পরিচ্ছেদঃ ১৩/১. রমযান মাসের ফযীলত।
৬৫২. আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোক শিকলবন্দী করে দেয়া হয়।
فضل شهر رمضان
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطيِنُ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২. চাঁদ দেখে রমযানের সওম রাখা এবং চাঁদ দেখে ছেড়ে দেয়া অপরিহার্য এবং যদি প্রথমে বা শেষে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তাহলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ করবে।
৬৫৩. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের কথা আলোচনা-করে বললেনঃ চাদ না দেখে তোমরা সওম পালন করবে না এবং চাঁদ না দেখে ইফতার করবে না। যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে তার সময় (ত্রিশ দিন) পরিমাণ পূর্ণ করবে।
وجوب صوم رمضان لرؤية الهلال، والفطر لرؤية الهلال، وأنه إِذا غم في أوله أو آخره أكملت عدة الشهر ثلاثين يوما
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَكَرَ رَمَضَانَ، فَقَالَ: لاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوُا الْهِلاَلَ، وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২. চাঁদ দেখে রমযানের সওম রাখা এবং চাঁদ দেখে ছেড়ে দেয়া অপরিহার্য এবং যদি প্রথমে বা শেষে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তাহলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ করবে।
৬৫৪. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাস এত, এত এবং এত দিনে হয়, অর্থাৎ ত্রিশ দিনে। তিনি আবার বললেনঃ মাস এত, এত ও এত দিনেও হয়। অর্থাৎ ঊনত্রিশ দিনে। তিনি বলতেনঃ কখনও ত্রিশ দিনে আবার কখনও ঊনত্রিশ দিনে মাস হয়।
وجوب صوم رمضان لرؤية الهلال، والفطر لرؤية الهلال، وأنه إِذا غم في أوله أو آخره أكملت عدة الشهر ثلاثين يوما
حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الشَّهْرُ هكَذَا وَهكَذَا وَهكَذَا يَعْنِي ثَلاَثِينَ ثُمَّ قَالَ: وَهكَذَا وَهكَذَا وَهكَذَا يَعْنِي تِسْعًا وَعِشْرِينَ، يَقُولُ، مَرَّةً ثَلاَثِينَ وَمَرَّةً تِسْعًا وَعِشْرِينَ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২. চাঁদ দেখে রমযানের সওম রাখা এবং চাঁদ দেখে ছেড়ে দেয়া অপরিহার্য এবং যদি প্রথমে বা শেষে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তাহলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ করবে।
৬৫৫. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমরা উম্মী জাতি। আমরা লিখি না এবং হিসাবও করি না। মাস এরূপ অর্থাৎ কখনও ঊনত্রিশ দিনের আবার কখনো ত্রিশ দিনের হয়ে থাকে।
وجوب صوم رمضان لرؤية الهلال، والفطر لرؤية الهلال، وأنه إِذا غم في أوله أو آخره أكملت عدة الشهر ثلاثين يوما
حديث ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ، الشَّهْرُ هكَذَا وَهكَذَا يَعْنِي مَرَّةً تِسْعَةً وَعِشْرِينَ، وَمَرَّة ثَلاَثِينَ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২. চাঁদ দেখে রমযানের সওম রাখা এবং চাঁদ দেখে ছেড়ে দেয়া অপরিহার্য এবং যদি প্রথমে বা শেষে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তাহলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ করবে।
৬৫৬. আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা বলেন, আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা চাদ দেখে সিয়াম আরম্ভ করবে এবং চাঁদ দেখে ইক্তার করবে। আকাশ যদি মেঘে ঢাকা থাকে তাহলে শাবানের গণনা ত্রিশ দিন পুরা করবে।
وجوب صوم رمضان لرؤية الهلال، والفطر لرؤية الهلال، وأنه إِذا غم في أوله أو آخره أكملت عدة الشهر ثلاثين يوما
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبَيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَوْ قَالَ: قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُوموا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِنْ غُبِّيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلاَثِينَ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩. রমাযানের একদিন বা দু'দিন পূর্বে সওম পালন করবে না।
৬৫৭. আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেউ রমাযানের একদিন কিংবা দু’দিন আগে হতে সওম শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সওম পালন করতে পারবে।
لا تقدموا رمضان بصوم يوم ولا يومين
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ يَتَقَدَّمَنَّ أَحَدُكُمْ رَمَضَانَ بِصَوْمِ يَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صَوْمَهُ فَلْيَصُمْ ذلِكَ الْيَوْمَ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৪ মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়।
