পরিচ্ছেদঃ ১. (সম্পদশালীর) ওসিয়াত সম্পর্কে
২৮৬২। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোনো মুসলিমের কাছে ওসিয়াত করার মতো সম্পদ থাকলে, তার নিজের কাছে ওসিয়াতনামা না লিখে রেখে দু’ রাতও অতিবাহিত করার অধিকার তার নেই।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي مَا يُؤْمَرُ بِهِ مِنَ الْوَصِيّ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصِي فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ
صحيح
Narrated 'Abdullah bin 'Umar:
The Messenger of Allah (ﷺ) as saying: It is the duty of a Muslim man who has something which is to be given as bequest not to have it for two nights without having his will written regarding it.
পরিচ্ছেদঃ ১. (সম্পদশালীর) ওসিয়াত সম্পর্কে
২৮৬৩। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ইন্তেকালের সময় কোনো দীনার, দিরহাম, উট এবং বকরী কিছুই রেখে যাননি এবং তিনি কোনো ওসিয়াতও করেননি।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي مَا يُؤْمَرُ بِهِ مِنَ الْوَصِيّ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا وَلَا بَعِيرًا وَلَا شَاةً وَلَا أَوْصَى بِشَيْءٍ
صحيح
Narrated 'Aishah:
The Messenger of Allah (ﷺ) did not leave dinars, dirhams, camels and goats, nor did he leave will for anything.
পরিচ্ছেদঃ ২. ওসিয়াতকারীর নিজ সম্পদের কতটুকু ওসিয়াত করা বৈধ নয়
২৮৬৪। ’আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা (সা’দ) একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে আসলেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার প্রচুর সম্পদ আছে। একটি কন্যা সন্তান ছাড়া আমার কোনো ওয়ারিস নেই। কাজেই দু’-তৃতীয়াংশ সম্পদ সাদাকাহ করবো কি? তিনি বললেনঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করেন, অর্ধেক সম্পদ? তিনি বললেনঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করেন, এক-তৃতীয়াংশ। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তিন ভাগের এক ভাগ ওসিয়াত করতে পারো। তবে এটাও বেশি হয়ে যাচ্ছে। তোমার ওয়ারিসরা অন্যের নিকট ভিক্ষা চাইবে- তাদেরকে এমন দুঃস্থ অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাওয়া অনেক উত্তম। তুমি তাদের জন্য যা খরচ করবে, তোমাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে। এমন কি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে খাবারের লোকমা তুলে দাও তারও প্রতিদান পাবে।
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি আমার হিজরতের নেকী থেকে পরিত্যক্ত হবো? তিনি বললেনঃ আমার হিজরতের পর তুমি যদি (মক্কাতে) থেকে যাও এবং আমার অনুপস্থিতিতেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নেক আমল অব্যাহত রাখো তাহলে তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আমি আশা করি তুমি বেঁচে থাকবে এবং একদল তোমার দ্বারা উপকৃত হবে, আর অন্যদল তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতঃপর তিনি এ দু’আ করলেনঃ ’’হে আল্লাহ! আমার সাহাবীদের হিজরত পরিপূর্ণ করুন; তাদেরকে হিজরতের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবেন না।’’ কিন্তু নিঃস্ব সাঈদ ইবনু খাওলাহ (রাঃ) মক্কায় মারা যান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে স্মরণ করে অনুশোচনা করতেন।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي مَا لَا يَجُوزُ لِلْمُوصِي فِي مَالِهِ؟
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: مَرِضَ مَرَضًا - قَالَ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ - بِمَكَّةَ، ثُمَّ اتَّفَقَا أَشْفَى فِيهِ فَعَادَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالًا كَثِيرًا وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَتِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِالثُّلُثَيْنِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَبِالشَّطْرِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَبِالثُّلُثِ؟ قَالَ: الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَتْرُكَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً إِلَّا أُجِرْتَ بِهَا حَتَّى اللُّقْمَةُ تَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِكِ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَخَلَّفُ عَنْ هِجْرَتِي؟ قَالَ: إِنَّكَ إِنْ تُخَلَّفْ بَعْدِي فَتَعْمَلَ عَمَلًا صَالِحًا تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللَّهِ لَا تَزْدَادُ بِهِ إِلَّا رِفْعَةً وَدَرَجَةً لَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلَا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ
صحيح
Narrated 'Amir b. Sa'd:
