পরিচ্ছেদঃ ২৭/১. আল্লাহ তা'আলার নাম ব্যতীত অন্যের নামে কসম করা নিষেধ।
১০৬৬. উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযাকে বলেছেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের পিতা-পিতামহের নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। ’উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! যখন থেকে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি, তখন থেকে আমি স্বেচ্ছায় বা ভুলক্রমে তাদের নামে কসম করিনি।
النهي عن الحلف بغير الله تعالى
حديث عُمَرَ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ قَالَ عُمَرُ: فَوَاللهِ مَا حَلَفْتُ بِهَا مُنْذَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَاكِرًا وَلاَ آثِرًا
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১. আল্লাহ তা'আলার নাম ব্যতীত অন্যের নামে কসম করা নিষেধ।
১০৬৭. ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে একদিন আরোহীর মাঝে এমন সময় পেলেন, যখন তিনি তাঁর পিতার নামে কসম খাচ্ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চস্বরে তাদের বললেনঃ জেনে রেখঃ আল্লাহ আমাদের নিজের পিতার নামে কসম খেতে নিষেধ করেছেন। যদি কাউকে খেতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামেই কসম খায়, অন্যথায় সে যেন চুপ থাকে।
النهي عن الحلف بغير الله تعالى
حديث ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ أَدْرَكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي رَكْبٍ وَهُوَ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ، فَنَادَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلاَ إِنَّ اللهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ، فَمَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللهِ، وَإِلاَّ فَلْيَصْمُتْ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/২. যে লাত, উযযার নামে কসম করে সে যেন লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ বলে।
১০৬৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কসম করে বলে যে, লাত ও উযযার কসম, সে যেন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে। আর যে ব্যক্তি তার সাথীকে বলে, এসো, আমি তোমার সঙ্গে জুয়া খেলব, তার সাদাকা দেয়া কর্তব্য।
من حلف باللات والعزى فليقل لا إله إلا الله
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ حَلَفَ فَقَالَ فِي حَلِفِهِ وَالَّلاتِ وَالْعُزَّى، فَلْيَقُلْ، لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ؛ وَمَنْ قَالَ لِصَاحِبِهِ، تَعَالَ أُقَامِرْك، فَلْيَتَصَدَّقْ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৩. এটা (বৈধ) যে কেউ কোন কিছু করার কসম খেলো এবং পরেও অন্যটা করা ভাল দেখল তাহলে সে ভালটা করবে এবং তার কসমের কাফফা দিবে।
১০৬৯. আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার সাথীরা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পাঠালেন তাদের জন্য পশুবাহন চাওয়ার জন্য। কারণ তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কষ্টের যুদ্ধ অর্থাৎ তাবুকের যুদ্ধে যাচ্ছিলেন। অনন্তর আমি এসে বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমার সাথীরা আমাকে আপনার কাছে এজন্য পাঠিয়েছেন যে, আপনি যেন তাদের জন্য পশুবাহনের ব্যবস্থা করেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের জন্য কোন সওয়ারীর ব্যবস্থা করতে পারব না। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি রাগান্বিত। (কিন্তু কী কারণে তিনি রাগান্বিত) তা বুঝলাম না। আর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পশুবাহন না দেয়ার কারণে দুঃখিত মনে ফিরে আসি। আবার এ ভয়ও ছিল যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম না আমার উপরই অসন্তুষ্ট হন।