৬৫৮. উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শপথ গ্রহণ করেন যে, এক মাসের মধ্যে তাঁর কতিপয় বিবির নিকট তিনি গমন করবেন না; কিন্তু যখন ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত হল তখন তিনি সকালে কিংবা বিকালে তাঁদের কাছে গেলেন। কোন একজন তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি শপথ করেছেন এক মাসের মধ্যে কোন বিবির কাছে যাবেন না। তিনি বললেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে।
الشهر يكون تسعا وعشرين
حديث أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلَفَ لاَ يَدْخُلُ عَلَى بَعْضِ أَهْلِهِ شَهْرًا؛ فَلَمَّا مَضَى تِسْعَةٌ وَعِشْرُونَ يَوْما غَدَا عَلَيْهِنَّ أَوْ رَاحَ؛ فَقِيلَ لَهُ: يَا نَبِيَّ اللهِ حَلَفْتَ أَنْ لاَ تَدْخُلَ عَلَيْهِنَّ شَهْرًا قَالَ: إِنَّ الشَّهْرَ يَكُونُ تِسْعَةً وَعِشْرَينَ يَوْمًا
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৭. দু' ঈদের মাসই কম হয় না নাবী (ﷺ)-এর এ কথা বলার অর্থ।
৬৫৯. আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’টি মাস কম হয় না। তা হল ঈদের দু’মাস, রমাযানের মাস ও যুলহজ্জের মাস।
بيان معنى قوله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شهرا عيد لا ينقصان
حديث أَبِي بَكْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: شَهْرَانِ لاَ يَنْقُصَانِ، شَهْرَا عِيدٍ، رَمَضَانُ وَذُو الْحَجَّةِ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮. ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে সাওম শুরু হয়, ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য কাজ চলবে এবং ফজরের ব্যাখ্যা যা সাওমে প্রবেশের আহকামের সাথে সম্পৃক্ত এবং ফজর সালাতের শুরু ইত্যাদির বর্ণনা
৬৬০. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ (حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ) “তোমরা পানাহার কর (রাত্রির) কাল রেখা হতে (ভােরের) সাদা রেখা যতক্ষণ স্পষ্টরূপে আমাদের নিকট প্রতিভাত না হয় তখন আমি একটি কাল এবং একটি সাদা রশি নিলাম এবং উভয়টিকে আমার বালিশের নিচে রেখে দিলাম। রাতে আমি এগুলোর দিকে বারবার তাকাতে থাকি। কিন্তু আমার নিকট পার্থক্য প্রকাশিত হলো না। তাই সকালেই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে এ বিষয় বললাম। তিনি বললেনঃ এতো রাতের আঁধার এবং দিনের আলো।
بيان أن الدخول في الصوم يحصل بطلوع الفجر، وأن له الأكل وغيره حتى يطلع الفجر وبيان صفة الفجر الذي تتعلق به الأحكام من الدخول في الصوم، ودخول وقت صلاة الصبح وغير ذلك
حديث عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ رضي الله عنه، قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ (حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ) عَمَدْتُ إِلَى عِقَالٍ أَسْوَدَ، وَإِلَى عِقَالٍ أَبْيَضَ، فَجَعَلْتُهُمَا تَحْتَ وِسَادَتِي، فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ فِي اللَّيْلِ فَلاَ يَسْتَبِينُ لِي، فَغَدَوْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرْتُ لَهُ ذلِكَ، فَقَالَ: إِنَّمَا ذلِكَ سَوَادُ اللَّيْلِ وَبَيَاضُ النَّهَارِ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮. ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে সাওম শুরু হয়, ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য কাজ চলবে এবং ফজরের ব্যাখ্যা যা সাওমে প্রবেশের আহকামের সাথে সম্পৃক্ত এবং ফজর সালাতের শুরু ইত্যাদির বর্ণনা
৬৬১. সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হল “তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ কাল রেখা হতে সাদা রেখা স্পষ্টরূপে আমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।” কিন্তু তখনাে مِنَ الْفَجْرِ কথাটি নাযিল হয়নি। তখন সওম পালন করতে ইচ্ছুক লোকরা নিজেদের দু’ পায়ে একটি কাল এবং একটি সাদা সুতলি বেঁধে নিতেন এবং সাদা কাল এ দুটির মধ্যে পার্থক্য না দেখা পর্যন্ত তাঁরা পানাহার করতে থাকতেন। এরপর আল্লাহ তা’আলাمِنَ الْفَجْرِ শব্দটি নাযিল করলে সকলেই বুঝতে পারলেন যে, এ দ্বারা উদ্দেশ্য হল রাত (-এর আঁধার) এবং দিন (-এর আলো)।
بيان أن الدخول في الصوم يحصل بطلوع الفجر، وأن له الأكل وغيره حتى يطلع الفجر وبيان صفة الفجر الذي تتعلق به الأحكام من الدخول في الصوم، ودخول وقت صلاة الصبح وغير ذلك
حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: أُنْزِلَتْ (وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ) وَلَمْ يَنْزِلْ مِنَ الْفَجْرِ فَكَانَ رِجَالٌ، إِذا أَرَادُوا الصَّوْمَ، رَبَطَ أَحَدُهُمْ فِي رِجْلِهِ الْخَيْطَ الأَبْيَضَ وَالْخَيْطَ الأَسْوَدَ، وَلَمْ يَزَلْ يَأْكلُ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُ رُؤْيَتُهُمَا، فَأَنْزَل اللهُ بَعْدُ مِنَ الْفَجْرِ فَعَلِمُوا أَنَّهُ إِنَّمَا يَعْنِي اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮. ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে সাওম শুরু হয়, ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য কাজ চলবে এবং ফজরের ব্যাখ্যা যা সাওমে প্রবেশের আহকামের সাথে সম্পৃক্ত এবং ফজর সালাতের শুরু ইত্যাদির বর্ণনা
৬৬২. আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিলাল (রাঃ) রাত থাকতেই আযান দেন। কাজেই ইবনু উম্মু মাকতুম (রাঃ) আযান না দেয়া পর্যন্ত তোমরা (সাহরীর) পানাহার করতে পার।
بيان أن الدخول في الصوم يحصل بطلوع الفجر، وأن له الأكل وغيره حتى يطلع الفجر وبيان صفة الفجر الذي تتعلق به الأحكام من الدخول في الصوم، ودخول وقت صلاة الصبح وغير ذلك
حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ، فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮. ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে সাওম শুরু হয়, ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য কাজ চলবে এবং ফজরের ব্যাখ্যা যা সাওমে প্রবেশের আহকামের সাথে সম্পৃক্ত এবং ফজর সালাতের শুরু ইত্যাদির বর্ণনা
৬৬৩. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ) রাতে আযান দিতেন। তাই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ ইবনু উম্মু মাকতুম (রাঃ) আযান না দেয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর। কেননা ফাজর না হওয়া পর্যন্ত সে আযান দেয় না।
بيان أن الدخول في الصوم يحصل بطلوع الفجر، وأن له الأكل وغيره حتى يطلع الفجر وبيان صفة الفجر الذي تتعلق به الأحكام من الدخول في الصوم، ودخول وقت صلاة الصبح وغير ذلك
حديث عَائِشَةَ، أَنَّ بِلاَلاً كَانَ يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، فَإِنَّهُ لاَ يُؤَذِّنُ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮. ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে সাওম শুরু হয়, ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত পানাহার ও অন্যান্য কাজ চলবে এবং ফজরের ব্যাখ্যা যা সাওমে প্রবেশের আহকামের সাথে সম্পৃক্ত এবং ফজর সালাতের শুরু ইত্যাদির বর্ণনা
৬৬৪. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ বিলালের আযান যেন আমাদের কাউকে সাহরী খাওয়া হতে বিরত না রাখে। কেননা, সে রাত থাকতে আযান দেয়- যেন আমাদের মধ্যে যারা তাহাজ্জুদের সালাতে রত তারা ফিরে যায় আর যারা ঘুমন্ত তাদেরকে জাগিয়ে দেয়। অতঃপর তিনি বললেনঃ ফাজর বা সুবহে সাদিক বলা যায় না– তিনি একবার আঙ্গুল উপরের দিকে উঠিয়ে নীচের দিকে নামিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন- যতক্ষণ না এরূপ হয়ে যায়।*
بيان أن الدخول في الصوم يحصل بطلوع الفجر، وأن له الأكل وغيره حتى يطلع الفجر وبيان صفة الفجر الذي تتعلق به الأحكام من الدخول في الصوم، ودخول وقت صلاة الصبح وغير ذلك
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ أَوْ أَحَدًا مِنْكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ مِنْ سَحُورِهِ، فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ أَوْ يُنَادِي بِلَيْلٍ لِيَرْجِعَ قَائمَكُمْ وَلِيُنَبِّهَ نَائمَكُمْ، وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَقُولَ الْفَجْرُ أَوِ الصُّبْحُ وَقَالَ بِأَصَابِعِهِ وَرَفَعَهَا إِلَى فَوْقُ وَطَأْطأَ إِلَى أَسْفَلُ حَتَّى يَقولَ هكَذَا
আলোক রেখাই প্রকৃত ফাজরের সময়। )
-
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১০ : আযান, অধ্যায় ১৩, হাঃ ৬২১; মুসলিম, পর্ব ১৩; সওম, অধ্যায় ৮, হাঃ ১০৯৩
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৯. সাহারীর ফযীলত এবং তা গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ এবং সাহরী দেরি করে খাওয়া এবং ইফতার জলদি করা মুস্তাহাব।
৬৬৫. আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সাহারী খাও, কেননা সাহারীতে বারাকাত নিহিত।
فضل السحور وتأكيد استحبابه، واستحباب تأخيره وتعجيل الفطر
حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৯. সাহারীর ফযীলত এবং তা গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ এবং সাহরী দেরি করে খাওয়া এবং ইফতার জলদি করা মুস্তাহাব।
