পরিচ্ছেদঃ ১. জাহান্নামের বিবরণ
২৫৭৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেদিন জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে সেদিন এর সত্তর হাজার লাগাম থাকবে। প্রতিটি লাগামের জন্য নিয়োজিত থাকবে সত্তর হাজার ফেরেশতা। তারা এগুলো ধরে এটাকে টানতে থাকবে।
সহীহঃ মুসলিম (৮/১৪৯)
’আবদুল্লাহ বলেন, সুফইয়ান সাওরী মারফুভাবে এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি। আবদ ইবনু হুমাইদ-আবদুল মালিক ইবনু আমর ও আবূ আমির আল-আকাদী হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি আলা ইবনু খালিদ (রহঃ) হতে এই সনদ সূত্রে উপরিউক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু মারফুভাবে নয়
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ خَالِدٍ الْكَاهِلِيِّ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُؤْتَى بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ لَهَا سَبْعُونَ أَلْفَ زِمَامٍ مَعَ كُلِّ زِمَامٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ يَجُرُّونَهَا " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالثَّوْرِيُّ لاَ يَرْفَعُهُ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
'Abdullah bin Mas'ud narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Hell will be brought forth on that Day (of Resurrection) having seventy thousand bridles, and with every handle will be seventy thousand angels dragging it'".
পরিচ্ছেদঃ ১. জাহান্নামের বিবরণ
২৫৭৪। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে জাহান্নাম হতে একটি গর্দান (মাথা) বের হবে। এর দুটি চোখ থাকবে যা দিয়ে সে দেখবে, দুটি কান থাকবে যা দিয়ে সে শুনবে এবং একটি জিহবা থাকবে যা দিয়ে সে কথা বলবে। সে বলবে, তিন ধরনের লোকের জন্য আমাকে নিয়োজিত করা হয়েছেঃ (১) প্রতিটি অবাধ্য অহংকারী যালিমের জন্য, (২) আল্লাহ তা’আলার সাথে অন্য কোন কিছুকে যে ব্যক্তি ইলাহ বলে ডাকে তার জন্য এবং (৩) ছবি নির্মাতাদের জন্য।
সহীহঃ সহীহাহ (৫১২), তা’লীকুর রাগীব (৪/৫৬)
আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কোন কোন বর্ণনাকারী আমাশ হতে, তিনি আতিয়্যাহ হতে, তিনি আবূ সাঈদ হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আশআস্ ইবনু সাওয়ার আতিয়্যাহ হতে, তিনি আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَخْرُجُ عُنُقٌ مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَهُ عَيْنَانِ تُبْصِرَانِ وَأُذُنَانِ تَسْمَعَانِ وَلِسَانٌ يَنْطِقُ يَقُولُ إِنِّي وُكِّلْتُ بِثَلاَثَةٍ بِكُلِّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ وَبِكُلِّ مَنْ دَعَا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَبِالْمُصَوِّرِينَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا وَرَوَى أَشْعَثُ بْنُ سَوَّارٍ عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Some of the Fire (in the shape of a long neck) will come out of the Fire on the Day of judgment. It will have two eyes which can see, two ears which can hear, and a tongue which can speak. It will say: 'I have been left in charge of three: Every obstinate oppressor, everyone who called upon a deity besides Allah, and the image makers."
পরিচ্ছেদঃ ২. জাহান্নামের গহব্বরের বর্ণনা
২৫৭৫। হাসান বাসরী (রহঃ) হতে বর্ণিত, উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) আমাদের এই বসরার মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামের এক প্রান্ত হতে বড় একটি পাথরকে গড়িয়ে ছেড়ে দেয়া হলে এটা সত্তর বছর পর্যন্ত গড়াতেই থাকবে তবু স্থির হবার জায়গায় আসতে পারবে না।
সহীহঃ সহীহাহ (১৬১২), মুসলিম।
বর্ণনাকারী বলেন, "উমার (রাযীঃ) বলতেন, তোমরা বেশি বেশি জাহান্নামের কথা স্মরণ কর। কেননা এটার গরম তীব্র, এর গহব্বর অনেক গভীর এবং এর ডাণ্ডাগুলো লোহা দ্বারা নির্মিত।
আবূ ঈসা বলেন, উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ)-এর নিকট হতে হাসান বাসরী (রাহঃ) সরাসরিভাবে কিছু শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) বসরায় আগমন করেন। আর হাসান বাসরী (রহঃ) উমার (রাযিঃ)-এর খিলাতের দুই বছর বাকি থাকতে জন্মগ্রহণ করেন।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عِيَاضٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ قَالَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ عَلَى مِنْبَرِنَا هَذَا مِنْبَرِ الْبَصْرَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الصَّخْرَةَ الْعَظِيمَةَ لَتُلْقَى مِنْ شَفِيرِ جَهَنَّمَ فَتَهْوِي فِيهَا سَبْعِينَ عَامًا وَمَا تُفْضِي إِلَى قَرَارِهَا " . قَالَ وَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ أَكْثِرُوا ذِكْرَ النَّارِ فَإِنَّ حَرَّهَا شَدِيدٌ وَإِنَّ قَعْرَهَا بَعِيدٌ وَإِنَّ مَقَامِعَهَا حَدِيدٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى لاَ نَعْرِفُ لِلْحَسَنِ سَمَاعًا مِنْ عُتْبَةَ بْنِ غَزْوَانَ وَإِنَّمَا قَدِمَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ الْبَصْرَةَ فِي زَمَنِ عُمَرَ وَوُلِدَ الْحَسَنُ لِسَنَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ .
Al-Hasan said:
"While he was on the pulpit – the pulpit of Al-Basrah – `Utbah bin Ghazwain narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said: “Indeed a giant rock can be thrown from the brink of Hell and it will continue to fall into it for seventy years without reaching the bottom of it.”.He said: “`Umar used to say:'Increase in your remembrance of the Fire, for its heat is extreme, its bottom is distant, and its whips are of Iron.'” (Sahih)
পরিচ্ছেদঃ ২. জাহান্নামের গহব্বরের বর্ণনা
২৫৭৬। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জাহান্নামের মধ্যে সাউদ’ নামে আগুনের একটি পাহাড় আছে। কাফিরগণ সত্তর বছরে এর উপর উঠবে এবং সত্তর বছরে গড়িয়ে পড়বে। এমনিভাবে তারা তাতে অনন্তকাল ধরে উঠবে ও নামবে।
যঈফ, মিশকাত (৫৬৭৭)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র ইবনু লাহীআর হাদীস হিসাবে এটিকে মারফু হিসাবে জেনেছি।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الصَّعُودُ جَبَلٌ مِنْ نَارٍ يُتَصَعَّدُ فِيهِ الْكَافِرُ سَبْعِينَ خَرِيفًا وَيَهْوِي فِيهِ كَذَلِكَ مِنْهُ أَبَدًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ .
পরিচ্ছেদঃ ৩. জাহান্নামীদের শরীর হবে বিরাট আকৃতির
২৫৭৭। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামে কাফির ব্যক্তির গায়ের চামড়া হবে বিয়াল্লিশ গজ মোটা, তার মাড়ির দাত হবে উহুদের সমান বড় এবং মক্কা-মদীনার দূরত্বের সমান বিস্তৃত হবে তার বসার জায়গা (নিতম্বদেশ)।
সহীহঃ মিশকাত (৫৬৭৫), সহীহাহ (১১০৫), আযযিলা-ল (৬১০)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং আমাশের বর্ণনা হিসেবে গারীব।
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا شَيْبَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ غِلَظَ جِلْدِ الْكَافِرِ اثْنَانِ وَأَرْبَعُونَ ذِرَاعًا وَإِنَّ ضِرْسَهُ مِثْلُ أُحُدٍ وَإِنَّ مَجْلِسَهُ مِنْ جَهَنَّمَ كَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الأَعْمَشِ .
Abu Hurairah narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"Indeed a disbeliever's skin will be forty-two forearm lengths thick, his molar teeth will be like Uhud (mountain), and his sitting place in Hell will be like what is between Makkah and Al-Madinah."
পরিচ্ছেদঃ ৩. জাহান্নামীদের শরীর হবে বিরাট আকৃতির
২৫৭৮। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে কাফির ব্যক্তির মাড়ির দাঁত হবে উহুদ পাহাড়সম বড়, তার উরু হবে বাইযা পাহাড়সম বিশাল এবং তার নিতম্বদেশ হবে রাবাযার মতো তিনদিন চলার পথের দূরত্বের সমান বিস্তৃত।
হাসানঃ সহীহাহ (৩/৯৫)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। "মাসালুর রাবাযা” অর্থ মদীনা ও রাবাযা নামক স্থানের মাঝখানের দূরত্বের সমান। আর বাইযা’ একটি পাহাড়ের নাম যা উহুদ পাহাড়ের সমতুল্য।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي جَدِّي، مُحَمَّدُ بْنُ عَمَّارٍ وَصَالِحٌ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ضِرْسُ الْكَافِرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِثْلُ أُحُدٍ وَفَخِذُهُ مِثْلُ الْبَيْضَاءِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ مَسِيرَةَ ثَلاَثٍ مِثْلُ الرَّبَذَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . " وَمِثْلُ الرَّبَذَةِ " كَمَا بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَالرَّبَذَةِ . وَالْبَيْضَاءُ جَبَلٌ مِثْلُ أُحُدٍ .
Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The molar teeth of the disbeliever on the Day of Judgment will be like Uhud (mountain), his thigh will be like Al-Baida, and his seat in the Fire will be like the distance of three the likes of Ar-Rabadhah."
পরিচ্ছেদঃ ৩. জাহান্নামীদের শরীর হবে বিরাট আকৃতির
২৫৭৯। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্ননামে কাফির ব্যাক্তির মাড়ির দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের সমান।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (৪/২৩৭), সহীহাহ (৩/৯৬)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবূ হাযিম হলেন আল-আশজা গোত্রীয়, তার নাম সালমান, আযযাহ আল-আশজাইয়্যার মুক্তদাস।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَفَعَهُ قَالَ " ضِرْسُ الْكَافِرِ مِثْلُ أُحُدٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَأَبُو حَازِمٍ هُوَ الأَشْجَعِيُّ اسْمُهُ سَلْمَانُ مَوْلَى عَزَّةَ الأَشْجَعِيَّةِ .