On the authority of his father (Sa'd b. Abi Waqqas): When he (Sa'd) fell ill at Mecca (according to the version of Ibn Abi Kkalaf) - then the agreed version has: which brought him near to death - the Messenger of Allah (ﷺ) went to visit him. He said: Messenger of Allah, I have a large amount of property, and my daughter is my only heir. May I give two-thirds (of my property) as a sadaqah (charity)? He said: No. He asked: Then a half ? He replied: No. He asked: Then one-third ? He replied: (You may will away) a third and third is a lot. To leave your heirs rich is better than to leave them poor begging from people. You will not spend anything, seeking thereby to please Allah, without being rewarded for it, even the mouthful you give your wife. I said: Messenger of Allah, shall I be left behind form immigration (to Medina)? He said: If you remain behind after me and do good works seeking the pleasure of Allah, your rank will be raised and degree increased. Perhaps you will not remain behind, and some people will benefit from you and others will be harmed by you. He then said: O Allah, complete the immigration of my Companions and do not turn them back. But miserable was Sa'd b. Khawlah. The Messenger of Allah (ﷺ) lamented on him as he died at Mecca.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওসিয়াতের দ্বারা ক্ষতিসাধন অন্যায়
২৮৬৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ধরণের সাদাকাহ উত্তম? তিনি বলেন, সুস্থ ও সচ্ছল অবস্থায় সাদাকাহ করা। যখন তুমি বেঁচে থাকার আরো আশা রাখো এবং গরীব হওয়ারও আশঙ্কা করো। তুমি এতটা বিলম্ব করবে না যে, প্রাণবায়ু উড়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে তুমি বলবে, অমুকের জন্য এতটুকু এবং অমুকের জন্য এতটুকু (সাদাকাহ করলাম)। কেননা তখন তো সেটা অমুকের জন্য হয়েই গেছে।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الْإِضْرَارِ فِي الْوَصِيَّةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ حَرِيصٌ تَأْمُلُ الْبَقَاءَ وَتَخْشَى الْفَقْرَ، وَلَا تُمْهِلَ حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ قُلْتَ لِفُلَانٍ كَذَا وَلِفُلَانٍ كَذَا، وَقَدْ كَانَ لِفُلَانٍ
صحيح
Narrated Abu Hurairah:
A man asked the Messenger of Allah (ﷺ): Messenger of Allah, which sadaqah (charity) is the best ? He replied: (The best sadaqah is) that you give something as sadaqah (charity) when you are healthy, greedy, expect survival and fear poverty, and not that you postpone it until your death. and then you say: For so-and-so is such-and-such, and for so-and-so is such-and-such, while it was already for so-and-so.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওসিয়াতের দ্বারা ক্ষতিসাধন অন্যায়
২৮৬৬। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোনো ব্যক্তির নিজ জীবদ্দশায় এক দিরহাম সাদাকাহ করা তার মৃত্যুর সময়ে একশো দিরহাম সাদাকাহ করার চেয়েও উত্তম।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الْإِضْرَارِ فِي الْوَصِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَأَنْ يَتَصَدَّقَ الْمَرْءُ فِي حَيَاتِهِ بِدِرْهَمٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِمِائَةِ دِرْهَمٍ عِنْدَ مَوْتِهِ
ضعيف
Narrated AbuSa'id al-Khudri:
The Prophet (ﷺ) said: A man giving a dirham as sadaqah (charity) during his life is better than giving one hundred dirhams as sadaqah (charity) at the moment of his death.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওসিয়াতের দ্বারা ক্ষতিসাধন অন্যায়
২৮৬৭। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি কোনো পুরুষ বা নারী ষাট বছর ধরে আল্লাহর ইবাদাতে কাটায়, অতঃপর তাদের মৃত্যু এসে যায়। তখন তারা ওসিয়াতের মাধ্যমে উত্তরাধিকারের ক্ষতিসাধন করে। এ অপরাধের কারণে তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়। শাহর ইবনু হাওশাব (রহঃ) বলেন, অতঃপর আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) আমার সামনে এ আয়াত পাঠ করেনঃ ’’মৃত ব্যক্তির কৃত ওসিয়াত ও ঋণ আদায়ের পর... এটাই হলো বিরাট সাফলতা’’[সূরা আন-নিসাঃ ১২, ১৩] আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী আশ’আস ইবনু জাবির (রহঃ) হলেন নাসর ইবনু ’আলীর দাদা।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الْإِضْرَارِ فِي الْوَصِيَّةِ
حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْصَّمَدِ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُدَّانِيُّ، حَدَّثَنَا الْأَشْعَثُ بْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ وَالْمَرْأَةُ بِطَاعَةِ اللَّهِ سِتِّينَ سَنَةً ثُمَّ يَحْضُرُهُمَا الْمَوْتُ فَيُضَارَّانِ فِي الْوَصِيَّةِ فَتَجِبُ لَهُمَا النَّارُ قَالَ: وَقَرَأَ عَلَيَّ أَبُو هُرَيْرَةَ مِنْ هَا هُنَا (مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ) [النساء: ١٢] حَتَّى بَلَغَ: (ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ) [النساء: ١٣] قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا يَعْنِي الْأَشْعَثَ بْنَ جَابِرٍ جَدَّ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ
ضعيف
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: A man or a woman acts in obedience to Allah for sixty years, then when they are about to die they cause injury by their will, so they must go to Hell. Then AbuHurayrah recited: "After a legacy which you bequeath or a debt, causing no injury...that will be the mighty success.
