পরিচ্ছেদঃ ১. বিচারকের পদ চাওয়া সম্পর্কে
৩৫৭১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তিকে বিচারকের পদে নিযুক্ত করা হলো, সে যেন বিনা ছুরিতে যাবাহ হলো।[1]
بَابٌ فِي طَلَبِ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ وَلِيَ الْقَضَاءَ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ
صحيح
Narrated Abu Hurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: He who has been appointed a judge has been killed without a knife.
পরিচ্ছেদঃ ১. বিচারকের পদ চাওয়া সম্পর্কে
৩৫৭২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তিকে জনগণের বিচারক নিযুক্ত করা হলো, তাকে যেন বিনা ছুরিতে যাবাহ করা হলো।[1]
بَابٌ فِي طَلَبِ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَخْنَسِيِّ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، وَالْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ جُعِلَ قَاضِيًا بَيْنَ النَّاسِ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ
صحيح
Narrated Abu Hurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: He who has been appointed a judge among the people has been killed without a knife.
পরিচ্ছেদঃ ২. বিচারক ভুল করলে
৩৫৭৩। ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিচারক তিন প্রকার। এক প্রকার বিচারক জান্নাতী এবং অপর দু’ প্রকার বিচারক জাহান্নামী। জান্নাতী বিচারক হলো, যে সত্যকে বুঝে তদনুযায়ী ফায়সালা দেয়। আর যে বিচারক সত্যকে জানার পর স্বীয় বিচারে জুলুম করে সে জাহান্নামী এবং যে বিচারক প্রসূত ফায়সালা দেয় সেও জাহান্নামী।[1]
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিষয়ে উপরোক্ত হাদীসটি অধিক সহীহ, অর্থাৎ ইবনু বুরায়দাহর হাদীস-বিচারক তিন শ্রেণীর।
بَابٌ فِي الْقَاضِي يُخْطِئُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ السَّمْتِيُّ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ: وَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ، وَاثْنَانِ فِي النَّارِ، فَأَمَّا الَّذِي فِي الْجَنَّةِ فَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ فَقَضَى بِهِ، وَرَجُلٌ عَرَفَ الْحَقَّ فَجَارَ فِي الْحُكْمِ، فَهُوَ فِي النَّارِ، وَرَجُلٌ قَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ فَهُوَ فِي النَّارِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا أَصَحُّ شَيْءٍ فِيهِ يَعْنِي حَدِيثَ ابْنِ بُرَيْدَةَ الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ
صحيح
Narrated Buraydah ibn al-Hasib:
The Prophet (ﷺ) said: Judges are of three types, one of whom will go to Paradise and two to Hell. The one who will go to Paradise is a man who knows what is right and gives judgment accordingly; but a man who knows what is right and acts tyrannically in his judgment will go to Hell; and a man who gives judgment for people when he is ignorant will go to Hell.
Abu Dawud said: On this subject this is the soundest tradition, that is, the tradition of Ibn Buraidah: Judges are of three types.
পরিচ্ছেদঃ ২. বিচারক ভুল করলে
৩৫৭৪। ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বরেছেনঃ কোন বিচারক বিচারকালে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত দিয়ে যদি সে সঠিক সিদ্ধান্ত দেয় তার জন্য দু’টি সওয়াব রয়েছে। পক্ষান্তরে বিচারক যদি চিন্তা-ভাবনার পর ভুল সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে তার জন্য একটি সওয়াব রয়েছে।[1]
بَابٌ فِي الْقَاضِي يُخْطِئُ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ فَأَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ فَأَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ فَحَدَّثْتُ بِهِ أَبَا بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، فَقَالَ: هَكَذَا حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ
صحيح
It was narrated that `Amr bin Al-`As said "The Messenger of Allah said:
'If a judge passes a judgment having exerted himself to arrive at what is correct, and he is indeed correct, he will have two rewards. If he passes judgment having exerted himself to arrive at what is correct, but it is incorrect, he will have one reward.'"
I narrated it to Abu Bakr bin Hazm and he said: "This is what Abu Salamah narrated to me from Abu Hurairah.
