অপবাদের শাস্তি হইয়াছে অতঃপর সংশোধন হইয়াছে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করা যায় এবং আমি যাহা এই ব্যাপারে জানিয়াছি, তাহার মধ্যে ইহাই খুব পছন্দনীয় কথা।
بَاب الْقَضَاءِ فِي شَهَادَةِ الْمَحْدُودِ
قَالَ يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ وَغَيْرِهِ أَنَّهُمْ سُئِلُوا عَنْ رَجُلٍ جُلِدَ الْحَدَّ أَتَجُوزُ شَهَادَتُهُ فَقَالُوا نَعَمْ إِذَا ظَهَرَتْ مِنْهُ التَّوْبَةُ وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يُسْأَلُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا وَذَلِكَ لِقَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُولَئِكَ هُمْ الْفَاسِقُونَ إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَأَصْلَحُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّ الَّذِي يُجْلَدُ الْحَدَّ ثُمَّ تَابَ وَأَصْلَحَ تَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَهُوَ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ
Yahya said from Malik that he heard from Sulayman ibn Yasar and others that when they were asked whether the testimony of a man flogged for a hadd crime was permitted, they said, "Yes, when repentance (tawba) appears from him."
Malik related to me that he heard Ibn Shihab being asked about that and he said the like of what Sulayman ibn Yasar said.
Malik said, "That is what is done in our community. It is by the word of Allah, the Blessed, the Exalted, 'And those who accuse women who are muhsan, and then do not bring four witnesses, flog them with eighty lashes, and do not accept any testimony of theirs ever. They indeed are evil-doers, save those who turn in tawba after that and make amends. Allah is Forgiving, Merciful.' " (Sura 24 ayat 4).
পরিচ্ছেদঃ ৪. সাক্ষীসহ কসমের সাথে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ৫. জাফর সাদিক (রহঃ) তাহার পিতা মুহাম্মদ (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাক্ষী ও কসমের উপর ফয়সালা করিয়াছেন।
بَاب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
Yahya said, "Malik said from Jafar ibn Muhammad from his father that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, pronounced judgement on the basis of an oath with one witness."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সাক্ষীসহ কসমের সাথে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ৬. আবূ যিনাদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত যে, উমর ইবন আবদিল আযীয (রহঃ) কুফার শাসনকর্তা আবদুল হামিদ ইবন আবদির রহমানকে লিখিয়া পাঠাইলেন যে, সাক্ষীর সাথে কসম গ্রহণ করিয়া ফয়সালা করিয়া লইতে পার।
بَاب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
وَعَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ وَهُوَ عَامِلٌ عَلَى الْكُوفَةِ أَنْ اقْضِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
From Malik from Abu'z-Zinad that Umar ibn Abd al-Aziz wrote to Abd al-Hamid ibn Abd ar-Rahman ibn Zayd ibn al-Khattab who was the governor of Kufa, "Pronounce judgement on the basis of an oath with one witness."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সাক্ষীসহ কসমের সাথে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রহঃ) বলেন যে, আবু সালমা ও সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল যে, সাক্ষী ও কসমের দ্বারা ফয়সালা করা যাইবে কি? উত্তরে তাহারা বলিলেন, হ্যাঁ।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, একজন সাক্ষীর সাথে বাঁদীর কসম গ্রহণের প্রথা পূর্ব হইতে প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। সে যদি কসম করে তবে তাহার দাবি প্রমাণিত হইবে। আর যদি সে কসম করিতে ভয় পায় অথবা অস্বীকার করে তবে বিবাদীকে কসম দেওয়া হইবে। যদি বিবাদী কসম করিয়া নেয় তবে ঐ হক (পাওনা) বিবাদীর উপর হইতে এড়াইয়া যাইবে। আর যদি সেও কসম করিতে অস্বীকার করে তবে পুনরায় বাঁদীর দাবি তাহার উপর ন্যস্ত হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, কসমসহ সাক্ষ্য শুধু মালের বেলায় চলিবে, হুদুদ (শরীয়তের শাস্তি), বিবাহ, তালাক, গোলাম আযাদ, চুরি ও অপবাদের মধ্যে চলিবে না। অতঃপর যদি কেহ বলে যে, গোলাম আযাদ মালের মধ্যে শামিল, তবে সে ভুল করিবে। কারণ ব্যাপার অন্য রকম, যদি এমন হইত যে, সে বলিয়াছে তবে গোলাম একজন সাক্ষীসহ হাযির হইলে কসম লইয়া তাহাকে আযাদ করিয়া দেওয়া উচিত ছিল। আর যদি গোলাম একজন সাক্ষী আনে কোন মালের ব্যাপারে যে, সে মালিকের উপর দাবি করে তবে সেই ক্ষেত্রে একজন সাক্ষীসহ কসম লওয়া হইবে এবং তাহার হক প্রমাণিত হইবে। যেমন আযাদ মানুষ হলফ করিলে হয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট গ্রহণযোগ্য নিয়ম এই যে, গোলাম যদি তাহার আযাদ হওয়ার সপক্ষে একজন সাক্ষী লইয়া আসে তবে তাহার মনিবকে কসম দেওয়া হইবে যে, তাহার গোলামকে আযাদ করে নাই। তাহা হইলেই গোলামের আযাদী প্রমাণিত হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, এই নিয়ম তালাকের ব্যাপারেও। যদি কোন স্ত্রী লোক তালাকের ব্যাপারে একজন সাক্ষী লইয়া আসে তবে স্বামীকেও কসম করানো হইবে। যদি স্বামী তালাক না দেওয়ার উপর কসম করে তবে তালাক প্রমাণিত হইবে না। মালিক (রহঃ) বলেন যে, এইভাবেই তালাক ও আযাদ-এর সাক্ষ্যের মধ্যে এক সাক্ষী থাকিলে স্বামী ও মনিবকে কসম করানো হইবে। কেননা আযাদ করা (ই’তাক) একটি শরীয়তী সীমারেখার মধ্য হইতে একটি, তাহার মধ্যে স্ত্রীলোকদের সাক্ষ্য জায়েয নাই। কেননা গোলাম আযাদ হইয়া গেলেই তাহার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হইয়া যায় এবং তাহার কারণে শাস্তি অন্যের উপর পতিত হয় এবং অন্যের কারণে শাস্তি তাহার উপর পতিত হয়। সে যদি যিনা করে এবং বিবাহিত হয় তবে তাহাকে রজম (প্রস্তর নিক্ষেপ) করা হইবে। আর যদি সে হত্যা করে তবে তাহার বদলায় তাহাকেও হত্যা করা হইবে এবং তাহার ওয়ারিসগণ মীরাস দাবি করিতে পারিবে। কেহ যদি প্রশ্ন করে যে, যদি কোন মনিব তাহার গোলামকে আযাদ করে এবং কোন ব্যক্তি আসিয়া গোলামের মনিবের নিকট নিজের কর্জ দাবি করে এবং তাহার সপক্ষে একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলাকে সাক্ষীরূপে পেশ কবে তবে মনিবের উপর কর্য প্রমাণিত হইয়া যাইবে। আর যদি মনিবের নিকট এই গোলাম ছাড়া আর কোন সম্পদ না থাকে তবে গোলামের আযাদী ভঙ্গ হইয়া যাইবে। ইহার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আযাদীর ব্যাপারে মেয়েদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। তাহার উত্তর এই যে, এখানে মেয়েদের সাক্ষ্য কর্জ প্রমাণের জন্য গ্রহণযোগ্য। গোলাম আযাদের ব্যাপারে নহে। তাহার উদাহরণ এইরূপ যে, যদি কোন লোক তাহার গোলামকে আযাদ করিয়া দেয়, অতঃপর তাহার পাওনাদারগণ এক সাক্ষী ও কসমের দ্বারা নিজের দাবি প্রমাণিত করে এবং ইহার কারণে গোলামের আযাদী বাতিল করিয়া দেওয়া হইবে। অথবা কেহ গোলামের মনিবের উপর কর্জের দাবি করে এবং সাক্ষী না থাকে তবে মনিব হইতে কসম গ্রহণ করা হইবে। যদি কসম করিতে অস্বীকার করে তবে বাদীর নিকট হইতে কসম লওয়া হইবে এবং কর্জ মনিবের উপর প্রমাণিত হইবে এবং গোলামের আযাদী বাতিল হইবে। এমনিভাবে যদি কেহ কোন দাসীকে বিবাহ করে এবং দাসীর মনিব স্বামীকে বলে যে, তুমি এবং অমুক ব্যক্তি মিলিয়া আমার অমুক দাসীকে এত টাকায় খরিদ করিয়াছ। স্বামী সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করিল। এদিকে মনিব যদি একজন পুরুষ ও দুইজন স্ত্রী লোক সাক্ষীরূপে পেশ করে তবে এই অবস্থাতে বিক্রয় প্রমাণিত হইয়া যাইবে এবং সে হকদার হইয়া যাইবে ও বিবাহ হারাম হইয়া যাইবে এবং বিবাহ ভঙ্গ হইয়া যাইবে। অথচ স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য তালাকের ব্যাপারে জায়েয নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এইরূপভাবে যদি কেহ কোন আযাদ লোকের প্রতি যিনার অপবাদ দেয় তবে তাহার উপর শরীয়তের হুদুদ (শাস্তি) আসিবে। আর যদি একজন পুরুষ ও দুইজন স্ত্রীলোককে সাক্ষীরূপে আনে এবং তাহারা সাক্ষ্য দেয় যে, যাহার উপর অপবাদ দেওয়া হইতেছে সে গোলাম তবে অপবাদকারীর উপর হইতে শাস্তি রহিত হইয়া যাইবে। অথচ স্ত্রীলোকদের সাক্ষ্য অপবাদের মধ্যে চলে না।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, যাহার মধ্যে বিচার ভিন্নরূপ হয় তাহার উদাহরণ এইরূপ — যেমন দুইজন স্ত্রীলোক সাক্ষ্য দিল যে, এই বাচ্চা জীবিত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হইয়াছে, তাহা হইলে এই বাচ্চার জন্য মীরাস প্রমাণিত হইবে এবং এই সন্তানের উত্তরাধিকার যে সেই মীরাসের মালিক হইবে, যদি সন্তান মৃত্যুবরণ করে এইখানেও দুইজন স্ত্রীলোকের সাথে কোন পুরুষ নাই কিংবা কসমও নাই। কোন সময় মীরাসের মাল অনেক হইয়া থাকে, যেমন স্বর্ণ, রৌপ্য, জমি, বাগান, গোলাম, ইহা ছাড়া অন্যান্য সম্পদ আর যদি একটি দিরহাম অথবা তাহাঁর চাইতেও কম বা অধিক মালের ব্যাপারে দুইজন স্ত্রীলোক সাক্ষ্য প্রদান কবে তবে তাহদের সাক্ষ্যের দ্বারা কোন পরিবর্তন হইবে না এবং কার্যকরীও হইবে না, যতক্ষণ তাহাদের সাথে একজন পুরুষ সাক্ষ্য না থাকিবে অথবা কসম না থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, কোন কোন লোক বলে যে, একজন সাক্ষীর সাথে কসম প্রয়োজন হয় না এবং দলীলস্বরূপ এই আয়াত পেশ করে, “আল্লাহর কথা সত্য; যদি দুইজন পুরুষ না পাওয়া যায় তবে একজন পুরুষ ও দুইজন স্ত্রীলোককে, যাহারা তোমাদের মনঃপূত হয় সাক্ষী মনোনীত কর।” তাহারা বলে যে,
