সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ)
১৪৯

পরিচ্ছেদঃ ১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে নামাযের ওয়াক্তসমূহের বর্ণনা

১৪৯। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জিবরীল (আঃ) কা’বা শরীফের চত্বরে দু’বার আমার নামাযে ইমামতি করেছেন। তিনি প্রথমবার যুহরের নামায আদায় করালেন যখন প্রতিটি জিনিসের ছায়া জুতার ফিতার মত ছিল। অতঃপর তিনি আসরের নামায আদায় করালেন যখন কোন বস্তুর ছায়া তার সমান ছিল। অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করালেন যখন সূর্য ডুবে গেল এবং যে সময়ে রোযাদার ইফতার করে। অতঃপর ইশার নামায আদায় করালেন যখন লাল বর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেল। অতঃপর ফযরের নামায আদায় করালেন যখন ভোর বিদ্যুতের মত আলোকিত হল এবং যে সময় রোযাদারের উপর পানাহার হারাম হয়। তিনি (জিবরীল) দ্বিতীয় এবং পূর্ববর্তী দিন ঠিক যে সময় আসরের নামায আদায় করেছিলেন। অতঃপর আসরের নামায আদায় করালেন যখন কোন বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হল। অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করালেন পূর্বের দিনের সময়ে। অতঃপর ’ইশার নামায আদায় করালেন যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ চলে গেল এবং ফযরের নামায আদায় করালেন যখন যমিন আলোকিত হয়ে গেল। অতঃপর জিবরীল (আঃ) আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে মুহাম্মাদ! এটাই হল আপনার পূর্ববর্তী নবীদের (নামাযের) ওয়াক্ত। নামাযের ওয়াক্ত এই দুই সীমার মাঝখানে। —হাসান সহীহ। মিশকাত— (৫৮৩), ইরওয়া— (২৪৯), সহীহ আবু দাউদ- (৪১৬)।

আবু ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, বুরাইদা, আবু মূসা, আবু মাসউদ, আবু সাঈদ, জাবির, আমর ইবনু হাযাম, বারাআ ও আনাস (রাঃ) হতেও বর্ণনাকৃত হাদীস রয়েছে।

باب مَا جَاءَ فِي مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ، وَهُوَ ابْنُ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَمَّنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ عِنْدَ الْبَيْتِ مَرَّتَيْنِ فَصَلَّى الظُّهْرَ فِي الأُولَى مِنْهُمَا حِينَ كَانَ الْفَىْءُ مِثْلَ الشِّرَاكِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِثْلَ ظِلِّهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ وَأَفْطَرَ الصَّائِمُ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ حِينَ بَرَقَ الْفَجْرُ وَحَرُمَ الطَّعَامُ عَلَى الصَّائِمِ ‏.‏ وَصَلَّى الْمَرَّةَ الثَّانِيَةَ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ لِوَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَيْهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ لِوَقْتِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ الآخِرَةَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ أَسْفَرَتِ الأَرْضُ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ هَذَا وَقْتُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِكَ ‏.‏ وَالْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي مُوسَى وَأَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَجَابِرٍ وَعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَالْبَرَاءِ وَأَنَسٍ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري، حدثنا عبد الرحمن بن ابي الزناد، عن عبد الرحمن بن الحارث بن عياش بن ابي ربيعة، عن حكيم بن حكيم، وهو ابن عباد بن حنيف اخبرني نافع بن جبير بن مطعم، قال اخبرني ابن عباس، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ امني جبريل عليه السلام عند البيت مرتين فصلى الظهر في الاولى منهما حين كان الفىء مثل الشراك ثم صلى العصر حين كان كل شيء مثل ظله ثم صلى المغرب حين وجبت الشمس وافطر الصاىم ثم صلى العشاء حين غاب الشفق ثم صلى الفجر حين برق الفجر وحرم الطعام على الصاىم ‏.‏ وصلى المرة الثانية الظهر حين كان ظل كل شيء مثله لوقت العصر بالامس ثم صلى العصر حين كان ظل كل شيء مثليه ثم صلى المغرب لوقته الاول ثم صلى العشاء الاخرة حين ذهب ثلث الليل ثم صلى الصبح حين اسفرت الارض ثم التفت الى جبريل فقال يا محمد هذا وقت الانبياء من قبلك ‏.‏ والوقت فيما بين هذين الوقتين ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن ابي هريرة وبريدة وابي موسى وابي مسعود الانصاري وابي سعيد وجابر وعمرو بن حزم والبراء وانس ‏.‏


Ibn Abbas narrated that :
the Prophet said: "Jibril (peace be upon him) led me (in Salat) twice at the House. So he prayed Zuhr the first time when the shadow was similar to (the length of) the strap a sandal. Then he prayed Asr when everything was similar (to the length of) its shadow. Then he prayed Maghrib when the sun had set and the fasting person breaks fast. Then he prayed Isha when the twilight had vanished. Then he prayed Fajr when Fajr (dawn) began, and when eating is prohibited for the fasting person. The second time he prayed Zuhr when the shadow of everything was similar to (the length of) it, at the time of Asr the day before. Then he prayed Asr when the shadow of everything was about twice as long as it. Then he prayed Maghrib at the same time as he did the first time. Then he prayed Isha, the later one, when a third of the night had gone. Then he prayed Subh when the land glowed. Then Jibril turned towards me and said: "O Muhammad! These are the times of the Prophets before you, and the (best) time is what is between these two times."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫০

পরিচ্ছেদঃ ১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে নামাযের ওয়াক্তসমূহের বর্ণনা

১৫০। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জিবরীল (আঃ) আমার ইমামতি করলেন, হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা ইবনু আব্বাসের হাদীসের মত। তবে এ হাদীসে আসরের নামায সম্পর্কে “গতকাল” শব্দটির উল্লেখ নেই। -সহীহ। ইরওয়া- (২৫০), সহীহ আবু দাউদ- (৪১৮)।

আবু ঈসা বলেনঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ এবং জাবির (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। মুহাম্মাদ (বুখারী) বলেন, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণিত জাবিরের হাদীসটি সনদের দৃষ্টিকোণ হতে সবচাইতে সহীহ। ওয়াক্ত সম্পর্কিত জাবিরের হাদীসটি “আতা ইবনু আবী রাবাহ আমর ইবনু দীনার ও আবু যুবাইর জাবির হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ওয়াহব ইবনু কাইসানের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ ‏

أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَخْبَرَنِي وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَمَّنِي جِبْرِيلُ ‏"‏ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِمَعْنَاهُ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ ‏"‏ لِوَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَالَ مُحَمَّدٌ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي الْمَوَاقِيتِ حَدِيثُ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ وَحَدِيثُ جَابِرٍ فِي الْمَوَاقِيتِ قَدْ رَوَاهُ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَأَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

