পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ
১৫১। আবদুল্লাহ বিন ’আমর (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’যুহরের সময় হচ্ছে, যখন সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে, আর মানুষের ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত, তথা ’আসরের সময় উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত। ’আসরের সময় হচ্ছে, (কোন বস্তুর ছায়া তার সমান হবার পর হতে) সূর্যের রঙ হালকা বা ফ্যাকাশে হলুদ বর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত। মাগরিবের সময় সূর্যাস্ত থেকে আরম্ভ করে পশ্চিমকাশে লালিমা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত। ’ইশার, সালাতের সময় হলো, (মাগরিবের সময় শেষ হওয়া থেকে শুরু হয়ে) মধ্যরাত অবধি বিদ্যমান থাকে। ফজরের সময়, সুবহে সাদিক থেকে আরম্ভ হয়ে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত।[1]
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِوٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «وَقْتُ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتْ الشَّمْسُ, وَكَانَ ظِلُّ الرَّجُلِ كَطُولِهِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ, وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ, وَوَقْتُ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَغِبْ الشَّفَقُ, وَوَقْتُ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ الْأَوْسَطِ, وَوَقْتُ صَلَاةِ الصُّبْحِ مِنْ طُلُوعِ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعْ الشَّمْسُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (612) (173)، وتمامه: «فإذا طلعت الشمس فأمسك عن الصلاة، فإنها تطلع بين قرني شيطان». وله ألفاظ أخر
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ
১৫২। মুসলিমে বুরাইদাহ (রাঃ)-এর হাদীসে আসর সম্পর্কে রয়েছে (সূৰ্য আলোক উজ্জ্বল থাকা পর্যন্ত)।[1]
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ فِي الْعَصْرِ: وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ
-
صحيح. رواه مسلم (613) وعنده: «والشمس مرتفعة ... ». ومعنى «بيضاء نقية»: أي: لم يدخلها شيء من الصفرة، وفي الحديث السابق: ما لم تصفر الشمس
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ
১৫৩। আর আবূ মূসা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে আছে, এবং সূর্য উঁচুতে থাকা পর্যন্ত’ (’আসরের সময় থাকে)।[1]
وَمِنْ حَدِيثِ أَبِي مُوسَى: وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ
-
صحيح. رواه مسلم (614) من حديث طويل، وفيه: «ثم أمره، فأقام بالعصر
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - কখন নবী (ﷺ) ফরয সালাত আদায করতেন তার বিবরণ
১৫৪। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আসরের সালাত আদায় করতেন তার পর আমাদের কোন ব্যক্তি রওয়ানা হয়ে মদীনার দূর প্রান্তের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরও সূর্য জীবিত তথা সূর্যের উজ্জ্বলতা বাকী থাকতো। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সালাত দেরিতে আদায় করা পছন্দ করতেন এবং ’ইশা সালাতের পূর্বে ঘুমানো ও পরে কথাবার্তা বলাকে অপছন্দ করতেন। আর তিনি ফজরের সালাত আদায় করে এমন সময় ফিরতেন যখন লোক তার পাশে বসে থাকা সঙ্গীকে চিনতে পারত। আর ষাট আয়াত থেকে একশো আয়াত তিলাওয়াত করতেন।[1]
وَعَنْ أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يُصَلِّيَ الْعَصْرَ, ثُمَّ يَرْجِعُ أَحَدُنَا إِلَى رَحْلِهِ فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ, وَكَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يُؤَخِّرَ مِنَ الْعِشَاءِ, وَكَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا, وَكَانَ يَنْفَتِلُ مِنْ صَلَاةِ الْغَدَاةِ حِينَ يَعْرِفُ الرَّجُلُ جَلِيسَهُ, وَيَقْرَأُ بِالسِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (547)، ومسلم (647) واللفظ للبخاري. و «رحله»: بفتح الراء وسكون الحاء المهملة «مسكنة». و «حية»: أي بيضاء نقية كما في الرواية السابقة، وصح عن أحد التابعين قوله: حياتها أن تجد حرها. و «ينفتل»: أي: ينصرف
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - কখন নবী (ﷺ) ফরয সালাত আদায করতেন তার বিবরণ
১৫৫। বুখারী ও মুসলিমে জাবির (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে আছে- ’ইশার সালাত কখনও দ্রুত কখনও দেরীতে পড়তেন। যখন দেখতেন লোক একত্রিত হয়ে গেছে তখন তাড়াতাড়ি করতেন। আর তারা বিলম্বে উপস্থিত হলে বিলম্বেই আদায় করতেন। আর তিনি ফজরের সালাত খানিকটা অন্ধকারে আদায় করতেন।[1]