Abu Dawud said: Al-Ash'ath b. Jabir is the grandfather of Nasr b. 'Ali.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ওসিয়াতকৃত সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক হওয়া
২৮৬৮। আবূ যার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবূ যার! আমি তোমাকে (প্রশাসনিক কাজে) দুর্বল দেখছি। আমি আমার নিজের জন্য যা পছন্দ করি তোমার জন্যও তা পছন্দ করি। তুমি দু’ ব্যক্তির মধ্যে বিচারক হবে না এবং ইয়াতীমের সম্পদের অভিভাবক হবে না।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الدُّخُولِ فِي الْوَصَايَا
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي سَالِمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَبَا ذَرٍّ إِنِّي أَرَاكَ ضَعِيفًا، وَإِنِّي أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِي فَلَا تَأَمَّرَنَّ عَلَى اثْنَيْنِ وَلَا تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيمٍ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ مِصْرَ
صحيح
Narrated Abu Dharr:
The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: Abu Dharr, I see you weak, and I like for you what I like for myself. Do not be a leader of two (persons), and do not be a guardian of an orphan.
Abu Dawud said: This has been narrated only by the people of Egypt.
পরিচ্ছেদঃ ৫. পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয়দের জন্য ওসিয়াত বাতিল
২৮৬৯। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন (আল্লাহর বাণীঃ) ’’তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে তার পরিত্যক্ত সম্পদ পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়ের জন্য প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ওসিয়াত করা তোমাদের উপর ফরয’’[সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮০] ওসিয়াতের নিয়ম এভাবেই ছিলো। পরে উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিধান অবতীর্ণ হলে এ আয়াত মানসূখ হয়ে যায়।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي نَسْخِ الْوَصِيَّةِ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، (إِنْ تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ) [البقرة: ١٨٠]، فَكَانَتِ الْوَصِيَّةُ كَذَلِكَ حَتَّى نَسَخَتْهَا آيَةُ الْمِيرَاثِ
حسن صحيح
Narrated Ibn 'Abbas:
The Qur'anic verse goes: "(It is prescribed when death approaches any of you), if he leaves any goods, that he may bequest to parents and next to kin." The bequest was made in this way until the verse of inheritance repealed it.
পরিচ্ছেদঃ ৬. উত্তরাধিকারদের জন্য ওসিয়াত করা
২৮৭০। আবূ উমামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক হকদারের অংশ নির্দিষ্ট করেছেন। সুতরাং কোনো ওয়ারিসের জন্য ওসিয়াত করা যাবে না।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلَا وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ
حسن صحيح
Narrated AbuHurayrah:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: Allah has appointed for everyone who has a right what is due to him, and no bequest must be made to an heir.