اخبرني احمد بن محمد بن موسى، اخبرنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا حسين بن علي بن حسين، اخبرني وهب بن كيسان، عن جابر بن عبد الله، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ امني جبريل ‏"‏ ‏.‏ فذكر نحو حديث ابن عباس بمعناه ‏.‏ ولم يذكر فيه ‏"‏ لوقت العصر بالامس ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ وحديث ابن عباس حديث حسن صحيح ‏.‏ وقال محمد اصح شيء في المواقيت حديث جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال وحديث جابر في المواقيت قد رواه عطاء بن ابي رباح وعمرو بن دينار وابو الزبير عن جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو حديث وهب بن كيسان عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Jabir bin Abdullah narrated that :
Allah's Messenger said: "Jibril led me (in Salat)". He mentioned something similar to the Hadith of Ibn Abbas (no. 149) in meaning, but he did not mention: "At the time of Asr the day before."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫১

পরিচ্ছেদঃ ২. ঐ সম্পর্কেই

১৫১। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাযের ওয়াক্তের শুরু ও শেষ সীমা রয়েছে। যুহরের নামাযের শুরুর সময় হচ্ছে যখন (সূর্য পশ্চিম দিকে) ঢলতে শুরু করে এবং শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া। আসরের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করে (যুহরের শেষ সময়) এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন সূর্যের আলো হলুদ রং ধারণ করে। মাগরিবের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এবং তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক চলে যায়। ইশার প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে যখন শাফাক বিলীন হয়ে যায়, আর তার শেষ ওয়াক্ত হচ্ছে যখন অর্ধেক রাত চলে যায়। ফযরের নামাযের প্রথম ওয়াক্ত যখন ভোর শুরু হয় এবং তার ওয়াক্ত শেষ হয় যখন সূর্য উঠা শুরু হয়।

-সহীহ। আস-সহীহাহ- (১৬৯৬)।

এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, আমি মুহাম্মাদকে বলতে শুনেছি, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে মুজাহিদ হতে আমাশের সূত্রে বর্ণনাকৃত হাদীসটি আমাশ হতে মুহাম্মাদ ইবনু ফুযাইলের সূত্রে বর্ণিত হাদীসের চেয়ে বেশি সহীহ। কেননা মুহাম্মাদ ইবনু ফুযাইল রাবীদের সনদের ধারা বর্ণনায় ক্রটি করেছেন।

মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কথিত আছে যে, নামাযের ওয়াক্তের শুরু এবং শেষ প্রান্ত রয়েছে। এ হাদীসটি অর্থ ও বিষয়বস্তুর দিক হতে মুহাম্মদ ইবনু ফুযাইল হতে আমাশের সূত্রে বর্ণিত হাদীসের মতই।

باب مِنْهُ ‏ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ لِلصَّلاَةِ أَوَّلاً وَآخِرًا وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الظُّهْرِ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَآخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُ الْعَصْرِ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الْعَصْرِ حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُهَا وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَصْفَرُّ الشَّمْسُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْمَغْرِبِ حِينَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْفَجْرِ حِينَ يَطْلُعُ الْفَجْرُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ حَدِيثُ الأَعْمَشِ عَنْ مُجَاهِدٍ فِي الْمَوَاقِيتِ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ عَنِ الأَعْمَشِ وَحَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ ‏.‏ حَدَّثَنَا هَنَّادٌ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ كَانَ يُقَالُ إِنَّ لِلصَّلاَةِ أَوَّلاً وَآخِرًا فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا محمد بن فضيل، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان للصلاة اولا واخرا وان اول وقت صلاة الظهر حين تزول الشمس واخر وقتها حين يدخل وقت العصر وان اول وقت صلاة العصر حين يدخل وقتها وان اخر وقتها حين تصفر الشمس وان اول وقت المغرب حين تغرب الشمس وان اخر وقتها حين يغيب الافق وان اول وقت العشاء الاخرة حين يغيب الافق وان اخر وقتها حين ينتصف الليل وان اول وقت الفجر حين يطلع الفجر وان اخر وقتها حين تطلع الشمس ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عبد الله بن عمرو ‏.‏ قال ابو عيسى وسمعت محمدا يقول حديث الاعمش عن مجاهد في المواقيت اصح من حديث محمد بن فضيل عن الاعمش وحديث محمد بن فضيل خطا اخطا فيه محمد بن فضيل ‏.‏ حدثنا هناد حدثنا ابو اسامة عن ابي اسحاق الفزاري عن الاعمش عن مجاهد قال كان يقال ان للصلاة اولا واخرا فذكر نحو حديث محمد بن فضيل عن الاعمش نحوه بمعناه ‏.‏


Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "Indeed for (the time of) Salat (there is a) beginning and an end. The beginning of the time for the Zuhr prayer is when the sun passes the zenith, and the end of its time is when the time for Asr enters. The beginning of the time for the Asr [prayer] is when its time enters, and the end of its time is when the sun yellows (turns pale). The beginning of the time of Maghrib is when the sun as set, and the end of its time is when the twilight has vanished (i.e., the horizon is invisible because of darkness). The beginning of the time for Isha, the later one, is when the horizon has vanished, and the end of its time is when the night is at its half. The beginning of the time for Fajr is when Fajr begins, and its end is when the sun rises."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫২

পরিচ্ছেদঃ ৩. একই বিষয় সম্পর্কিত

১৫২। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (বুরাইদা) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ নবী আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তাকে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা চান তো তুমি আমাদের সংগে থাক। তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলেন এবং সে অনুযায়ী তিনি ভোর (সুবহি সাদিক) উদয় হলে ফযরের নামাযের ইকামাত দিলেন। তিনি আবার নির্দেশ দিলেন এবং সূর্য ঢলে গেলে তিনি (বিলাল) ইকামাত দিলেন। অতঃপর তিনি যুহরের নামায আদায় করালেন। তিনি আবার নির্দেশ দিলে বিলাল ইকামাত দিলেন। তখন সূর্য অনেক উপরে ছিল এবং আলোক উদ্ভাসিত ছিল। অতঃপর তিনি ’আসরের নামায আদায় করালেন। অতঃপর সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি তাকে মাগরিবের নামাযের ইকামাত দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তিনি তাকে ইশার নামাযের (ইকামাতের) নির্দেশ দিলেন। শাফাক অদৃশ্য হলে তিনি ইকামাত দিলেন। পরবর্তী সকালে তিনি তাকে (ইকামাতের) নির্দেশ দিলেন। ভোর খুব পরিষ্কার হওয়ার পর তিনি ফযরের নামায আদায় করালেন।