وَعِنْدَهُمَا مِنْ حَدِيثِ جَابِرٍ: وَالْعِشَاءُ أَحْيَانًا وَأَحْيَانًا: إِذَا رَآهُمْ اجْتَمَعُوا عَجَّلَ, وَإِذَا رَآهُمْ أَبْطَئُوا أَخَّرَ, وَالصُّبْحَ: كَانَ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ
-
صحيح. رواه البخاري (560)، ومسلم (646)، واللفظ للبخاري ولفظ مسلم: والعشاء أحيانا يؤخرها، وأحيانا يعجل
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - কখন নবী (ﷺ) ফরয সালাত আদায করতেন তার বিবরণ
১৫৬। মুসলিমে আবূ মূসা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে আছে, ঐ সময় ফজরের সালাত আদায় করতেন যখন ফজর প্রকাশ অর্থাৎ সুবহে সাদিক হতো। কিন্তু লোকেরা পরস্পরকে তখনও ভালভাবে চিনতে সক্ষম হতো না।
وَلِمُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُوسَى: فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ, وَالنَّاسُ لَا يَكَادُ يَعْرِفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا
-
صحيح، وهي قطعة من الحديث السابق برقم (153)
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - মাগরিবের সালাত ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত আদায় করার বিধান
১৫৭। রাফি’ বিন খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমরা মাগরিবের সালাত আদায় করতাম। অতঃপর সেখান থেকে ফেরার পরও আমাদের লোক তার ’নিক্ষিপ্ত তীর পতিত হবার দূরবর্তী স্থানটি দেখতে পেতেন।[1]
وَعَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ: كُنَّا نُصَلِّي الْمَغْرِبَ مَعَ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَيَنْصَرِفُ أَحَدُنَا وَإِنَّهُ لَيُبْصِرُ مَوَاقِعَ نَبْلِهِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (559)، ومسلم (637) وقال الحافظ في «الفتح» (2/ 41): ومقتضاه المبادرة بالمغرب في أول وقتها، بحيث أن الفراغ منها يقع والضوء باق
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - ইশার সালাতকে প্রথম ওয়াক্ত থেকে বিলম্বিত করার বিধান
১৫৮। ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক রাতে ’ইশার সালাত আদায় করতে অনেক বিলম্ব করেছিলেন। এমন কি রাতের বেশ কিছু সময় গত হয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি বের হয়ে সালাত আদায় করে বললেন, এটাই হচ্ছে ’ইশা সালাত আদায়ের উপযুক্ত সময়, যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্ট মনে না করতাম। তবে এসময়টাকেই নির্ধারণ করতাম।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - ذَاتَ لَيْلَةٍ بِالْعِشَاءِ, حَتَّى ذَهَبَ عَامَّةُ اللَّيْلِ, ثُمَّ خَرَجَ, فَصَلَّى, وَقَالَ: «إِنَّهُ لَوَقْتُهَا لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (638) (219) و «أعتم»: أخرها حتى اشتدت عتمة الليل، وهي ظلمته
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - যুহরের সালাতকে সূর্যের প্রখরতা ঠাণ্ডা হলে পড়ার বিধান
১৫৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন দিনের উত্তাপ খুব বেড়ে যাবে তখন উত্তাপ কমে (আবহাওয়া) ঠাণ্ডা হলে (যুহরের) সালাত পড়বে। কেননা কঠিন উত্তাপ জাহান্নামের আগুনের তীব্ৰতা থেকে হয়।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا بِالصَّلَاةِ, فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (536)، ومسلم (615) و «الإبراد» تأخير صلاة الظهر إلى أن يبرد الوقت
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - ফজরের সালাত স্পষ্ট সুবহে সাদিক্ ও আলোকজ্জ্বল ভোরে পড়া মুস্তাহাব
১৬০। রাফি’ বিন খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের সালাত স্পষ্ট সুবহি সাদিক হলে আদায় করা। কেননা তা তোমাদের জন্য অধিক পুণ্যের কারণ। তিরমিযী ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَصْبِحُوا بِالصُّبْحِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِأُجُورِكُمْ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه أبو داود (424)، والنسائي (172)، والترمذي (154)، وابن ماجه (672)، وأحمد (3/ 465 و 440 و 142 و 143)، وابن حبان (1490)، (1491) وفي لفظ: «أعظم للأجر»، وفي أخر: «لأجرها». وقال الترمذي: «حديث رافع بن خديج حديث حسن صحيح». ومعنى «أسفروا»: أراد صلى الله عليه وسلم في الليالي المقمرة التي لا يتبين فيها وضوح طلوع الفجر؛ لئلا يؤدي المرء صلاة الصبح إلا بعد التيقن بالإسفار بطلوع الفجر، فإن الصلاة إذا أديت كما وصفنا كان أعظم للأجر من أن تصلى على غير يقين من طلوع الفجر. قاله ابن حبان. ومن قبل ذلك نقل الترمذي عن الشافعي وأحمد وإسحاق أنهم قالوا: معنى الإسفار: أن يضح الفجر فلا يشك فيه
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - কিভাবে নির্দিষ্ট ওয়াক্তের সালাত পাওয়া যায়?