পরিচ্ছেদঃ ৭. ইয়াতীমের খাদ্যের সাথে নিজের খাদ্য মিশ্রণ করা
২৮৭১। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ যখন এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ’’ইয়াতীমের সম্পদের নিকটবর্তী হয়ো না। কিন্তু উত্তম পন্থায়, যতদিন না সে তার যৌবনে পদার্পণ করে’’[সূরা ইসরাঃ ৩৪] এবং ’’যারা ইয়াতীমের সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা মূলত আগুন দিয়েই নিজেদের পেট বোঝাই করে এবং তারা অবশ্যই জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে’’[সূরা আন-নিসাঃ ১০] তখন যাদের কাছে ইয়াতীম ছিলো তারা নিজেদের খাদ্য থেকে ইয়াতীমের খাদ্য এবং পানীয় থেকে ইয়াতীমের পানীয় আলাদা করে ফেললো।
ফলে ইয়াতীমের উদ্ধৃত্ত খাদ্য রেখে দেয়া হতো, সে হয় পরে তা খেতো নতুবা তা নষ্ট হতো। অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হলো। তারা বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থান করলো। অতঃপর মহান আল্লাহ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ’’তোমাকে তারা জিজ্ঞেস করছে ইয়াতীমদের সম্পর্কে। বলো, তাদের সাথে উত্তম পন্থা অবলম্বন করাই শ্রেয়। যদি তোমাদের ও তাদের খরচপত্র ও থাকা-খাওয়া একত্র রাখা দোষণীয় নয। কেননা তারা তোমাদেরই ভাই’’[সূরা আল-বাকারাহঃ ২২০] অতঃপর তারা নিজেদের পানাহার তাদের পানাহারের সাথে একত্র করলো।[1]
بَابُ مُخَالَطَةِ الْيَتِيمِ فِي الطَّعَامِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: (وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ) [الأنعام: ١٥٢] وَ (إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا) [النساء: ١٠]، الْآيَةَ انْطَلَقَ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ يَتِيمٌ فَعَزَلَ طَعَامَهُ مِنْ طَعَامِهِ وَشَرَابَهُ مِنْ شَرَابِهِ، فَجَعَلَ يَفْضُلُ مِنْ طَعَامِهِ فَيُحْبَسُ لَهُ حَتَّى يَأْكُلَهُ أَوْ يَفْسُدَ، فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ، فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: (وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ إِصْلَاحٌ لَهُمْ خَيْرٌ وَإِنْ تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ) [البقرة: ٢٢٠]، فَخَلَطُوا طَعَامَهُمْ بِطَعَامِهِ وَشَرَابَهُمْ بِشَرَابِهِ
حسن
Narrated Abdullah ibn Abbas:
When Allah, Most High, revealed the verses: "Come not nigh to the orphan's property except to improve it". And "Those who unjustly eat up the property of orphans", everyone who had an orphan with him went and separated his food from his (orphan's) food, and his drink from his drink, and began to detain the remaining food which he (the orphan) himself ate or spoiled.
This fell heavy on them, and they mentioned this to the Messenger of Allah (ﷺ). So Allah, Most High, revealed the verse: "They ask thee concerning orphans. Say: The best thing to do is what is for their good; if ye mix their affairs with yours, they are your brethren." Then they mixed their food with his food and their drink with his drink.
পরিচ্ছেদঃ ৮. ইয়াতীমের মাল থেকে অভিভাবকের কিছু নেয়া
২৮৭২। ’আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, আমি গরীব মানুষ। আমার কোনো সম্পদ নেই। তবে আমার অধীনে একজন ইয়াতীম আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি ইয়াতীমের সম্পদ থেকে খেতে পারো। কিন্তু কোনো অপচয় করবে না, অতিরিক্ত গ্রহণ করবে না এবং তোমার নিজের জন্য কিছু সঞ্চয়ও করবে না।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي مَا لِوَلِيِّ الْيَتِيمِ أَنْ يَنَالَ مِنْ مَالِ الْيَتِيمِ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْحَارِثِ حَدَّثَهُمْ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ يَعْنِي الْمُعَلِّمَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي فَقِيرٌ لَيْسَ لِي شَيْءٌ وَلِي يَتِيمٌ. قَالَ: فَقَالَ: كُلْ مِنْ مَالِ يَتِيمِكَ غَيْرَ مُسْرِفٍ، وَلَا مُبَادِرٍ، وَلَا مُتَأَثِّلٍ
حسن صحيح
Narrated 'Amr b. Suh'aib:
On his father's authority, said that his grandfather told that a man came to the Prophet (ﷺ) and said: I am poor, I have nothing (with me), and I have an orphan. He said: Use the property of your orphan without spending it lavishly, hurrying and taking it as your own property.
পরিচ্ছেদঃ ৯. ইয়াতীমের মেয়াদকাল কখন শেষ হয়
২৮৭৩। ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছ থেকে শুনে মুখস্থ করে নিয়েছিঃ ’’যৌবনপ্রাপ্ত হলে কেউ ইয়াতীম থাকে না এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নীরব থাকা জায়িয নয়।’’[1]
بَابُ مَا جَاءَ مَتَى يَنْقَطِعُ الْيُتْمُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُقَيْشٍ، أَنَّهُ سَمِعَ شُيُوخًا مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَمِنْ خَالِهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَحْمَدَ، قَالَ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: حَفِظْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُتْمَ بَعْدَ احْتِلَامٍ، وَلَا صُمَاتَ يَوْمٍ إِلَى اللَّيْلِ
صحيح
Narrated Ali ibn AbuTalib:
I memorised (a tradition) from the Messenger of Allah (ﷺ): There is no orphanhood after puberty, and there is no silence for the whole day till the night.