অতঃপর তিনি তাকে যুহরের নামাযের (ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ের) নির্দেশ দিলেন এবং (সূর্যের তাপ) যথেষ্ট ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত দেরি করে নামায আদায় করলেন। অতঃপর তিনি তাকে আসরের নামাযের নির্দেশ দিলেন, সে অনুযায়ী তিনি (বিলাল) সূর্য শেষ সীমায় এবং পূর্ব দিনের চেয়ে অনেক নীচে নেমে আসলে ইকামাত দিলেন [অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায আদায় করালেন]। অতঃপর তিনি তাকে (ইকামাতের) নির্দেশ দিলেন এবং শাফাক অদৃশ্য হওয়ার সামান্য পূর্বে মাগরিবের নামায আদায় করালেন। অতঃপর তিনি তাকে ইশার নামাযের ইকামাত দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং সে অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশ রাত চলে যাবার পর ইকামাত দিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বলল, আমি। তিনি বললেনঃ নামাযের সময় এই দুই সীমার মাঝখানে।

সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৬৭), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান, গারীব সহীহ। শুবাও এ হাদীসটি আলকামাহ ইবনু মারসাদ হতে বর্ণনা করেছেন।

باب مِنْهُ ‏ ‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ ‏"‏ أَقِمْ مَعَنَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ مِنَ الْغَدِ فَنَوَّرَ بِالْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ وَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ فَأَقَامَ وَالشَّمْسُ آخِرَ وَقْتِهَا فَوْقَ مَا كَانَتْ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَخَّرَ الْمَغْرِبَ إِلَى قُبَيْلِ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ مَوَاقِيتُ الصَّلاَةِ كَمَا بَيْنَ هَذَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ أَيْضًا ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، والحسن بن الصباح البزار، واحمد بن محمد بن موسى المعنى، واحد، قالوا حدثنا اسحاق بن يوسف الازرق، عن سفيان الثوري، عن علقمة بن مرثد، عن سليمان بن بريدة، عن ابيه، قال اتى النبي صلى الله عليه وسلم رجل فساله عن مواقيت الصلاة فقال ‏"‏ اقم معنا ان شاء الله ‏"‏ ‏.‏ فامر بلالا فاقام حين طلع الفجر ثم امره فاقام حين زالت الشمس فصلى الظهر ثم امره فاقام فصلى العصر والشمس بيضاء مرتفعة ثم امره بالمغرب حين وقع حاجب الشمس ثم امره بالعشاء فاقام حين غاب الشفق ثم امره من الغد فنور بالفجر ثم امره بالظهر فابرد وانعم ان يبرد ثم امره بالعصر فاقام والشمس اخر وقتها فوق ما كانت ثم امره فاخر المغرب الى قبيل ان يغيب الشفق ثم امره بالعشاء فاقام حين ذهب ثلث الليل ثم قال ‏"‏ اين الساىل عن مواقيت الصلاة ‏"‏ ‏.‏ فقال الرجل انا ‏.‏ فقال ‏"‏ مواقيت الصلاة كما بين هذين ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب صحيح ‏.‏ قال وقد رواه شعبة عن علقمة بن مرثد ايضا ‏.‏


Sulaiman bin Buraidah narrated that his father said:
"A man came to the Prophet to ask him about the times for Salat. So he said: 'Stay with us, In sha Allah.' So he ordered Bilal to call the Iqamah when Fajr began, then he ordered him to call the Iqamah when the Sun passed the zenith, then he prayed Zuhr. Then he ordered him to call the Iqamah to pray Asr while the sun was elevated and white. Then he ordered him (to call the Iqamah for) Maghrib when the (top) edge of the sun had set. Then he ordered him to call the Iqamah for Isha when the horizon (twilight) had vanished. Then he ordered him in the morning (to give the call for Fajr prayer), when the light of Fajr glowed. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Zuhr, so he waited well until it had cooled. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Asr, so he calIed the Iqamah while the sun was later in its position than what it was (the day before). Then he ordered him to delay Maghrib until right before the twilight had disappeared. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Isha, so he called the Iqamah when a third of the night had passed. Then he said: 'Where is the one who asked about he times for the Salat?' So the man said, 'It is I.' So he said: 'The times [or the Salat are what are between these two.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. ফযরের নামায অন্ধকার থাকতেই আদায় করা

১৫৩। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফযরের নামায আদায় করতেন, অতঃপর মহিলারা ফিরে আসতেন। আনসারীর বর্ণনায় আছে– মহিলারা নিজেদের চাদর মুড়িয়ে চলে যেতেন এবং অন্ধকারের মধ্যে তাদের চেনা যেত না। কুতাইবার বর্ণনায় (মুতালাফফিফাতিন শব্দের স্থলে) মুতালাফফি’আতিন’ শব্দ রয়েছে। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৬৯), বুখারী ও মুসলিম।

এ অনুচ্ছেদে ইবনু উমার, আনাস ও কাইলা বিনতু মাখরামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। যুহরী হাদীসটি উরওয়া হতে তিনি আয়িশাহ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিছু সাহাবা যেমন, আবু বাকার ও উমর (রাঃ) এবং তাদের পরবর্তীগণ অন্ধকার থাকতেই ফযরের নামায আদায় করা মুস্তাহাব বলেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক একই মত ব্যক্ত করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي التَّغْلِيسِ بِالْفَجْرِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ النِّسَاءُ قَالَ الأَنْصَارِيُّ فَيَمُرُّ النِّسَاءُ مُتَلَفِّفَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنَ الْغَلَسِ ‏.‏ وَقَالَ قُتَيْبَةُ مُتَلَفِّعَاتٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَقَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَسْتَحِبُّونَ التَّغْلِيسَ بِصَلاَةِ الْفَجْرِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، عن مالك بن انس، قال وحدثنا الانصاري، حدثنا معن، حدثنا مالك، عن يحيى بن سعيد، عن عمرة، عن عاىشة، قالت ان كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليصلي الصبح فينصرف النساء قال الانصاري فيمر النساء متلففات بمروطهن ما يعرفن من الغلس ‏.‏ وقال قتيبة متلفعات ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن عمر وانس وقيلة بنت مخرمة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد رواه الزهري عن عروة عن عاىشة نحوه ‏.‏ وهو الذي اختاره غير واحد من اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم ابو بكر وعمر ومن بعدهم من التابعين وبه يقول الشافعي واحمد واسحاق يستحبون التغليس بصلاة الفجر ‏.‏


Aishah narrated:
"Allah's Messenger would pray Subh (at such time that) the women would leave (after the prayer)" - AI-AnsarI (one of the narrators) said - the women would pass by wrapped in their Mirts and they would not be recognizable due to the darkness." And Qutaibah said: "covered." (instead of "wrapped.")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. ফযরের নামায অন্ধকার বিদূরিত করে আদায় করা