Abu Hurairah narrated a Marfu' narration:
"The molar teeth of the disbeleiver will be like Uhud (mountain)."
পরিচ্ছেদঃ ৩. জাহান্নামীদের শরীর হবে বিরাট আকৃতির
২৫৮০। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (কিয়ামতের দিন) কাফির ব্যক্তি তার জিহবা এক-দুই ফারসাখ পরিমাণ জায়গা জুড়ে বিছিয়ে রাখবে। লোকেরা তা পদদলিত করবে।
যঈফ, মিশকাত (৫৬৭৬), যঈফা (১৯৮৬)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি। আল-ফাযল ইবনু ইয়াযীদ হলেন কূফার অধিবাসী। হাদীসের একাধিক ইমাম তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূল মুখারিক তেমন প্রসিদ্ধ রাবী নন।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الْمُخَارِقِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْكَافِرَ لَيُسْحَبُ لِسَانُهُ الْفَرْسَخَ وَالْفَرْسَخَيْنِ يَتَوَطَّؤُهُ النَّاسُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْفَضْلُ بْنُ يَزِيدَ هُوَ كُوفِيٌّ قَدْ رَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ وَأَبُو الْمُخَارِقِ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ .
Ibn 'Umar narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
'Indeed the disbeliever's tongue will be stretched a Farsakh or two Farsakh, such that the people will walk upon it."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জাহান্নামীদের পানীয় বস্তুর বিবরণ
২৫৮১। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ তা’আলার বাণী “কাল-মুহলি” (তা যেন গলিত তামা)-এর ব্যাখ্যায় বলেনঃ তা হল তেলের গাদ সদৃশ। জাহান্নামীদের মধ্যে কোন জাহান্নামী যখনই এটা তার মুখের নিকটে নিবে সাথে সাথে তার মুখমণ্ডলের চামড়া খসে তাতে পড়ে যাবে।
যঈফ, মিশকাত (৫৬৭৮), তা’লীকুর রাগীব (৪/২৩৪)
আবূ ঈসা বলেন, আমরা শুধুমাত্র রিশদীন ইবনু সাদের রিওয়ায়াত হিসাবে এ হাদীস জেনেছি। রিশদীন সমালোচিত রাবী।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ: (كَالْمُهْلِ ) قَالَ " كَعَكَرِ الزَّيْتِ فَإِذَا قَرَّبَهُ إِلَى وَجْهِهِ سَقَطَتْ فَرْوَةُ وَجْهِهِ فِيهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ . وَرِشْدِينُ قَدْ تُكُلِّمَ فِيهِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
Abu Sa'eed narrated regarding His (Allah's) statement:
Kal Muhl, the Prophet (s.a.w)said: 'Like boiling oil, such that when it is brought close to his face, the skin of his face will fall off into it."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জাহান্নামীদের পানীয় বস্তুর বিবরণ
২৫৮২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জাহান্নামীদের মাথায় গরম পানীয় ঢালা হবে, এমনকি তা পেট পর্যন্ত পৌছবে এবং পেটের সব নাড়িভূড়ি গলিয়ে দিবে, তারপর তা পায়ের দিক দিয়ে বেরিয়ে পড়বে। এটাই হল সাহর’ (গলে যাওয়া)। আবার তা পূর্বের ন্যায় হয়ে যাবে (এবং এমনিভাবে শাস্তির প্রক্রিয়া চলতে থাকবে)।
সাঈদ ইবনু ইয়াযীদ-এর উপনাম আবূ সুজা মিসরের অধিবাসী, লাইছ ইবনু সা’দ তার নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। ইবনু হুজাইরার নাম আবদুর রহমান আল-মিসরী।
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي السَّمْحِ، عَنِ ابْنِ حُجَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْحَمِيمَ لَيُصَبُّ عَلَى رُءُوسِهِمْ فَيَنْفُذُ الْحَمِيمُ حَتَّى يَخْلُصَ إِلَى جَوْفِهِ فَيَسْلِتَ مَا فِي جَوْفِهِ حَتَّى يَمْرُقَ مِنْ قَدَمَيْهِ وَهُوَ الصَّهْرُ ثُمَّ يُعَادُ كَمَا كَانَ " . وَسَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ يُكْنَى أَبَا شُجَاعٍ وَهُوَ مِصْرِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَابْنُ حُجَيْرَةَ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُجَيْرَةَ الْمِصْرِيُّ .
