পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - ব্যভিচারীর দণ্ড প্রসঙ্গে যা বর্ণিত হয়েছে
১২০৫। আবূ হুরাইরা ও যায়দ ইবনু খালিদ জুহানী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি যে, আপনি আল্লাহর কিতাব মুতাবেক আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন’। তখন তার প্রতিপক্ষ যে এর থেকেও বেশি বাকপটু সে দাঁড়িয়ে বলল, ’সে ঠিকই বলেছে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মুতাবেক ফয়সালা করুন এবং আমাকে কথা বলার অনুমতি দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি বলো। তখন বেদুঈন বলল, ’আমার ছেলে এ লোকের বাড়িতে মজুর ছিল। অতঃপর তার স্ত্রীর সঙ্গে সে যিনা করে’। লোকেরা আমাকে বললো, তোমার ছেলের উপর রজম (পাথরের আঘাতে হত্যা) ওয়াজিব হয়েছে।
তখন আমার ছেলেকে একশ বকরী এবং একটি বাঁদীর বিনিময়ে এর নিকট হতে মুক্ত করে এনেছি। পরে আমি আলিমদের নিকট জিজ্ঞেস করলে তারা বললেন, ’তোমার ছেলের উপর একশ’ বেত্ৰাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন ওয়াজিব হয়েছে’। আর এ নারীকে রজম করতে হবে। সব শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে সত্ত্বার হাতে আমার প্রাণ! আমি তোমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মুতাবেকই ফয়সালা করব। বাঁদী এবং বকরী পাল তোমাকে ফেরত দেয়া হবে, আর তোমার ছেলেকে একশ’ বেত্ৰাঘাতসহ এক বছরের নির্বাসন দেয়া হবে’। আর অপরজনের ব্যাপারে বললেন, ’হে উনাইস! তুমি আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর নিকট যাবে, সে যিনা করার স্বীকৃতি দিলে তাকে রজম করবে’।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عنهما - أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَعْرَابِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَّا قَضَيْتَ لِي بِكِتَابِ اللَّهِ, فَقَالَ الْآخَرُ - وَهُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ - نَعَمْ. فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ, وَأْذَنْ لِي, فَقَالَ: «قُلْ». قَالَ: إنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ, وَإِنِّي أُخْبِرْتُ أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ, فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمَائَةِ شَاةٍ وَوَلِيدَةٍ, فَسَأَلَتُ أَهْلَ الْعِلْمِ, فَأَخْبَرُونِي: أَنَّمَا عَلَى ابْنِيْ جَلْدُ مَائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ, وَأَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ, فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ, لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ, الْوَلِيدَةُ وَالْغَنَمُ رَدٌّ عَلَيْكَ, وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ, وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ إِلَى امْرَأَةِ هَذَا, فَإِنْ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, هَذَا وَاللَّفْظُ لِمُسْلِمٍ
-
صحيح. رواه البخاري (5/ 301/فتح)، ومسلم (3324 - 1325) وتمامه: فغدا عليها. فاعترفت. فأمر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم، فرجمت
Abu Hurairah and Zaid bin Khalid al-Juhani (RAA) narrated that a Bedouin came to the Prophet (ﷺ) and said, 'O Messenger of Allah! I beseech you by Allah, that you judge between us according to Allah's laws' The man's opponent who was wiser than him got up and said, 'Yes, judge between us according to Allah's Law and kindly allow me (to speak).' The Prophet (ﷺ) said:
"Speak." He said, 'My son was a laborer working for that man (the Bedouin) and he committed illegal sexual intercourse with his wife, and I was informed that my son deserved to be stoned to death (as punishment for this offence). I ransomed him with one hundred sheep and a slave girl. But when I asked the knowledgeable people they told me that my son should receive a hundred lashes and be exiled for a year, and the man's wife should be stoned to death. The Messenger of Allah (ﷺ) replied, "By Him in Whose Hands my soul is, I shall judge between you according to the Law of Allah (i.e. His Book). The slave girl and the sheep are to be returned to you. As for your son, he has to receive one hundred lashes and be exiled for a year. O Unais! Go to this man's wife, and if she confesses, then stone her to death." Agreed upon, and this is Muslim's version.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - বেত্ৰাঘাত এবং পাথর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গে