১৬১। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের সালাতের এক রাক’আত সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে আদায় করতে পারলো সে পূর্ণ সালাতই পেলে, আর যে ব্যক্তি ’আসরের সালাতের এক রাক’আত সূর্যাস্তের পূর্বে আদায় করলো, সে ’আসরের পূর্ণ সালাতই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেলে।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الصُّبْحِ رَكْعَةً قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الصُّبْحَ, وَمَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الْعَصْرَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (579)، ومسلم (608)
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - কিভাবে নির্দিষ্ট ওয়াক্তের সালাত পাওয়া যায়?
১৬২। এবং মুসলিমে ’আয়িশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসেও অনুরূপ কথা উল্লেখ রয়েছে। তাতে রাকাআতের পরিবর্তে সিজদা শব্দ রয়েছে এবং পরে তিনি বলেন, এখানে সিজদার অর্থ রাক’আত হবে।[1]
وَلِمُسْلِمٍ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ, وَقَالَ: «سَجْدَةً» بَدَلَ «رَكْعَةً». ثُمَّ قَالَ: وَالسَّجْدَةُ إِنَّمَا هِيَ الرَّكْعَةُ
-
صحيح. رواه مسلم (609) ولفظه: «من أدرك من العصر سجدة قبل أن تغرب الشمس، أو من الصبح قبل أن تطلع فقد أدركها» والسجدة إنما هي الركعة
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - সালাতের নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১৬৩। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট শুনেছি তিনি বলেন; ফজরের সালাতের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ফজরের সালাত ব্যতীত অন্য কোন সালাত (আদায় জায়েজ) নেই। আর ’আসর সালাতের পরেও সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন সালাত নেই।
মুসলিমের শব্দগুলো হচ্ছে: ফজরের সালাতের পর অন্য কোন সালাত নেই।[1]
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «لَا صَلَاةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَلَا صَلَاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
وَلَفْظُ مُسْلِمٍ: لَا صَلَاةَ بَعْدَ صَلَاةِ الْفَجْرِ
-
صحيح. رواه البخاري (586)، ومسلم (827) وفي لفظ البخاري «ترتفع» بدل «تطلع». وأن لفظ مسلم فعدا عما ذكره الحافظ فقد وقع عنده تقديم النهي عن الصلاة بعد العصر على النهي بعد صلاة الفجر. وعنده أيضا «تغرب» بدل تغيب
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - সালাত ও মৃত দাফনের নিষিদ্ধ সময় সূচি
১৬৪। এবং মুসলিমে ’উকবাহ বিন ’আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এমন তিনটি সময় রয়েছে যে সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করতে, মৃতকে কবর দিতে নিষেধ করেছেনঃ (১) সূর্য উজ্জ্বল হয়ে উঠা হতে কিছুটা উপরে উঠা পর্যন্ত, (২) এবং ঠিক দুপুর হলে যে পর্যন্ত না সূর্য (পশ্চিম আকাশে) ঝুঁকে পড়ে, (৩) আর যখন সূর্য ঝুঁকে পড়ে অস্ত যাবার উপক্রম হয়।[1]
وَلَهُ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ: ثَلَاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّي فِيهِنَّ, وَأَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا: حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ, وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ, وَحِينَ تَتَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ
وَالْحُكْمُ الثَّانِي عِنْدَ «الشَّافِعِيِّ» مِنْ
-
صحيح. رواه مسلم (831) و «قائم الظهيرة»: أي قيام الشمس وقت الزوال، وذلك عند بلوغها وسط السماء فإنها عند ذلك يبطئ حركتها
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - সালাত ও মৃত দাফনের নিষিদ্ধ সময় সূচি
১৬৫। কিন্তু শাফি’ঈ (রহঃ)-এর নিকট দ্বিতীয় হুকুম যেটি আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে য’ঈফ সানাদে বর্ণনা করে তাতে বৃদ্ধি করেছেনঃ “জুমু’আহর দিন ব্যতীত”।[1]
حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ بِسَنَدٍ ضَعِيفٍ. وَزَادَ: إِلَّا يَوْمَ الْجُمْعَةِ
-
ضعيف جدا. رواه الشافعي في «المسند» (139/ 408) عن أبي هريرة؛ أن النبي صلى الله عليه وسلم نهى عن الصلاة نصف النهار، حتى تزول الشمس إلا يوم الجمعة. قلت: وفي إسناده متروكان
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - সালাত ও মৃত দাফনের নিষিদ্ধ সময় সূচি
১৬৬। আবূ দাউদেও আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস রয়েছে।[1]
وَكَذَا لِأَبِي دَاوُدَ: عَنْ أَبِي قَتَادَةَ نَحْوُهُ
-
ضعيف. رواه أبو داود (1083) عن أبي قتادة، عن النبي صلى الله عليه وسلم؛ أنه كره الصلاة نصف النهار إلا يوم الجمعة، وقال: «إن جهنم تسجر إلا يوم الجمعة». قلت: وفي سنده ضعف وانقطاع. وأما عن الصلاة نصف النهار، فقد قال ابن القيم في «الزاد» (1/ 380): «اختلف الناس في كراهة الصلاة نصف النهار على ثلاثة أقوال. أحدها: أنه ليس وقت كراهة بحال، وهو مذهب مالك. الثاني: أنه وقت كراهة في يوم الجمعة وغيرها، وهو مذهب أبي حنيفة والمشهور من مذهب أحمد. الثالث: أنه وقت كراهة إلا يوم الجمعة، فليس بوقت كراهة، وهذا مذهب الشافعي». ا. هـ. قلت: ومذهب الشافعي هو أعدل المذاهب، وهو الذي تدل عليه الأحاديث الصحيحة
১. সেটা কোন অপছন্দনীয় সময় নয়। এটা ইমাম মালিকের অভিমত।
২. জুমুআহ এবং অন্যান্য সব সালাতের ক্ষেত্রেই সে সময়টায় সালাত আদায় অপছন্দীয়। এটা ইমাম আবু হানীফার অভিমত এবং ইমাম আহমাদ (রহঃ) এর প্রসিদ্ধ অভিমত।
৩. সে সময়টা জুমুআহ ব্যতীত অন্যান্য দিনের জন্য সালাত আদায়ের অপছন্দনীয় সময়। জুমুআর দিনে কোন অপছন্দনীয় সময় নেই। এটা ইমাম শাফিয়ীর (রহঃ) এর অভিমত। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেন: ইমাম শাফিয়ীর অভিমতই ন্যায়ভিত্তিক অভিমত। এ অভিমতের পক্ষে সহীহ হাদীসসমূহ প্রমাণিত রয়েছে। ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি মুরসাল। কেননা; বর্ণনাকারী আব্দুল খালীল আবু কাতাদাহ থেকে শুনেননি। এছাড়া এ হাদীসে লাইস বিন আবু সুলাইম রয়েছেন। তিনি দুর্বল রাবী (আত্-তালখীসুল হাবীর ১/৩১১), ইমাম শাওকানী বলেন, হাদীসটি মুনকাতি। এর মধ্যে লাইস বিন আবু সুলাইম দুর্বল। (নাইলুল আওতার ৩/১১২), ইমাম যাহাবীও লাইসকে দুর্বল বলেছেন। (তানকীহুত তাহকীক ১/২০২)। ইবনু হাজার বলেন, মুহাম্মদ বিন ইয়াযিদ হচ্ছে একক বৰ্ণনাকারী আর তিনি সত্যবাদী। (আত্-তালখীসুল হাবীর ১/২৮৬), ইমাম শাওকানীও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন। (নাইলুল আওতার ১/৪১১), দারাকুতনী বলেন, হাদীসটি গরীব, এর সকল রাবী বিশ্বস্ত (আল-বাদারুল মুনীর ৩/১৮৮)
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - সব সময় (বাইতুল্লাহ শরীফ) তাওয়াফ করা বৈধ
