১৪৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১৪. রেহেনের বিবিধ প্রকার

মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি কোন বস্তু রেহেন রাখার পর তাহা রেহেন গ্রহীতার নিকট নষ্ট হইয়া যায় এবং রাহেন ও মুরতাহেন উভয়ই রেহেনের বস্তু ও পরিমাণ সম্পর্কে কোন দ্বিমত রাখে না, কিন্তু রেহেনের বস্তুর মূল্যে তাহাদের মতভেদ হয়, যেমন রাহেন বলে যে, তাহার মূল্য বিশ দীনার আর মুরতাহেন বলে যে, তাহার মূল্য দশ দীনার অথচ রেহেনকৃত বস্তুর মূল্য বিশ দীনারই ছিল। এই অবস্থায় রেহেন গ্রহীতাকে বলা হইবে যে, তুমি রেহেনের গুণ বর্ণনা কর। যদি সে বর্ণনা করে তবে তাহাকে এই ব্যাপারে কসমও দেওয়া হইবে। অতঃপর এই ব্যাপারে ওয়াকিফহাল এমন লোক তাহার মূল্য নির্ণয় করবে। যদি নির্ণয় করার মূল্য রেহেনের বস্তুর মূল্যের চাইতে অধিক হয় তবে মুরতাহেনকে বলা হইবে যে, অবশিষ্ট মূল্য রেহেনদাতাকে ফেরত দিয়া দাও। আর যদি সেই নির্ধারিত মূল্য রেহেনের বস্তুর মূল্যের চাইতে কম হয় তবে অবশিষ্ট মূল্য রাহেনকে ফেরত দিতে বলা হইবে। আর যদি সমান হয় তবে আর কোন কথাই থাকিবে না।

মালিক (রহঃ) বলেন যে, দুইজনের মধ্যে যদি মতভেদ হয় রেহেনদাতা বলে যে, তোমার কাছে উহা আমি দশ দীনার রেহেন রাখিয়াছি, আর রেহেন গ্রহীতা বলে যে, আমি তোমার নিকট হইতে উহা বিশ দীনার প্রদান করার পরিবর্তে গ্রহণ করিয়াছি। আর জিনিস গ্রহীতার নিকট আছে, এই অবস্থায় গ্রহীতাকে কসম দেওয়া হইবে। অতঃপর যদি ঐ অর্থের অংক রেহেনের বস্তুর মূল্যের সমান হয় তবে তো কোন কথাই নাই। আর যদি গ্রহীতার দাবি বিশ দীনার উহা হইতে মূল্য কম হয় তবে রেহেনদাতাকে কসম দেওয়া হইবে। সে মুরতাহেনের হক আদায় করিয়া তাহা (রেহেন বস্তু) গ্রহণ করিতেও পারে, নাও করিতে পারে। উহা দিয়া মুরতাহেন ডাহার হক গ্রহণ করিবে। মুরতাহেনকেই প্রথমে কসম দেওয়ান উত্তম, কারণ রেহেনের বস্তুটি তাহার কবজায় আছে।

মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি রেহেন বিশ দীনার হইতে কম হয় তবে রেহেন গ্রহীতাকে কসম দেওয়া হইবে। অতঃপর রেহেনদাতাকে বলা হইবে যে, তোমার এখন ইচ্ছা বিশ দীনার আদায় করিয়া নিজ বস্তু লইয়া যাইবে অথবা নিজেও কসম করিবে যে, এত অর্থে আমি উহা রেহেন রাখিয়াছিলাম। যদি কসম করিয়া নেয় তবে রেহেনগ্রহীতা রেহেনের বস্তুর চাইতে যতদূর কর্জের কথা অধিক বলিয়াছিল তাহা তাহার জিম্মী হইতে উঠিয়া যাইবে। আর যদি কসম না করে তবে তাহাকে মুরতাহেনের দাবি যাহা তাহা দিতে হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেন, যদি রেহেনের বস্তু নষ্ট হইয়া যায় এবং তাহাদের নিজ নিজ দাবির মধ্যে মতভেদ হইয়া যায় যেমন রেহেনগ্রহীতা বলে যে, রেহেনের অর্থ বিশ দীনার ছিল। আর রেহেনের মূল্য মাত্র দশ দীনার ছিল। পক্ষান্তরে রেহেনদাতা বলে যে, রেহেনের বস্তুর মূল্য বিশ দীনার এবং রেহেনের বাবদে প্রদত্ত অর্থ দশ দীনার ছিল, তবে এই অবস্থায় রেহেন গ্রহীতাকে বলা হইবে যে, তুমি রেহেনের বস্তুর বর্ণনা দাও। অতঃপর অভিজ্ঞ লোকগণ বর্ণনা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করবে। যদি মূল্য বিশ দীনারের চাইতে অধিক হয় তবে রেহেনগ্রহীতাকে হলফ করাইয়া যতদূর বেশি হয় দাতাকে দেওয়া হইবে। আর যদি বিশ দীনার হইতে কম হয় তবে রেহেন গ্রহীতাকে কসম দেওয়া হইবে। মূল্য যাহা আদায় হইয়াছে তাহা তো গ্রহীতার, আর বাকির জন্য দাতার নিকট হইতে কসম লওয়া হইবে। যদি সে কসম করে তবে গ্রহীতা দাতার নিকট হইতে কিছুই নিতে পারিবে না। আর কসম না করিলে বিশ দীনার হইতে যত কম তত দীনার দাতার দিতে হইবে।