একজন পুরুষ ও দুইজন স্ত্রীলোক না হইলে তাহাদের জন্য কিছুই নাই। একজন সাক্ষীর সঙ্গে কসমও গ্রহণ করা হয় না।
মালিক (রহঃ) উত্তরে বলেনঃ যাহারা এরূপ বলে, তাহাদের বলা হইবে যে, তুমি কি দেখ না যে যদি কেহ কাহারো নিকট অর্থ দাবি করে তবে বিবাদীর নিকট হইতে কি কসম লওয়া হয় না? যদি সে কসম করে তবে তাহার উপর দাবিকৃত হক বাতিল হইয়া যায়। আর যদি সে কসম করিতে অস্বীকার করে তবে দাবিদারকে কসম দেওয়া হইবে যে, তাহার দাবি সত্য, তাহা হইলে হক তাহার উপর অবধারিত হইয়া যাইবে। এই মাসআলায় কোন মানুষের মতভেদ নাই, আর কোন দেশের লোকেরও ইহাতে মতভেদ নাই। তবে তোমরা এই কথা কোথা হইতে আনিয়াছ? এবং আল্লাহর কোন কিতাব হইতে সংগ্রহ করিয়াছ? যদি তোমাদের নিকট ইহা জায়েয থাকে তবে একজন সাক্ষীর সাথে কসমের কথাও স্বীকার করিয়া লও। ইহা যদিও কুরআনে নাই, হাদীসে তো আছে। এই ব্যাপারে যেই সমস্ত হাদীস বর্ণিত হইয়াছে তাহাই যথেষ্ট, কিন্তু যদি সত্য কথা পাওয়া যায় তাহা মানিয়া লওয়াই কর্তব্য এবং দলীলের বিষয়গুলি দেখা প্রয়োজন। আল্লাহর ইচ্ছায় কঠিন বিষয় সহজ হইয়া যাইবে।
بَاب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ سُئِلَا هَلْ يُقْضَى بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ فَقَالَا نَعَمْ قَالَ مَالِك مَضَتْ السُّنَّةُ فِي الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ يَحْلِفُ صَاحِبُ الْحَقِّ مَعَ شَاهِدِهِ وَيَسْتَحِقُّ حَقَّهُ فَإِنْ نَكَلَ وَأَبَى أَنْ يَحْلِفَ أُحْلِفَ الْمَطْلُوبُ فَإِنْ حَلَفَ سَقَطَ عَنْهُ ذَلِكَ الْحَقُّ وَإِنْ أَبَى أَنْ يَحْلِفَ ثَبَتَ عَلَيْهِ الْحَقُّ لِصَاحِبِهِ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ فِي الْأَمْوَالِ خَاصَّةً وَلَا يَقَعُ ذَلِكَ فِي شَيْءٍ مِنْ الْحُدُودِ وَلَا فِي نِكَاحٍ وَلَا فِي طَلَاقٍ وَلَا فِي عَتَاقَةٍ وَلَا فِي سَرِقَةٍ وَلَا فِي فِرْيَةٍ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ فَإِنَّ الْعَتَاقَةَ مِنْ الْأَمْوَالِ فَقَدْ أَخْطَأَ لَيْسَ ذَلِكَ عَلَى مَا قَالَ وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى مَا قَالَ لَحَلَفَ الْعَبْدُ مَعَ شَاهِدِهِ إِذَا جَاءَ بِشَاهِدٍ أَنَّ سَيِّدَهُ أَعْتَقَهُ وَأَنَّ الْعَبْدَ إِذَا جَاءَ بِشَاهِدٍ عَلَى مَالٍ مِنْ الْأَمْوَالِ ادَّعَاهُ حَلَفَ مَعَ شَاهِدِهِ وَاسْتَحَقَّ حَقَّهُ كَمَا يَحْلِفُ الْحُرُّ قَالَ مَالِك فَالسُّنَّةُ عِنْدَنَا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا جَاءَ بِشَاهِدٍ عَلَى عَتَاقَتِهِ اسْتُحْلِفَ سَيِّدُهُ مَا أَعْتَقَهُ وَبَطَلَ ذَلِكَ عَنْهُ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ السُّنَّةُ عِنْدَنَا أَيْضًا فِي الطَّلَاقِ إِذَا جَاءَتْ الْمَرْأَةُ بِشَاهِدٍ أَنَّ زَوْجَهَا طَلَّقَهَا أُحْلِفَ زَوْجُهَا مَا طَلَّقَهَا فَإِذَا حَلَفَ لَمْ يَقَعْ عَلَيْهِ الطَّلَاقُ قَالَ مَالِك فَسُنَّةُ الطَّلَاقِ وَالْعَتَاقَةِ فِي الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ وَاحِدَةٌ إِنَّمَا يَكُونُ الْيَمِينُ عَلَى زَوْجِ الْمَرْأَةِ وَعَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ وَإِنَّمَا الْعَتَاقَةُ حَدٌّ مِنْ الْحُدُودِ لَا تَجُوزُ فِيهَا شَهَادَةُ النِّسَاءِ لِأَنَّهُ إِذَا عَتَقَ الْعَبْدُ ثَبَتَتْ حُرْمَتُهُ وَوَقَعَتْ لَهُ الْحُدُودُ وَوَقَعَتْ عَلَيْهِ وَإِنْ زَنَى وَقَدْ أُحْصِنَ رُجِمَ وَإِنْ قَتَلَ الْعَبْدَ قُتِلَ بِهِ وَثَبَتَ لَهُ الْمِيرَاثُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَنْ يُوَارِثُهُ فَإِنْ احْتَجَّ مُحْتَجٌّ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ عَبْدَهُ وَجَاءَ رَجُلٌ يَطْلُبُ سَيِّدَ الْعَبْدِ بِدَيْنٍ لَهُ عَلَيْهِ فَشَهِدَ لَهُ عَلَى حَقِّهِ ذَلِكَ رَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ فَإِنَّ ذَلِكَ يُثْبِتُ الْحَقَّ عَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ حَتَّى تُرَدَّ بِهِ عَتَاقَتُهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ لِسَيِّدِ الْعَبْدِ مَالٌ غَيْرُ الْعَبْدِ يُرِيدُ أَنْ يُجِيزَ بِذَلِكَ شَهَادَةَ النِّسَاءِ فِي الْعَتَاقَةِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ عَلَى مَا قَالَ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ الرَّجُلُ يَعْتِقُ عَبْدَهُ ثُمَّ يَأْتِي طَالِبُ الْحَقِّ عَلَى سَيِّدِهِ بِشَاهِدٍ وَاحِدٍ فَيَحْلِفُ مَعَ شَاهِدِهِ ثُمَّ يَسْتَحِقُّ حَقَّهُ وَتُرَدُّ بِذَلِكَ عَتَاقَةُ الْعَبْدِ أَوْ يَأْتِي الرَّجُلُ قَدْ كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَيِّدِ الْعَبْدِ مُخَالَطَةٌ وَمُلَابَسَةٌ فَيَزْعُمُ أَنَّ لَهُ عَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ مَالًا فَيُقَالُ لِسَيِّدِ الْعَبْدِ احْلِفْ مَا عَلَيْكَ مَا ادَّعَى فَإِنْ نَكَلَ وَأَبَى أَنْ يَحْلِفَ حُلِّفَ صَاحِبُ الْحَقِّ وَثَبَتَ حَقُّهُ عَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ فَيَكُونُ ذَلِكَ يَرُدُّ عَتَاقَةَ الْعَبْدِ إِذَا ثَبَتَ الْمَالُ عَلَى سَيِّدِهِ قَالَ وَكَذَلِكَ أَيْضًا الرَّجُلُ يَنْكِحُ الْأَمَةَ فَتَكُونُ امْرَأَتَهُ فَيَأْتِي سَيِّدُ الْأَمَةِ إِلَى الرَّجُلِ الَّذِي تَزَوَّجَهَا فَيَقُولُ ابْتَعْتَ مِنِّي جَارِيَتِي فُلَانَةَ أَنْتَ وَفُلَانٌ بِكَذَا وَكَذَا دِينَارًا فَيُنْكِرُ ذَلِكَ زَوْجُ الْأَمَةِ فَيَأْتِي سَيِّدُ الْأَمَةِ بِرَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ فَيَشْهَدُونَ عَلَى مَا قَالَ فَيَثْبُتُ بَيْعُهُ وَيَحِقُّ حَقُّهُ وَتَحْرُمُ الْأَمَةُ عَلَى زَوْجِهَا وَيَكُونُ ذَلِكَ فِرَاقًا بَيْنَهُمَا وَشَهَادَةُ النِّسَاءِ لَا تَجُوزُ فِي الطَّلَاقِ قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا الرَّجُلُ يَفْتَرِي عَلَى الرَّجُلِ الْحُرِّ فَيَقَعُ عَلَيْهِ الْحَدُّ فَيَأْتِي رَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ فَيَشْهَدُونَ أَنَّ الَّذِي افْتُرِيَ عَلَيْهِ عَبْدٌ مَمْلُوكٌ فَيَضَعُ ذَلِكَ الْحَدَّ عَنْ الْمُفْتَرِي بَعْدَ أَنْ وَقَعَ عَلَيْهِ وَشَهَادَةُ النِّسَاءِ لَا تَجُوزُ فِي الْفِرْيَةِ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَيْضًا مِمَّا يَفْتَرِقُ فِيهِ الْقَضَاءُ وَمَا مَضَى مِنْ السُّنَّةِ أَنَّ الْمَرْأَتَيْنِ يَشْهَدَانِ عَلَى اسْتِهْلَالِ الصَّبِيِّ فَيَجِبُ بِذَلِكَ مِيرَاثُهُ حَتَّى يَرِثَ وَيَكُونُ مَالُهُ لِمَنْ يَرِثُهُ إِنْ مَاتَ الصَّبِيُّ وَلَيْسَ مَعَ الْمَرْأَتَيْنِ اللَّتَيْنِ شَهِدَتَا رَجُلٌ وَلَا يَمِينٌ وَقَدْ يَكُونُ ذَلِكَ فِي الْأَمْوَالِ الْعِظَامِ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَالرِّبَاعِ وَالْحَوَائِطِ وَالرَّقِيقِ وَمَا سِوَى ذَلِكَ مِنْ الْأَمْوَالِ وَلَوْ شَهِدَتْ امْرَأَتَانِ عَلَى دِرْهَمٍ وَاحِدٍ أَوْ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ لَمْ تَقْطَعْ شَهَادَتُهُمَا شَيْئًا وَلَمْ تَجُزْ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَعَهُمَا شَاهِدٌ أَوْ يَمِينٌ قَالَ مَالِك وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ لَا تَكُونُ الْيَمِينُ مَعَ الشَّاهِدِ الْوَاحِدِ وَيَحْتَجُّ بِقَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَقَوْلُهُ الْحَقُّ وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنْ الشُّهَدَاءِ يَقُولُ فَإِنْ لَمْ يَأْتِ بِرَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ فَلَا شَيْءَ لَهُ وَلَا يُحَلَّفُ مَعَ شَاهِدِهِ قَالَ مَالِك فَمِنْ الْحُجَّةِ عَلَى مَنْ قَالَ ذَلِكَ الْقَوْلَ أَنْ يُقَالَ لَهُ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا ادَّعَى عَلَى رَجُلٍ مَالًا أَلَيْسَ يَحْلِفُ الْمَطْلُوبُ مَا ذَلِكَ الْحَقُّ عَلَيْهِ فَإِنْ حَلَفَ بَطَلَ ذَلِكَ عَنْهُ وَإِنْ نَكَلَ عَنْ الْيَمِينِ حُلِّفَ صَاحِبُ الْحَقِّ إِنَّ حَقَّهُ لَحَقٌّ وَثَبَتَ حَقُّهُ عَلَى صَاحِبِهِ فَهَذَا مَا لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْ النَّاسِ وَلَا بِبَلَدٍ مِنْ الْبُلْدَانِ فَبِأَيِّ شَيْءٍ أَخَذَ هَذَا أَوْ فِي أَيِّ مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَجَدَهُ فَإِنْ أَقَرَّ بِهَذَا فَلْيُقْرِرْ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَأَنَّهُ لَيَكْفِي مِنْ ذَلِكَ مَا مَضَى مِنْ السُّنَّةِ وَلَكِنْ الْمَرْءُ قَدْ يُحِبُّ أَنْ يَعْرِفَ وَجْهَ الصَّوَابِ وَمَوْقِعَ الْحُجَّةِ فَفِي هَذَا بَيَانُ مَا أَشْكَلَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى
Malik related to me that he heard that Abu Salama ibn Abd ar- Rahman and Sulayman ibn Yasar were both asked, "Does one pronounce judgement on the basis of an oath with one witness?" They both said, "Yes."