তাই আমি সাথীদের কাছে ফিরে যাই এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন তা আমি তাদের জানাই। অল্পক্ষণ পরেই শুনতে পেলাম যে, বিলাল (রাঃ) ডাকছেনঃ ’আবদুল্লাহ ইবনু কাইস কোথায়? তখন আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে ডাকছেন, আপনি হাজির হােন। আমি যখন তাঁর কাছে হাজির হলাম তখন তিনি বললেন, এই জোড়া এবং ঐ জোড়া এমনি ছয়টি উটনী যা সা’দ থেকে ক্রয় করা হয়েছে, তা গ্রহণ কর এবং সেগুলো তোমার সাথীদের কাছে নিয়ে যাও এবং বল যে, আল্লাহ্ তাআলা (রাবীর সন্দেহ) অথবা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো আমাদের যানবাহনের জন্য ব্যবস্থা করেছেন, তোমরা এগুলোর উপর আরোহণ কর।
আমি তখন সেগুলো নিয়ে তাদের নিকট গেলাম এবং বললাম যে, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলোর উপর আমাদের আরোহণের জন্য ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু আমি তোমাদেকে ছাড়বো যতক্ষণ না আমাদের কেউ আমার সঙ্গে তার কাছে যাবে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথােপকথন শুনেছে। তোমরা এমন ধারণা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেননি আমি তা তোমাদের বর্ণনা করেছি। তখন তারা আমাকে বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি আমাদের কাছে সত্যবাদী বলে পরিচিত। তবুও আপনি যা চান, আমরা অবশ্য করব। অনন্তর আবু মূসা (রাঃ) তাদের মধ্যেকার একদল লোককে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হন এবং যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক অপারগতা প্রকাশ এবং পরে তাদেরকে দেয়ার কথা শুনেছিলেন, তাদের কাছে আসেন। তখন তারা সেরূপ কথাই বর্ণনা করলেন যেমন আবূ মূসা বর্ণনা করেছিলেন।
ندب من حلف يمينًا فرأى غيرها خيرًا منها أن يأتي الذي هو خير ويكفّر عن يمينه
حديث أَبِي مُوسى رضي الله عنه، قَالَ: أَرْسَلَنِي أَصْحَابِي إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَسْأَلهُ الْحُمْلاَنَ لَهُمْ إِذْ هُمْ مَعَهُ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ، وَهِيَ غَزْوَةُ تَبُوكَ فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّ أَصْحَابِي أَرْسَلونِي إِلَيْكَ لِتَحْمِلَهُمْ، فَقَالَ: وَاللهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ عَلَى شَيْءٍ وَوَافَقْتُهُ وَهُوَ غَضْبَانُ، وَلاَ أَشْعُرُ، وَرَجَعْتُ حَزِينًا مِنْ مَنْعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنْ مَخَافَةِ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ عَلَيَّ؛ فَرَجَعْتُ إِلَى أَصْحَابِي فَأَخْبَرْتُهُمُ الَّذِي قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ أَلْبَثْ إِلاَّ سُوَيْعَةً إِذْ سَمِعْتُ بِلاَلاً يُنَادِي، أَي عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ فَأَجَبْتُهُ، فَقَالَ: أَجِبْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوكَ، فَلَمَّا أَتَيْتُهُ قَالَ: خُذْ هذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ لِسِتَّةِ أَبْعِرَةٍ ابْتَاعَهُنَّ حِينَئِذٍ مِنْ سَعْدٍ فَانْطَلِقْ بِهِنَّ إِلَى أَصْحَابِكَ، فَقُلْ إِنَّ اللهَ أَوْ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُكُمْ عَلَى هؤُلاَءِ فَارْكَبُوهُنَّ فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهِمْ بِهِنَّ فَقُلْتُ: إِنَّ النَبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلَكُمْ عَلَى هؤُلاَءِ، وَلكِنِّي، وَاللهِ لاَ أَدَعُكُمْ حَتَّى يَنْطَلِقَ مَعِي بَعْضُكُمْ إِلَى مَنْ سَمِعَ مَقَالَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لاَ تَظُنُّوا أَنِّي حَدَّثْتُكُمْ شَيْئًا لَمْ يَقُلْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ فَقَالُوا لِي: إِنَّكَ عِنْدَنَا لَمُصَدَّقٌ وَلَنَفْعَلَنَّ مَا أَحْبَبْتَ فَانْطَلَقَ أَبُو مُوسى بِنَفَرٍ مِنْهُمْ حَتَّى أَتَوُا الَّذِينَ سَمِعُوا قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْعَهُ إِيَّاهُمْ، ثُمَّ إِعْطاءَهُمْ بَعْدُ، فَحَدَّثُوهُمْ بِمِثْلِ مَا حَدَّثَهُمْ بِهِ أَبُو مُوسى