১২০৬। উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার কাছ থেকে নাও আমার কাছে থেকে নাও, অবশ্য আল্লাহ ব্যভিচারিণীদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন; তা হচ্ছে, কুমার-কুমারী ব্যভিচার করলে তাদের শাস্তি হবে- একশত বেত্ৰাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশ হতে বহিষ্কার করা, আর বিবাহিত পুরুষ ও বিবাহিতা স্ত্রীলোক যিনা করলে তাদের প্রত্যেককে একশ করে দুররা মারা ও রজম (পাথর নিক্ষেপে হত্যা) করা হবে।[1]
وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «خُذُوا عَنِّي, خُذُوا عَنِّي, فَقَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا, الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ, وَنَفْيُ سَنَةٍ, وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ, وَالرَّجْمُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1690)
'Ubadah bin As-Samit (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Receive from me (this revelation), receive from me (this revelation). Allah has ordained a way for those women (unmarried females who committed adultery). When an unmarried man, commits adultery with an unmarried woman, they should receive one hundred lashes and be exiled for a year. If they (fornicate while they) were married, they shall receive hundred lashes and be stoned to death. Reported by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - যিনার অপরাধের স্বীকারোক্তি এবং তা একাধিকবার স্বীকার করা শর্ত কিনা?
১২০৭। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, এক মুসলিম ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল। তিনি তখন মসজিদে ছিলেন। সে তাঁকে ডেকে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি যিনা করেছি। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে কথাটি সে চারবার বলল। যখন সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দিল তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মধ্যে কি পাগলামির দোষ আছে? সে বলল, না। তিনি বললেন: তাহলে কি তুমি বিবাহিতা? সে বলল, হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা তাকে নিয়ে যাও আর পাথর মেরে হত্যা করো।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: أَتَى رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ - فَنَادَاهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! إِنِّي زَنَيْتُ, فَأَعْرَضَ عَنْهُ, فَتَنَحَّى تِلْقَاءَ وَجْهِهِ, فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! إِنِّي زَنَيْتُ, فَأَعْرَضَ عَنْهُ, حَتَّى ثَنَّى ذَلِكَ عَلَيْهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ, فَلَمَّا شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ. دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ «أَبِكَ جُنُونٌ» قَالَ. لَا. قَالَ: «فَهَلْ أَحْصَنْتَ». قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - «اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح رواه البخاري (5271)، ومسلم (1691) (16)
Abu Hurairah (RAA) narrated, 'A Muslim man came to the Prophet (ﷺ) while he was in the mosque, and called him saying, 'O Messenger of Allah! I have committed adultery.' The Messenger of Allah (ﷺ) turned his face away from him, so the man came round (from the other side) towards his face and said, 'O Messenger of Allah! I have committed adultery.' The Messenger of Allah (ﷺ) again turned his face away from him, but the man repeated his statement four times. When he testified four times that he did it, the Messenger of Allah (ﷺ) called him saying, "Are you insane?" The man said, 'No.' The Messenger of Allah (ﷺ) then asked him, "Are you married?" The man answered, 'Yes.' The Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Take him away and stone him (to death)." Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - ব্যভিচারের স্বীকারোক্তিকারীকে বার বার জিজ্ঞেস করা যাতে শাস্তি থেকে রক্ষা পায়