بَاب الْقَضَاءِ فِي جَامِعِ الرُّهُونِ

قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَنْ ارْتَهَنَ مَتَاعًا فَهَلَكَ الْمَتَاعُ عِنْدَ الْمُرْتَهِنِ وَأَقَرَّ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ بِتَسْمِيَةِ الْحَقِّ وَاجْتَمَعَا عَلَى التَّسْمِيَةِ وَتَدَاعَيَا فِي الرَّهْنِ فَقَالَ الرَّاهِنُ قِيمَتُهُ عِشْرُونَ دِينَارًا وَقَالَ الْمُرْتَهِنُ قِيمَتُهُ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ وَالْحَقُّ الَّذِي لِلرَّجُلِ فِيهِ عِشْرُونَ دِينَارًا قَالَ مَالِك يُقَالُ لِلَّذِي بِيَدِهِ الرَّهْنُ صِفْهُ فَإِذَا وَصَفَهُ أُحْلِفَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَقَامَ تِلْكَ الصِّفَةَ أَهْلُ الْمَعْرِفَةِ بِهَا فَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ أَكْثَرَ مِمَّا رُهِنَ بِهِ قِيلَ لِلْمُرْتَهِنِ ارْدُدْ إِلَى الرَّاهِنِ بَقِيَّةَ حَقِّهِ وَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ أَقَلَّ مِمَّا رُهِنَ بِهِ أَخَذَ الْمُرْتَهِنُ بَقِيَّةَ حَقِّهِ مِنْ الرَّاهِنِ وَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ بِقَدْرِ حَقِّهِ فَالرَّهْنُ بِمَا فِيهِ قَالَ يَحْيَى وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلَيْنِ يَخْتَلِفَانِ فِي الرَّهْنِ يَرْهَنُهُ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ فَيَقُولُ الرَّاهِنُ أَرْهَنْتُكَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ وَيَقُولُ الْمُرْتَهِنُ ارْتَهَنْتُهُ مِنْكَ بِعِشْرِينَ دِينَارًا وَالرَّهْنُ ظَاهِرٌ بِيَدِ الْمُرْتَهِنِ قَالَ يُحَلَّفُ الْمُرْتَهِنُ حَتَّى يُحِيطَ بِقِيمَةِ الرَّهْنِ فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ لَا زِيَادَةَ فِيهِ وَلَا نُقْصَانَ عَمَّا حُلِّفَ أَنَّ لَهُ فِيهِ أَخَذَهُ الْمُرْتَهِنُ بِحَقِّهِ وَكَانَ أَوْلَى بِالتَّبْدِئَةِ بِالْيَمِينِ لِقَبْضِهِ الرَّهْنَ وَحِيَازَتِهِ إِيَّاهُ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّ الرَّهْنِ أَنْ يُعْطِيَهُ حَقَّهُ الَّذِي حُلِّفَ عَلَيْهِ وَيَأْخُذَ رَهْنَهُ قَالَ وَإِنْ كَانَ الرَّهْنُ أَقَلَّ مِنْ الْعِشْرِينَ الَّتِي سَمَّى أُحْلِفَ الْمُرْتَهِنُ عَلَى الْعِشْرِينَ الَّتِي سَمَّى ثُمَّ يُقَالُ لِلرَّاهِنِ إِمَّا أَنْ تُعْطِيَهُ الَّذِي حَلَفَ عَلَيْهِ وَتَأْخُذَ رَهْنَكَ وَإِمَّا أَنْ تَحْلِفَ عَلَى الَّذِي قُلْتَ أَنَّكَ رَهَنْتَهُ بِهِ وَيَبْطُلُ عَنْكَ مَا زَادَ الْمُرْتَهِنُ عَلَى قِيمَةِ الرَّهْنِ فَإِنْ حَلَفَ الرَّاهِنُ بَطَلَ ذَلِكَ عَنْهُ وَإِنْ لَمْ يَحْلِفْ لَزِمَهُ غُرْمُ مَا حَلَفَ عَلَيْهِ الْمُرْتَهِنُ قَالَ مَالِك فَإِنْ هَلَكَ الرَّهْنُ وَتَنَاكَرَا الْحَقَّ فَقَالَ الَّذِي لَهُ الْحَقُّ كَانَتْ لِي فِيهِ عِشْرُونَ دِينَارًا وَقَالَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ لَمْ يَكُنْ لَكَ فِيهِ إِلَّا عَشَرَةُ دَنَانِيرَ وَقَالَ الَّذِي لَهُ الْحَقُّ قِيمَةُ الرَّهْنِ عَشَرَةُ دَنَانِيرَ وَقَالَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ قِيمَتُهُ عِشْرُونَ دِينَارًا قِيلَ لِلَّذِي لَهُ الْحَقُّ صِفْهُ فَإِذَا وَصَفَهُ أُحْلِفَ عَلَى صِفَتِهِ ثُمَّ أَقَامَ تِلْكَ الصِّفَةَ أَهْلُ الْمَعْرِفَةِ بِهَا فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ الرَّهْنِ أَكْثَرَ مِمَّا ادَّعَى فِيهِ الْمُرْتَهِنُ أُحْلِفَ عَلَى مَا ادَّعَى ثُمَّ يُعْطَى الرَّاهِنُ مَا فَضَلَ مِنْ قِيمَةِ الرَّهْنِ وَإِنْ كَانَتْ قِيمَتُهُ أَقَلَّ مِمَّا يَدَّعِي فِيهِ الْمُرْتَهِنُ أُحْلِفَ عَلَى الَّذِي زَعَمَ أَنَّهُ لَهُ فِيهِ ثُمَّ قَاصَّهُ بِمَا بَلَغَ الرَّهْنُ ثُمَّ أُحْلِفَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ عَلَى الْفَضْلِ الَّذِي بَقِيَ لِلْمُدَّعَى عَلَيْهِ بَعْدَ مَبْلَغِ ثَمَنِ الرَّهْنِ وَذَلِكَ أَنَّ الَّذِي بِيَدِهِ الرَّهْنُ صَارَ مُدَّعِيًا عَلَى الرَّاهِنِ فَإِنْ حَلَفَ بَطَلَ عَنْهُ بَقِيَّةُ مَا حَلَفَ عَلَيْهِ الْمُرْتَهِنُ مِمَّا ادَّعَى فَوْقَ قِيمَةِ الرَّهْنِ وَإِنْ نَكَلَ لَزِمَهُ مَا بَقِيَ مِنْ حَقِّ الْمُرْتَهِنِ بَعْدَ قِيمَةِ الرَّهْنِ