পরিচ্ছেদঃ ২. বিচারক ভুল করলে
৩৫৭৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি মুসলিমদের বিচারক পদ চায় এবং তা পেয়েও যায়। অতঃপর তার ন্যায়পরায়ণতা যুলুমকে পরাজিত করে তাহলে সে জান্নাতী। আর যে ব্যক্তির যুলুম ইনসাফের উপর প্রাধান্য পাবে সে হবে জাহান্নামী।[1]
দুর্বল: যঈফাহ (১১৮৬), মিশকাত (৩৭৩৬)
بَابٌ فِي الْقَاضِي يُخْطِئُ
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ نَجْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ أَبُو كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ طَلَبَ قَضَاءَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى يَنَالَهُ، ثُمَّ غَلَبَ عَدْلُهُ جَوْرَهُ، فَلَهُ الْجَنَّةُ، وَمَنْ غَلَبَ جَوْرُهُ عَدْلَهُ فَلَهُ النَّار
ضعيف، الضعيفة (١١٨٦)، المشكاة (٣٧٣٦)
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone seeks the office of judge among Muslims till he gets it and his justice prevails over his tyranny, he will go to Paradise; but the man whose tyranny prevails over his justice will go to Hell.
পরিচ্ছেদঃ ২. বিচারক ভুল করলে
৩৫৭৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বাণীঃ যারা আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান মোতাবেক বিচার ফায়সালা করে না, তারা কাফির... তারাই ফাসিক’’ (সূরা মায়িদাহঃ ৪৫-৪৭) পর্যন্ত। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ এ তিনটি আয়াত ইয়াহুদীদের সম্পর্কে, বিশেষ করে বনু কুরাইযাহ ও বনূ নাযীর গোত্রকে লক্ষ্য করে অবতীর্ণ হয়েছে।[1]
সনদ হাসান সহীহ।
بَابٌ فِي الْقَاضِي يُخْطِئُ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي يَحْيَى الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: (وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ) [المائدة: ٤٤]، إِلَى قَوْلِهِ: (الْفَاسِقُونَ) [المائدة: ٤٧] هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ الثَّلَاثِ نَزَلَتْ فِي الْيَهُودِ خَاصَّةً فِي قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ
حسن صحيح الإسناد
Ibn 'Abbas said:
"If any do fail to judge (by the light of) what Allah has revealed, they are (no better than) unbelievers" up to "wrongdoers." These three verses were revealed about the Jews, particularly about Quraizah and al-Nadir.
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিচার চাওয়া এবং তাড়াহুড়া করে ফায়সালা দেয়া
৩৫৭৭। আব্দুর রাহমান ইবনু বিশর আল-আযরাক আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কিনদার দু’ ব্যক্তির ঝগড়ারত অবস্থায় এসে উপস্থিত হলো। এ সময় আবূ মাসঊদ (রাঃ) এক বৈঠকে বসা ছিলেন। তারা উভয়ে বললো, আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেয়ার মত কেউ আছে কি? বৈঠকে উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো, আমি। আবূ মাসঊদ (রাঃ) এক মুষ্টি কংকর তুলে তার দিকে ছুঁড়ে মারলেন এবং বললেন, থামো! বিচারের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা নিন্দনীয়।[1]
সনদ দুর্বল।
بَابٌ فِي طَلَبِ الْقَضَاءِ وَالتَّسَرُّعِ إِلَيْهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ رَجَاءٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بِشْرٍ الْأَنْصَارِيِّ الْأَزْرَقِ، قَالَ: دَخَلَ رَجُلَانِ مِنْ أَبْوَابِ كِنْدَةَ وَأَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ، جَالِسٌ فِي حَلْقَةٍ، فَقَالَا: أَلَا رَجُلٌ يُنَفِّذُ بَيْنَنَا، فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْحَلْقَةِ أَنَا فَأَخَذَ أَبُو مَسْعُودٍ كَفًّا مِنْ حَصًى فَرَمَاهُ بِهِ، وَقَالَ: مَهْ إِنَّهُ كَانَ يُكْرَهُ التَّسَرُّعُ إِلَى الْحُكْمِ
ضعيف الإسناد
AbdurRahman ibn Bishr al-Ansari al-Azraq said:
Two men from the locality of Kindah came while AbuMas'ud al-Ansari was sitting n a circle. They said: Is there any man who decides between us. A man from the circle said: I, AbuMas'ud took a handful of pebbles and threw at him, saying: Hush! It is disapproved to make haste in decision.