১২০৮। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, যখন মায়িয ইবনু মালিক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল তখন তাকে বললেন সম্ভবত তুমি চুম্বন করেছ অথবা ইশারা করেছ অথবা (খারাপ দৃষ্টিতে) তাকিয়েছ? সে বলল, না, হে আল্লাহর রসূল![1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: لَمَّا أَتَى مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ لَهُ: «لَعَلَّكَ قَبَّلْتَ, أَوْ غَمَزْتَ, أَوْ نَظَرْتَ» قَالَ: لَا، يَا رَسُولَ اللَّهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (6824) وتمامه: قال: أنكتها -لا يكني- قال: فعند ذلك أمر برجمه
Ibn 'Abbas (RAA) narrated, 'When Ma'iz came to the Prophet (ﷺ) (admitting that he had committed adultery), he said to him, "Perhaps you have just kissed, or touched or looked (at the woman)." Ma'iz said,'No, O Messenger of Allah.' Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - যা দ্বারা ব্যভিচার সাব্যস্ত হয়
১২০৯। ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি তাঁর ভাষণে বলেছিলেন: নিশ্চয় আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন। আর তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। এবং আল্লাহর অবতীর্ণ বিষয়াদির একটি ছিল রজমের আয়াত। আমরা সে আয়াত পড়েছি, বুঝেছি, আয়ত্ত করেছি। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর মেরে হত্যা করেছেন। আমরাও তাঁর পরে পাথর মেরে হত্যা করেছি। আমি আশংকা করছি যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হবার পর কোন লোক এ কথা বলে ফেলতে পারে যে, আল্লাহর কসম!! আমরা আল্লাহর কিতাবে পাথর মেরে হত্যার আয়াত পাচ্ছি না। ফলে তারা এমন একটি ফরয ত্যাগের কারণে পথভ্রষ্ট হবে, যা আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির উপর পাথর মেরে হত্যা অবধারিত যে বিবাহিত হবার পর যিনা করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী, যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে অথবা গর্ভ বা স্বীকারোক্তি পাওয়া যাবে।[1]
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ - رضي الله عنه - أَنَّهُ خَطَبَ فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ, وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ, فَكَانَ فِيمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ. قَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا, فَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ, فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: مَا نَجِدُ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ, فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ, وَإِنَّ الرَّجْمَ حَقٌّ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَلَى مَنْ زَنَى, إِذَا أُحْصِنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ, إِذَا قَامَتْ الْبَيِّنَةُ, أَوْ كَانَ الْحَبَلُ, أَوْ الِاعْتِرَافُ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6829) و (6830) في حديث طويل، ومسلم (1691) واللفظ لمسلم
'Umar bin al-Khattab (RAA) narrated that he addressed the people and said, 'Verily Allah has sent Muhammad with the Truth and sent down the Book to him, and the verse of stoning was included in what Allah sent down. We recited, memorized and comprehended it. The Messenger of Allah (ﷺ) accordingly (to what was in the verse) stoned to death (whoever committed adultery while being married), and we stoned after his death. But I am afraid that after a long time passes, someone may say, 'We do not find the Verses of stoning in Allah's Book, and thus they may go astray by abandoning an obligation that Allah has sent down. Verily, stoning is an obligation in the Book of Allah to be inflicted on married men and women who commit adultery, when their crime is proven, evident by pregnancy, or through the confession (of the adulterer).' Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - দাসীর ব্যভিচার করার বিধান
১২১০। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি, তোমাদের কোন দাসী ব্যভিচার করলে এবং তার ব্যভিচার প্রমাণিত হলে তাকে ’হদ’ স্বরূপ বেত্ৰাঘাত করবে এবং তাকে ভর্ৎসনা করবে না। এরপর যদি সে আবার ব্যভিচার করে তাকে ’হদ’ হিসাবে বেত্ৰাঘাত করবে। কিন্তু তাকে ভর্ৎসনা করবে না। তারপর সে যদি তৃতীয়বার ব্যভিচার করে এবং তার ব্যভিচার প্রমাণিত হয় তবে তাকে বিক্রি করে দেবে, যদিও তা চুলের রাশির (তুচ্ছ মূল্যের) বিনিময়ে হয়।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ, فَتَبَيَّنَ زِنَاهَا, فَلْيَجْلِدْهَا الْحَدَّ, وَلَا يُثَرِّبْ عَلَيْهَا, ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَلْيَجْلِدْهَا الْحَدَّ, وَلَا يُثَرِّبْ عَلَيْهَا, ثُمَّ إِنْ زَنَتِ الثَّالِثَةَ, فَتَبَيَّنَ زِنَاهَا, فَلْيَبِعْهَا وَلَوْ بِحَبْلٍ مِنْ شَعَرٍ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَهَذَا لَفْظُ مُسْلِمٍ