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৩. এটা (বৈধ) যে কেউ কোন কিছু করার কসম খেলো এবং পরেও অন্যটা করা ভাল দেখল তাহলে সে ভালটা করবে এবং তার কসমের কাফফা দিবে।
১০৭০. যাহদাম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আবু মূসা (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম, এ সময় মুরগীর (মাংস) সম্বন্ধে আলোচনা উঠল। তথায় তাইমুল্লাহ গোত্রের এমন লাল বর্ণের এক ব্যক্তিও উপস্থিত ছিল, যেন সে মাওয়ালী (রোমক ক্রীতদাস)-দের একজন। তাকে খাওয়ার জন্য ডাকলেন। তখন সে বলল, আমি মুরগীকে এমন বস্তু খেতে দেখেছি, যাতে আমার ঘৃণা জন্মেছে। তাই আমি শপথ করেছি যে, তা খাব না। আবূ মূসা বললেন, আস, আমি তোমাকে এ সম্পর্কে হাদীস শুনাচ্ছি।
আমি কয়েকজন আশআরী ব্যক্তির পক্ষে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সাওয়ারী চাইতে যাই। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সাওয়ারী দিব না এবং আমার নিকট আমাদের দেয়ার মত কোন সাওয়ারীও নেই। এ সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গনীমতের কয়েকটি উট আনা হলো। তখন তিনি আমাদের খোঁজ নিলেন এবং বললেন, সেই আশ’আরী লোকরা কোথায়? অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঁচু সাদা চুলওয়ালা পাঁচটি উট আমাদের দিতে বললেন।
যখন আমরা উট নিয়ে রওয়ানা দিলাম, বললাম, আমরা কী করলাম? আমাদের কল্যাণ হবে না। আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফিরে এলাম এবং বললাম, আমরা আপনার নিকট সাওয়ারীর জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আমাদের সাওয়ারী দিবেন না। আপনি কি তা ভুলে গেছেন? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদের সাওয়ারী দেইনি বরং আল্লাহ তা’আলা আমাদের সাওয়ারী দান করেছেন। আর আল্লাহর কসম, আমার অবস্থা এই যে, ইনশাআল্লাহ্ কোন বিষয়ে আমি কসম করি এবং তার বিপরীতটি কল্যাণকর মনে করি, তখন সেই কল্যাণকর কাজটি আমি করি এবং কাফফারা দিয়ে শপথ মুক্ত হই।
ندب من حلف يمينًا فرأى غيرها خيرًا منها أن يأتي الذي هو خير ويكفّر عن يمينه
حديث أَبِي مُوسى عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسى فَأُتِيَ ذَكَرَ دَجَاجَةً، وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللهِ أَحْمَرُ، كَأَنَّهُ مِنَ الْمَوَالِي، فَدَعَاهُ لِلطَّعَام، فَقَال: إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأَكُل شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ؛ فَحَلَفْتُ لاَ آكلُ فَقَالَ: هَلُمَّ فَلأُحَدِّثْكُمْ عَنْ ذَاك إِنِّي أَتَيْتُ النَبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلهُ، فَقَالَ: وَاللهِ لاَ أَحْمِلُكمْ، وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ وَأُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَهْبِ إِبِلٍ، فَسَأَلَ عَنَّا، فَقَالَ: أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّونَ فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ، غُرِّ الذُّرَى، فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قلْنَا: مَا صَنَعْنَا لاَ يُبَارَكُ لَنَا فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ، فَقُلْنَا: إِنَّا سَأَلْنَاكَ أَنْ تَحْمِلَنَا فَحَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا، أَفَنَسِيتَ قَالَ: لَسْتُ أَنَا حَمَلْتُكُمْ، وَلكِنَّ اللهَ حَمَلَكُمْ، وَإِنِّي وَاللهِ إِنْ شَاءَ اللهُ، لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، وَتَحَلَّلْتُهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৩. এটা (বৈধ) যে কেউ কোন কিছু করার কসম খেলো এবং পরেও অন্যটা করা ভাল দেখল তাহলে সে ভালটা করবে এবং তার কসমের কাফফা দিবে।