পরিচ্ছেদঃ ১০. ইয়াতীমের মাল ভক্ষণে কঠোর হুঁশিয়ারী
২৮৭৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে দূরে থাকো। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কি কি? তিনি বলেনঃ আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, যাদু করা, যে প্রাণকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন, তা ন্যায়সংগত কারণ ছাড়া হত্যা করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতীমের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানো এবং নির্দোষ স্ত্রীদের নামে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ فِي أَكْلِ مَالِ الْيَتِيمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ. قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُنَّ؟ قَالَ: الشِّرْكُ بِاللَّهِ، وَالسِّحْرُ، وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ، وَأَكْلُ الرِّبَا، وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ، وَالتَّوَلِّي يَوْمَ الزَّحْفِ، وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَبُو الْغَيْثِ سَالِمٌ مَوْلَى ابْنِ مُطِيعٍ
صحيح
Narrated Abu Hurairah:
The Messenger of Allah (ﷺ) as saying: Refrain from seven (characteristics) which cause destruction. He was asked: What are they, Messenger of Allah ? He replied: To assign partner to Allah, magic, to kill a soul (man) which is prohibited by Allah except for which is due, to take usury, to consume the property of an orphan, to retreat on the day of the battle, and to slander chaste women, indiscreet but believing.
Abu Dawud said: The name Abu al-Ghaith is Salim client of Ibn Muti'.
পরিচ্ছেদঃ ১০. ইয়াতীমের মাল ভক্ষণে কঠোর হুঁশিয়ারী
২৮৭৫। ’উমাইর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। যিনি সাহাবী ছিলেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! কোনগুলি কবীরাহ গুনাহ? তিনি বললেনঃ এর সংখ্যা নয়টি। অতঃপর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। এতে আরো রয়েছেঃ মুসলিম পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়া এবং তোমাদের জীবন-মরণের কিবলাহ কা’বা ঘরের চত্বরে নিষিদ্ধ কাজকে হালাল গণ্য করা।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ فِي أَكْلِ مَالِ الْيَتِيمِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجُوْزَجَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْكَبَائِرُ؟ فَقَالَ: هُنَّ تِسْعٌ، فَذَكَرَ مَعْنَاهُ زَادَ: وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ الْمُسْلِمَيْنِ، وَاسْتِحْلَالُ الْبَيْتِ الْحَرَامِ قِبْلَتِكُمْ أَحْيَاءً وَأَمْوَاتًا
حسن
'Umair, A Companion of the Prophet (ﷺ) said:
A man asked him (the Prophet): Messenger of Allah, what are the grave sins? He replied: They are nine. He then mentioned the tradition to the same effect. This version adds: "And disobedience to the Muslim parents, and to violate the sacred House, your qiblah (direction of prayer), in your life and after death.
পরিচ্ছেদঃ ১১. মৃতের কাফন তার সমস্ত মালের মধ্যে গণ্য
২৮৭৬। খাব্বাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুস’আব ইবনু ’উমাইর (রাঃ) উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন। তার একটি কম্বল ছাড়া কিছুই ছিলো না। ’আমরা সেটা দিয়ে তার মাথা পর্যন্ত ঢাকলে তার দু’ পা বেরিয়ে পড়তো এবং তার দু’ পা ঢাকলে মাথা উন্মুক্ত হয়ে যেতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কম্বল দ্বারা তার মাথা ঢেকে দাও এবং ইযখির (সুগন্ধি ঘাস) দ্বারা পা দু’টি ঢেকে দাও।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْكَفَنَ مِنْ جَمِيعِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ خَبَّابٍ قَالَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ: قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَلَمْ تَكُنْ لَهُ إِلَّا نَمِرَةٌ كُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ خَرَجَتْ رِجْلَاهُ، وَإِذَا غَطَّيْنَا رِجْلَيْهِ خَرَجَ رَأْسُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: غَطُّوا بِهَا رَأْسَهُ، وَاجْعَلُوا عَلَى رِجْلَيْهِ مِنَ الإِذْخِرِ
صحيح
Narrated Khabbab:
Mus'ab b. 'Umar was killed at the battle of Uhud, and for him only a coarse cloth would be found as shroud. When we covered his head, his feet showed, and when we covered his feet, his head showed. So the Messenger of Allah (ﷺ) said: Cover his head with it (cloth), and put some rushes over his feet.