-
صحيح. رواه البخاري (2152)، ومسلم (1703)
Abu Hurairah (RAA) narrated, 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say, "When the slave-woman of one of you commits adultery and she is proven guilty (through witnesses or confession), he should flog her as prescribed (for the slave woman), but he should not admonish her. If she does this again, then she should be flogged again but he should not admonish her. If she commits it for the third time, and she is proven guilty, then he must sell her even if it was for a rope of hair." Agreed upon, and the wording is from Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - মনিব স্বীয় দাসের উপর হাদ্দ কায়েম করবে
১২১১। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের দাস-দাসীর উপরও দণ্ড জারী করবে। আবূ দাউদ মুসলিমে হাদীসটি মাওকুফ হিসেবে বর্ণিত আছে।[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَقِيمُوا الْحُدُودَ عَلَى مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
وَهُوَ فِي «مُسْلِمٍ» مَوْقُوفٌ
-
ضعيف مرفوعا. رواه أبو داود (4473)، مرفوعا وفي سنده ضعيف
حسن. رواه مسلم (1705)، عن أبي عبد الرحمن قال: خطب علي فقال: يا أيها الناس! أقيموا على أرقائكم الحد. من أحصن منهم ومن لم يحصن. فإن أمة لرسول الله صلى الله عليه وسلم زنت، فأمرني أن أجلدها، فإذا هي حديث عهد بنفاس. فخشيت إن أنا جلدتها أن أقتلها، فذكرت ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم. فقال: أحسنت
عن أبي عبد الرحمن قال: خطب علي فقال: يا أيها الناس! أقيموا على أرقائكم الحد. من أحصن منهم ومن لم يحصن. فإن أمة لرسول الله صلى الله عليه وسلم زنت، فأمرني أن أجلدها، فإذا هي حديث عهد بنفاس. فخشيت إن أنا جلدتها أن أقتلها، فذكرت ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم. فقال: أحسنت
তিনি বলেনঃ একবার আলী (রাঃ) খুতবাতে বলেনঃ হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের দাস-দাসীদের উপর হদ্দ কায়েম কর; বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক দাসী ব্যভিচার করলো। তখন তিনি তাকে বেত্ৰাঘাত করতে আমাকে নির্দেশ দিলেন। তখন দাসীটি নিফাস অবস্থায় ছিল। তাই আমি আশংকা করছিলাম যদি আমি তাকে বেত্ৰাঘাত করি হয়ত তাকে হত্যা করে ফেলতে পারি। তাই আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তুমি ভাল করেছ।
'Ali (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Inflict the prescribed punishment to those whom you possess (i.e. your slaves)." Related by Abu Dawud and Muslim (but only traced to the Companion).
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত গর্ভবতীর রজম (পাথর নিক্ষেপ করা) বিলম্বিত করা
১২১২। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত; জুহাইনাহ গোত্রের কোন এক স্ত্রীলোক যিনার দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে হাজির হয়ে বললঃ হে আল্লাহর নবী! আমি হদ্দের উপযুক্ত হয়েছি, আপনি আমার উপর যিনার হদ্দ ক্বায়িম করুন (প্রস্তরাঘাতে হত্যা করে আমার প্রায়শ্চিত্ত বা তাওবার ব্যবস্থা করুন)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওয়ালীকে (অভিভাবককে) ডাকালেন ও বললেন, তার সাথে ভাল ব্যবহার কর, সন্তান প্রসব করলে আমার নিকটে তাকে নিয়ে এসো।
অভিভাবক তাই করলো (সন্তান প্রসব করার পর তাকে নবীর দরবারে নিয়ে এলো); রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পরনের কাপড় শক্ত করে বেঁধে দিতে আদেশ করলেন, তারপর তার আদেশত্রুমে তাকে রজম করা হলো। তারপর তার জানাযা নামায পড়ালেন। উমার (রাঃ) বললেন: হে আল্লাহর নবী! সে ব্যভিচার করেছে তবু আপনি তার জানাযা নামায পড়লেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বলেন, সে তো এমন তওবা করেছে যে, যদি তা মদীনাবাসীর ৭০ জনের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হয় তবে তাদের জন্য তার এ তওবা যথেষ্ট হয়ে যাবে। (হে উমার!) তুমি কি এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন ব্যক্তি পেয়েছ? যে স্বয়ং আল্লাহর জন্য প্রাণ বিসর্জন করেছে। সহীহ মুসলিম[1]
وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حَصِينٍ - رضي الله عنه: أَنَّ امْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ أَتَتْ نَبِيَّ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - وَهِيَ حُبْلَى مِنَ الزِّنَا - فَقَالَتْ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ! أَصَبْتُ حَدًّا, فَأَقِمْهُ عَلَيَّ, فَدَعَا نَبِيُّ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - وَلِيَّهَا. فَقَالَ: «أَحْسِنْ إِلَيْهَا فَإِذَا وَضَعَتْ فَائْتِنِي بِهَا». فَفَعَلَ. فَأَمَرَ بِهَا فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا, ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ, ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا, فَقَالَ عُمَرُ: أَتُصَلِّي عَلَيْهَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَقَدْ زَنَتْ فَقَالَ: «لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِّمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ, وَهَلْ وَجَدَتْ أَفَضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا لِلَّهِ?». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح رواه مسلم (1696)
'Imran bin Husain (RAA) narrated, 'A woman from Juhainah came to the Prophet (ﷺ) while she was pregnant due to committing adultery and said, 'O Messenger of Allah! I have done something for which a prescribed punishment is to be inflicted, so please inflict it on me. The Messenger of Allah (ﷺ) called her guardian and said, "Be good to her, and when she delivers bring her back to me." Her guardian brought her back when she had delivered and the Messenger of Allah (ﷺ) gave his commands and her clothes were tied around her and then the Prophet (ﷺ) gave his commands and she was stoned to death. The Messenger of Allah (ﷺ) offered funeral prayer for her and thereupon 'Umar said, 'O Messenger of Allah! You offer funeral prayer for her even though she committed adultery?' The Messenger of Allah (ﷺ) replied, "She has offered such a repentance (for her sin) that if it was divided between seventy of the inhabitants of Madinah, it would be sufficient for them. Have you found such repentance better than sacrificing her life for the sake of Allah, the Almighty?" Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - আহলে কিতাবের বিবাহিত ব্যক্তিকে রজম মারা
১২১৩। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলাম গোত্রের একজন পুরুষ, একজন ইয়াহুদী পুরুষ ও একজন রমণীকে রজম করেছিলেন। মুসলিম[1]
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: رَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - رَجُلًا مَنْ أَسْلَمَ, وَرَجُلًا مِنَ الْيَهُودِ, وَامْرَأَةً. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1701) وفي رواية عنده: «وامرأته» والمراد بذلك: المرأة التي زنا بها، وليست زوجته
Jabir bin 'Abdullah (RAA) narrated, "The Messenger of Allah (ﷺ) stoned a man from Aslam to death, a Jewish man and a woman. Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - আহলে কিতাবের বিবাহিত ব্যক্তিকে রজম মারা
১২১৪। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত; দুজন ইয়াহুদীকে রজম করা প্রসঙ্গে বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। বুখারী[1]
وَقِصَّةُ رَجْمِ الْيَهُودِيَّيْنِ فِي «الصَّحِيحَيْنِ» مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ
-
انظر البخاري (6841)، ومسلم (1699)
The story of stoning the two Jews is mentioned in Al-Bukhari and Muslim on the authority of Ibn 'Umar.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - অসুস্থ ব্যক্তির উপর হাদ্দ জারী করা প্রসঙ্গে
১২১৫। সাঈদ ইবনু সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমাদের মহল্লায় একটা জীর্ণ শীর্ণ ক্ষুদ্র লোক বাস করত। সে তাদের কোন এক দাসীর সাথে নোংরা কাজ (যিনা) করে ফেলে। ফলে সা’দ এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে ব্যক্ত করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ওর উপর হদ্দ জারি করো। লোকেরা বললো: সে এর থেকে অনেক দুর্বল (একশ দুররা তো বরদাস্ত করার কোন শক্তি ওর নেই)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: একটা ডাল, নাও, যাতে একশো শাখা থাকে, তারপর তাকে ঐটি দিয়ে একবার প্রহার কর ফলে লোকেরা তাই করলো।[1]
وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: كَانَ بَيْنَ أَبْيَاتِنَا رُوَيْجِلٌ ضَعِيفٌ, فَخَبَثَ بِأَمَةٍ مِنْ إِمَائِهِمْ, فَذَكَرَ ذَلِكَ سَعْدٌ لِرَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: «اضْرِبُوهُ حَدَّهُ». فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ! إِنَّهُ أَضْعَفُ مِنْ ذَلِكَ, فَقَالَ: «خُذُوا عِثْكَالًا فِيهِ مِائَةُ شِمْرَاخٍ, ثُمَّ اضْرِبُوهُ بِهِ ضَرْبَةً وَاحِدَةً». فَفَعَلُوا. رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالنَّسَائِيُّ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ. لَكِنْ اخْتُلِفَ فِي وَصْلِهِ وَإِرْسَالِهِ
-
صحيح. رواه أحمد (522)، والنسائي في «الكبرى» (4/ 313)، وابن ماجه (2754)
Sa'id bin Sa'd bin 'Ubadah (RAA) narrated, 'A small weak man was staying in our tribe, and he committed adultery with one of their slave-women. Sa'd mentioned this to the Messenger of Allah (ﷺ), and thereupon he said, "Flog him (according to) the prescribed penalty." The people then said, 'O Messenger of Allah! He is too weak to bear it.' The Messenger of Allah (ﷺ) then said, "Get a stalk of the raceme of a palm tree with a hundred twigs and strike him just once." So, they did. Related by Ahmad, An-Nasa'i and Ibn Majah with a good chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - যে ব্যক্তি লুত সম্প্রদায়ের ন্যায় সমকামীতে লিপ্ত হবে অথবা কোন জন্তুর সাথে ব্যভিচার করবে তার বিধান
১২১৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাকে তোমরা লুত (আঃ) এর কওমের ন্যায় পুরুষে পুরুষে ব্যভিচার করতে দেখবে তাদের উভয়কে হত্যা করবে, আর যাকে কোন জন্তুর সাথে ব্যভিচার করতে দেখবে তাকে এবং জন্তুটিকেও হত্যা করবে।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ, فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ, وَمَنْ وَجَدْتُمُوهُ وَقَعَ عَلَى بَهِيمَةٍ, فَاقْتُلُوهُ وَاقْتُلُوا الْبَهِيمَةَ». رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالْأَرْبَعَةُ, وَرِجَالُهُ مُوَثَّقُونَ, إِلَّا أَنَّ فِيهِ اِخْتِلَافًا
-
حسن. رواه أحمد (1/ 300)، وأبو داود (4462)، والنسائي (4/ 322)، الترمذي (1456)، وابن ماجه (1561) وهذا الحديث في الحقيقة حديثان جمعهما الحافظ هنا الأول حديث عمل قوم لوط، وهو المخرج هنا، والثاني حديث الوقوع على البهيمة وهو عندهم أيضا. وسند الأول هو سند الثاني، وفيه عمرو بن أبي عمرو، وهو حسن الحديث
Ibn 'Abbas (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Whoever you find doing as the people of Lot did (i.e. homosexuality), kill the one who does it and the one to whom it is done, and if you find anyone having sexual intercourse with animal, kill him and kill the animal." Related by Ahmad and the four Imams with a trustworthy chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - দেশ থেকে বিতাড়িত করার বিধান এখনও চালু রয়েছে, রহিত করা হয়নি
১২১৭। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হদ্দের দুররা মেরেছেন (মারিয়েছেন) ও দেশ হতে বিতাড়িত করেছেন। আবূ বকর (রাঃ) তার খিলাফতকালে দুররা মেরেছেন ও দেশ হতে বিতাড়িত করেছেন। উমার (রাঃ) দুররা মেরেছেন ও দেশ হতে বিতাড়িত করেছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - ضَرَبَ وَغَرَّبَ وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ ضَرَبَ وَغَرَّبَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ, وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ, إِلَّا أَنَّهُ اخْتُلِفَ فِي رَفْعِهِ, وَوَقْفِهِ
-
صحيح. رواه الترمذي (1438)، وزاد: «وأن عمر ضرب وغرب». وسنده صحيح،، ولا يضر من رفعه -وهو ثقات- وقف من وقفه. والله أعلم
Ibn 'Umar (RAA) narrated, "The Messenger of Allah (ﷺ) applied the punishment of flogging and also that of exile, Abu Bakr (RAA) applied the punishments of flogging and exile and also 'Umar applied them." Related by At-Tirmidhi with a trustworthy chain of narrators, but scholars differed over its being traced back to the Prophet (ﷺ) or only to the companion.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - পুরুষের মেয়েলী সাজে সজ্জিত হয়ে মেয়েদের কাছে প্ৰবেশ করার বিধান
১২১৮। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন নারীরূপী পুরুষ ও পুরুষরূপী নারীদের উপর এবং বলেছেনঃ তাদেরকে বের করে দাও তোমাদের ঘর হতে এবং তিনি অমুক অমুককে বের করে দিয়েছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - الْمُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ, وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنَ النِّسَاءِ, وَقَالَ: «أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (6834)