১৫৪। রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ তোমরা ফযরের নামায (ভোরের অন্ধকার) ফর্সা করে আদায় কর। কেননা তাতে অনেক সাওয়াব রয়েছে। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৭২)।

শুবা ও সুফিয়ান সাওরী মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু আজলান ও আসিম ইবনু উমারের সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ অনুচ্ছেদে আবু বারযা, জাবির এবং বিলাল (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর একাধিক বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈন অন্ধকার চলে যাওয়ার পর ফযরের নামায আদায়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী এ মত গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাক বলেছেন, (অন্ধকার) ফর্সা হওয়ার অর্থ হচ্ছে- সন্দেহাতীতরূপে ভোর হওয়া। কিন্তু ফর্সা হওয়ার অর্থ এই নয় যে, নামায দেরি করে আদায় করতে হবে।

باب مَا جَاءَ فِي الإِسْفَارِ بِالْفَجْرِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، - هُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ أَسْفِرُوا بِالْفَجْرِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلأَجْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ ‏.‏ قَالَ وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ أَيْضًا عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ وَجَابِرٍ وَبِلاَلٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَأَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ الإِسْفَارَ بِصَلاَةِ الْفَجْرِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ مَعْنَى الإِسْفَارِ أَنْ يَضِحَ الْفَجْرُ فَلاَ يُشَكَّ فِيهِ وَلَمْ يَرَوْا أَنَّ مَعْنَى الإِسْفَارِ تَأْخِيرُ الصَّلاَةِ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا عبدة، - هو ابن سليمان - عن محمد بن اسحاق، عن عاصم بن عمر بن قتادة، عن محمود بن لبيد، عن رافع بن خديج، قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ اسفروا بالفجر فانه اعظم للاجر ‏"‏ ‏.‏ قال وقد روى شعبة والثوري هذا الحديث عن محمد بن اسحاق ‏.‏ قال ورواه محمد بن عجلان ايضا عن عاصم بن عمر بن قتادة ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي برزة الاسلمي وجابر وبلال ‏.‏ قال ابو عيسى حديث رافع بن خديج حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد راى غير واحد من اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم والتابعين الاسفار بصلاة الفجر ‏.‏ وبه يقول سفيان الثوري ‏.‏ وقال الشافعي واحمد واسحاق معنى الاسفار ان يضح الفجر فلا يشك فيه ولم يروا ان معنى الاسفار تاخير الصلاة ‏.‏


Rafi bin Khadlj said:
"I heard Allah's Messenger saying: 'Perform Fajr at AI-Isfar, for indeed its reward is greater.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. যুহরের নামায তাড়াতাড়ি আদায় করা

১৫৫। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বাকার ও উমার (রাঃ)-এর তুলনায় অন্য কাউকে আমি যুহরের নামায তাড়াতাড়ি আদায় করতে দেখিনি (ওয়াক্ত শুরু হলেই তারা নামায আদায় করে নিতেন)।

সনদ দুর্বল।

এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু আবদিল্লাহ, খাব্বাব, আবূ বারযা, ইবনু মাসউদ, যাইদ ইবনু সাবিত, আনাস ও জাবির ইবনু সামূরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, আইশা (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান। সাহাবায়ে কিরাম ও তাদের পরবর্তী বিদ্ধানগণ আওয়াল (প্রথম) ওয়াক্তে নামায আদায় করা পছন্দ করেছেন। আলী ইবনুল মাদানী বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন, হাকীম ইবনু জুবাইর (রাহঃ) ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস,مَنْ سَأَلَ النَّاسَ وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ “প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি মানুষের নিকট প্রার্থনা করে।"

বর্ণনা করার প্রেক্ষিতে শুবাহ তার (হাকীমের) সমালোচনা করেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু মুঈন বলেন, সুফইয়ান এবং যায়িদাহ তার (হাকীম) নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু মুঈন তার (হাকীম) বর্ণিত হাদীসে কোন ত্রুটি আছে বলে মনে করেন না। মুহাম্মাদ (বুখারী) বলেনঃ যুহরের নামায আওয়াল ওয়াক্তে আদায় করা সম্পর্কিত আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ -এর হাদীসটি হাকীম ইবনু জুবাইর সাঈদ ইবনু জুবাইরের সূত্রেও বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي التَّعْجِيلِ بِالظُّهْرِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَشَدَّ تَعْجِيلاً لِلظُّهْرِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ مِنْ أَبِي بَكْرٍ وَلاَ مِنْ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَخَبَّابٍ وَأَبِي بَرْزَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَأَنَسٍ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ ‏.‏ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ مِنْ أَجْلِ حَدِيثِهِ الَّذِي رَوَى عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ سَأَلَ النَّاسَ وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى وَرَوَى لَهُ سُفْيَانُ وَزَائِدَةُ وَلَمْ يَرَ يَحْيَى بِحَدِيثِهِ بَأْسًا ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي تَعْجِيلِ الظُّهْرِ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري، حدثنا وكيع، عن سفيان، عن حكيم بن جبير، عن ابراهيم، عن الاسود، عن عاىشة، قالت ما رايت احدا كان اشد تعجيلا للظهر من رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا من ابي بكر ولا من عمر ‏.‏ قال وفي الباب عن جابر بن عبد الله وخباب وابي برزة وابن مسعود وزيد بن ثابت وانس وجابر بن سمرة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن ‏.‏ وهو الذي اختاره اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ومن بعدهم ‏.‏ قال علي بن المديني قال يحيى بن سعيد وقد تكلم شعبة في حكيم بن جبير من اجل حديثه الذي روى عن ابن مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من سال الناس وله ما يغنيه ‏"‏ ‏.‏ قال يحيى وروى له سفيان وزاىدة ولم ير يحيى بحديثه باسا ‏.‏ قال محمد وقد روي عن حكيم بن جبير عن سعيد بن جبير عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم في تعجيل الظهر ‏.‏


Aishah narrated:
"I have not seen anyone who hastened Zuhr more than Allah's Messenger nor Abu Bakr, nor Umar."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. যুহরের নামায তাড়াতাড়ি আদায় করা

১৫৬। আনাস ইবনু মালিক হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে পড়লে যুহরের নামায আদায় করেছেন। —সহীহ। বুখারী।

আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি সহীহ। এ অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি সবেত্তম। এ অনুচ্ছেদে জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।