Malik said, "The precedent of the sunna in judging by an oath with one witness is that if the plaintiff takes an oath with his witness, he is confirmed in his right. If he draws back and refuses to take an oath, the defendant is made to take an oath. If he takes an oath, the claim against him is dropped. If he refuses to take an oath, the claim is confirmed against him."
Malik said, "This procedure pertains to property cases in particular. It does not occur in any of the hadd-punishments, nor in marriage, divorce, freeing slaves, theft or slander. If some one says, 'Freeing slaves comes under property,' he has erred. It is not as he said. Had it been as he said, a slave could take an oath with one witness, if he could find one, that his master had freed him.
"However, when a slave lays claim to a piece of property, he can take an oath with one witness and demand his right as the freeman demands his right."
Malik said, "The sunna with us is that when a slave brings somebody who witnesses that he has been set free, his master is made to take an oath that he has not freed him, and the slave's claim is dropped."
Malik said, "The sunna about divorce is also like that with us. When a woman brings somebody who witnesses that her husband has divorced her, the husband is made to take an oath that he has not divorced her. If he takes the oath, the divorce does not proceed . "
Malik said, "There is only one sunna of bringing a witness in cases of divorce and freeing a slave. The right to make an oath only belongs to the husband of the woman, and the master of the slave. Freeing is a hadd matter, and the testimony of women is not permitted in it because when a slave is freed, his inviolability is affirmed and the hadd punishments are applied for and against him. If he commits fornication and he is a muhsan, he is stoned. If he kills a slave, he is killed for it. Inheritance is established for him, between him and whoever inherits from him. If somebody disputes this, arguing that if a man frees his slave and then a man comes to demand from the master of the slave payment of a debt, and a man and two women testify to his right, that establishes the right against the master of the slave so that his freeing him is cancelled if he only has the slave as property, inferring by this case that the testimony of women is permitted in cases of setting free. The case is not as he suggests (i.e. it is a case of property not freeing). It is like a man who frees his slave, and then the claimant of a debt comes to the master and takes an oath with one witness, demanding his right. By that, the freeing of the slave would be cancelled. Or else a man comes who has frequent dealings and transactions with the master of the slave. He claims that he is owed money by the master of the slave. Someone says to the master of the slave, 'Take an oath that you don't owe what he claims'. If he draws back and refuses to take an oath, the one making the claim takes an oath and his right against the master of the slave is confirmed. That would cancel the freeing of the slave if it is confirmed that property is owed by the master."
Malik said, "It is the same case with a man who marries a slave-girl and then the master of the slave-girl comes to the man who has married her and claims, 'You and so-and-so have bought my slave-girl from me for such an amount of dinars. The husband of the slave-girl denies that. The master of the slave-girl brings a man and two women and they testify to what he has said. The sale is confirmed and his claim is considered true. So the slave-girl is haram for her husband and they have to separate, even though the testimony of women is not accepted in divorce."
Malik said, "It is also the same case with a man who accuses a free man, so the hadd falls on him. A man and two women come and testify that the one accused is a slave. That would remove the hadd from the accused after it had befallen him, even though the testimony of women is not accepted in accusations involving hadd punishments."
Malik said, "Another similar case in which judgement appears to go against the precedent of the sunna is that two women testify that a child is born alive and so it is necessary for him to inherit if a situation arises where he is entitled to inherit, and the child's property goes to those who inherit from him, if he dies, and it is not necessary that the two women witnesses should be accompanied by a man or an oath even though it may involve vast properties of gold, silver, live-stock, gardens and slaves and other properties. However, had two women testified to one dirham or more or less than that in a property case, their testimony would not affect anything and would not be permitted unless there was a witness or an oath with them."
Malik said, "There are people who say that an oath is not acceptable with only one witness and they argue by the word of Allah the Blessed, the Exalted, and His word is the Truth, 'And call in to witness two witnesses, men; or if the two be not men, then one man and two women, such witnesses as you approve of.' (Sura 2 ayat 282). Such people argue that if he does not bring one man and two women, he has no claim and he is not allowed to take an oath with one witness."
Malik said, "Part of the proof against those who argue this, is to reply to them, 'Do you think that if a man claimed property from a man, the one claimed from would not swear that the claim was false?' If he swears, the claim against him is dropped. If he refuses to take an oath, the claimant is made to take an oath that his claim is true, and his right against his companion is established. There is no dispute about this with any of the people nor in any country. By what does he take this? In what place in the Book of Allah does he find it? So if he confirms this, let him confirm the oath with one witness, even if it is not in the Book of Allah, the Mighty, the Majestic! It is enough that this is the precedent of the sunna. However, man wants to recognise the proper course of action and the location of the proof. In this there is a clarification for what is obscure about that, if Allah ta'ala wills."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি মরিয়া গেলে এবং সেই ব্যক্তির নিকট কেহ ঋণ পাওনা থাকিলে কিংবা অন্য ব্যক্তির উপর সেই মৃত লোকের ঋণ পাওনা থাকিলে এবং উভয় অবস্থায় একজন সাক্ষী থাকিলে
মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি এমন ব্যক্তি মারা যায়, যে মানুষের কাছে পাওনা আছে এবং পাওনার উপরে একজন মাত্র সাক্ষী আছে। আর উক্ত মৃত ব্যক্তির উপরও অপরের দেনা আছে এবং তাহার উপর একজন সাক্ষী আছে। এই ব্যাপারে তাহার ওয়ারিসগণ তাহাদের হকের উপর যদি হলফ করিতে অস্বীকার করে তবে পাওনাদারগণ হলফ করিয়া তাহাদের পাওনা লইয়া যাইবে। যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে তবে তাহা ওয়ারিসগণ পাইবে না। কারণ তাহার হলফ করিতে অস্বীকার করিয়া তাহাদের স্বীয় হক ছাড়িয়া দিয়াছে। হ্যাঁ, ঐ সময় পাইবে যখন ওয়ারিসগণ বলে যে, আমরা জানিতাম না, যে কৰ্জ হইতে কিছুটা বাঁচিবে। আর বিচারক তাহাদের কথায় বুঝিতে পারে যে, তাহদের কথা সত্য তবে এখন হলফ লইয়া ঐ দেনা পরিশোধের পর সম্পদ হইতে অবশিষ্ট যাহা থাকে তাহা ওয়ারিসগণ লইয়া যাইবে।
بَاب الْقَضَاءِ فِيمَنْ هَلَكَ وَلَهُ دَيْنٌ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لَهُ فِيهِ شَاهِدٌ وَاحِدٌ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَهْلِكُ وَلَهُ دَيْنٌ عَلَيْهِ شَاهِدٌ وَاحِدٌ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ لَهُمْ فِيهِ شَاهِدٌ وَاحِدٌ فَيَأْبَى وَرَثَتُهُ أَنْ يَحْلِفُوا عَلَى حُقُوقِهِمْ مَعَ شَاهِدِهِمْ قَالَ فَإِنَّ الْغُرَمَاءَ يَحْلِفُونَ وَيَأْخُذُونَ حُقُوقَهُمْ فَإِنْ فَضَلَ فَضْلٌ لَمْ يَكُنْ لِلْوَرَثَةِ مِنْهُ شَيْءٌ وَذَلِكَ أَنَّ الْأَيْمَانَ عُرِضَتْ عَلَيْهِمْ قَبْلُ فَتَرَكُوهَا إِلَّا أَنْ يَقُولُوا لَمْ نَعْلَمْ لِصَاحِبِنَا فَضْلًا وَيُعْلَمُ أَنَّهُمْ إِنَّمَا تَرَكُوا الْأَيْمَانَ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَحْلِفُوا وَيَأْخُذُوا مَا بَقِيَ بَعْدَ دَيْنِهِ
Yahya said that Malik spoke about a man who died and had a debt owing to him and there was one witness, and some people had a debt against him and they had only one witness, and his heirs refused to take an oath on their rights with their witness. He said, "The creditors take an oath and take their rights. If there is anything left over, the heirs do not take any of it. That is because the oaths were offered to them before and they abandoned them, unless they say, 'We did not know that our companion had extra,' and it is known that they only abandoned the oaths because of that. I think that they should take an oath and take what remains after his debt."