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিচার চাওয়া এবং তাড়াহুড়া করে ফায়সালা দেয়া
৩৫৭৮। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বিচারকের পদ চায় এবং এজন্য সাহায্য প্রার্থনা করে, তাকে তার নিজের উপর ছেড়ে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি বিচারক পদের জন্য লালায়িত হন এবং তা পাওয়ার জন্য কারো সাহায্য প্রার্থনা করে না, তাহলে আল্লাহ তাকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার ব্যাপারে একজন ফিরিশতা পাঠিয়ে সাহায্য করেন।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي طَلَبِ الْقَضَاءِ وَالتَّسَرُّعِ إِلَيْهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنْ بِلَالٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ طَلَبَ الْقَضَاءَ وَاسْتَعَانَ عَلَيْهِ، وُكِلَ إِلَيْهِ، وَمَنْ لَمْ يَطْلُبْهُ وَلَمْ يَسْتَعِنْ عَلَيْهِ، أَنْزَلَ اللَّهُ مَلَكًا يُسَدِّدُهُ. وَقَالَ وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ بِلَالِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وقَالَ أَبُو عَوَانَةَ: عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ بِلَالِ بْنِ مِرْدَاسٍ الْفَزَارِيِّ، عَنْ خَيْثَمَةَ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ
ضعيف
Narrated Anas ibn Malik:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone desires the office of Judge and seeks help for it, he will be left to his own devices; if anyone does not desire it, nor does he seek help for it, Allah will send down an angel who will direct him aright.
Waki' said: (This tradition has also been transmitted) by Isra'il, from 'Abd al-A'la, from Bilal bin Abi Musa, from Anas, from the Prophet (ﷺ).
Abu 'Awanah said: from 'Abd al-A'la, from Bilal bin Mirdas al-Fazari, from Khaithamah al-Basri from Anas.
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিচার চাওয়া এবং তাড়াহুড়া করে ফায়সালা দেয়া
৩৫৭৯। আবূ মূসা (রাঃ) বর্ণনা করে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা কখনো আমাদের কোন দায়িত্বপূর্ণ পদে এমন ব্যক্তিকে নিয়োগ করবো না যে উক্ত পদের জন্য লালায়িত হয়।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي طَلَبِ الْقَضَاءِ وَالتَّسَرُّعِ إِلَيْهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ، قَالَ: قَالَ أَبُو مُوسَى: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَنْ نَسْتَعْمِلَ، أَوْ لَا نَسْتَعْمِلُ عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ
صحيح
Abu Buradah reported the Prophet (ﷺ) as saying:
"We will never employ or we shall not employ (the narrator is doubtful) in our work one who wants it."
পরিচ্ছেদঃ ৪. ঘুষ গ্রহণ নিষিদ্ধ
৩৫৮০। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতাকে অভিসম্পাত করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ الرَّشْوَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي
صحيح
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:
The Messenger of Allah (ﷺ) cursed the one who bribes and the one who takes bribe.
পরিচ্ছেদঃ ৫. কর্মকর্তাদের প্রাপ্ত উপহার
৩৫৮১। আদী ইবনু উমাইরাহ আল-কিন্দা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে লোকেরা! তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তিকে আমাদের সরকারী কোন পদে নিয়োগ করার পর সে যদি আমাদের তহবিল থেকে একটি সূঁই কিংবা তার অধিক আত্মসাৎ করে তবে সে খেয়ানতকারী। কিয়ামতের দিন সে তার এই খেয়ানাতের বোঝা নিয়ে উপস্থিত হবে। তখন কালো বর্ণের জনৈক আনসার ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো। বর্ণনাকারী বলেন, আমি যেন তাকে দেখছি। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিয়ে নিন। তিনি বললেনঃ তুমি কি বললে? সে বললো, আমি আপনাকে এরূপ এরূপ বলতে শুনেছি। তিনি বলেনঃ আমি বলেছি, যাকে আমরা কোন দায়িত্ব দিয়েছি, সে কম-বেশি যা কিছুই আদায় করে আনবে তা জমা দিবে। তা থেকে তাকে যা প্রদান করা হবে সে তা নিবে, আর তাকে যা থেকে বিরত থাকতে বলা হবে সে তা থেকে বিরত থাকবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي هَدَايَا الْعُمَّالِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، حَدَّثَنِي قَيْسٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ عُمَيْرَةَ الْكِنْدِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ عُمِّلَ مِنْكُمْ لَنَا عَلَى عَمَلٍ فَكَتَمَنَا مِنْهُ مِخْيَطًا، فَمَا فَوْقَهُ فَهُوَ غُلٌّ يَأْتِي بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ أَسْوَدُ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْبَلْ عَنِّي عَمَلَكَ، قَالَ: وَمَا ذَاكَ؟، قَالَ: سَمِعْتُكَ تَقُولُ: كَذَا وَكَذَا، قَالَ: وَأَنَا أَقُولُ: ذَلِكَ مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ عَلَى عَمَلٍ فَلْيَأْتِ بِقَلِيلِهِ، وَكَثِيرِهِ، فَمَا أُوتِيَ مِنْهُ أَخَذَهُ وَمَا نُهِيَ عَنْهُ انْتَهَى
صحيح
Narrated Adi ibn Umayrah al-Kindi:
The Prophet (ﷺ) said: O people, if any of you is put in an administrative post on our behalf and conceals from us a needle or more, he is acting unfaithfully, and will bring it on the Day of Resurrection. A black man from the Ansar, as if I am seeing him, stood and said: Messenger of Allah, take back from me my post. He asked: What is that? He replied: I heard you say such and such. He said: And I say that. If we appoint anyone to an office, he must bring what is connected with it, both little and much. What he is given, he may take, and he must refrain from what is kept away from him.
পরিচ্ছেদঃ ৬. কিভাবে বিচার করবে
৩৫৮২। আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়ামেনে বিচারক হিসাবে প্রেরণ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে বিচারক করে ইয়ামেনে পাঠাচ্ছেন, অথচ আমি একজন নব যুবক, বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা নেই। তিনি বলেনঃ আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমার অন্তরকে সঠিক সিদ্ধান্তের দিকে পথ দেখাবেন এবং তোমার কথাকে প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। যখন তোমার সামনে বাদী-বিবাদী বসবে তখন তুমি যেভাবে এক পক্ষের বক্তব্য শুনবে অনুরূপভাবে অপর পক্ষের বক্তব্য না শোনা পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নিবে না। এতে তোমার সামনে মোকদ্দমার আসল সত্য প্রকাশিত হবে। আলী (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সন্দেহ পতিত হইনি।[1]
হাসান।
بَابُ كَيْفَ الْقَضَاءُ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَام، قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ قَاضِيًا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ تُرْسِلُنِي وَأَنَا حَدِيثُ السِّنِّ، وَلَا عِلْمَ لِي بِالْقَضَاءِ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ سَيَهْدِي قَلْبَكَ، وَيُثَبِّتُ لِسَانَكَ، فَإِذَا جَلَسَ بَيْنَ يَدَيْكَ الْخَصْمَانِ، فَلَا تَقْضِيَنَّ حَتَّى تَسْمَعَ مِنَ الْآخَرِ، كَمَا سَمِعْتَ مِنَ الْأَوَّلِ، فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يَتَبَيَّنَ لَكَ الْقَضَاءُ، قَالَ: فَمَا زِلْتُ قَاضِيًا، أَوْ مَا شَكَكْتُ فِي قَضَاءٍ بَعْدُ
حسن
Narrated Ali ibn AbuTalib:
The Messenger of Allah (ﷺ) sent me to the Yemen as judge, and I asked: Messenger of Allah, are you sending me when I am young and have no knowledge of the duties of a judge? He replied: Allah will guide your heart and keep your tongue true. When two litigants sit in front of you, do not decide till you hear what the other has to say as you heard what the first had to say; for it is best that you should have a clear idea of the best decision. He said: I had been a judge (for long); or he said (the narrator is doubtful): I have no doubts about a decision afterwards.