باب مَا جَاءَ فِي التَّعْجِيلِ بِالظُّهْرِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ أَحْسَنُ حَدِيثٍ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الحلواني، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، قال اخبرني انس بن مالك، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الظهر حين زالت الشمس ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏ وهو احسن حديث في هذا الباب ‏.‏ وفي الباب عن جابر ‏.‏


Anas bin Malik narrated:
"Allah's Messenger prayed Zuhr when the sun had passed the zenith."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৭. অধিক গরমের সময় যুহরের নামায দেরিতে আদায় করা

১৫৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন (সূর্যের) উত্তাপ বেড়ে যায়, তখন তোমরা ঠাণ্ডা করে নামায আদায় কর (বিলম্ব করে নামায আদায় কর)। কেননা প্রচণ্ড উত্তাপ জাহান্নামের নিঃশ্বাস হতে হয়। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৭৮), বুখারী ও মুসলিম।

এ অনুচ্ছেদে আবু সাঈদ, আবু যার, ইবনু উমার, মুগীরা, কাসিম ইবনু সাফওয়ান তার পিতার সূত্রে, আবু মূসা, ইবনু আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে উমর (রাঃ)-এর একটি বর্ণনাও রয়েছে। কিন্তু এ বর্ণনাটি সহীহ নয়। আবু ঈসা বলেনঃ আবু হুরাইরা বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

বিশেষজ্ঞদের একদল গরমের মওসুমে যুহরের নামায বিলম্বে আদায় করা পছন্দ করেছেন। ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাক এই মতের সমর্থক। ইমাম শাফিঈ বলেন, লোকেরা যখন দূরদূরান্ত হতে মসজিদে আসে তখন যুহরের নামায ঠাণ্ডার সময় আদায় করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু যে ব্যক্তি একাকি নামায আদায় করে অথবা নিজের গোত্রের মসজিদে নামায আদায় করে- খুব গরমের সময়েও আমি তার জন্য প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করা উত্তম মনে করি। আবু ঈসা বলেনঃ অত্যধিক গরমের সময়ে যারা বিলম্বে যুহরের নামায আদায়ের কথা বলেন, তাদের মত অনুসরণযোগ্য। কিন্তু আবু যার (রাঃ)-এর হাদীস ইমাম শাফিঈর বক্তব্যের (দূর হতে আসা মুসল্লীর কারণে যুহরের নামায ঠাণ্ডার সময়ে আদায়ের নির্দেশ রয়েছে, কেননা তাতে তাদের কষ্ট কম হবে) পরিপন্থী। আবু যার (রাঃ) বলেনঃ “আমরা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। বিলাল (রাঃ) যুহরের নামাযের আযান দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে বিলাল! শীতল কর (গরমের তীব্রতা কমতে দাও)। তারপর শীতল করা হল (বিলম্বে নামায আদায় করা হল)।”

ইমাম শাফিঈর বক্তব্য অনুযায়ী শীতল করার অর্থ যদি তাই হত তবে এ সময়ে শীতল করার কোন অর্থই হয় না। কেননা সফরের অবস্থায় সবাই একই স্থানে সমবেত ছিল, দূর হতে কারো আসার কোন প্রশ্নই ছিল না।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ ‏ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ عُمَرَ وَالْمُغِيرَةِ وَالْقَاسِمِ بْنِ صَفْوَانَ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَارَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ تَأْخِيرَ صَلاَةِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا الإِبْرَادُ بِصَلاَةِ الظُّهْرِ إِذَا كَانَ مَسْجِدًا يَنْتَابُ أَهْلُهُ مِنَ الْبُعْدِ فَأَمَّا الْمُصَلِّي وَحْدَهُ وَالَّذِي يُصَلِّي فِي مَسْجِدِ قَوْمِهِ فَالَّذِي أُحِبُّ لَهُ أَنْ لاَ يُؤَخِّرَ الصَّلاَةَ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَمَعْنَى مَنْ ذَهَبَ إِلَى تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ هُوَ أَوْلَى وَأَشْبَهُ بِالاِتِّبَاعِ وَأَمَّا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الشَّافِعِيُّ أَنَّ الرُّخْصَةَ لِمَنْ يَنْتَابُ مِنَ الْبُعْدِ وَالْمَشَقَّةِ عَلَى النَّاسِ فَإِنَّ فِي حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلاَفِ مَا قَالَ الشَّافِعِيُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو ذَرٍّ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَذَّنَ بِلاَلٌ بِصَلاَةِ الظُّهْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا بِلاَلُ أَبْرِدْ ثُمَّ أَبْرِدْ ‏"‏ ‏.‏ فَلَوْ كَانَ الأَمْرُ عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الشَّافِعِيُّ لَمْ يَكُنْ لِلإِبْرَادِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ مَعْنًى لاِجْتِمَاعِهِمْ فِي السَّفَرِ وَكَانُوا لاَ يَحْتَاجُونَ أَنْ يَنْتَابُوا مِنَ الْبُعْدِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن شهاب، عن سعيد بن المسيب، وابي، سلمة عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا اشتد الحر فابردوا عن الصلاة فان شدة الحر من فيح جهنم ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي سعيد وابي ذر وابن عمر والمغيرة والقاسم بن صفوان عن ابيه وابي موسى وابن عباس وانس ‏.‏ قال وروي عن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم في هذا ولا يصح ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد اختار قوم من اهل العلم تاخير صلاة الظهر في شدة الحر وهو قول ابن المبارك واحمد واسحاق ‏.‏ قال الشافعي انما الابراد بصلاة الظهر اذا كان مسجدا ينتاب اهله من البعد فاما المصلي وحده والذي يصلي في مسجد قومه فالذي احب له ان لا يوخر الصلاة في شدة الحر ‏.‏ قال ابو عيسى ومعنى من ذهب الى تاخير الظهر في شدة الحر هو اولى واشبه بالاتباع واما ما ذهب اليه الشافعي ان الرخصة لمن ينتاب من البعد والمشقة على الناس فان في حديث ابي ذر ما يدل على خلاف ما قال الشافعي ‏.‏ قال ابو ذر كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فاذن بلال بصلاة الظهر فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يا بلال ابرد ثم ابرد ‏"‏ ‏.‏ فلو كان الامر على ما ذهب اليه الشافعي لم يكن للابراد في ذلك الوقت معنى لاجتماعهم في السفر وكانوا لا يحتاجون ان ينتابوا من البعد ‏.‏


Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "In very hot weather, delay the (Zuhr) prayer until it becomes (a bit) cooler, because the severity of heat is from the raging of the Hell."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. অধিক গরমের সময় যুহরের নামায দেরিতে আদায় করা