পরিচ্ছেদঃ ৬. দাবির মীমাংসা
রেওয়ায়ত ৮. জামিল ইবন আবদির রহমান (রহঃ) উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ)-এর দরবারে হাযির হইয়া তাহার বিচার কার্য দেখিতেন। কোন লোক যদি কাহারো প্রতি কোন দাবি করিত তবে ইহার প্রতি খুব লক্ষ্য করিয়া দেখিতেন। অতঃপর যদি বলিতেন যে, তাহাদের মধ্যে (বাদী-বিবাদী) কাজে-কারবারে সমতা ও সামঞ্জস্য আছে, তবে বিবাদীকে কসম করাইতেন, না হয় কসম করাইতেন না।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, আমাদের কাছেও এই প্রথা যে, যদি কেহ কাহারো প্রতি কিছু দাবি করে তবে দেখিতে হইবে যে, যদি বাদী ও বিবাদীর মধ্যে সম্পর্ক ভাল থাকে এবং তাহারা সমপর্যায়ের হয় তবে বিবাদীকে কসম করাইতে হইবে। যদি সে কসম করে তবে বাদীর দাবি বিবাদী হইতে ছুটিয়া যাইবে। আর যদি বিবাদী কসম করিতে অস্বীকার করে তবে এই কসম বাদীর দিকে ফিরিয়া আসিবে। সুতরাং সেই অবস্থায় কসম করিয়া তাহার দাবি প্রমাণিত করিয়া আদায় করিয়া লইবে।
بَاب الْقَضَاءِ فِي الدَّعْوَى
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك عَنْ جَمِيلِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُؤَذِّنِ أَنَّهُ كَانَ يَحْضُرُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ يَقْضِي بَيْنَ النَّاسِ فَإِذَا جَاءَهُ الرَّجُلُ يَدَّعِي عَلَى الرَّجُلِ حَقًّا نَظَرَ فَإِنْ كَانَتْ بَيْنَهُمَا مُخَالَطَةٌ أَوْ مُلَابَسَةٌ أَحْلَفَ الَّذِي ادُّعِيَ عَلَيْهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ لَمْ يُحَلِّفْهُ
قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ مَنْ ادَّعَى عَلَى رَجُلٍ بِدَعْوَى نُظِرَ فَإِنْ كَانَتْ بَيْنَهُمَا مُخَالَطَةٌ أَوْ مُلَابَسَةٌ أُحْلِفَ الْمُدَّعَى عَلَيْهِ فَإِنْ حَلَفَ بَطَلَ ذَلِكَ الْحَقُّ عَنْهُ وَإِنْ أَبَى أَنْ يَحْلِفَ وَرَدَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعِي فَحَلَفَ طَالِبُ الْحَقِّ أَخَذَ حَقَّهُ
Yahya said, "Malik said about Jamil ibn Abd ar-Rahman al-Muadhdin that he was present with Umar ibn Abd al-Aziz when he was judging between people. If a man came to him with a claim against a man, he examined whether or not there were frequent transactions and dealings between them. If there were, the defendant could make an oath. If there was nothing of that nature he did not accept an oath from him."
Malik summed up, "What is done in our community is that if some one makes a claim against a man, it is examined. If there are frequent transactions and dealings between them, the defendant is made to take an oath. If he takes an oath, the claim against him is dropped. If the defendant refuses to take an oath, and returns the oath to the claimant, the one claiming his right takes an oath and takes his due."
পরিচ্ছেদঃ ৭. বালকদের সাক্ষ্যের উপর ফয়সালা
রেওয়ায়ত ৯. হিশাম ইবন উরওয়াহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রহঃ) বালকদের সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করিয়া তাহাদের মারামারির বিচার করিয়া দিতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই হুকুম যে, যদি বালকগণ একে অপরকে আহত করিয়া দেয় তবে তাহাদের সাক্ষ্য বৈধ। ইহা ছাড়া অন্য মামলায় তাহা বৈধ হইবে না। ইহা ঐ সময় হইবে যখন ঝগড়া করিয়া সেখানেই থাকে, অন্যত্র না গিয়া থাকে। যদি অন্যত্র চলিয়া যায় তবে তাহাদের সাক্ষ্য জায়েয নহে। যতক্ষণ না কোন নির্ভরযোগ্য মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং বালকগণও ঐখানেই থাকে।
بَاب الْقَضَاءِ فِي شَهَادَةِ الصِّبْيَانِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ يَقْضِي بِشَهَادَةِ الصِّبْيَانِ فِيمَا بَيْنَهُمْ مِنْ الْجِرَاحِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ شَهَادَةَ الصِّبْيَانِ تَجُوزُ فِيمَا بَيْنَهُمْ مِنْ الْجِرَاحِ وَلَا تَجُوزُ عَلَى غَيْرِهِمْ وَإِنَّمَا تَجُوزُ شَهَادَتُهُمْ فِيمَا بَيْنَهُمْ مِنْ الْجِرَاحِ وَحْدَهَا لَا تَجُوزُ فِي غَيْرِ ذَلِكَ إِذَا كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَتَفَرَّقُوا أَوْ يُخَبَّبُوا أَوْ يُعَلَّمُوا فَإِنْ افْتَرَقُوا فَلَا شَهَادَةَ لَهُمْ إِلَّا أَنْ يَكُونُوا قَدْ أَشْهَدُوا الْعُدُولَ عَلَى شَهَادَتِهِمْ قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقُوا
Yahya said, "Malik said from Hisham ibn Urwa that Abdullah ibn az-Zubayr gave judgment based on the testimony of children concerning the injuries between them."
Malik said, "The generally agreed on way of doing things in our community is that the testimony of children is permitted concerning injuries between them. It is not accepted about anything else. It is only permitted between them if they testify before they leave the scene of the incident and have been deceived or instructed. If they leave the scene, they have no testimony unless they call just witnesses to witness their testimony before they leave."
পরিচ্ছেদঃ ৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিম্বরে মিথ্যা কসম করা
রেওয়ায়ত ১০. জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, আমার মিম্বরে যে মিথ্যা কসম করে সে যেন তাহার স্থান দোযখে বানাইয়া লয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْحِنْثِ عَلَى مِنْبَرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَالَ يَحْيَى حَدَّثَنَا مَالِك عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِسْطَاسٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ حَلَفَ عَلَى مِنْبَرِي آثِمًا تَبَوَّأَ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ
Yahya said, Malik related to us from Hisham ibn Hisham ibn Utba ibn Abi Waqqas from Abdullah ibn Nistas from Jabir ibn Abdullah al- Ansari that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'If someone swears a false oath near this mimbar of mine, he will take his seat in the fire.'
পরিচ্ছেদঃ ৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিম্বরে মিথ্যা কসম করা
রেওয়ায়ত ১১. আবু উমামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম করিয়া কোন মুসলিম ভাইয়ের সম্পদ আত্মসাৎ করে তাহার জন্য আল্লাহ তা’আলা বেহেশত হারাম করিয়া দিবেন এবং দোযখ ওয়াজিব করিয়া দিবেন। সাহাবীগণ বলিলেন, যদি সামান্য জিনিসও হয় তবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, যদিও পিলু গাছের একটি ডাল হয়, যদিও পিলু গাছের একটি ডাল হয়, যদিও পিলু গাছের একটি ডাল হয়, তিনি এই বাক্যকে তিনবার বলিয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْحِنْثِ عَلَى مِنْبَرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبٍ السَّلَمِيِّ عَنْ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اقْتَطَعَ حَقَّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ بِيَمِينِهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَأَوْجَبَ لَهُ النَّارَ قَالُوا وَإِنْ كَانَ شَيْئًا يَسِيرًا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ وَإِنْ كَانَ قَضِيبًا مِنْ أَرَاكٍ وَإِنْ كَانَ قَضِيبًا مِنْ أَرَاكٍ وَإِنْ كَانَ قَضِيبًا مِنْ أَرَاكٍ قَالَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
Malik related to me from al-Ala ibn Abd ar-Rahman from Mabad ibn Kab as-Salami from his brother Abdullah ibn Kab ibn Malik al-Ansari from Abu Umama that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Whoever cuts off the right of a muslim man by his oath, Allah forbids him the Garden and obliges the Fire for him." They said, "Even if it is something insignificant, Messenger of Allah?" He said, "Even if it is a tooth-stick, even if it is a tooth- stick," repeating it three times.
পরিচ্ছেদঃ ৯. মিম্বরের উপরে কসম করা
রেওয়ায়ত ১২. আবু গাতফান (রহঃ) হইতে বর্ণিত যে, যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) ও ইবন মুতী-এর মধ্যে একটি ঘরের ব্যাপারে ঝগড়া হইয়া যায়। অবশেষে তাহারা ইহার বিচার মারওয়ানের নিকট লইয়া গেলেন। সেই সময় তিনি মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন। মারওয়ান বলিলেন, যায়দ ইবন সাবিত মিম্বরের উপর উঠিয়া কসম করিয়া নিক। যায়দ (রাঃ) বললেন, আমি আমার স্থানে দাঁড়াইয়া কসম করিয়া লই। মারওয়ান বলিলেন, আল্লাহর কসম, ইহা হইতে পারে না। অন্য লোকেরা যেখানে তাহাদের হকের মীমাংসা করে সেখানেই করিতে হইবে। অতঃপর যায়দ (রাঃ) নিজ স্থানে দাঁড়াইয়া বলিতে লাগিলেন, আমি কসম করিয়া বলিতেছি যে, আমার দাবি সত্য, কিন্তু মিম্বরের উপর গিয়া কসম করিতে অস্বীকার করিতে লাগিলেন। মারওয়ান ইহাতে বিক্ষিত হইয়া গেলেন।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, এক-চতুর্থাংশ দীনারের কম দাবি হইলে মিম্বরের কসম করা জায়েয নাই, উহা তিন দিরহাম।
بَاب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الْيَمِينِ عَلَى الْمِنْبَرِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا غَطَفَانَ بْنَ طَرِيفٍ الْمُرِّيَّ يَقُولُ اخْتَصَمَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيُّ وَابْنُ مُطِيعٍ فِي دَارٍ كَانَتْ بَيْنَهُمَا إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرٌ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَضَى مَرْوَانُ عَلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ بِالْيَمِينِ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ أَحْلِفُ لَهُ مَكَانِي قَالَ فَقَالَ مَرْوَانُ لَا وَاللَّهِ إِلَّا عِنْدَ مَقَاطِعِ الْحُقُوقِ قَالَ فَجَعَلَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ يَحْلِفُ أَنَّ حَقَّهُ لَحَقٌّ وَيَأْبَى أَنْ يَحْلِفَ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ فَجَعَلَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ يَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ مَالِك لَا أَرَى أَنْ يُحَلَّفَ أَحَدٌ عَلَى الْمِنْبَرِ عَلَى أَقَلَّ مِنْ رُبُعِ دِينَارٍ وَذَلِكَ ثَلَاثَةُ دَرَاهِمَ
Yahya said that Malik had said from Da'ud ibn al-Husayn that he heard Abu Ghatafan ibn Tarif al-Muriyi say, "Zayd ibn Thabit al-Ansari and Ibn Muti had a dispute about a house which they shared. They went to Marwan ibn al-Hakam who was the Amir of Madina. Marwan decided that Zayd ibn Thabit must take an oath on the mimbar. Zayd ibn Thabit said, 'I swear to it where I am.' Marwan said, 'No, by Allah! only in the place of sorting out claims (i.e. the mimbar).' Zayd ibn Thabit began to take an oath that his right was true, and he refused to take an oath near the mimbar. Marwan ibn al-Hakam began to wonder at that."