Ibn 'Abbas (RAA) narrated, "The Messenger of Allah (ﷺ) cursed men who are effeminate and women who take the similitude of men, and said, "Get them out of your homes." Related by Al-Bukhari.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - সন্দেহের অবকাশ থাকলে হাদ্দকে প্ৰতিহত করা প্রসঙ্গে
১২১৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সম্ভব হলে হদ্দকে এড়িয়ে চলো (হদ্দ জারি করবে না-বাধ্য হলে করবে)।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «ادْفَعُوا الْحُدُودَ, مَا وَجَدْتُمْ لَهَا مَدْفَعًا». أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ, وَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ
-
ضعيف. رواه ابن ماجه (2545)
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Avert the infliction of the prescribed punishment as long as you find a way out (i.e. to avoid their infliction). Related by Ibn Majah with a weak chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - সন্দেহের অবকাশ থাকলে হাদ্দকে প্ৰতিহত করা প্রসঙ্গে
১২২০। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিরমিযীতে এরূপ শব্দে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: সাধ্যানুযায়ি মুসলিমদের উপর হতে হদ্দকে প্রতিহত কর।[1]
وَأَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَالْحَاكِمُ: مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا بِلَفْظِ: «ادْرَأُوا الْحُدُودَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا اسْتَطَعْتُمْ». وَهُوَ ضَعِيفٌ أَيْضًا
-
ضعيف جدا. رواه الترمذي (1424)، والحاكم (4/ 384)، وتمامه: «فإن كان له مخرج فخلوا سبيله، فإن الإمام إن يخطئ في العفو خير من أن يخطئ في العقوبة». قلت: وفي سنده يزيد بن زياد الدمشقي وهو متروك
At-Tirmidhi and Al-Hakim transmitted on the authority of 'Aishah (RAA) with the wording, 'Allah's Messenger (ﷺ) said:
"Avert infliction of the prescribed punishment on the Muslims as much as you can." It is also a weak hadith.
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - সন্দেহের অবকাশ থাকলে হাদ্দকে প্ৰতিহত করা প্রসঙ্গে
১২২১। আলী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত; তিনি বলেন: সন্দেহের অবকাশ থাকলে দণ্ডকে প্রতিহত করবে।[1]
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ: عَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - (مِنْ) قَوْلِهِ بِلَفْظِ: «ادْرَأُوا الْحُدُودَ بِالشُّبُهَاتِ
-
ضعيف جدا أيضا. رواه البيهقي (838)
Al-Baihaqi transmitted on the authority of 'Ali (RAA) that he said, 'Avert the prescribed punishment by rejecting doubtful evidence.'
পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - যে ব্যক্তি কোন পাপ কাজ করে ফেলে তাহলে তার তা গোপন করা উচিত
১২২২। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেসব নোংরা বস্তু হতে দূরে থাকার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন তা হতে দূরে থাকবে। আল্লাহ না করুন যদি কেউ তাতে পড়েই যায়, তবে যেন সে তা গোপন করে নেয়- আল্লাহর পর্দা দিয়ে আর মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে। কেননা যে ব্যক্তি নিজের রহস্যাবৃত বস্তুকে প্রকাশ করে ফেলবে তার উপরে আমরা আল্লাহর কিতাবের ফায়সালা জারি করব।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «اجْتَنِبُوا هَذِهِ الْقَاذُورَاتِ الَّتِي نَهَى اللَّهُ تَعَالَى عَنْهَا, فَمَنْ أَلَمَّ بِهَا فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ تَعَالَى, وَلِيَتُبْ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى, فَإِنَّهُ مَنْ يَبْدِ لَنَا صَفْحَتَهُ نُقِمْ عَلَيْهِ كِتَابَ اللَّهِ - عز وجل». رَوَاهُ الْحَاكِمُ, وَهُوَ فِي «الْمُوْطَّإِ» مِنْ مَرَاسِيلِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ
-
صحيح. وهو مخرج في «مشكل الآثار» للطحاوي برقم (91)
Ibn 'Umar (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Avoid these filthy practices which Allah, the Almighty has prohibited. He who commits any of these, should conceal with Allah's Most High Veil (i.e. should not speak about it), and should turn to Allah, the Most High in repentance, for if anyone uncovers his hidden sins (to us), we shall inflict on him the punishment prescribed by Allah, the Al-Mighty." Related by Al-Hakim and in Al-Muwatta' but traced to its narrator Zaid bin Aslam as hadith Mursal.