قال يحيى سمعت مالك يقول فيمن ارتهن متاعا فهلك المتاع عند المرتهن واقر الذي عليه الحق بتسمية الحق واجتمعا على التسمية وتداعيا في الرهن فقال الراهن قيمته عشرون دينارا وقال المرتهن قيمته عشرة دنانير والحق الذي للرجل فيه عشرون دينارا قال مالك يقال للذي بيده الرهن صفه فاذا وصفه احلف عليه ثم اقام تلك الصفة اهل المعرفة بها فان كانت القيمة اكثر مما رهن به قيل للمرتهن اردد الى الراهن بقية حقه وان كانت القيمة اقل مما رهن به اخذ المرتهن بقية حقه من الراهن وان كانت القيمة بقدر حقه فالرهن بما فيه قال يحيى وسمعت مالك يقول الامر عندنا في الرجلين يختلفان في الرهن يرهنه احدهما صاحبه فيقول الراهن ارهنتكه بعشرة دنانير ويقول المرتهن ارتهنته منك بعشرين دينارا والرهن ظاهر بيد المرتهن قال يحلف المرتهن حتى يحيط بقيمة الرهن فان كان ذلك لا زيادة فيه ولا نقصان عما حلف ان له فيه اخذه المرتهن بحقه وكان اولى بالتبدىة باليمين لقبضه الرهن وحيازته اياه الا ان يشاء رب الرهن ان يعطيه حقه الذي حلف عليه وياخذ رهنه قال وان كان الرهن اقل من العشرين التي سمى احلف المرتهن على العشرين التي سمى ثم يقال للراهن اما ان تعطيه الذي حلف عليه وتاخذ رهنك واما ان تحلف على الذي قلت انك رهنته به ويبطل عنك ما زاد المرتهن على قيمة الرهن فان حلف الراهن بطل ذلك عنه وان لم يحلف لزمه غرم ما حلف عليه المرتهن قال مالك فان هلك الرهن وتناكرا الحق فقال الذي له الحق كانت لي فيه عشرون دينارا وقال الذي عليه الحق لم يكن لك فيه الا عشرة دنانير وقال الذي له الحق قيمة الرهن عشرة دنانير وقال الذي عليه الحق قيمته عشرون دينارا قيل للذي له الحق صفه فاذا وصفه احلف على صفته ثم اقام تلك الصفة اهل المعرفة بها فان كانت قيمة الرهن اكثر مما ادعى فيه المرتهن احلف على ما ادعى ثم يعطى الراهن ما فضل من قيمة الرهن وان كانت قيمته اقل مما يدعي فيه المرتهن احلف على الذي زعم انه له فيه ثم قاصه بما بلغ الرهن ثم احلف الذي عليه الحق على الفضل الذي بقي للمدعى عليه بعد مبلغ ثمن الرهن وذلك ان الذي بيده الرهن صار مدعيا على الراهن فان حلف بطل عنه بقية ما حلف عليه المرتهن مما ادعى فوق قيمة الرهن وان نكل لزمه ما بقي من حق المرتهن بعد قيمة الرهن