১৬৭। যুবাইর বিন মুত’ঈম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে ’আবদি মানাফ এর বংশধরগণ, তোমরা কাউকে এ বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে এবং সালাত আদায় করতে নিষেধ করবে না। যে কোন সময় যে কেউ তা করতে চায়। তিরমিযী ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ, لَا تَمْنَعُوا أَحَدًا طَافَ بِهَذَا الْبَيْتِ وَصَلَّى أَيَّةَ سَاعَةٍ شَاءَ مِنْ لَيْلٍ [أَ] ونَهَارٍ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه أبو داود (1894)، والنسائي (184 و 523)، والترمذي (868)، وابن ماجه (1254)، وأحمد (4/ 80 و 81 و 82 و 83 و 84)، وابن حبان (1552 و 1553 و 1554) وقال الترمذي: حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - শাফাক্ব (সূর্যাস্তের পরে পশ্চিম আকাশের লাল আভা) যার কারণে মাগরিবের সময় শেষ হয়ে যায় তার ব্যাখ্যা
১৬৮। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, ’শাফাক্ব’ এর অর্থ হুমরা (সূর্যাস্তের পরবর্তী পশ্চিমাকাশে দৃশ্যমান লাল আভা)। ইমাম দারাকুতনী এটিকে বর্ণনা করেছেন। ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ বলেছেন এবং অন্যান্যরা একে মাওকুফ বলেছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «الشَّفَقُ الْحُمْرَةُ». رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ وَصَحَّحَ ابْنُ خُزَيْمَةَ وَغَيْرُهُ وَقْفَهُ
-
ضعيف. رواه الدارقطني في «السنن» (1/ 269/3) وتمام لفظه: فإذا غاب الشفق، وجبت الصلاة
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - ফজর দু’প্রকার এবং উভয়ের মাঝে গুণগত ও হুকুমগত পার্থক্যের বর্ণনা
১৬৯। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ফজর দু’ প্রকার- প্রথমতঃ ঐ ফজর (যাতে সওম-এর নিয়্যাতে) পানাহার করা হারাম করে দেয় আর তাতে সালাত আদায় করা হালাল, আর দ্বিতীয়তঃ সেই ফজর (সুবহি কাযিব) যাতে ফজরের সালাত আদায় করা হারাম এবং খাদ্য খাওয়া হালাল। ইবনু খুযাইমাহ এবং হাকিম এটিকে বর্ণনা করেছেন এবং তাঁরা উভয়ে একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الْفَجْرُ فَجْرَانِ: فَجْرٌ يُحَرِّمُ الطَّعَامَ وَتَحِلُّ فِيهِ الصَّلَاةُ, وَفَجْرٌ تَحْرُمُ فِيهِ الصَّلَاةُ - أَيْ: صَلَاةُ الصُّبْحِ - وَيَحِلَّ فِيهِ الطَّعَامُ». رَوَاهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ, وَالْحَاكِمُ, وَصَحَّحَاهُ
-
صحيح. رواه ابن خزيمة (356)، وعنه الحاكم (191)، ويشهد له ما بعده
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের সময়সমূহ - ফজর দু’প্রকার এবং উভয়ের মাঝে গুণগত ও হুকুমগত পার্থক্যের বর্ণনা
১৭০। হাকিমে জাবির (রাঃ) হতে অনুরূপ আরো একটি হাদীস বর্ণিত আছে তাতে আরো আছে, যে ফজরে (সওমের নিয়্যাতে) পানাহার করা হারাম তার আলোক রশ্মি পূর্ব দিগন্তে বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে (যাকে সুবহি সাদিক বলা হয়)। আর অন্য ফজরের আলোক রেখা নেকড়ে বাঘের লেজের মতো উৰ্দ্ধমুখী থাকে (যাকে সুবহি কাযিব বলা হয়)।[1]
وَلِلْحَاكِمِ فِي حَدِيثِ جَابِرٍ - رضي الله عنه - نَحْوُهُ, وَزَادَ فِي الَّذِي يُحَرِّمُ الطَّعَامَ: «إِنَّهُ يَذْهَبُ مُسْتَطِيلًا فِي الْأُفُقِ» وَفِي الْآخَرِ: إِنَّهُ كَذَنَبِ السِّرْحَان
-
صحيح. رواه الحاكم (191) وقال: «إسناده صحيح». وقال الذهبي: «صحيح». «والسرحان»: هو: الذئب، والمراد أنه لا يذهب مستطيلا ممتدا، بل يرتفع في السماء كالعمود. قاله الصنعاني