Abu Hurairah narrated that the Prophet (s.a.w) said:
Indeed Hamim will be poured over their heads. The Hamim will penetrate until it finds its way to his insides. Then whatever is inside him will fall out until it pours over his feet while it melts away. Then he will be reformed to how he was."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জাহান্নামীদের পানীয় বস্তুর বিবরণ
২৫৮৩। আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “জাহান্নামীদেরকে গলিত পুঁজ পান করানো হবে, যা সে এক এক ঢোক করে গলধঃকরণ করবে” (সূরাঃ ইবরাহীম- ১৬, ১৭) প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পুঁজ যখন তার মুখের নিকটে নিয়ে আসা হবে সে তা অপছন্দ করবে। তারপর যখন আরো নিকটে নিয়ে আসা হবে তখন তার মুখমণ্ডল পুড়ে যাবে এবং মাথার চামড়া গলে পড়ে যাবে। তারপর সে যখন তা পান করবে তখন তা তার নাড়িভুড়ি গলিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবে এবং তা মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “তাদের গরম পানি পান করানো হবে, যা তাদের নাড়িভুড়ি ছিন্নভিন্ন করে দিবে" (সূরা মুহাম্মাদঃ ১৫)। তিনি আরো বলেনঃ “পিপাসার্ত হয়ে তারা পানীয় প্রার্থনা করলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর ন্যায় পানীয়, যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে। তা কতই না নিকৃষ্ট পানীয় এবং (জাহান্নাম) কতই না নিকৃষ্ট স্থান" (সূরাঃ কাহফ- ২৯)।
যঈফ, মিশকাত (৫৬৮০), তা’লীক অনুরূপ
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ) উবাইদুল্লাহ ইবনু বুসরের সূত্রে এরকমই বলেছেন। এ হাদীসের দ্বারাই শুধুমাত্র উবাইদুল্লাহ ইবনু বুসরের পরিচয় পাওয়া যায়। সাফওয়ান ইবনু আমর (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ)-এর সূত্রে এ হাদীস ব্যতীত অন্য হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনু বুসরের এক ভাই ও এক বোন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। সাফওয়ান ইবনু আমর (রহঃ) যে উবাইদুল্লাহ ইবনু বুসরের সূত্রে আবূ উমামা (রাঃ)-এর হাদীস বর্ণনা করেছেন তিনি অন্য ব্যক্তি, সাহাবী নন।
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ: (يُسْقَى مِنْ مَاءٍ صَدِيدٍ * يَتَجَرَّعُهُ ) قَالَ " يُقَرَّبُ إِلَى فِيهِ فَيَكْرَهُهُ فَإِذَا أُدْنِيَ مِنْهُ شَوَى وَجْهَهُ وَوَقَعَتْ فَرْوَةُ رَأْسِهِ فَإِذَا شَرِبَهُ قَطَّعَ أَمْعَاءَهُ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ دُبُرِهِ يَقُولُ اللَّهُ: (وَسُقُوا مَاءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أَمْعَاءَهُمْ ) وَيَقُولُ: (وَإِنْ يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوهَ بِئْسَ الشَّرَابُ ) " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَهَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ وَلاَ نَعْرِفُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ بُسْرٍ إِلاَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَقَدْ رَوَى صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ صَاحِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ لَهُ أَخٌ قَدْ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَأُخْتُهُ قَدْ سَمِعَتْ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ الَّذِي رَوَى عَنْهُ صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو حَدِيثَ أَبِي أُمَامَةَ لَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ أَخَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ .
Abu Umamah narrated regarding His (Allah's) statement:
"He will be given water of Sadid to drink, he will swallow it..." that the Prophet (s.a.w) said: " It will be brought toward his mouth and he will dislike it, so whenever it is brought closer to him it will melt his face and the skin of his head will fall into it. Then whenever he drinks from ithis bowels will be severed until it comes out from his anus. Allah, the Blessed and Exalted says: "And they will be given water of Hamim to drink such that it cuts up their bowels..." and He says: "And if they call for drink they will be given water of Muhl which melts the faces, the worst of drinks and the worst of abodes."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জাহান্নামীদের পানীয় বস্তুর বিবরণ
২৫৮৪। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, “কালমুহুলি” (গলিত ধাতুর ন্যায়) প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তা হল গরম তেলের গাদ সদৃশ (যা জাহান্নামীদের পান কারার জন্যে দেয়া হবে)। যখনই সে এটা (মুখের) নিকটে নিবে তার মুখমণ্ডলের চামড়া এতে গলে পড়ে যাবে।
যঈফ, ২৭০৭ নং হাদীসের পুনরাবৃত্তি
একই সনদসূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ জাহান্নামের বেষ্টনী হবে চারটি প্রাচীর এবং প্রতিটি প্রাচীর হবে চল্লিশ বছরের দূরত্বের সমান পুরু।
যঈফ, মিশকাত (৫৬৮১), তা’লীকুর রাগীব (৪/২৩১)
একই সনদসূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ জাহান্নামীদের পুজের এক বালতিও যদি দুনিয়াতে ঢেলে দেয়া হত, তবে সমস্ত দুনিয়াই দুর্গন্ধময় হয়ে যেত।
যঈফ, মিশকাত (৫৬৮২)
আবূ ঈসা বলেনঃ আমরা শুধুমাত্র রিশদীন ইবনু সাদের সূত্রে এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। স্বরণশক্তির কারণে তিনি (একজন) সমালোচিত রাবী।
“কিছাফু কুল্লি জিদার”-এর অর্থ "প্রতিটি দেয়ালের পুরু বা ঘনত্ব”।
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: (كَالْمُهْلِ ) كَعَكَرِ الزَّيْتِ فَإِذَا قُرِّبَ إِلَيْهِ سَقَطَتْ فَرْوَةُ وَجْهِهِ فِيهِ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لِسُرَادِقِ النَّارِ أَرْبَعَةُ جُدُرٍ كِثَفُ كُلِّ جِدَارٍ مِثْلُ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ سَنَةً " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ أَنَّ دَلْوًا مِنْ غَسَّاقٍ يُهَرَاقُ فِي الدُّنْيَا لأَنْتَنَ أَهْلُ الدُّنْيَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ وَفِي رِشْدِينَ مَقَالٌ وَقَدْ تُكُلِّمَ فِيهِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ " كِثَفُ كُلِّ جِدَارٍ " يَعْنِي غِلَظَهُ .
Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that about:
Kal Muhl, the Prophet (s.a.w)said: "Like boiling oil, such that whenever it is brought near him the skin of his face falls into it."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জাহান্নামীদের পানীয় বস্তুর বিবরণ
২৫৮৫। ইবনু আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত আছে। রসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ “তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং মুসলিম না হয়ে কোন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করো না”— (সূরা আ-লি ইমরানঃ ১০২)। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যাক্কুম’-এর একটি বিন্দুও যদি দুনিয়াতে পতিত হতো তাহলে দুনিয়াবাসীদের জীবন দুৰ্বিসহ হয়ে যেত। আর এটা যাদের খাদ্য হবে তাদের কি অবস্থা হবে।
(য’ঈফ; ইবনু মাযাহ-হাঃ নং- ৪৩২৫)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ: (اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ ) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ أَنَّ قَطْرَةً مِنَ الزَّقُّومِ قُطِرَتْ فِي دَارِ الدُّنْيَا لأَفْسَدَتْ عَلَى أَهْلِ الدُّنْيَا مَعَايِشَهُمْ فَكَيْفَ بِمَنْ يَكُونُ طَعَامَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ibn 'Abbas narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) recited this Ayah:
Have the Taqwa of Allah as His due, and do not die except as Muslims. And the Messenger of Allah (s.a.w) said: "If only a drop of Az-Zaqqum were to drip into the abode of the world, it would spoil the peoples' livelihood, so how about the person for whom it is his food?"
পরিচ্ছেদঃ ৫. জাহান্নামীদের খাদ্যদ্রব্যের বর্ণনা
২৫৮৬। আবূদ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামীদের উপর ক্ষুধা চাপিয়ে দেয়া হবে। ফলে তারা অন্যান্য শাস্তির মতই ক্ষুধার যন্ত্রণায়ও নিপিড়িত হবে। তারা কাতর কণ্ঠে ফারিয়াদ করবে এবং কাটাযুক্ত গুলোর খাবার দিয়ে তাদের ফারিয়াদ পূর্ণ করা হবে। এ খাবার না তাদেরকে মোটাতাজা করবে, না তাদের ক্ষুধা দূর করবে।
তারা আবার খাবারের জন্য ফারিয়াদ করবে। তাদের তখন এমন খাবার দেয়া হবে যা তাদের গলায় আটকে যাবে। তারা তখন মনে করবে দুনিয়াতে পানি পান করে গলায় আটকানো খাবার বের করার কথা। সুতরাং তারা পানীয়ের জন্য ফারিয়াদ জানাবে এবং তাদেরকে লোহার কাঁটাযুক্ত গরম পানি দেয়া হবে। এটা তাদের মুখের নিকটে নেয়ামাত্র তা তাদের মুখমণ্ডল পুড়ে ফেলবে এবং যখন উহা তাদের পেটে প্রবেশ করবে তখন তা তাদের নাড়িভুড়ি গলিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিবে। তখন তারা (পরস্পর) বলবে, জাহান্নামের তত্ত্ববধায়ককে ডাকো। সে তাদের বলবে, “তোমাদের নিকটে কি রাসূলগণ সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ নিয়ে আসেননি? তারা বলবে, হ্যাঁ এসেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক বলবে, তোমরা ডাকতে থাক কিন্তু কাফিরের ডাক নিস্ফল" (সূরাঃ মু’মিন- ৫০)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারা বলাবলি করবে, তোমরা মালিককে (জাহান্নামের প্রধান তত্ত্ববধায়ককে) ডাকো। তারা বলবে, “হে মালিক! আপনার রব যেন আমাদের মৃত্যু ঘটান" (সূরাঃ যুখরুফ- ৭৮)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাদের জবাব দেয়া হবে, “তোমরা এভাবেই থাকবে (মৃত্যু আসবে না)" (৪৩ঃ ৭৮)।
আমাশ (রাহঃ) বলেন, আমি জেনেছি যে, তাদের এ আহবান ও মালিকের জবাবদানের মাঝখানে এক হাজার বছর চলে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এরপর তারা (পরস্পর) বলবে, তোমাদের রবকে ডাকো, কেননা তোমাদের রবের চাইতে উত্তম আর কেউ নেই। তারা বলবে, “হে আমাদের রব। দুর্ভাগ্য আমাদের পরাজিত করেছে এবং আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়। হে আমাদের আল্লাহ! আমাদেরকে এখান হতে বের করে নিন। আমরা যদি আবার এরূপ করি, তাহলে অবশ্যই আমরা যালিম" (সূরাঃ মু’মিনূন- ১০৬, ১০৭)।
তিনি বলেন, তাদের জবাব দেয়া হবে, “এখানেই তোরা লাঞ্ছিত অবস্থায় থাক, আর কোন কথা বলবে না”— (সূরা আল-মু’মিনূনঃ ১০৮)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন হতে তারা সব ধরনের কল্যাণলাভ থেকে হতাশ হয়ে যাবে এবং এ ভয়ংকর অবস্থায় গর্দভের ন্যায় চিৎকার দিতে থাকবে।
(য’ঈফ; মিশকাত- হাঃ নং- ৫৬৮৬; তা’লীকুর রাগীব- হাঃ নং- ৪/২৩৬)
’আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান (রাহ.) বলেনঃ রাবীগণ এ হাদীস মারফুরূপে বর্ণনা করেননি। আবূ ঈসা বলেনঃ আমাশ হতে তিনি শিমর ইবনু আতিয়া হতে তিনি শাহর ইবনু হাওশাব হতে তিনি উম্মুদ দারদা (রাযি.) হতে তিনি আবূদ দারদা (রাযি.) হতে, এ সূত্রে হাদীসটি তার উক্তি হিসেবেই আমরা জেনেছি। মূলত এটি মারফু হাদীস নয়। কুতুবাহ ইবনু আবদুল আযীয হাদীসের ইমামগণের মতে নির্ভরযোগ্য রাবী।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا قُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُلْقَى عَلَى أَهْلِ النَّارِ الْجُوعُ فَيَعْدِلُ مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْعَذَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ مِنْ ضَرِيعٍ لاَ يُسْمِنُ وَلاَ يُغْنِي مِنْ جُوعٍ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالطَّعَامِ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ ذِي غُصَّةٍ فَيَذْكُرُونَ أَنَّهُمْ كَانُوا يُجِيزُونَ الْغُصَصَ فِي الدُّنْيَا بِالشَّرَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالشَّرَابِ فَيُرْفَعُ إِلَيْهِمُ الْحَمِيمُ بِكَلاَلِيبِ الْحَدِيدِ فَإِذَا دَنَتْ مِنْ وُجُوهِهِمْ شَوَتْ وُجُوهَهُمْ فَإِذَا دَخَلَتْ بُطُونَهُمْ قَطَّعَتْ مَا فِي بُطُونِهِمْ فَيَقُولُونَ ادْعُوا خَزَنَةَ جَهَنَّمَ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بَلَى . قَالُوا فَادْعُوا وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلاَّ فِي ضَلاَلٍ . قَالَ فَيَقُولُونَ ادْعُوا مَالِكًا فَيَقُولُونَ: (يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ) قَالَ فَيُجِيبُهُمْ: (إِنَّكُمْ مَاكِثُونَ ) " . قَالَ الأَعْمَشُ نُبِّئْتُ أَنَّ بَيْنَ دُعَائِهِمْ وَبَيْنَ إِجَابَةِ مَالِكٍ إِيَّاهُمْ أَلْفَ عَامٍ . قَالَ " فَيَقُولُونَ ادْعُوا رَبَّكُمْ فَلاَ أَحَدَ خَيْرٌ مِنْ رَبِّكُمْ فَيَقُولُونَ: (رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ * رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ ) قَالَ فَيُجِيبُهُمْ: (اخْسَؤُوا فِيهَا وَلاَ تُكَلِّمُونِ ) قَالَ فَعِنْدَ ذَلِكَ يَئِسُوا مِنْ كُلِّ خَيْرٍ وَعِنْدَ ذَلِكَ يَأْخُذُونَ فِي الزَّفِيرِ وَالْحَسْرَةِ وَالْوَيْلِ " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالنَّاسُ لاَ يَرْفَعُونَ هَذَا الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو عِيسَى إِنَّمَا نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَوْلَهُ وَلَيْسَ بِمَرْفُوعٍ . وَقُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ هُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
Abu Ad-Darda' narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The inhabitants of the Fire will suffer from a hunger equal to the punishment they experience, so they will seek relief, and be given to eat of Dari; which will neither nourish nor avail against hunger. So they will (again) seek food to relieve (their hunger), and they will be given to eat of a food that causes one to choke. Then they will remember that they used remedy for choking in the world by drinking something. So they will seek relief from drink. Then they will be given Hamim with meat hooks, so when it comes toward their faces it melts their faces, and when it enters their insides it cuts up what is inside of them. So (some of them) say: 'Call the keepers of Hell' so they say: Did there not come to you your Messengers with clear signs? They say: 'Yes!' They say: 'Then call as you like.' And the invocation of the disbelievers is nothing but in vain." He said: "They will say: 'Call Malik.' So they say: O Malik! Let your Lord make an end of us!'" He said: "So he answers them: Verily you shall abide forever. Al-A'mash said: "I was informed that there is a thousand years between their calling him, and Malik's answering them." He said: "They say: 'Call your Lord, for there is none better than your Lord.' So they will say: Our Lord! Our wretchedness over came us, and we were (an) erring people. Our Lord! Bring us out of this. If we ever return (to evil), indeed we shall be wrong doers."He said: "So the reply to them is: You remain in it in ignominy! And do not speak to Me." He said: "So with that, they loose hope of any good, and with that they are taken to moaning, despair and severe ruin."