Yahya said that he heard Malik speak about someone who pledged goods as security for a loan, and they perished with the broker. The one who took out the loan confirmed its specification. They agreed on the amount of the loan, but challenged each other about the value of the pledge, the pledger saying that it had been worth twenty dinars, whilst the broker said that it had been worth only ten, and that the amount loaned on security was twenty dinars. Malik said, "It is said to the one in whose hand the pledge is, 'describe it.' If he describes it he is made to take an oath on it and then the people of experience evaluate that description. If the value is more than what was loaned on security for it, it is said to the broker, 'Return the rest of his due to the pledger.' If the value is less than what was loaned on security for it, the broker takes the rest of his due from the pledger. If the value is the exact amount of the loan, the pledge is compensated for by the loan."

Yahya said that he heard Malik say, "What is done in our community about two men who have a dispute about an amount of money loaned on the security of a pledge - the pledger claiming that he pledged it for ten dinars and the broker insisting that he took the pledge as security for twenty dinars, and the pledge is clearly in the possession of the broker - is that the broker is made to take an oath when the value of the pledge is fully known. If the value of the pledge is exactly what he swore that he had loaned on security for it, the broker takes the pledge as his right. He is more entitled to take precedence with an oath since he has possession of the pledge. If the owner of the pledge wants to give him the amount which he swore that he was owed, he can take the pledge back. If the pledge is worth less than the twenty dinars he loaned, then it is said to the pledger, 'Either you give him what he has sworn to and take your pledge back, or you swear to what you said you pledged it for.' If the pledger takes the oath, then what the broker has increased over the value of the pledge will become invalid. If the pledger does not take an oath, he must pay what the broker swore to."

Malik said, "If a pledge given on security for a loan perishes, and both parties deny each other's rights, with the broker who is owed the loan saying that he gave twenty dinars, and the pledger who owes the loan saying that he was given only ten, and with the broker who is owed the loan saying the pledge was worth ten dinars, and the broker who owes the loan saying it was worth twenty, then the broker who is owed the loan is asked to describe the pledge. If he describes it, he must take an oath on its description. Then people with experience of it evaluate that description. If the value of the pledge is estimated to be more than what the broker claims it was, he takes an oath as to what he claimed, and the pledger is given what is over from the value of the pledge. If its value is less than what the broker claims of it, he is made to take an oath as to what he claims is his. Then he demands settlement according to the actual value of the pledge. The one who owes the loan is then made to take an oath on the extra amount which remains owing against him to the claimant after the price of the pledge is reached. That is because the broker becomes a claimant against the pledger. If he takes an oath, the rest of what the broker swore to of what he claimed above the value of the pledge is invalidated. If he draws back, he is bound to pay what remains due to the broker after the value of the pledge."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩৬. বিচার সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الأقضية)