Malik said, "I do not think that anyone should be made to take an oath near the mimbar for less than a fourth of a dinar, and that is three dirhams."
পরিচ্ছেদঃ ১০. রেহেনকে বাঁধা দেওয়া নাজায়েয
রেওয়ায়ত ১৩. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “রেহেনকে বন্ধ করা উচিত নয়।”
মালিক (রহঃ) বলেন যে ইহার ব্যাখ্যা আমাদের নিকট এই যে, (আল্লাহ্ই ভাল জানেন) এক ব্যক্তি কিছু জিনিস অপর ব্যক্তির নিকট রেহেন রাখিল কোন জিনিসের পরিবর্তে। আর রেহেন-এর বস্তুটি মূল্যবান যে জিনিসের পরিবর্তে রাখা হইয়াছে তাহার চাইতে। অতঃপর রেহেন (গচ্ছিতকারী) মুরতাহেনকে (যাহার নিকট রাখা হইয়াছে) বলিল, আমি যদি নির্দিষ্ট তারিখে আপনার জিনিস লইয়া আসি তবে আমার জিনিস আমাকে দিবেন আর যদি আমি ঐ সময় না আসিতে পারি তবে গচ্ছিত মাল আপনার। এইরূপ করা জায়েয নাই এবং হালালও নহে। ইহাই নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। যদি নির্দিষ্ট দিনের পরে ঐ ব্যক্তি আসে তবে রেহেনের বস্তু তাহারই হইবে। আর এই শর্ত বাতিল হইবে।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ غَلَقِ الرَّهْنِ
قَالَ يَحْيَى حَدَّثَنَا مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَغْلَقُ الرَّهْنُ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنْ يَرْهَنَ الرَّجُلُ الرَّهْنَ عِنْدَ الرَّجُلِ بِالشَّيْءِ وَفِي الرَّهْنِ فَضْلٌ عَمَّا رُهِنَ بِهِ فَيَقُولُ الرَّاهِنُ لِلْمُرْتَهِنِ إِنْ جِئْتُكَ بِحَقِّكَ إِلَى أَجَلٍ يُسَمِّيهِ لَهُ وَإِلَّا فَالرَّهْنُ لَكَ بِمَا رُهِنَ فِيهِ قَالَ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ وَلَا يَحِلُّ وَهَذَا الَّذِي نُهِيَ عَنْهُ وَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهُ بِالَّذِي رَهَنَ بِهِ بَعْدَ الْأَجَلِ فَهُوَ لَهُ وَأُرَى هَذَا الشَّرْطَ مُنْفَسِخًا
Yahya said, "Malik related to us from Ibn Shihab from Sa'id ibn al-Musayyab that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'The pledge given as security is not forfeited.' "
Malik said, "The explanation of that according to what we think - and Allah knows best - is that a man gives a pledge to somebody in security for something. The pledge is superior to that for which he pawned it. The pledger says to the pawn-broker, 'I will bring you your due, after such-and-such a time. If not, the pledge is yours for what it was pawned for.' "
Malik said, "This transaction is not good and it is not halal. This is what was forbidden. If the owner brings what he pledged it for after the period, it is his. I think that the time condition is void."
পরিচ্ছেদঃ ১১. ফল ও জন্তুর রেহেনের ফয়সালা
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন বাগান নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত রেহেন রাখে তবে ঐ বাগানের ফল যাহা রেহেন রাখার পূর্বে হইয়াছে তাহা গাছের সাথে রেহেন ধরা যাইবে না। কিন্তু যদি রেহেনের সময় রেহেন রক্ষক শর্ত করিয়া দিয়া থাকে তবে জায়েয হইবে। আর যদি কোন ব্যক্তি একটি গর্ভবতী বাদী রেহেন রাখিল অথবা রেহেন রাখার পরে সে গর্ভবতী হয় তবে বাচ্চাও সাথে রেহেন ধরা যাইবে। গাছের ফল আর সন্তানের মধ্যে এই ব্যবধান। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে, যদি খেজুর গাছ এই অবস্থায় বিক্রয় করে যে, সেই খেজুর গাছকে তানবীর করিয়াছিল তবে এই খেজুর বিক্রেতারই হইবে। কিন্তু যদি শর্ত করিয়া থাকে তবে ভিন্ন কথা। মালিক (রহঃ) বলেন যে, আমাদের কাছে ইহা একটি মতভেদহীন মাসআলা। তাহা হইল, যদি কেহ কোন ক্রীতদাসী অথবা জানোয়ার বিক্রয় করে এবং ঐ দাসী কিংবা জানোয়ার গর্ভবতী হয় তবে ঐ বাচ্চা খরিদ্দারের হইবে। খরিদ্দার শর্ত করুক চাই না করুক। সুতরাং জানা গেল যে, খেজুর গাছের হুকুম জানোয়ারের হুকুমের মতো নহে আর ফলের হুকুমও গর্ভাধারের বাচ্চার হুকুমের মতো নহে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট কথা এই যে মানুষ গাছ ছাড়াও খেজুরকে রেহেন রাখিতে পারে। কিন্তু দাসী বা পশুর বাচ্চা যাহা মাতৃগর্ভে রহিয়াছে তাহাকে কোন মানুষ রেহেন রাখিতে পারে না।
بَاب الْقَضَاءِ فِي رَهْنِ الثَّمَرِ وَالْحَيَوَانِ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَنْ رَهَنَ حَائِطًا لَهُ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَيَكُونُ ثَمَرُ ذَلِكَ الْحَائِطِ قَبْلَ ذَلِكَ الْأَجَلِ إِنَّ الثَّمَرَ لَيْسَ بِرَهْنٍ مَعَ الْأَصْلِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ اشْتَرَطَ ذَلِكَ الْمُرْتَهِنُ فِي رَهْنِهِ وَإِنَّ الرَّجُلَ إِذَا ارْتَهَنَ جَارِيَةً وَهِيَ حَامِلٌ أَوْ حَمَلَتْ بَعْدَ ارْتِهَانِهِ إِيَّاهَا إِنَّ وَلَدَهَا مَعَهَا قَالَ مَالِك وَفُرِقَ بَيْنَ الثَّمَرِ وَبَيْنَ وَلَدِ الْجَارِيَةِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ بَاعَ نَخْلًا قَدْ أُبِّرَتْ فَثَمَرُهَا لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُ الْمُبْتَاعُ قَالَ وَالْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ بَاعَ وَلِيدَةً أَوْ شَيْئًا مِنْ الْحَيَوَانِ وَفِي بَطْنِهَا جَنِينٌ أَنَّ ذَلِكَ الْجَنِينَ لِلْمُشْتَرِي اشْتَرَطَهُ الْمُشْتَرِي أَوْ لَمْ يَشْتَرِطْهُ فَلَيْسَتْ النَّخْلُ مِثْلَ الْحَيَوَانِ وَلَيْسَ الثَّمَرُ مِثْلَ الْجَنِينِ فِي بَطْنِ أُمِّهِ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ مِنْ أَمْرِ النَّاسِ أَنْ يَرْهَنَ الرَّجُلُ ثَمَرَ النَّخْلِ وَلَا يَرْهَنُ النَّخْلَ وَلَيْسَ يَرْهَنُ أَحَدٌ مِنْ النَّاسِ جَنِينًا فِي بَطْنِ أُمِّهِ مِنْ الرَّقِيقِ وَلَا مِنْ الدَّوَابِّ
Yahya said, "I heard Malik say that if a man pledges his garden for a stated period and the fruits of that garden are ready before the end of that period, the fruits are not included in the pledge with the real estate, unless it is stipulated by the pledger in his pledge. However, if a man receives a slave-girl as a pledge and she is pregnant or she becomes pregnant after his taking her as a pledge, her child is included with her.
"A distinction is made between the fruit and the child of the slave-girl. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'If someone sells a palm which has been pollinated, the fruit belongs to the seller unless the buyer stipulates its inclusion.' The undisputed way of doing things in our community is that if a man sells a slave-girl or an animal with a foetus in its womb, the foetus belongs to the buyer, whether or not the buyer stipulates it. The palm is not like the animal. Fruit is not like the foetus in its mother's womb. Part of what clarifies that is also that it is the usage of people to have a man pawn the fruit of the palm apart from the palm. No one pawns the foetus in its mother's womb whether of slaves or animals."