১৫৮। আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে ছিলেন। বিলাল (রাঃ)-ও তার সাথে ছিলেন। তিনি ইকামাত দিতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “যুহরকে শীতল কর।” আবু যার (রাঃ) বলেন, বিলাল (রাঃ) আবার ইকামাত দিতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যুহরের নামায আরও শীতল করে আদায় কর। আবু যার (রাঃ) বলেন, এমনকি আমরা যখন বালির স্তুপের ছায়া দেখতে পেলাম তখন তিনি ইকামাত দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করালেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের নিঃশ্বাস। তোমরা শীতল করে (রোদের তাপ কমলে) নামায আদায় কর”। —সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (৪২৯), বুখারী ও মুসলিম।

আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ الظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ ‏ ‏

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُهَاجِرٍ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَرَادَ بِلاَلٌ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ ‏"‏ أَبْرِدْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبْرِدْ فِي الظُّهْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ حَتَّى رَأَيْنَا فَىْءَ التُّلُولِ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو داود الطيالسي، قال انبانا شعبة، عن مهاجر ابي الحسن، عن زيد بن وهب، عن ابي ذر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان في سفر ومعه بلال فاراد بلال ان يقيم فقال ‏"‏ ابرد ‏"‏ ‏.‏ ثم اراد ان يقيم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابرد في الظهر ‏"‏ ‏.‏ قال حتى راينا فىء التلول ثم اقام فصلى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان شدة الحر من فيح جهنم فابردوا عن الصلاة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Dharr narrated:
"Allah's Messenger was on a journey and Bilal was with him. So he wanted to call for the prayer, but he (the Prophet) said: 'Let it get cooler.' Then he wanted to call for the prayer, so Allah's Messenger said: 'Let it get to the cooler time of Zuhr.'" He (i.e., Abu Dharr) said: "Until we saw the shadows of the hillocks, then he commanded that the Iqamah be called and then led the people in prayer. Allah's Messenger said: 'The severity of heat is from the raging of Hell, so wait until it becomes cooler for the (Zuhr) prayer.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৮. আসরের নামায শীঘ্রই আদায় করা।

১৫৯। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, (একদিন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায আদায় করালেন, তখনও সূর্যের কিরণ তার (আয়িশাহ’র) ঘরের মধ্যে ছিল এবং ছায়াও (দীর্ঘ না হওয়ার ফলে) তার ঘরের বাইরে যায়নি। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৮৩)।

এ অনুচ্ছেদে আনাস, আবু আরওয়া, জাবির ও রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। রাফি’ (রাঃ) হতে আসরের নামায বিলম্বে আদায় করা সম্পর্কিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এ বর্ণনাটি সহীহ নয়। আবু ঈসা বলেনঃ আয়িশাহ (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু বিশেষজ্ঞ সাহাবা ’আসরের নামায শীঘ্রই (প্রথম ওয়াক্তে) আদায় করা পছন্দ করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন উমার, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ, আয়িশাহ ও আনাস (রাঃ)। একাধিক তাবিঈও এ মত গ্রহণ করেছেন এবং দেরিতে ’আসরের নামায আদায় করা মাকরুহ বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একথা বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْعَصْرِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ مِنْ حُجْرَتِهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي أَرْوَى وَجَابِرٍ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ‏.‏ قَالَ وَيُرْوَى عَنْ رَافِعٍ أَيْضًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي تَأْخِيرِ الْعَصْرِ وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةُ وَأَنَسٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ تَعْجِيلُ صَلاَةِ الْعَصْرِ وَكَرِهُوا تَأْخِيرَهَا ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن شهاب، عن عروة، عن عاىشة، انها قالت صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم العصر والشمس في حجرتها لم يظهر الفىء من حجرتها ‏.‏ قال وفي الباب عن انس وابي اروى وجابر ورافع بن خديج ‏.‏ قال ويروى عن رافع ايضا عن النبي صلى الله عليه وسلم في تاخير العصر ولا يصح ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح ‏.‏ وهو الذي اختاره بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم عمر وعبد الله بن مسعود وعاىشة وانس وغير واحد من التابعين تعجيل صلاة العصر وكرهوا تاخيرها ‏.‏ وبه يقول عبد الله بن المبارك والشافعي واحمد واسحاق ‏.‏


Urwah narrated from Aishah:
"Allah's Messenger prayed Asr while the sun was (shining) in her chamber, (and) no shadow appeared in her chamber."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬০

পরিচ্ছেদঃ ৮. আসরের নামায শীঘ্রই আদায় করা।

১৬০৷ ’আলা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বসরায় আনাস (রাঃ)-এর বাড়িতে আসলেন। তিনি তখন যুহরের নামায আদায় করে বাসায় ফিরে এসেছেন। তার ঘরটি মসজিদের পাশেই ছিল। তিনি (আনাস) বললেন, উঠো এবং আসরের নামায আদায় কর। আলা বলেন, আমরা উঠে গিয়ে আসরের নামায আদায় করলাম। আমরা যখন নামায শেষ করলাম তখন তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ এটা মুনাফিকের নামায- যে বসে বসে সূর্যের অপেক্ষা করতে থাকে, যখন সূর্য শাইতানের দুই শিং এর মাঝখানে এসে যায় তখন উঠে চারটি ঠোকর মারে এবং তাতে আল্লাহ তা’আলাকে খুব কমই স্মরণ করে। —সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (৪২০), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْعَصْرِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فِي دَارِهِ بِالْبَصْرَةِ حِينَ انْصَرَفَ مِنَ الظُّهْرِ وَدَارُهُ بِجَنْبِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ قُومُوا فَصَلُّوا الْعَصْرَ ‏.‏ قَالَ فَقُمْنَا فَصَلَّيْنَا فَلَمَّا انْصَرَفْنَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ تِلْكَ صَلاَةُ الْمُنَافِقِ يَجْلِسُ يَرْقُبُ الشَّمْسَ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ قَامَ فَنَقَرَ أَرْبَعًا لاَ يَذْكُرُ اللَّهَ فِيهَا إِلاَّ قَلِيلاً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، حدثنا اسماعيل بن جعفر، عن العلاء بن عبد الرحمن، انه دخل على انس بن مالك في داره بالبصرة حين انصرف من الظهر وداره بجنب المسجد فقال قوموا فصلوا العصر ‏.‏ قال فقمنا فصلينا فلما انصرفنا قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ تلك صلاة المنافق يجلس يرقب الشمس حتى اذا كانت بين قرنى الشيطان قام فنقر اربعا لا يذكر الله فيها الا قليلا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Al-Ala bin Abdur-Raman narrated that :
he visited Anas bin Malik in his home in Al Basrah after finishing Zuhr, and his home was next to the Masjid. So he said: 'Stand to pray Asr." He (Al-Ala) said: "So we stood to pray. When we were finished he (Anas) said: 'I heard Allah's Messenger saying: "That is the prayer of the hypocrite. He sits watching the sun, until when it is between the horns of the Shaitan he stands and pecks out four (units of prayer), not remembering Allah in them but a little."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬১