১০৭১. আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ! তুমি নেতৃত্ব চেয়ো না। কেননা, চাওয়ার পর যদি নেতৃত্ব পাও তবে এর দিকে তোমাকে সোপর্দ করে দেয়া হবে। আর যদি না চেয়ে তা পাও তবে তোমাকে এর জন্য সাহায্য করা হবে। কোন কিছুর ব্যাপারে যদি কসম কর আর তা ব্যতীত অন্য কিছুর মাঝে কল্যাণ দেখতে পাও; তবে কসমের কাফারা আদায় করে তার চেয়ে উত্তমটি অবলম্বন কর।
ندب من حلف يمينًا فرأى غيرها خيرًا منها أن يأتي الذي هو خير ويكفّر عن يمينه
حديث عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَبْدَ الرَّحْمنِ بْنَ سَمُرَةَ لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ، فَإِنَّكَ إِنْ أُوتِيْتَهَا عَنْ مَسْئَلَةٍ وكِلْتَ إِلَيْهَا، وَإِنْ أُوتِيْتَهَا مِنْ غَيْرِ مَسْئَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا، وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৫. ইনশাআল্লাহ বলা।
১০৭২. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দাউদ (আঃ)-এর পুত্র সুলায়মান (আঃ) একদা বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আজ রাতে আমি আমার একশত স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হব এবং তাদের প্রত্যেকেই একটি করে পুত্র সন্তান প্রসব করবে, যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এ কথা শুনে একজন ফেরেশতা বলেছিলেন, আপনি ইনশাআল্লাহ বলুন; কিন্তু তিনি এ কথা ভুলক্রমে বলেননি। এরপর তিনি তার স্ত্রীগণের সঙ্গে মিলিত হলেন; কিন্তু তাদের কেউ কোন সন্তান প্রসব করল না। শুধুমাত্র একজন স্ত্রী একটি অপূর্ণাঙ্গ সন্তান প্রসব করল । নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি সুলায়মান (আঃ) ’ইনশাআল্লাহ্’ বলতেন, তাহলে আল্লাহ্ তাঁর আশা পূর্ণ করতেন। আর সেটাই ছিল তাঁর প্রয়োজন মেটানোর জন্য উত্তম।
الاستثناء
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ: لأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ بِمِائَةِ امْرَأَةٍ، تَلِدُ كُلُّ امْرَأَةٍ غُلاَمًا يُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللهِ فَقَالَ لَهُ الْمَلَكُ: قُلْ إِنْ شَاءَ اللهُ فَلَمْ يَقُلْ، وَنَسِيَ؛ فَأَطَافَ بِهِنَّ، وَلَمْ تَلِدْ مِنْهُنَّ إِلاَّ امْرَأَةٌ نِصْفَ إِنْسَانٍ قَالَ النَبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ قَالَ إِنْ شَاءَ اللهُ لَمْ يَحْنَثْ، وَكَانَ أَرْجَى لِحَاجَتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৫. ইনশাআল্লাহ বলা।
১০৭৩. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সুলায়মান ইবনু দাউদ (আঃ) বলেছিলেন, আজ রাতে আমি আমার সত্তর জন স্ত্রীর নিকট যাব। প্রত্যেক স্ত্রী একজন করে অশ্বারোহী যোদ্ধা গর্ভধারণ করবে। এরা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। তখন তাঁর সাথী বললেন, ইনশা আল্লাহ্। কিন্তু তিনি মুখে তা বললেন না। অতঃপর একজন স্ত্রী ছাড়া কেউ গর্ভধারণ করলেন না। আর তিনিও এমন এক (পুত্র) সন্তান প্রসব করলেন যার এক অঙ্গ ছিল না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তিনি যদি ইনশাআল্লাহ্ মুখে বলতেন, তাহলে তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করতো।
الاستثناء