পরিচ্ছেদঃ ২. যিনার অপবাদ প্রদানকারীর শাস্তি - যিনার অপবাদ প্রদানকারীর শাস্তির প্রমাণ
১২২৩। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: যখন কুরআনে আমার উপর আরোপিত অপবাদ হতে মুক্তি সংক্রান্ত আয়াত অবতীর্ণ হলো তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে দাঁড়ালেন ও এর উল্লেখ করলেন এবং কুরআনের আয়াত পাঠ করে শুনালেন। তারপর মিম্বার হতে অবতরণ করলেন, এবং দুজন পুরুষ (হাসসান ইবনু সাবিত, মিসতাহ ইবনু আসাসা) ও একজন স্ত্রীলোক (হামনা বিনতু জাহাশ)-কে তাঁর আদেশত্রুমে হদ্দ মারা হলো।[1]
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: لَمَّا نَزَلَ عُذْرِي, قَامَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَلَى الْمِنْبَرِ, فَذَكَرَ ذَلِكَ وَتَلَا الْقُرْآنَ, فَلَمَّا نَزَلَ أَمَرَ بِرَجُلَيْنِ وَامْرَأَةٍ فَضُرِبُوا الْحَدَّ. أَخْرَجَهُ أَحْمَدُ وَالْأَرْبَعَةُ
- وأشار إلِيه البخاري
-
حسن. رواه احمد (6/ 35)، وأبو داود (4474)، والنسائي في «الكبرى» (4/ 325)، والترمذي (3181)، وابن ماجه (2567) من طريق ابن إسحاق، عن عبد الله بن أبي بكر، عن عمرة، عن عائشة
'Aishah (RAA) narrated, 'When my vindication was revealed, the Prophet (ﷺ) mounted the pulpit and mentioned what happened and recited the verses of the Quran (which had been revealed). When he came down from the pulpit he ordered that two men and a women should be given the prescribed flogging (for this false accusation of 'Aishah (RAA) which is eighty lashes).' Related by Ahmad and the four Imams. Al-Bukhari refereed to it.
পরিচ্ছেদঃ ২. যিনার অপবাদ প্রদানকারীর শাস্তি - স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করার বিধান
১২২৪। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: ইসলামের সর্বপ্রথম সংঘটিত লি’আন’ এজন্য ছিল যে, হিলাল ইবনু উমাইয়াহ তার স্ত্রীর সাথে শারীক ইবনু সাহিমার ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (হিলালকে) বলেন, প্রমাণ উপস্থিত কর অন্যথায় তোমার পিঠের উপর অপবাদের হদ্দ মারা হবে।[1]
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه - قَالَ: أَوَّلَ لِعَانٍ كَانَ فِي الْإِسْلَامِ أَنَّ شَرِيكَ بْنُ سَمْحَاءَ قَذَفَهُ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ بِامْرَأَتِهِ, فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الْبَيِّنَةَ، وَإِلَّا فَحَدٌّ فِي ظَهْرِكَ». الْحَدِيثَ أَخْرَجَهُ أَبُو يَعْلَي, وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ
-
صحيح. رواه أبو يعلي في «المسند» (2824) ولكن لفظه عنده: «يا هلال! أربعة شهود، وإلا ... » وهو مطول عنده
Anas bin Malik (RAA) narrated, "The first Li'an that took place in Islam was when Hilal bin Umaiyah accused his wife of having committed adultery with Shuraik bin Sahma.' Thereupon the Messenger of Allah (ﷺ) said to him, "Either you produce evidence (for your claim) or you will receive punishment on your back (i.e. flogged for your accusation of it is false."