পরিচ্ছেদঃ ৯. আসরের নামায বিলম্বে আদায় করা।

১৬১৷ উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের নামায তোমাদের চেয়ে বেশি তাড়াতাড়ি (প্রথম ওয়াক্তে) আদায় করতেন। আর তোমরা আসরের নামায তার চেয়ে অধিক সকালে আদায় কর। —সহীহ। মিশকাত— (৬১৯৫) দ্বিতীয় তাহকীক।

আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি ইসমাঈল ইবনু উলাইয়্যা- ইবনু জুরাইজ হতে, ইবনু আবী মুলাইকার সূত্রে উম্মু সালমাহ হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعَصْرِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَشَدَّ تَعْجِيلاً لِلظُّهْرِ مِنْكُمْ وَأَنْتُمْ أَشَدُّ تَعْجِيلاً لِلْعَصْرِ مِنْهُ ‏.‏
قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، نَحْوَهُ ‏.

حدثنا علي بن حجر، حدثنا اسماعيل ابن علية، عن ايوب، عن ابن ابي مليكة، عن ام سلمة، انها قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اشد تعجيلا للظهر منكم وانتم اشد تعجيلا للعصر منه ‏.‏ قال ابو عيسى وقد روي هذا الحديث، عن اسماعيل ابن علية، عن ابن جريج، عن ابن ابي مليكة، عن ام سلمة، نحوه ‏.


Umm Salamah narrated:
"Allah's Messenger would hasten Zuhr more than you (people), while you (people) hasten Asr more than him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬২

পরিচ্ছেদঃ ৯. আসরের নামায বিলম্বে আদায় করা।

১৬২। ইমাম তিরমিয়ী বলেনঃ আমি আমার গ্রন্থে এটি লেখা পেয়েছি যে, আলী ইবনু হুজর, ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি ইবনু জুরাইজের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعَصْرِ ‏ ‏

وَوَجَدْتُ فِي كِتَابِي أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ‏.‏

ووجدت في كتابي اخبرني علي بن حجر، عن اسماعيل بن ابراهيم، عن ابن جريج، ‏.‏


Narrator not mentioned:
[And I have in my book: "Ali bin Hujr informed me from lsma'il bin Ibrahim, from Ibn Juraij."]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৯. আসরের নামায বিলম্বে আদায় করা।

১৬৩। বিশর ইবনু মুআয, ইসমাঈল ইবনু উলাইয়্যা হতে ইবনু জুরাইজের সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। —আর এই বর্ণনাটি অধিক সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعَصْرِ ‏ ‏

وَحَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْبَصْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏

وحدثنا بشر بن معاذ البصري، قال حدثنا اسماعيل ابن علية، عن ابن جريج، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ وهذا اصح ‏.‏


Similar narration is reported by Bishr ibn Mu'adh Al-Bari who said that :
Isma'il ibn Ulayyah narrated to him from Ibn Juraij. This latter chain is more correct.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. মাগরিবের ওয়াক্ত সম্পর্কে

১৬৪। সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যখন সূর্য ডুবে পর্দার অন্তরালে চলে যেত তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের নামায আদায় করতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৮৮), বুখারী ও মুসলিম।

এ অনুচ্ছেদে জাবীর, সুনাবিহী, যাইদ ইবনু খালিদ, আনাস, রাফি ইবনু খাদিজ, আবু আইউব, উম্মু হাবিবা, আব্বাস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।

আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীসটি মাওকুফ হিসাবেও বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই বেশি সহীহ। সুনাবিহী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীস শুনেননি, তিনি আবু বাকার (রাঃ)-এর সাখী। আবু ঈসা বলেনঃ সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবা এবং তাদের পরবর্তীগণ মাগরিবের নামায সকাল সকাল (সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে) আদায় করা পছন্দ করতেন এবং দেরি করা মাকরূহ মনে করতেন। কোন কোন বিদ্বান এরূপ পর্যন্ত বলেছেন যে, মাগরিবের নামাযের জন্য একটি মাত্র ওয়াক্ত নির্ধারিত।

তারা জিবরীলের ইমামতিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায আদায় করা সম্পর্কিত হাদীসের উপর আমল করেছেন। ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এ মত ব্যক্ত করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ الْمَغْرِبِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَتَوَارَتْ بِالْحِجَابِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَالصُّنَابِحِيِّ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَأَنَسٍ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأُمِّ حَبِيبَةَ وَعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَحَدِيثُ الْعَبَّاسِ قَدْ رُوِيَ مَوْقُوفًا عَنْهُ وَهُوَ أَصَحُّ ‏.‏ وَالصُّنَابِحِيُّ لَمْ يَسْمَعْ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ صَاحِبُ أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ اخْتَارُوا تَعْجِيلَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ وَكَرِهُوا تَأْخِيرَهَا حَتَّى قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ لِصَلاَةِ الْمَغْرِبِ إِلاَّ وَقْتٌ وَاحِدٌ وَذَهَبُوا إِلَى حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَيْثُ صَلَّى بِهِ جِبْرِيلُ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا حاتم بن اسماعيل، عن يزيد بن ابي عبيد، عن سلمة بن الاكوع، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي المغرب اذا غربت الشمس وتوارت بالحجاب ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن جابر والصنابحي وزيد بن خالد وانس ورافع بن خديج وابي ايوب وام حبيبة وعباس بن عبد المطلب وابن عباس ‏.‏ وحديث العباس قد روي موقوفا عنه وهو اصح ‏.‏ والصنابحي لم يسمع من النبي صلى الله عليه وسلم وهو صاحب ابي بكر رضى الله عنه ‏.‏ قال ابو عيسى حديث سلمة بن الاكوع حديث حسن صحيح ‏.‏ وهو قول اكثر اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ومن بعدهم من التابعين اختاروا تعجيل صلاة المغرب وكرهوا تاخيرها حتى قال بعض اهل العلم ليس لصلاة المغرب الا وقت واحد وذهبوا الى حديث النبي صلى الله عليه وسلم حيث صلى به جبريل ‏.‏ وهو قول ابن المبارك والشافعي ‏.‏


Salmah bin AI-Akwa narrated:
"Allah's Messenger prayed Maghrib when the sun had set and it (the sun) had hidden in the veil (of darkness)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬৫

পরিচ্ছেদঃ ১১. ইশার নামাযের ওয়াক্ত

১৬৫৷ নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি অন্যদের তুলনায় এ (ইশার) নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে বেশি ভাল জানি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়ার চাঁদ অস্ত গেলে এ নামায আদায় করতেন। —সহীহ। মিশকাত— (৬১৩), সহীহ আবু দাউদ- (৪৪৫)।