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، لأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى سَبْعِينَ امْرَأَةً، تَحْمِلُ كُلُّ امْرَأَةٍ فَارِسًا يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللهِ فَقَالَ لَهُ صَاحِبُهُ، إِنْ شَاءَ اللهُ، فَلَم يَقُلْ، وَلَمْ تَحْمِلْ شَيْئًا إِلاَّ وَاحِدًا سَاقِطًا إِحْدَى شِقَّيْهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ قَالَهَا لَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৬. হারাম নয় এমন কোন বিষয়ে কোন ব্যক্তিকে কসম করতে চাপ সৃষ্টি করা যার ফলে তার পরিবার কষ্টে পতিত হয়- এর নিষিদ্ধ।
১০৭৪. আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কসম! আমাদের মাঝে কেউ আপন পরিজনের ব্যাপারে শপথকারী হলে আল্লাহর নিকট সে গুনাহগার হবে ঐ ব্যক্তির তুলনায়, যে কাফফারা আদায় করে দেয় যা আল্লাহ্ তা’আলা অপরিহার্য করে দিয়েছেন।
النهي عن الإصرار على اليمين فيما يتأذى به أهل الحالف مما ليس بحرام
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَاللهِ لأَنْ يَلِجَّ أَحَدُكُمْ بِيَمِينِهِ فِي أَهْلِهِ آثَمُ لَهُ عِنْدَ اللهِ مِنْ أَنْ يُعْطِيَ كَفَّارَتَهُ الَّتِي افْتَرَضَ اللهُ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৭. কাফিরের নাযর এবং সে ইসলাম গ্রহণ করার পর এ ব্যাপারে সে কী করবে।
১০৭৫. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! জাহিলী যুগে আমার উপর একদিনের ইতিকাফ (মানৎ) ছিল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে তা পূরণ করার আদেশ করেন। নাফি (রহঃ) বলেন, ’উমার (রাঃ) হুনায়নের যুদ্ধবন্দীদের নিকট হতে দু’টি দাসী লাভ করেন। তখন তিনি তাদেরকে মক্কায় একটি গৃহে রেখে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়নের বন্দীদেরকে সৌজন্যমূলক মুক্ত করার আদেশ করলেন। তারা মুক্ত হয়ে অলি-গলিতে ছুটতে লাগল। ’উমার (রাঃ) ’আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বললেন, দেখ তো ব্যাপার কী? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বন্দীদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। উমার (রাঃ) বললেন, তবে তুমি গিয়ে সে দাসী দু’জনকে মুক্ত করে দাও।
نذر الكافر وما يفعل فيه إِذا أسلم
حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رضي الله عنه، قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّهُ كَانَ عَلَيَّ اعْتِكَافُ يَوْمٍ فِي الْجَاهِلِيَّة، فَأَمَرَهُ أَنْ يَفِيَ بِهِ قَالَ: وَأَصَابَ عُمَرُ جَارِيَتَيْنِ مِنْ سَبْيِ حُنَيْنٍ فَوَضَعَهُمَا فِي بَعْضِ بُيُوتِ مَكَّةَ، قَالَ: فَمَنَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى سَبْيِ حُنَيْنٍ، فَجَعَلُوا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ؛ فَقَالَ عُمَرُ: يَا عَبْدَ اللهِ انْظُرْ مَا هذَا فَقَالَ: مَنَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّبْيِ، قَالَ: اذْهَبْ فَأَرْسِلِ الْجَارِيَتَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৯. ঐ ব্যক্তির (প্রতি) কঠোরতা যে তার দাসকে যিনার অপবাদ দিল।
১০৭৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, কেউ আপন ক্রীতদাসের প্রতি অপবাদ আরোপ করল, অথচ সে তা থেকে পবিত্র যা সে বলেছে, কিয়ামত দিবসে তাকে কশাঘাত করা হবে। তবে যদি এমনই হয় যেমন সে বলেছে (সে ক্ষেত্রে কশাঘাত করা হবে না)।
التغليظ على من قذف مملوكه بالزنا
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ، وَهُوَ بَرِيءٌ مِمَّا قَالَ، جُلِدَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، إِلاَّ أَنْ يَكُونَ كَمَا قَالَ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১০. দাসকে তা খাওয়ানো যা সে নিজে খায় এবং তা পরানো যা সে নিজে পরে এবং সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ না দেয়া।