পরিচ্ছেদঃ ৫. জাহান্নামীদের খাদ্যদ্রব্যের বর্ণনা
২৫৮৭। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম "সেখানে তারা থাকবে বীভৎস চেহারায়”— (সূরা আল-মু’মিনূনঃ ১০৪) আয়াত প্রসঙ্গে বলেনঃ তাদের মুখমণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হবে, উপরের ঠোট কুঞ্চিত হয়ে মাথার মাঝখানে এসে যাবে এবং নীচের ঠোট নাভীর সাথে আছাড় খাবে।
(য’ঈফ; মিশকাত— হাঃ নং- ৫৬৮৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। আবূল হাইসামের নাম সুলাইমান ইবনু আমর ইবনু আবদুল উতওয়ারী। তিনি ইয়াতীম হিসেবে আবূ সাঈদ (রাযি.)-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হন।
حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ أَبِي شُجَاعٍ، عَنْ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: (وَهُمْ فِيهَا كَالِحُونَ) قَالَ " تَشْوِيهِ النَّارُ فَتَقَلَّصُ شَفَتُهُ الْعُلْيَا حَتَّى تَبْلُغَ وَسَطَ رَأْسِهِ وَتَسْتَرْخِي شَفَتُهُ السُّفْلَى حَتَّى تَضْرِبَ سُرَّتَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو الْهَيْثَمِ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيُّ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي سَعِيدٍ .
Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"And therein they will grimace in displace lips. -He will be grilled by the Fire until his upper lip is folded up reaching the middle of his head, And his bottom lip pains down, until it hits his navel."
পরিচ্ছেদঃ ৬. (জাহান্নামের গভীরতা)
২৫৮৮। আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথার খুলীর দিকে ইশারা করে বলেছেনঃ এটার মতই একটি সীসা যদি আকাশ হতে যমিনের দিকে ছেড়ে দেয়া হয় তবে রাত হওয়ার পূর্বেই তা পৃথিবীতে পৌছে যাবে। অথচ এতদুভয়ের মাঝখানে পাঁচ শত বছরের পথের ব্যবধান রয়েছে। আর জাহান্নামের জিঞ্জীরের অগ্রভাগ হতে সীসাটি নীচের দিকে নিক্ষেপ করা হলে তা চল্লিশ বছর ধরে রাত-দিন চলতে থাকবে, গর্তের শেষ সীমায় পৌছার পূর্ব পর্যন্ত।
যঈফ, মিশকাত (৫৬৮৮) তা’লীকুর রাগীব (৪/২৩২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদ হাসান সহীহ। সাঈদ ইবনু ইয়াযীদ মিসরের অধিবাসী। তার নিকট হতে লাইস ইবনু সা’দ ও অন্যান্য ইমামগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ عِيسَى بْنِ هِلاَلٍ الصَّدَفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ أَنَّ رُصَاصَةً مِثْلَ هَذِهِ وَأَشَارَ إِلَى مِثْلِ الْجُمْجُمَةِ أُرْسِلَتْ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ وَهِيَ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ لَبَلَغَتِ الأَرْضَ قَبْلَ اللَّيْلِ وَلَوْ أَنَّهَا أُرْسِلَتْ مِنْ رَأْسِ السِّلْسِلَةِ لَصَارَتْ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ قَبْلَ أَنْ تَبْلُغَ أَصْلَهَا أَوْ قَعْرَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَسَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ هُوَ مِصْرِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ .
'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As narrated that the Messenger of Allah said:
"If a pellet like this one, and he pointed to one like Al-jumjumah were to be dropped from the heavens to the earth – and it is the distance of traveling five hundred years it would reach the earth before the night-fall. But if it were dropped from the top of the chain it would travel for forty years, day and night, before it would reach its foundation or bottom.” (Hasan)
পরিচ্ছেদঃ ৭. তোমাদের এ (দুনিয়ার) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তরভাগের একভাগ
২৫৮৯। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের এই আগুন যা তোমরা প্রজ্বলিত কর তা জাহান্নামের আগুনের উত্তাপের সত্তর ভাগের এক ভাগ। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহর কসম! এ আগুনই তো জাহান্নামীদের আযাবের জন্য যথেষ্ট ছিল। তিনি বললেনঃ এটাকে উনসত্তর গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং প্রতিটি অংশের উত্তাপ এর সমান হবে।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (৪/২২৬), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ হাম্মাম ইবনু মুনাবিহ হলেন ওয়াহব ইবনু মুনাবিবহ-এর ভাই। ওয়াহবও তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَارُكُمْ هَذِهِ الَّتِي يُوقِدُ بَنُو آدَمَ جُزْءٌ وَاحِدٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزءًا مِنْ حَرِّ جَهَنَّمَ " . قَالُوا وَاللَّهِ إِنْ كَانَتْ لَكَافِيَةً يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّهَا فُضِّلَتْ بِتِسْعَةٍ وَسِتِّينَ جُزْءًا كُلُّهُنَّ مِثْلُ حَرِّهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَمَّامُ بْنُ مُنَبِّهٍ هُوَ أَخُو وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ وَهْبٌ .