পরিচ্ছেদঃ ১২. কেউ কোনো জিনিস দান করার পর পুনরায় মিরাসী সূত্রে তার মালিক হলে
২৮৭৭। বুরাইদাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক মহিলা এসে বললো, আমি আমার মাকে একটি দাসী দান করি। দাসীকে রেখে মা মারা যান। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার দানের সাওয়াব পেয়েছো এবং উত্তরাধিকার সূত্রে দাসীও তোমার কাছে ফিরে এসেছে। মহিলাটি বললো, তিনি এক মাসের সওম অবশিষ্ট রেখে মারা গেছেন। আমি তার পক্ষ থেকে সওম পালন করলে তা কি তার ন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। সে বললো, আমার মা হজ (হজ্জ) করেননি। আমি তার পক্ষ থেকে হজ (হজ্জ) করলে তা কি তার জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।[1]
بَابٌ فِي الرَّجُلِ يَهَبُ الْهِبَةَ، ثُمَّ يُوصَى لَهُ بِهَا أَوْ يَرِثُهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بَنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ بُرَيْدَةَ، أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: كُنْتُ تَصَدَّقْتُ عَلَى أُمِّي بِوَلِيدَةٍ، وَإِنَّهَا مَاتَتْ وَتَرَكَتْ تِلْكَ الْوَلِيدَةَ قَالَ: قَدْ وَجَبَ أَجْرُكِ وَرَجَعَتْ إِلَيْكِ فِي الْمِيرَاثِ. قَالَتْ: وَإِنَّهَا مَاتَتْ وَعَلَيْهَا صَوْمُ شَهْرٍ أَفَيُجْزِئُ أَوْ يَقْضِي عَنْهَا أَنْ أَصُومَ عَنْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَتْ: وَإِنَّهَا لَمْ تَحُجَّ أَفَيُجْزِئُ أَوْ يَقْضِي عَنْهَا أَنْ أَحُجَّ عَنْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ
صحيح
Narrated Buraidah:
A woman came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: I donated my slave-girl to my mother, but she died and left the slave-girl. He said: Your reward became due, and she came back to you in inheritance. She said: She died while a month's fasting was due from her. Would it be sufficient or be taken as completed if I fast on her behalf ? He said: Yes. She said: She also did not perform Hajj. Would it be sufficient or be taken completed if I perform (Hajj) on her behalf ? He said: Yes.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যে ব্যক্তি কিছু ওয়াক্ফ করলো
২৮৭৮। ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার (রাঃ) খায়বারে একখন্ড জমি পান। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলেন, আমি খায়বারে এক খন্ড জমি পেয়েছি যা অপেক্ষা উত্তম সম্পদ ইতিপূর্বে আমি পাইনি। আপনি আমাকে এর কি নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ তুমি চাইলে আসল জমি রেখে দিয়ে এর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ (ফসল) সাদাকাহ করে দাও। তখন থেকে ’উমার (রাঃ) সিদ্ধান্ত নেন যে, আসল জমি বিক্রয় করা যাবে না, হেবা করা যাবে না এবং তাতে কোনো রূপ উত্তরাধিকার স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি তা দান করে দিলেন ফকীর, আত্মীয়স্বজন, দাস মুক্তকরণে, দাস মুক্তকরণে, আল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য। বর্ণনাকারীর মুসাদ্দাদ বিশর সূত্রে মেহমানের কথাও উল্লেখ করেন। পরে তারা একমত হয়ে বর্ণনা করেনঃ যিনি এ সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী হবেন তিনি ন্যায়সঙ্গভাবে তা থেকে ভোগ করতে পারবেন এবং বন্ধুদেরও আপ্যায়ন করতে পারবেন। কিন্তু নিজের জন্য সঞ্চয় করতে পারবেন না।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يُوقِفُ الْوَقْفَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، ح وحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَصَابَ عُمَرُ أَرْضًا بِخَيْبَرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالًا قَطُّ أَنْفَسَ عِنْدِي مِنْهُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي بِهِ؟ قَالَ: إِنْ شِئْتَ حَبَّسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا. فَتَصَدَّقَ بِهَا عُمَرُ أَنَّهُ لَا يُبَاعُ أَصْلُهَا، وَلَا يُوهَبُ، وَلَا يُوَرَّثُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْقُرْبَى وَالرِّقَابِ، وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَابْنِ السَّبِيلِ وَزَادَ عَنْ بِشْرٍ: وَالضَّيْفِ، ثُمَّ اتَّفَقُوا: لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهَا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا بِالْمَعْرُوفِ، وَيُطْعِمَ صَدِيقًا غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ فِيهِ. زَادَ عَنْ بِشْرٍ قَالَ: وَقَالَ مُحَمَّدٌ: غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالًا
صحيح
Narrated Ibn 'Umar:
'Umar got some land in Khaibar, and when to the Prophet (ﷺ) and said: I have acquired land in Khaibar which I consider to be more valuable than any I have acquired ; so what do you command me to do with it ? He replied: If you wish, you may make the property as inalienable possession, and give its produce as sadaqah (charity). So 'Umar gave it as a sadaqah declaring that the property must not be sold, given away, or inherited : (and gave its produce as sadaqah to be devoted) to poor, relatives, the emancipation of slaves, Allah's path, travellers. The narrator Bishr added: "and guests". Then the agreed version goes: No sin being committed by the one who administers it if he eats something from it in a reasonable manner, or gives something to a friend, who does not make his own property. The narrator Bishr added: "(provided) he is not storing-up goods (for himself)".