পরিচ্ছেদঃ ৭. বিচারক যদি ভুল সিদ্ধান্ত দেন
৩৫৮৩। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তো একজন মানুষ। তোমরা আমার নিকট তোমাদের মোকদ্দমা পেশ করে থাকো। হয় তো তোমাদের এক পক্ষ অপর পক্ষের চেয়ে অধিক বাকপটুতার সাথে নিজেদের যুক্তি-প্রমাণ পেশ করে থাকো। ফলে আমি তার বিবরণ অনুসারে তার পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকি। এভাবে আমি যদি তাদের কোন ভাইয়ের হক থেকে কিছু অংশ তাকে দেয়ার দেই তবে সে যেন তা কখনো গ্রহণ না করে। কারণ আমি তাকে এভাবে আগুনের একটি টুকরাই দিলাম।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي قَضَاءِ الْقَاضِي إِذَا أَخْطَأَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، وَإِنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ إِلَيَّ وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ مِنْ بَعْضٍ، فَأَقْضِيَ لَهُ عَلَى نَحْوِ مَا أَسْمَعُ مِنْهُ، فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ بِشَيْءٍ، فَلَا يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا، فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ
صحيح
Umm Salamah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
"I am only a human being, and you bring your disputes to me, some perhaps being more eloquent in their plea than others, so that I give judgement on their behalf according to what I hear from them. Therefore, whatever I decide for anyone which by right belongs to his brother, he must not take anything, for I am granting him only a portion of Hell.
পরিচ্ছেদঃ ৭. বিচারক যদি ভুল সিদ্ধান্ত দেন
৩৫৮৪। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা দু’ জন লোক তাদের মীরাস সম্পর্কিত বিবাদ নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো। মৌখিক দাবি ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ ছিলো না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেনঃ ... অতঃপর উপরের হাদীসের অনুরূপ। একথা শুনে তারা দু’ জনে কাঁদতে লাগলো এবং পরস্পরকে বলতে লাগলো, আমার প্রাপ্য তোমার জন্য ছেড়ে দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয়কে বললেনঃ তোমরা যেহেতু এরূপ করছো তখন একটা কাজ করো। বিতর্কিত জিনিসটি উভয়ে ভাগ করে নাও, যা নষ্ট হয়েছে তা অনুমান করো। অতঃপর বিবেচনা করে যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিয়ে দাও।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي قَضَاءِ الْقَاضِي إِذَا أَخْطَأَ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ فِي مَوَارِيثَ لَهُمَا، لَمْ تَكُنْ لَهُمَا بَيِّنَةٌ إِلَّا دَعْوَاهُمَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ، فَبَكَى الرَّجُلَانِ، وَقَالَ: كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا حَقِّي لَكَ، فَقَالَ لَهُمَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَّا إِذْ فَعَلْتُمَا مَا فَعَلْتُمَا فَاقْتَسِمَا، وَتَوَخَّيَا الْحَقَّ، ثُمَّ اسْتَهَمَا، ثُمَّ تَحَالَّا
ضعيف
Umm Salamah said:
Two men came to the Messenger of Allah (ﷺ) who were disputing over their inheritance. They had no evidence except their claim. The Prophet (ﷺ) then said in a similar way. Thereupon both the men wept and each of them said: This right of mine go to you. The Prophet (ﷺ) then said: Now you have done whatever you have done ; do divide it up, aiming at what is right, then drew lots, and let each of you consider the other to have what is legitimately his"
পরিচ্ছেদঃ ৭. বিচারক যদি ভুল সিদ্ধান্ত দেন
৩৫৮৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনু রাফি’ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, দু’ জন লোক তাদের মীরাস ও কিছু পুরানো আসবাব নিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদের বিবাদের মীমাংসা করবো আমার নিজের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, যে বিষয়ে আমার উপর কিছু অবতীর্ণ হয়নি।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي قَضَاءِ الْقَاضِي إِذَا أَخْطَأَ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْحَدِيثِ، قَالَ: يَخْتَصِمَانِ فِي مَوَارِيثَ وَأَشْيَاءَ قَدْ دَرَسَتْ، فَقَالَ: إِنِّي إِنَّمَا أَقْضِي بَيْنَكُمْ بِرَأْيِي فِيمَا لَمْ يُنْزَلْ عَلَيَّ فِيهِ
ضعيف
Umm Salamah reported the Prophet (ﷺ) as saying when two men were disputing over inheritance and old things:
I decide between you on the basis of my opinion in cases about which no revelation has been sent down to me.