১০৭৭. মা’রূর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার রাবায নামক স্থানে আবু যর (রাঃ)-এর সঙ্গে দেখা করলাম। তখন তাঁর পরনে ছিল এক জোড়া কাপড় (লুঙ্গি ও চাদর) আর তাঁর ভৃত্যের পরনে ছিল ঠিক একই ধরনের এক জোড়া কাপড়। আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ একবার আমি এক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিলাম এবং আমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছিলাম। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আবূ যর! তুমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছ? তুমি তো এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে এখনো অন্ধকার যুগের স্বভাব বিদ্যমান। জেনে রেখো, আমাদের দাস-দাসী আমাদেরই ভাই। আল্লাহ্ তা’আলা তাদের আমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। তাই যার ভাই তার অধীনে থাকবে, সে যেন তাকে নিজে যা খায় তাকে তা-ই খাওয়ায় এবং নিজে যা পরিধান করে, তাকেও তা-ই পরায়। তাদের উপর এমন কাজ চাপিয়ে দিও না, যা তাদের জন্য অধিক কষ্টদায়ক। যদি এমন কষ্টকর কাজ করতে দাও, তাহলে তোমরাও তাদের সে কাজে সহযোগিতা করবে।
إطعام المملوك مما يأكل وإِلباسه مما يلبس ولا يكلفه ما يغلبه
حديث أَبِي ذَرٍّ عَنِ الْمَعْرُورِ، قَالَ: لَقِيتُ أَبَا ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ، وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ حُلَّةٌ، فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذلِكَ، فَقَالَ: إِنِّي سَابَبْتُ رَجُلاً فَعَيَّرْتُهُ بِأُمِّهِ، فَقَالَ لِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَبَا ذَرٍّ أَعَيَّرْتَهُ بِأُمِّهِ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ، إِخْوَانُكُمْ خَوَلُكُمْ جَعَلَهُمُ اللهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ، فَمَنْ كَانَ أَخُوهُ تَحْتَ يَدِهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ، وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ، وَلاَ تُكَلِّفُوهُمْ مَا يَغْلِبُهُمْ، فَإِنْ كَلَّفْتُمُوهُمْ فَأَعِينُوهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১০. দাসকে তা খাওয়ানো যা সে নিজে খায় এবং তা পরানো যা সে নিজে পরে এবং সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ না দেয়া।
১০৭৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের কারো খাদিম খাবার নিয়ে উপস্থিত হলে তাকেও নিজের সাথে বসানো উচিত। তাকে সাথে না বসালেও দু’ এক লোক কিংবা দু’ এক গ্রাস তাকে দেয়া উচিত। কেননা, সে এর জন্য পরিশ্রম করেছে।
إطعام المملوك مما يأكل وإِلباسه مما يلبس ولا يكلفه ما يغلبه
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِذَا أَتَى أَحَدَكُمْ خَادِمُهُ بِطَعَامِهِ، فَإِنْ لَمْ يُجْلِسْهُ مَعَهُ فَلْيُنَاوِلْهُ أُكْلَةً أَوْ أُكْلَتَيْنِ، أَوْ لُقْمَةً أَوْ لُقْمَتَيْنِ، فَإِنَّهُ وَلِيَ حَرَّهُ وَعِلاَجَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১১. গোলামের সওয়াব যখন সে মনিবের কল্যাণে ব্ৰতী হয় এবং আল্লাহর ইবাদাত উত্তমরূপে করে।
১০৭৯. ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্রীতদাস যদি তার মনিবের হিতাকাঙ্ক্ষী হয় এবং তার প্রতিপালকের উত্তমরূপে ইবাদত করে, তাহলে তার সাওয়াব হবে দ্বিগুণ।
ثواب العبد وأجره إِذا نصح لسيده وأحسن عبادة الله
حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الْعَبْدُ إِذَا نَصَحَ سَيِّدَهُ وَأَحْسَنَ عِبَادَةَ رَبِّهِ، كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১১. গোলামের সওয়াব যখন সে মনিবের কল্যাণে ব্ৰতী হয় এবং আল্লাহর ইবাদাত উত্তমরূপে করে।