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যে ব্যক্তি কিছু ওয়াক্ফ করলো
২৮৭৯। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর ওয়াক্ফ দলীল সম্পর্কে বলেন, ’আব্দুল হামীদ ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার ইবনুল খাত্তার (রাঃ) আমাকে ওয়াকফ দলীলটির অনুলিপি দিয়েছেন। (তা হলোঃ) বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। আল্লাহর বান্দা ’উমার (রাঃ) তার ’সামাগ’ নামক ফলের বাগান ওয়াকফ করেছেন- এটা তারই দলীল। অতঃপর ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ পুরো হাদীস নাফি’ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। ’উমার (রাঃ) বলেন, এই ওয়াকফকৃত সম্পত্তির আয় সঞ্চয় করা যাবে না। দলীলে উল্লেখিত খাতসমূহে এ সম্পত্তির আয় খরচ করার পর কিছু উদ্ধৃত্ত থাকলে তা ভিক্ষুক এবং বঞ্চিতদের জন্য ব্যয় করবে। অতঃপর ইয়াহইয়া সম্পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করেন। দলীলে এও উল্লেখ ছিলো, ’সামাগ’ এর মোতাওয়াল্লী প্রয়োজনে বাগানের আয় থেকে দাস ক্রয় করতে পারবে (বাগান দেখাশুনার জন্য)।
ওয়াকফের এই দলীল মু’আইকিব (রাঃ) নাকল করেন এবং এর সাক্ষী হন ’আব্দুল্লাহ ইবনু আরকাম (রাঃ)। দলীলের অনুলিপি এরূপঃ ’’বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। আল্লাহর বান্দা এবং মু’মিনগণের নেতা ’উমার এ ওসিয়াত করেন। তার মৃত্যুর পর সামাগের সম্পত্তি, সিরমা ইবনুল আকওয়া (বাগান) এবং এখানে কর্মরত গোলাম, খায়বারের একশো ভাগ জমি এবং সেখানে কর্মরত গোলাম এবং খায়বারের নিকটস্থ উপত্যকায় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে যে একশো ভাগ জমি প্রদান করেছেন- এগুলোর আজীবন মোতাওয়াল্লী হবেন হাফসাহ (রাঃ)। তার মৃত্যুর পর এর মোতাওয়াল্লী হবে তার পরিবারের বিচক্ষণ ব্যক্তি। মোতাওয়াল্লী এসব শর্তগুলো মানবেঃ এ সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে না। ক্রয় করে এর সাথে আর সম্পত্তি যোগ করা যাবে না। মোতওয়াল্লী তার বুঝ অনুযায়ী এর আয় ভিক্ষুক, বঞ্চিত এবং গরীব নিকটাত্মীয়দের জন্য ব্যয় করেন। তিনি এ থেকে প্রয়োজ পরিমাণ নিতে পারবেন এবং গোলাম ক্রয় করতে পারবেন।’’[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يُوقِفُ الْوَقْفَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بِنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ صَدَقَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: نَسَخَهَا لِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا مَا كَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ عُمَرُ فِي ثَمْغٍ، فَقَصَّ مِنْ خَبَرِهِ نَحْوَ حَدِيثِ نَافِعٍ، قَالَ: غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالًا، فَمَا عَفَا عَنْهُ مِنْ ثَمَرِهِ فَهُوَ لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ. قَالَ: وَسَاقَ الْقِصَّةَ قَالَ: وَإِنْ شَاءَ وَلِيُّ ثَمْغٍ اشْتَرَى مِنْ ثَمَرِهِ رَقِيقًا لِعَمَلِهِ. وَكَتَبَ مُعَيْقِيبٌ، وَشَهِدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَرْقَمِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ عَبْدُ اللَّهِ عُمَرُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ حَدَثَ بِهِ حَدَثٌ أَنَّ ثَمْغًا وَصِرْمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ وَالْعَبْدَ الَّذِي فِيهِ وَالْمِائَةَ سَهْمٍ الَّتِي بِخَيْبَرَ وَرَقِيقَهُ الَّذِي فِيهِ، وَالْمِائَةَ الَّتِي أَطْعَمَهُ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْوَادِي تَلِيهِ حَفْصَةُ مَا عَاشَتْ، ثُمَّ يَلِيهِ ذُو الرَّأْيِ مِنْ أَهْلِهَا أَنْ لَا يُبَاعَ وَلَا يُشْتَرَى يُنْفِقُهُ حَيْثُ رَأَى مِنَ السَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ وَذَوِي الْقُرْبَى، وَلَا حَرَجَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ إِنْ أَكَلَ أَوْ آكَلَ أَوِ اشْتَرَى رَقِيقًا مِنْهُ
صحيح وجادة
Narrated Yahya b. Sa'id:
'Abd al-Hamid b. Abd 'Allah b. 'Abd Allah b. 'Umar b. al-Khattab copied to me a document about the religious endowment (waqf) made by 'Umar b. al-Khattab : In the name of Allah, the Compassionate, the Merciful. This is what Allah's servant 'Umar has written about Thamgh. He narrated the tradition like the one transmitted by Nafi'. He added: "provided he is not storing up goods (for himself)". The surplus fruit will be devoted to the beggar and the deprived. He then went on with the tradition, saying: If the man in charge of Thamgh wishes to buy a slave for his work for its fruits (by selling them), he may do so. Mu'iqib penned it and 'Abd Allah b. al-Arqam witnessed it : In the name of Allah, the Compassionate, the Merciful. This is what Allah's servant 'Umar , Commander of Faithful, directed, in case of some incident happens to him (i.e. he dies), that Thamg, Sirmah b. al-Akwa', the servant who is there, the hundred shares in (the land of) Khaibr, the servant who is there and the hundred sahres which Muhammad (ﷺ) had donated to me in the valley (nearly) will remain in the custody of Hafsah during her life, then the men of opinion from her family will be in charge of these (endowments), that these will neither be sold not purchased, spending (its produce) where they think (necessary on the beggar, deprived and relatives). There is no harm to the one in charge (of this endowment) if he eats himself, or feeds, or buys slaves with it.
পরিচ্ছেদঃ ১৪. মৃতের পক্ষ থেকে সাদাকাহ করা
২৮৮০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মানুষ যখন মৃত্যু বরণ করে তখন তার আমলের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব বন্ধ হয় না। এক. সাদাকাহ জারিয়া। দুই. এমন জ্ঞান যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় তিন. নেক সন্তান যে তার জন্য দু’আ করে।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الصَّدَقَةِ عَنِ الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ يَعْنِي ابْنَ بِلَالٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةِ أَشْيَاءَ: مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
صحيح
Narrated Abu Hurairah:
The Messenger of Allah (ﷺ) as saying: When a man dies, his action discontinues from him except three things, namely, perpetual sadaqah (charity), or the knowledge by which benefit is acquired, or a pious child who prays for him.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. যে ব্যক্তি ওসিয়াত না করে মারা গেছে তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ করা
২৮৮১। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। জনৈক স্ত্রীলোক বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। তিনি এভাবে মারা না গেলে সাদাকাহ করে যেতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ করি তবে তিনি কি এর সওয়াব পাবেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, তুমি তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ করো।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ مَاتَ عَنْ غَيْرِ وَصِيَّةٍ يُتَصَدَّقُ عَنْهُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّي افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا، وَلَوْلَا ذَلِكَ لَتَصَدَّقَتْ وَأَعْطَتْ، أَفَيُجْزِئُ أَنْ أَتَصَدَّقَ عَنْهَا؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَعَمْ فَتَصَدَّقِي عَنْهَا
صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
A woman said: Messenger of Allah, my mother suddenly died; if it had not happened, she would have given sadaqah (charity) and donated (something). Will it suffice if I give sadaqah on her behalf? The Prophet (ﷺ) said: Yes, give sadaqah on her behalf.