পরিচ্ছেদঃ ১২. জন্তু রেহেন রাখার ফয়সালা
মালিক (রহঃ) বলেন যে, আমাদের নিকট ইহা একটি মতবিরোধহীন মাসআলা। তাহা এই; যদি রেহেন রাখা জিনিস এমন হয় যাহা ক্ষতি হইলে বোঝা যায় যেমন জমি, ঘর ও জন্তু। অতঃপর উহা মুরতাহেন (যাহার নিকট রক্ষিত)-এর নিকট নষ্ট হইয়া যায়, তবে মুরতাহেনের প্রাপ্য ইহাতে কমিবে না, বরং ইহা রাহিনের (রেহেন যে দিয়াছে) ক্ষতি হইবে। আর যদি তাহা এমন জিনিস হয় যাহা নষ্ট হইলে শুধু মুরতাহেনের কথায়ই বোঝা যায় (যেমন কাপড়, স্বর্ণ, রূপা) তবে মুরতাহেনের ক্ষতি ধরা যাইবে এবং উহার মূল্যের জন্য সেই দায়ী হইবে। আর যদি রাহেন ও মুরতাহেনের মধ্যে মুল্য সম্বন্ধে ঝগড়া হয় তবে মুরতাহেনকে বলা হইবে যে, কসম করিয়া এ জিনিসের গুণ ও মূল্যের পরিমাণ বর্ণনা কর। যদি সে বর্ণনা করে তবে জ্ঞানী লোকগণ তাহা চিন্তা করিয়া মুরতাহেনের বর্ণনা অনুযায়ী মূল্য ধার্য করবেন। আর যদি মূল্য রাহেনের মূল্য হইতে অধিক হয় তবে রাহেন অধিক মূল্য গ্রহণ করবে। আর যদি উহার মূল্য রাহেনের মূল্য হইতে কম হয় তবে রাহেনকে কসম করানো হইবে। যদি সে কসম করে তবে মুরতাহেন রাহেনের মূল্য হইতে যতদূর বেশি বলিয়াছে তাহা তাহার দায়িত্ব হইতে নামিয়া যাইবে। আর যদি রাহেন কসম না করে তবে ঐ পরিমাণ মূল্য মুরতাহেনকে আদায় করিয়া দিবে। আর যদি মুরতাহেন বলে যে আমি ঐ জিনিসের মূল্য জানি না তবে রাহেনকে ঐ জিনিসের গুণাবলির উপর কসম দেওয়া হইবে, যদি সে কসম করে তবে তাহার বর্ণনা অনুযায়ী ফয়সালা করা হইবে, যদি সে অসঙ্গত কিছু না বলে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, ইহা ঐ সময় হইবে যখন জিনিসটি মুরতাহেন নিজ অধিকারে আনয়ন করিয়াছে এবং সে অন্য কাহারো হাতে উহা রাখে নাই।
بَاب الْقَضَاءِ فِي الرَّهْنِ مِنْ الْحَيَوَانِ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا فِي الرَّهْنِ أَنَّ مَا كَانَ مِنْ أَمْرٍ يُعْرَفُ هَلَاكُهُ مِنْ أَرْضٍ أَوْ دَارٍ أَوْ حَيَوَانٍ فَهَلَكَ فِي يَدِ الْمُرْتَهِنِ وَعُلِمَ هَلَاكُهُ فَهُوَ مِنْ الرَّاهِنِ وَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْقُصُ مِنْ حَقِّ الْمُرْتَهِنِ شَيْئًا وَمَا كَانَ مِنْ رَهْنٍ يَهْلِكُ فِي يَدِ الْمُرْتَهِنِ فَلَا يُعْلَمُ هَلَاكُهُ إِلَّا بِقَوْلِهِ فَهُوَ مِنْ الْمُرْتَهِنِ وَهُوَ لِقِيمَتِهِ ضَامِنٌ يُقَالُ لَهُ صِفْهُ فَإِذَا وَصَفَهُ أُحْلِفَ عَلَى صِفَتِهِ وَتَسْمِيَةِ مَالِهِ فِيهِ ثُمَّ يُقَوِّمُهُ أَهْلُ الْبَصَرِ بِذَلِكَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ فَضْلٌ عَمَّا سَمَّى فِيهِ الْمُرْتَهِنُ أَخَذَهُ الرَّاهِنُ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِمَّا سَمَّى أُحْلِفَ الرَّاهِنُ عَلَى مَا سَمَّى الْمُرْتَهِنُ وَبَطَلَ عَنْهُ الْفَضْلُ الَّذِي سَمَّى الْمُرْتَهِنُ فَوْقَ قِيمَةِ الرَّهْنِ وَإِنْ أَبَى الرَّاهِنُ أَنْ يَحْلِفَ أُعْطِيَ الْمُرْتَهِنُ مَا فَضَلَ بَعْدَ قِيمَةِ الرَّهْنِ فَإِنْ قَالَ الْمُرْتَهِنُ لَا عِلْمَ لِي بِقِيمَةِ الرَّهْنِ حُلِّفَ الرَّاهِنُ عَلَى صِفَةِ الرَّهْنِ وَكَانَ ذَلِكَ لَهُ إِذَا جَاءَ بِالْأَمْرِ الَّذِي لَا يُسْتَنْكَرُ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ إِذَا قَبَضَ الْمُرْتَهِنُ الرَّهْنَ وَلَمْ يَضَعْهُ عَلَى يَدَيْ غَيْرِهِ
Yahya said that he had heard Malik say, "The undisputed way of doing things in our community concerning pledges is that in cases where land or a house or an animal are known to have been destroyed whilst in the possession of the broker of the pledge, and the circumstances of the loss are known, the loss is against the pledger. There is no deduction made from what is due to the broker at all. Any pledge which perishes in the possession of the broker and the circumstances of its loss are only known by his word, the loss is against the broker and he is liable for its value. He is asked to describe whatever was destroyed and then he is made to take an oath about that description and what he loaned on security for it. "Then people of discernment evaluate the description. If the pledge was worth more than what the broker loaned, the pledger takes the extra. If the assessed value of the pledge is less than what he was loaned, the pledger is made to take an oath as to what the broker loaned and he does not have to pay the extra which the broker loaned above the assessed value of the pledge. If the pledger refuses to take an oath, he has to give the broker the extra above the assessed value of the pledge. If the broker says that he doesn't know the value of the pledge, the pledger is made to take an oath on the description of the pledge and that is his if he brings a matter which is not disapproved of."
Malik said, "All this applies when the broker takes the pledge and does not put it in the hands of another."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দুই ব্যক্তির নিকট রেহেন রাখার ফয়সালা
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি দুইজনের কাছে রেহেন থাকে তাহাদের মধ্যে একজন বলে যে, আমার রেহেন বিক্রয় করিয়া লইয়া যাইব এবং দ্বিতীয়জন তাহাকে এক বৎসরের সময় দেয় তবে যদি ঐ জিনিস এমন হয় যে, অর্ধেক বিক্রয় করিয়া ফেলিলে বাকী অর্ধেক যাহার নিকট আছে তাহার কোন ক্ষতি হইবে না, তবে অর্ধেক বিক্রয় করিয়া তাহার কর্জ আদায় করিয়া দিবে। আর যদি অর্ধেক বিক্রয় করিলে বাকী অর্ধেকের ক্ষতি হয় তবে পূর্ণ জিনিসটিই বিক্রয় করিয়া যে তাগাদা করিতেছিল তাহাকে দিয়া দিবে। আর যে এক বৎসরের সময় দিয়াছিল সে যদি খুশিতে দিতে চায় তবে অর্ধেক পয়সা রাহেনকে দেবে। না হয় তাহাকে কসম দেওয়া হইবে যে আমি তাহাকে এক বৎসরের সময় এইজন্য দিতেছিলাম যেন পূর্ণ রেহেন আমার নিকট থাকে। সে যদি কসম করিয়া নেয় তবে ঐ সময়ই তাহার হক আদায় করিয়া দেওয়া হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন গোলাম রেহেন রাখা হয় তবে গোলামের সাথে যা মাল থাকে তাহা রেহেন ধরা যাইবে না। কিন্তু যদি রেহেন গ্রহীতা শর্ত করিয়া নেয় তবে মালও রেহেন ধরা হইবে।
بَاب الْقَضَاءِ فِي الرَّهْنِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الرَّجُلَيْنِ يَكُونُ لَهُمَا رَهْنٌ بَيْنَهُمَا فَيَقُومُ أَحَدُهُمَا بِبَيْعِ رَهْنِهِ وَقَدْ كَانَ الْآخَرُ أَنْظَرَهُ بِحَقِّهِ سَنَةً قَالَ إِنْ كَانَ يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يُقْسَمَ الرَّهْنُ وَلَا يَنْقُصَ حَقُّ الَّذِي أَنْظَرَهُ بِحَقِّهِ بِيعَ لَهُ نِصْفُ الرَّهْنِ الَّذِي كَانَ بَيْنَهُمَا فَأُوفِيَ حَقَّهُ وَإِنْ خِيفَ أَنْ يَنْقُصَ حَقُّهُ بِيعَ الرَّهْنُ كُلُّهُ فَأُعْطِيَ الَّذِي قَامَ بِبَيْعِ رَهْنِهِ حَقَّهُ مِنْ ذَلِكَ فَإِنْ طَابَتْ نَفْسُ الَّذِي أَنْظَرَهُ بِحَقِّهِ أَنْ يَدْفَعَ نِصْفَ الثَّمَنِ إِلَى الرَّاهِنِ وَإِلَّا حُلِّفَ الْمُرْتَهِنُ أَنَّهُ مَا أَنْظَرَهُ إِلَّا لِيُوقِفَ لِي رَهْنِي عَلَى هَيْئَتِهِ ثُمَّ أُعْطِيَ حَقَّهُ عَاجِلًا قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْعَبْدِ يَرْهَنُهُ سَيِّدُهُ وَلِلْعَبْدِ مَالٌ إِنَّ مَالَ الْعَبْدِ لَيْسَ بِرَهْنٍ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُ الْمُرْتَهِنُ
Yahya said that he heard Malik speak about two men who had a pledge between them. One of them undertook to sell his pledge, and the other one had asked him to wait a year for his due. He said, "If it is possible to divide the pledge, and the due of the one who asked him to wait will not be decreased, half the pledge which is between them is sold for him and he is given his due. If it is feared that his right will be decreased, all the pledge is sold, and the one who undertook to sell his pledge is given his due from that. If the one who asked him to wait for his due is pleased in himself, half of the price is paid to the pledger. If not, the pledgee is made to take an oath that he only asked him to wait so that he could transfer my pledge to me in its form.' Then he is given his due immediately."
Yahya said that he heard Malik say about a slave whose master had pledged him and the slave had property of his own, "The property of the slave is not part of the pledge unless the broker stipulates that."