Abu Hurairah narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"This Fire of yours, which the sons of Adam kindle, is one part from seventy parts of the heat of the Hell." They said: "By Allah! Would it not have been enough O Messenger of Allah?!" He said: "It is sixty-nine parts more – all of them similar in heat.” (Sahih)
পরিচ্ছেদঃ ৭. তোমাদের এ (দুনিয়ার) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তরভাগের একভাগ
২৫৯০। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামের আগুনের তুলনায় তোমাদের এই দুনিয়ার আগুন (তাপ) মাত্র সত্তর ভাগের এক ভাগ। প্রতিটি ভাগের উত্তাপ এরই সমান।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান। আবূ সাঈদ (রাযিঃ)-এর বর্ণনা হিসেবে গারীব।
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَارُكُمْ هَذِهِ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ لِكُلِّ جُزْءٍ مِنْهَا حَرُّهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ .
Abu Sa'eed narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"This fire of yours is one part from seventy parts of the fire of Hell, each part of it is like the heat of this one."
পরিচ্ছেদঃ ৯. জাহান্নামের দু’টি নিঃশ্বাস রয়েছে এবং তাওহীদে বিশ্বাসীগণকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা প্রসঙ্গে
২৫৯১। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জাহান্নামের আগুন এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা লাল বর্ণ ধারণ করে। আবার এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা সাদা রং ধারণ করে। আবার এক হাজার বছর জ্বালানোর পর তা কালো বর্ণ হয়ে যায়। সুতরাং তা এখন ঘোর কালো বর্ণে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৪৩২০)
সুওয়াইদ ইবনু নাসর-আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক হতে তিনি শারীক হতে তিনি আসিম হতে তিনি আবূ সালিহ অথবা অপর কোন ব্যক্তি-আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন, তবে মারফু হিসেবে নয়।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর মাওকৃফ রিওয়ায়াতটি অনেক বেশী সহীহ। ইয়াহইয়া ইবনু আবূ বুকাইর-শারীকের সূত্র ব্যতীত আর কেউ এটিকে মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، هُوَ ابْنُ بَهْدَلَةَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُوقِدَ عَلَى النَّارِ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى احْمَرَّتْ ثُمَّ أُوقِدَ عَلَيْهَا أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى ابْيَضَّتْ ثُمَّ أُوقِدَ عَلَيْهَا أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى اسْوَدَّتْ فَهِيَ سَوْدَاءُ مُظْلِمَةٌ " .
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، أَوْ رَجُلٍ آخَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي هَذَا مَوْقُوفٌ أَصَحُّ وَلاَ أَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ غَيْرَ يَحْيَى بْنِ أَبِي بُكَيْرٍ عَنْ شَرِيكٍ .
Abu Hurairah narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"The Fire was kindled for one thousand years until it reddened, then it was kindled for one thousand years until it whitened, then it was kindled for one thousand years until it became blackened, so it is dark black."
পরিচ্ছেদঃ ৯. জাহান্নামের দু’টি নিঃশ্বাস রয়েছে এবং তাওহীদে বিশ্বাসীগণকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা প্রসঙ্গে
২৫৯২। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন একদিন জাহান্নাম তার প্রভুর নিকট অভিযোগ করে বললো যে, আমার এক অংশ অন্য অংশকে গ্রাস করছে। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা তার জন্য দুটি নিঃশ্বাসের ব্যবস্থা করেন। এর একটি নিঃশ্বাস শীতকালে এবং অন্যটি গ্রীষ্মকালে ৷ শীতকালের নিঃশ্বাস ’যামহারীর’ (শৈত্যপ্রবাহ) এবং গ্রীষ্মের নিঃশ্বাস সামূম (লু হওয়া)।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪৩১৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। হাদীস বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন মুফায্যাল ইবনু সালিহ খুব একটা স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বর্ণনাকারী নন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا وَقَالَتْ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا فَجَعَلَ لَهَا نَفَسَيْنِ نَفَسًا فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسًا فِي الصَّيْفِ فَأَمَّا نَفَسُهَا فِي الشِّتَاءِ فَزَمْهَرِيرٌ وَأَمَّا نَفَسُهَا فِي الصَّيْفِ فَسَمُومٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ قَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ . وَالْمُفَضَّلُ بْنُ صَالِحٍ لَيْسَ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ بِذَلِكَ الْحَافِظِ .
Abu Hurairah narrated:
that the Messenger of Allah (s.a.w) said: "The Fire complained to its Lord. It said: 'Some parts of me consume other parts.' So He allowed it to take two breaths: one during the winter, and during the summer. As for the breath in the winter then it is Zamharir, and as for the breath in the summer then it is Samum