পরিচ্ছেদঃ ৭. বিচারক যদি ভুল সিদ্ধান্ত দেন
৩৫৮৬। ইবনু শিহাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বললেন, হে জনসমাজ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা নির্ভুল। কেননা মহান আল্লাহ তাঁকে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়ে দিতেন। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে ধারণা ও শ্রমের পর্যায়ভুক্ত।[1]
দুর্বল মাকতু।
بَابٌ فِي قَضَاءِ الْقَاضِي إِذَا أَخْطَأَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ الرَّأْيَ إِنَّمَا كَانَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُصِيبًا لِأَنَّ اللَّهَ كَانَ يُرِيهِ، وَإِنَّمَا هُوَ مِنَّا الظَّنُّ وَالتَّكَلُّفُ
ضعيف مقطوع
Narrated Umar ibn al-Khattab:
Umar said while he was (sitting) on the pulpit: O people, the opinion from the Messenger of Allah (ﷺ) was right, because Allah showed (i.e. inspired) him; but from us it is sheer conjecture and artifice.
পরিচ্ছেদঃ ৭. বিচারক যদি ভুল সিদ্ধান্ত দেন
৩৫৮৭। আবূ উসমান আম-শামী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আমার (আবূ উসমান) মতে হুরাইয ইবনু উসমানের চেয়ে কোন শামবাসীই অধিক উত্তম নয়।[1]
সহীহ মাকতু।
بَابٌ فِي قَضَاءِ الْقَاضِي إِذَا أَخْطَأَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو عُثْمَانَ الشَّامِيُّ: وَلَا إِخَالُنِي رَأَيْتُ شَأْمِيًّا أَفْضَلَ مِنْهُ يَعْنِي حُرَيْزَ بْنَ عُثْمَانَ
صحيح مقطوع
Mu'adh bin Mu'adh said:
Abu 'Uthman al-Shami, whose name is Hariz bin 'Uthman, told me. I think I did not see anyone from Syria better than him.
পরিচ্ছেদঃ ৮. বিচারকের সামনে বাদী-বিবাদীর বসার নিয়ম
৩৫৮৮। আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, বাদী-বিবাদী উভয়ে বিচারকের সামনে বসবে।
সনদ দুর্বলঃ মিশকাত (৩৭৮৬)।
بَابُ كَيْفَ يَجْلِسُ الْخَصْمَانِ بَيْنَ يَدَيِ الْقَاضِي
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْخَصْمَيْنِ يَقْعُدَانِ بَيْنَ يَدَيِ الْحَكَمِ
ضعيف الإسناد // المشكاة (٣٧٨٦)
Narrated Abdullah ibn az-Zubayr:
The Messenger of Allah (ﷺ) gave the decision that the two adversaries should be made to sit in front of the judge.
পরিচ্ছেদঃ ৯. রাগের সাথে বিচারকের সিদ্ধান্ত দেয়া নিষেধ
৩৫৮৯। আবূ বকরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি তার পুত্র আব্দুর রাহমানকে এ মর্মে লিখলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বিচারক যেন রাগান্বিত অবস্থায় দু’ পক্ষের মধ্যে সিদ্ধান্ত না দেন।[1]
সহীহ।
بَابُ الْقَاضِي يَقْضِي وَهُوَ غَضْبَانُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى ابْنِهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَقْضِي الْحَكَمُ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ
صحيح
'Abd al-Rahman bin Abi Bakrah reported on the authority of his father that he wrote to his son:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: A judge should not decide between the two while he is in anger.
পরিচ্ছেদঃ ১০. যিম্মীদের বিবাদ মীমাংসা করার বিধান
৩৫৯০। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা (ইয়াহুদীরা) তোমার নিকট এলে তোমার এখতিয়ার রয়েছে তাদের বিচার মীমাংসা করার অথবা তাদেরকে উপেক্ষা করার (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৪২)। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আলোচ্য আয়াত এ আয়াত দ্বারা রহিত হয়েছেঃ ’’অতএব আপনি আল্লাহর অবতীর্ণ করা আইন মোতাবেক লোকদের যাবতীয় বিষয়ে ফায়সালা করুন।’’ (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৪৮)।[1]
সনদ হাসান।
بَابُ الْحُكْمِ بَيْنَ أَهْلِ الذِّمَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: (فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ، أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ)، فَنُسِخَتْ، قَالَ: (فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ) [المائدة: ٤٨]
حسن الإسناد
Ibn 'Abbas said:
The Qur'anic verse: "If they do come to thee, either judge between them, or decline to interfere" was abrogated by the verse: "So judge between them by what Allah hath revealed."