পরিচ্ছেদঃ ১৪. রেহেনের বিবিধ প্রকার
মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি কোন বস্তু রেহেন রাখার পর তাহা রেহেন গ্রহীতার নিকট নষ্ট হইয়া যায় এবং রাহেন ও মুরতাহেন উভয়ই রেহেনের বস্তু ও পরিমাণ সম্পর্কে কোন দ্বিমত রাখে না, কিন্তু রেহেনের বস্তুর মূল্যে তাহাদের মতভেদ হয়, যেমন রাহেন বলে যে, তাহার মূল্য বিশ দীনার আর মুরতাহেন বলে যে, তাহার মূল্য দশ দীনার অথচ রেহেনকৃত বস্তুর মূল্য বিশ দীনারই ছিল। এই অবস্থায় রেহেন গ্রহীতাকে বলা হইবে যে, তুমি রেহেনের গুণ বর্ণনা কর। যদি সে বর্ণনা করে তবে তাহাকে এই ব্যাপারে কসমও দেওয়া হইবে। অতঃপর এই ব্যাপারে ওয়াকিফহাল এমন লোক তাহার মূল্য নির্ণয় করবে। যদি নির্ণয় করার মূল্য রেহেনের বস্তুর মূল্যের চাইতে অধিক হয় তবে মুরতাহেনকে বলা হইবে যে, অবশিষ্ট মূল্য রেহেনদাতাকে ফেরত দিয়া দাও। আর যদি সেই নির্ধারিত মূল্য রেহেনের বস্তুর মূল্যের চাইতে কম হয় তবে অবশিষ্ট মূল্য রাহেনকে ফেরত দিতে বলা হইবে। আর যদি সমান হয় তবে আর কোন কথাই থাকিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, দুইজনের মধ্যে যদি মতভেদ হয় রেহেনদাতা বলে যে, তোমার কাছে উহা আমি দশ দীনার রেহেন রাখিয়াছি, আর রেহেন গ্রহীতা বলে যে, আমি তোমার নিকট হইতে উহা বিশ দীনার প্রদান করার পরিবর্তে গ্রহণ করিয়াছি। আর জিনিস গ্রহীতার নিকট আছে, এই অবস্থায় গ্রহীতাকে কসম দেওয়া হইবে। অতঃপর যদি ঐ অর্থের অংক রেহেনের বস্তুর মূল্যের সমান হয় তবে তো কোন কথাই নাই। আর যদি গ্রহীতার দাবি বিশ দীনার উহা হইতে মূল্য কম হয় তবে রেহেনদাতাকে কসম দেওয়া হইবে। সে মুরতাহেনের হক আদায় করিয়া তাহা (রেহেন বস্তু) গ্রহণ করিতেও পারে, নাও করিতে পারে। উহা দিয়া মুরতাহেন ডাহার হক গ্রহণ করিবে। মুরতাহেনকেই প্রথমে কসম দেওয়ান উত্তম, কারণ রেহেনের বস্তুটি তাহার কবজায় আছে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি রেহেন বিশ দীনার হইতে কম হয় তবে রেহেন গ্রহীতাকে কসম দেওয়া হইবে। অতঃপর রেহেনদাতাকে বলা হইবে যে, তোমার এখন ইচ্ছা বিশ দীনার আদায় করিয়া নিজ বস্তু লইয়া যাইবে অথবা নিজেও কসম করিবে যে, এত অর্থে আমি উহা রেহেন রাখিয়াছিলাম। যদি কসম করিয়া নেয় তবে রেহেনগ্রহীতা রেহেনের বস্তুর চাইতে যতদূর কর্জের কথা অধিক বলিয়াছিল তাহা তাহার জিম্মী হইতে উঠিয়া যাইবে। আর যদি কসম না করে তবে তাহাকে মুরতাহেনের দাবি যাহা তাহা দিতে হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেন, যদি রেহেনের বস্তু নষ্ট হইয়া যায় এবং তাহাদের নিজ নিজ দাবির মধ্যে মতভেদ হইয়া যায় যেমন রেহেনগ্রহীতা বলে যে, রেহেনের অর্থ বিশ দীনার ছিল। আর রেহেনের মূল্য মাত্র দশ দীনার ছিল। পক্ষান্তরে রেহেনদাতা বলে যে, রেহেনের বস্তুর মূল্য বিশ দীনার এবং রেহেনের বাবদে প্রদত্ত অর্থ দশ দীনার ছিল, তবে এই অবস্থায় রেহেন গ্রহীতাকে বলা হইবে যে, তুমি রেহেনের বস্তুর বর্ণনা দাও। অতঃপর অভিজ্ঞ লোকগণ বর্ণনা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করবে। যদি মূল্য বিশ দীনারের চাইতে অধিক হয় তবে রেহেনগ্রহীতাকে হলফ করাইয়া যতদূর বেশি হয় দাতাকে দেওয়া হইবে। আর যদি বিশ দীনার হইতে কম হয় তবে রেহেন গ্রহীতাকে কসম দেওয়া হইবে। মূল্য যাহা আদায় হইয়াছে তাহা তো গ্রহীতার, আর বাকির জন্য দাতার নিকট হইতে কসম লওয়া হইবে। যদি সে কসম করে তবে গ্রহীতা দাতার নিকট হইতে কিছুই নিতে পারিবে না। আর কসম না করিলে বিশ দীনার হইতে যত কম তত দীনার দাতার দিতে হইবে।
بَاب الْقَضَاءِ فِي جَامِعِ الرُّهُونِ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَنْ ارْتَهَنَ مَتَاعًا فَهَلَكَ الْمَتَاعُ عِنْدَ الْمُرْتَهِنِ وَأَقَرَّ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ بِتَسْمِيَةِ الْحَقِّ وَاجْتَمَعَا عَلَى التَّسْمِيَةِ وَتَدَاعَيَا فِي الرَّهْنِ فَقَالَ الرَّاهِنُ قِيمَتُهُ عِشْرُونَ دِينَارًا وَقَالَ الْمُرْتَهِنُ قِيمَتُهُ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ وَالْحَقُّ الَّذِي لِلرَّجُلِ فِيهِ عِشْرُونَ دِينَارًا قَالَ مَالِك يُقَالُ لِلَّذِي بِيَدِهِ الرَّهْنُ صِفْهُ فَإِذَا وَصَفَهُ أُحْلِفَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَقَامَ تِلْكَ الصِّفَةَ أَهْلُ الْمَعْرِفَةِ بِهَا فَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ أَكْثَرَ مِمَّا رُهِنَ بِهِ قِيلَ لِلْمُرْتَهِنِ ارْدُدْ إِلَى الرَّاهِنِ بَقِيَّةَ حَقِّهِ وَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ أَقَلَّ مِمَّا رُهِنَ بِهِ أَخَذَ الْمُرْتَهِنُ بَقِيَّةَ حَقِّهِ مِنْ الرَّاهِنِ وَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ بِقَدْرِ حَقِّهِ فَالرَّهْنُ بِمَا فِيهِ قَالَ يَحْيَى وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلَيْنِ يَخْتَلِفَانِ فِي الرَّهْنِ يَرْهَنُهُ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ فَيَقُولُ الرَّاهِنُ أَرْهَنْتُكَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ وَيَقُولُ الْمُرْتَهِنُ ارْتَهَنْتُهُ مِنْكَ بِعِشْرِينَ دِينَارًا وَالرَّهْنُ ظَاهِرٌ بِيَدِ الْمُرْتَهِنِ قَالَ يُحَلَّفُ الْمُرْتَهِنُ حَتَّى يُحِيطَ بِقِيمَةِ الرَّهْنِ فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ لَا زِيَادَةَ فِيهِ وَلَا نُقْصَانَ عَمَّا حُلِّفَ أَنَّ لَهُ فِيهِ أَخَذَهُ الْمُرْتَهِنُ بِحَقِّهِ وَكَانَ أَوْلَى بِالتَّبْدِئَةِ بِالْيَمِينِ لِقَبْضِهِ الرَّهْنَ وَحِيَازَتِهِ إِيَّاهُ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّ الرَّهْنِ أَنْ يُعْطِيَهُ حَقَّهُ الَّذِي حُلِّفَ عَلَيْهِ وَيَأْخُذَ رَهْنَهُ قَالَ وَإِنْ كَانَ الرَّهْنُ أَقَلَّ مِنْ الْعِشْرِينَ الَّتِي سَمَّى أُحْلِفَ الْمُرْتَهِنُ عَلَى الْعِشْرِينَ الَّتِي سَمَّى ثُمَّ يُقَالُ لِلرَّاهِنِ إِمَّا أَنْ تُعْطِيَهُ الَّذِي حَلَفَ عَلَيْهِ وَتَأْخُذَ رَهْنَكَ وَإِمَّا أَنْ تَحْلِفَ عَلَى الَّذِي قُلْتَ أَنَّكَ رَهَنْتَهُ بِهِ وَيَبْطُلُ عَنْكَ مَا زَادَ الْمُرْتَهِنُ عَلَى قِيمَةِ الرَّهْنِ فَإِنْ حَلَفَ الرَّاهِنُ بَطَلَ ذَلِكَ عَنْهُ وَإِنْ لَمْ يَحْلِفْ لَزِمَهُ غُرْمُ مَا حَلَفَ عَلَيْهِ الْمُرْتَهِنُ قَالَ مَالِك فَإِنْ هَلَكَ الرَّهْنُ وَتَنَاكَرَا الْحَقَّ فَقَالَ الَّذِي لَهُ الْحَقُّ كَانَتْ لِي فِيهِ عِشْرُونَ دِينَارًا وَقَالَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ لَمْ يَكُنْ لَكَ فِيهِ إِلَّا عَشَرَةُ دَنَانِيرَ وَقَالَ الَّذِي لَهُ الْحَقُّ قِيمَةُ الرَّهْنِ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ وَقَالَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ قِيمَتُهُ عِشْرُونَ دِينَارًا قِيلَ لِلَّذِي لَهُ الْحَقُّ صِفْهُ فَإِذَا وَصَفَهُ أُحْلِفَ عَلَى صِفَتِهِ ثُمَّ أَقَامَ تِلْكَ الصِّفَةَ أَهْلُ الْمَعْرِفَةِ بِهَا فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ الرَّهْنِ أَكْثَرَ مِمَّا ادَّعَى فِيهِ الْمُرْتَهِنُ أُحْلِفَ عَلَى مَا ادَّعَى ثُمَّ يُعْطَى الرَّاهِنُ مَا فَضَلَ مِنْ قِيمَةِ الرَّهْنِ وَإِنْ كَانَتْ قِيمَتُهُ أَقَلَّ مِمَّا يَدَّعِي فِيهِ الْمُرْتَهِنُ أُحْلِفَ عَلَى الَّذِي زَعَمَ أَنَّهُ لَهُ فِيهِ ثُمَّ قَاصَّهُ بِمَا بَلَغَ الرَّهْنُ ثُمَّ أُحْلِفَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ عَلَى الْفَضْلِ الَّذِي بَقِيَ لِلْمُدَّعَى عَلَيْهِ بَعْدَ مَبْلَغِ ثَمَنِ الرَّهْنِ وَذَلِكَ أَنَّ الَّذِي بِيَدِهِ الرَّهْنُ صَارَ مُدَّعِيًا عَلَى الرَّاهِنِ فَإِنْ حَلَفَ بَطَلَ عَنْهُ بَقِيَّةُ مَا حَلَفَ عَلَيْهِ الْمُرْتَهِنُ مِمَّا ادَّعَى فَوْقَ قِيمَةِ الرَّهْنِ وَإِنْ نَكَلَ لَزِمَهُ مَا بَقِيَ مِنْ حَقِّ الْمُرْتَهِنِ بَعْدَ قِيمَةِ الرَّهْنِ
Yahya said that he heard Malik speak about someone who pledged goods as security for a loan, and they perished with the broker. The one who took out the loan confirmed its specification. They agreed on the amount of the loan, but challenged each other about the value of the pledge, the pledger saying that it had been worth twenty dinars, whilst the broker said that it had been worth only ten, and that the amount loaned on security was twenty dinars. Malik said, "It is said to the one in whose hand the pledge is, 'describe it.' If he describes it he is made to take an oath on it and then the people of experience evaluate that description. If the value is more than what was loaned on security for it, it is said to the broker, 'Return the rest of his due to the pledger.' If the value is less than what was loaned on security for it, the broker takes the rest of his due from the pledger. If the value is the exact amount of the loan, the pledge is compensated for by the loan."