باب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ، بِوَقْتِ هَذِهِ الصَّلاَةِ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الملك بن ابي الشوارب، حدثنا ابو عوانة، عن ابي بشر، عن بشير بن ثابت، عن حبيب بن سالم، عن النعمان بن بشير، قال انا اعلم الناس، بوقت هذه الصلاة كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصليها لسقوط القمر لثالثة ‏"‏ ‏.‏


An-Nu'man bin Bashir said:
"I am the most knowledgeable among the people about the prescribed time of this prayer: Allah's Messenger would pray it when the moon set on the third (of the month)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬৬

পরিচ্ছেদঃ ১১. ইশার নামাযের ওয়াক্ত

১৬৬। এ হাদীসটি নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে মুহাম্মদ ইবনু আবান, আব্দুর রহমান ইবনু মাহদীর সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।

আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হুশাইম বর্ণনা করেছেন আবু বিশর হতে, তিনি হাবীব ইবনু সালিম হতে তিনি নুমান ইবনু বাশীর হতে। হুশাইম তার বর্ণনায় বাশীর ইবনু সাবিতের উল্লেখ করেননি। আমাদের মতে আবু আওয়ানার সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সর্বাধিক সহীহ। কেননা ইয়াযীদ ইবনু হারুন শুবা হতে, তিনি আবু বিশর হতে আবু আওয়ানার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ، هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ هُشَيْمٌ عَنْ بَشِيرِ بْنِ ثَابِتٍ، ‏.‏ وَحَدِيثُ أَبِي عَوَانَةَ أَصَحُّ عِنْدَنَا لأَنَّ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ رَوَى عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، نَحْوَ رِوَايَةِ أَبِي عَوَانَةَ ‏.‏

حدثنا ابو بكر، محمد بن ابان حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، عن ابي عوانة، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى روى هذا الحديث، هشيم عن ابي بشر، عن حبيب بن سالم، عن النعمان بن بشير، ‏.‏ ولم يذكر فيه هشيم عن بشير بن ثابت، ‏.‏ وحديث ابي عوانة اصح عندنا لان يزيد بن هارون روى عن شعبة، عن ابي بشر، نحو رواية ابي عوانة ‏.‏


An-Nu'man bin Bashir said:
A similar narration (from another chain linking to) this chain is also reported.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১২. ইশার নামায দেরি করে আদায় করা

১৬৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি আমি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম তাহলে তাদেরকে ইশার নামায রাতের একতৃতীয়াংশ অথবা অর্ধরাত পর্যন্ত দেরি করে আদায়ের নির্দেশ দিতাম। -সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৯১)।

এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু সামুরা, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ, আবু বারযা, ইবনু আব্বাস, আবু সাঈদ খুদরী, যাইদ ইবনু খালিদ ও ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ আবু হুরাইরা (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। বেশিরভাগ সাহাবা, তাবিঈন ও তাবা-তাবিঈন ইশার নামায দেরিতে আদায় করা পছন্দ করেছেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এ অভিমত গ্রহণ করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي تَأْخِيرِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُؤَخِّرُوا الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي بَرْزَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ رَأَوْا تَأْخِيرَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا عبدة، عن عبيد الله بن عمر، عن سعيد المقبري، عن ابي هريرة، قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لولا ان اشق على امتي لامرتهم ان يوخروا العشاء الى ثلث الليل او نصفه ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن جابر بن سمرة وجابر بن عبد الله وابي برزة وابن عباس وابي سعيد الخدري وزيد بن خالد وابن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح ‏.‏ وهو الذي اختاره اكثر اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم والتابعين وغيرهم راوا تاخير صلاة العشاء الاخرة وبه يقول احمد واسحاق ‏.‏


Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "If it were not that it would be a hardship on my Ummah, then I would have ordered you to delay Isha until the third of the night, or its half."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
১৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১৩. ইশার নামাযের পূর্বে শোয়া এবং নামায আদায়ের পর কথাবার্তা বলা মাকরূহ

১৬৮। আবু বারযা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার নামাযের আগে ঘুমানো এবং নামাযের পর আলাপচারিতা করা অপছন্দ করতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৭০১), বুখারী ও মুসলিম

এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ আবু বারযা (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ। বিদ্বানদের একদল ইশার নামাযের আগে ঘুমানো এবং নামাযের পরে আলাপ-চারিতা করা মাকরূহ বলেছেন এবং অপর দল অনুমতি দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেছেন, বেশিরভাগ হাদীস মাকরূহ মতের পক্ষে। কিছু ব্যক্তি রামাযান মাসে ইশার নামাযের আগে ঘুমানোর অনুমতি দিয়েছেন।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّوْمِ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالسَّمَرِ بَعْدَهَا

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَوْفٌ، قَالَ أَحْمَدُ وَحَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، هُوَ الْمُهَلَّبِيُّ وَإِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ جَمِيعًا عَنْ عَوْفٍ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلاَمَةَ، هُوَ أَبُو الْمِنْهَالِ الرِّيَاحِيُّ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي بَرْزَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ النَّوْمَ قَبْلَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا وَرَخَّصَ فِي ذَلِكَ بَعْضُهُمْ ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ أَكْثَرُ الأَحَادِيثِ عَلَى الْكَرَاهِيَةِ ‏.‏ وَرَخَّصَ بَعْضُهُمْ فِي النَّوْمِ قَبْلَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ فِي رَمَضَانَ ‏.‏ وَسَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ هُوَ أَبُو الْمِنْهَالِ الرِّيَاحِيُّ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا هشيم، اخبرنا عوف، قال احمد وحدثنا عباد بن عباد، هو المهلبي واسماعيل ابن علية جميعا عن عوف، عن سيار بن سلامة، هو ابو المنهال الرياحي عن ابي برزة، قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يكره النوم قبل العشاء والحديث بعدها ‏.‏ قال وفي الباب عن عاىشة وعبد الله بن مسعود وانس ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي برزة حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد كره اكثر اهل العلم النوم قبل صلاة العشاء والحديث بعدها ورخص في ذلك بعضهم ‏.‏ وقال عبد الله بن المبارك اكثر الاحاديث على الكراهية ‏.‏ ورخص بعضهم في النوم قبل صلاة العشاء في رمضان ‏.‏ وسيار بن سلامة هو ابو المنهال الرياحي ‏.‏


Abu Barzah narrated:
"The Prophet would dislike to sleep before Isha and to talk after it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ) 2. The Book on Salat (Prayer)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩০৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 13 14 15 16 পরের পাতা »