১০৮০. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ ক্রীতদাসের সাওয়াব হবে দ্বিগুণ। আবু হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি, আল্লাহর পথে জিহাদ, হাজ্জ এবং আমার মায়ের সেবার মতো উত্তম কাজ যদি না থাকত, তাহলে ক্রীতদাসরূপে মৃত্যুবরণ করাই আমি পছন্দ করতাম।
ثواب العبد وأجره إِذا نصح لسيده وأحسن عبادة الله
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْعَبْدِ الْمَمْلُوكِ الصَّالِحِ أَجْرَانِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ وَالْحَجُّ وَبِرُّ أُمِّي، لأَحْبَبْتُ أَنْ أَمُوتَ وَأَنَا مَمْلوكٌ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১১. গোলামের সওয়াব যখন সে মনিবের কল্যাণে ব্ৰতী হয় এবং আল্লাহর ইবাদাত উত্তমরূপে করে।
১০৮১. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কত ভাগ্যবান সে যে উত্তমরূপে আপন প্রতিপালকের ইবাদত করে এবং নিজ মনিবের হিতাকাঙ্ক্ষী হয়।
ثواب العبد وأجره إِذا نصح لسيده وأحسن عبادة الله
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نِعْمَ مَا لأَحَدِهِمْ يُحْسِنُ عِبَادَةَ رَبِّهِ، وَيَنْصَحُ لِسَيِّدِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১২. যৌথ মালিকানাভুক্ত গোলামকে যে স্বীয় অংশ হতে মুক্ত করে দেয়।
১০৮২. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি কোন ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করে আর ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকে, তবে তার উপর দায়িত্ব হবে ক্রীতদাসের ন্যায্য মূল্য নির্ণয় করা। তারপর সে শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করবে এবং ক্রীতদাসটি তার পক্ষ হতে মুক্ত হয়ে যাবে, কিন্তু (সে পরিমাণ অর্থ) না থাকলে তার পক্ষ হতে ততটুকুই মুক্ত হবে যতটুকু সে মুক্ত করেছে।
من أعتق شركًا له في عبد
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ، فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ، قُوِّمَ الْعَبْدُ قِيمَةَ عَدْلٍ، فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ، وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১২. যৌথ মালিকানাভুক্ত গোলামকে যে স্বীয় অংশ হতে মুক্ত করে দেয়।
১০৮৩. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ তার (শরীক) গোলাম হতে অংশ আযাদ করে দিলে তার দায়িত্ব হয়ে পড়ে নিজস্ব অর্থে সেই গোলামকে পূর্ণ আযাদ করা। যদি তার প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকে, তাহলে গোলামের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। তারপর (অন্য শরীকদের অংশ পরিশোধের জন্য) তাকে উপাৰ্জনে যেতে হবে, তবে তার উপর অতিরিক্ত কষ্ট চাপানো যাবে না।
من أعتق شركًا له في عبد
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ أَعْتَقَ شَقِيصًا مِنْ مَمْلُوكِهِ، فَعَلَيْهِ خَلاَصُهُ فِي مَالِهِ؛ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ قُوِّمَ الْمَمْلُوكُ قِيمَةَ عَدْلٍ ثُمَّ اسْتُسْعِيَ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১৩. মুদাব্বার গোলাম বিক্রি করা।
১০৮৪. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। আনসার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি তার গোলামকে মুদাব্বীর বানালো। ঐ গোলাম ব্যতীত তার আর কোন মাল ছিল না। খবরটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌছল। তিনি বললেনঃ গোলামটিকে আমার নিকট হতে কে ক্রয় করবে? নু’আয়ম ইবনু নাহহাম (রাঃ) আটশ’ দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করে নিল।
جواز بيع المدبر
حديث جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ دَبَّرَ مَمْلُوكًا لَهُ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنِّي فَاشْتَرَاهُ نعَيْمُ بْنُ النَّحَّامِ بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