Yahya said that he heard Malik say, "What is done in our community about two men who have a dispute about an amount of money loaned on the security of a pledge - the pledger claiming that he pledged it for ten dinars and the broker insisting that he took the pledge as security for twenty dinars, and the pledge is clearly in the possession of the broker - is that the broker is made to take an oath when the value of the pledge is fully known. If the value of the pledge is exactly what he swore that he had loaned on security for it, the broker takes the pledge as his right. He is more entitled to take precedence with an oath since he has possession of the pledge. If the owner of the pledge wants to give him the amount which he swore that he was owed, he can take the pledge back. If the pledge is worth less than the twenty dinars he loaned, then it is said to the pledger, 'Either you give him what he has sworn to and take your pledge back, or you swear to what you said you pledged it for.' If the pledger takes the oath, then what the broker has increased over the value of the pledge will become invalid. If the pledger does not take an oath, he must pay what the broker swore to."
Malik said, "If a pledge given on security for a loan perishes, and both parties deny each other's rights, with the broker who is owed the loan saying that he gave twenty dinars, and the pledger who owes the loan saying that he was given only ten, and with the broker who is owed the loan saying the pledge was worth ten dinars, and the broker who owes the loan saying it was worth twenty, then the broker who is owed the loan is asked to describe the pledge. If he describes it, he must take an oath on its description. Then people with experience of it evaluate that description. If the value of the pledge is estimated to be more than what the broker claims it was, he takes an oath as to what he claimed, and the pledger is given what is over from the value of the pledge. If its value is less than what the broker claims of it, he is made to take an oath as to what he claims is his. Then he demands settlement according to the actual value of the pledge. The one who owes the loan is then made to take an oath on the extra amount which remains owing against him to the claimant after the price of the pledge is reached. That is because the broker becomes a claimant against the pledger. If he takes an oath, the rest of what the broker swore to of what he claimed above the value of the pledge is invalidated. If he draws back, he is bound to pay what remains due to the broker after the value of the pledge."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. জন্তুর কেরায়া এবং তাহার উপর অত্যচার করার ফয়সালা
মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি কেহ কোন জন্তু কেরায়া নেয় কোন স্থান পর্যন্ত, তাহার পর ঐ স্থানের আরো আগে চলিয়া যায় তবে জন্তুর মালিকের ইখতিয়ার আছে, সে যতদূর অগ্রসর হইয়াছে তাহার ভাড়া লইবে অথবা ঐ দিনের যাহা মূল্য হয় এবং ঐ স্থানের ভাড়াসহ ভাড়াটিয়ার নিকট হইতে লইতে পরিবে। যদি শুধু যাওয়ার ভাড়া নির্ধারিত হয়, তবে এই হুকুম, আর যদি ফিরিবার ভাড়ার কথাও থাকে তবে তাহা হইতে অর্ধেক লইবে; কেননা অর্ধেক যাতায়াতের ছিল, আর অর্ধেক ফিরিবার ছিল। অতঃপর যখন ভাড়াটিয়া সীমালংঘন করিল তখন তাঁহার উপর অর্ধেক ভাড়া ওয়াজিব হইয়াছিল। আর যদি আসা-যাওয়ার জন্য জন্তু ভাড়া করিয়া থাকে এবং গন্তব্য স্থানে যাওয়ার পর জন্তু মরিয়া যায় তবে ভাড়াটিয়ার উপরে কোন জরিমানা করা যাইবে না এবং মালিক শুধু অর্ধেক ভাড়া পাইবে। এমনিভাবে পুঁজিপতি কারবারকে বলিল যে, অমুক মাল খরিদ করিতে পারিবে না যেমন বিশেষ জন্তু। অতঃপর কারবারী মনে করিল যে, খরিদ করিলে আমিই দায়ী হইব এবং যাহা লাভ হইবে সমস্তই আমি আত্মসাৎ করিব। এই মনে করিয়া এ নিষিদ্ধ মালই খরিদ করিল, তবে এখন পুঁজিপতির ইচ্ছা সে তাহার সাথে কারবারে শরীক থাকিয়া লাভের অংশও গ্রহণ করিতে পারে অথবা নিজের আসল পুঁজি ফিরাইয়া নিতে পারে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, এইরূপে মাল খরিদ করার ব্যাপারে পুঁজিপতি যদি বলে যে, অমুক বস্তু খরিদ করিও, আর সে অন্য মাল খরিদ করে, তাহা হইলেও পুঁজিপতির ইচ্ছা, যাহা খরিদ করিয়াছে তাহা গ্রহণও করিতে পারে, আবার মাল না লইয়া আসল মূলধন ফেরতও নিতে পারে।
بَاب الْقَضَاءِ فِي كِرَاءِ الدَّابَّةِ وَالتَّعَدِّي بِهَا
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَسْتَكْرِي الدَّابَّةَ إِلَى الْمَكَانِ الْمُسَمَّى ثُمَّ يَتَعَدَّى ذَلِكَ الْمَكَانَ وَيَتَقَدَّمُ إِنَّ رَبَّ الدَّابَّةِ يُخَيَّرُ فَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ كِرَاءَ دَابَّتِهِ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي تُعُدِّيَ بِهَا إِلَيْهِ أُعْطِيَ ذَلِكَ وَيَقْبِضُ دَابَّتَهُ وَلَهُ الْكِرَاءُ الْأَوَّلُ وَإِنْ أَحَبَّ رَبُّ الدَّابَّةِ فَلَهُ قِيمَةُ دَابَّتِهِ مِنْ الْمَكَانِ الَّذِي تَعَدَّى مِنْهُ الْمُسْتَكْرِي وَلَهُ الْكِرَاءُ الْأَوَّلُ إِنْ كَانَ اسْتَكْرَى الدَّابَّةَ الْبَدْأَةَ فَإِنْ كَانَ اسْتَكْرَاهَا ذَاهِبًا وَرَاجِعًا ثُمَّ تَعَدَّى حِينَ بَلَغَ الْبَلَدَ الَّذِي اسْتَكْرَى إِلَيْهِ فَإِنَّمَا لِرَبِّ الدَّابَّةِ نِصْفُ الْكِرَاءِ الْأَوَّلِ وَذَلِكَ أَنَّ الْكِرَاءَ نِصْفُهُ فِي الْبَدْأَةِ وَنِصْفُهُ فِي الرَّجْعَةِ فَتَعَدَّى الْمُتَعَدِّي بِالدَّابَّةِ وَلَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ إِلَّا نِصْفُ الْكِرَاءِ الْأَوَّلِ وَلَوْ أَنَّ الدَّابَّةَ هَلَكَتْ حِينَ بَلَغَ بِهَا الْبَلَدَ الَّذِي اسْتَكْرَى إِلَيْهِ لَمْ يَكُنْ عَلَى الْمُسْتَكْرِي ضَمَانٌ وَلَمْ يَكُنْ لِلْمُكْرِي إِلَّا نِصْفُ الْكِرَاءِ قَالَ وَعَلَى ذَلِكَ أَمْرُ أَهْلِ التَّعَدِّي وَالْخِلَافِ لِمَا أَخَذُوا الدَّابَّةَ عَلَيْهِ قَالَ وَكَذَلِكَ أَيْضًا مَنْ أَخَذَ مَالًا قِرَاضًا مِنْ صَاحِبِهِ فَقَالَ لَهُ رَبُّ الْمَالِ لَا تَشْتَرِ بِهِ حَيَوَانًا وَلَا سِلَعًا كَذَا وَكَذَا لِسِلَعٍ يُسَمِّيهَا وَيَنْهَاهُ عَنْهَا وَيَكْرَهُ أَنْ يَضَعَ مَالَهُ فِيهَا فَيَشْتَرِي الَّذِي أَخَذَ الْمَالَ الَّذِي نُهِيَ عَنْهُ يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنْ يَضْمَنَ الْمَالَ وَيَذْهَبَ بِرِبْحِ صَاحِبِهِ فَإِذَا صَنَعَ ذَلِكَ فَرَبُّ الْمَالِ بِالْخِيَارِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَدْخُلَ مَعَهُ فِي السِّلْعَةِ عَلَى مَا شَرَطَا بَيْنَهُمَا مِنْ الرِّبْحِ فَعَلَ وَإِنْ أَحَبَّ فَلَهُ رَأْسُ مَالِهِ ضَامِنًا عَلَى الَّذِي أَخَذَ الْمَالَ وَتَعَدَّى قَالَ وَكَذَلِكَ أَيْضًا الرَّجُلُ يُبْضِعُ مَعَهُ الرَّجُلُ بِضَاعَةً فَيَأْمُرُهُ صَاحِبُ الْمَالِ أَنْ يَشْتَرِيَ لَهُ سِلْعَةً بِاسْمِهَا فَيُخَالِفُ فَيَشْتَرِي بِبِضَاعَتِهِ غَيْرَ مَا أَمَرَهُ بِهِ وَيَتَعَدَّى ذَلِكَ فَإِنَّ صَاحِبَ الْبِضَاعَةِ عَلَيْهِ بِالْخِيَارِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ مَا اشْتُرِيَ بِمَالِهِ أَخَذَهُ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَكُونَ الْمُبْضِعُ مَعَهُ ضَامِنًا لِرَأْسِ مَالِهِ فَذَلِكَ لَهُ
Yahya said that he heard Malik say, "What is done in our community about a man who rents an animal for a journey to a specified place and then he goes beyond that place and further, is that the owner of the animal has a choice. If he wants to take extra rent for his animal to cover the distance overstepped, he is given that on top of the first rent and the animal is returned. If the owner of the animal likes to sell the animal from the place where he over-steps, he has the price of the animal on top of the rent. If, however, the hirer rented the animal to go and return and then he overstepped when he reached the city to which he rented him, the owner of the animal only has half the first rent. That is because half of the rent is going, and half of it is returning. If he oversteps with the animal, only half of the first rent is obliged for him. Had the animal died when he reached the city to which it was rented, the hirer would not be liable and the renter would only have half the rent."
Malik said, "That is what is done with people who overstep and dispute about what they took the animal for."
Malik said, "It is also like that with some one who takes qirad-money from his companion. The owner of the property says to him, 'Do not buy such-and-such animals or such- and-such goods.' He names them and forbids them and disapproves of his money being invested in them. The one who takes the money then buys what he was forbidden. By that, he intends to be liable for the money and take the profit of his companion. When he does that, the owner of the money has an option. If he wants to enter with him in the goods according to the original stipulations between them about the profit, he does so. If he likes, he has his capital guaranteed against the one who took the capital and over stepped the mark."
Malik said, "It is also like that with a man with whom another man invests some goods. The owner of the property orders him to buy certain goods for him which he names. He differs, and buys with the goods something other than what he was ordered to buy. He exceeded his orders. The owner of the goods has an option. If he wants to take what was bought with his property, he takes it. If he wants the partner to be liable for his capital he has that."