৬৬৬. যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাহারী খেয়েছেন, অতঃপর ফজরের সালাতে দাঁড়িয়েছেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ দু’য়ের মাঝে কতটুকু সময়ের ব্যবধান ছিলো? তিনি বললেন, পঞ্চাশ বা ষাট আয়াত তিলাওয়াত করা যায়, এরূপ সময়ের ব্যবধান ছিলো।
فضل السحور وتأكيد استحبابه، واستحباب تأخيره وتعجيل الفطر
حديث زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ حَدَّثَه أَنَّهُمْ تَسَحَّرُوا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَامُوا إِلَى الصَّلاَةِ، قُلْتُ: كَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ: قَدْرُ خَمْسِينَ أَوْ سِتِّينَ، يَعْنِي آيَةً
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৯. সাহারীর ফযীলত এবং তা গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ এবং সাহরী দেরি করে খাওয়া এবং ইফতার জলদি করা মুস্তাহাব।
৬৬৭. সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকরা যতদিন শীঘ্ৰ ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপরে থাকে।
فضل السحور وتأكيد استحبابه، واستحباب تأخيره وتعجيل الفطر
حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ يَزالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ
-
-
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩০: সওম, অধ্যায় ৪৫, হাঃ ১৯৫৭; মুসলিম, পৰ্ব ১৩ : সওম, অধ্যায় ৯, হাঃ ১০৯৮
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১০. সওম ভঙ্গ করার সময় এবং দিবাভাগের অবসান।
৬৬৮. উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রাত্র সে দিক হতে ঘনিয়ে আসে ও দিন এ দিক হতে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন সায়িম ইফতার করবে।
بيان وقت انقضاء الصوم وخروج النهار
حديث عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ مِنْ ههُنَا، وَأَدْبَرَ النَّهَارُ مِنْ ههُنَا، وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائمُ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১০. সওম ভঙ্গ করার সময় এবং দিবাভাগের অবসান।
৬৬৯. ’আবদুল্লাহ ইবনু আবু ’আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। আর তিনি ছিলেন সওমের অবস্থায়। যখন সূর্য ডুবে গেল তখন তিনি দলের কাউকে বললেনঃ হে অমুক! উঠ। আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলল, সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃ নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃ নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলল, দিন তো এখনাে রয়ে গেছে। তিনি বললেনঃ তুমি নামাে এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। অতঃপর সে নামল এবং তাদের জন্য ছাতু গুলে আনল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পান করলেন, অতঃপর বললেনঃ যখন তোমরা দেখবে, রাত একদিক হতে ঘনিয়ে আসছে, তখন সওম পালনকারী ইফতার করবে।
بيان وقت انقضاء الصوم وخروج النهار
حديث ابْنِ أَبِي أَوْفَى رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَقَالَ لِرَجُلٍ: انْزِلْ فَاجْدَحْ لِي قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ الشَّمْسُ، قَالَ: انْزِلْ فَاجْدَحْ لِي قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ الشَّمْسُ، قَالَ: انْزِلْ فَاجْدَحْ لِي فَنَزَلَ فَجَدَحَ لَه، فَشَرِبَ؛ ثُمَّ رَمَى بِيَدِهِ ههُنَا، ثُمَّ قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمُ اللَّيْلَ أَقْبَلَ مِنْ ههُنَا فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائمُ
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১১. সওমে বিসাল (বিরামহীন রোযা) এর নিষিদ্ধতা প্রসঙ্গে।
৬৭০. আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমে বেসাল হতে নিষেধ করলেন। লোকেরা বললো, আপনি যে সওমে বিসাল পালন করেন। তিনি বললেন আমি আমাদের মত নই, আমাকে পানাহার করানো হয়।
النهى عن الوصال في الصوم
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: نَهى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْوِصَالِ، قَالُوا: إِنَّكَ تُوَاصِلُ، قَالَ: إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ، إِنِّي أُطْعَمُ وَأُسْقَى
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১১. সওমে বিসাল (বিরামহীন রোযা) এর নিষিদ্ধতা প্রসঙ্গে।
৬৭১. আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরতিহীন সওম (সওমে বিসাল) পালন করতে নিষেধ করলে মুসলিমদের এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল। আপনি যে বিরতিহীন (সওমে বিসাল) সওম পালন করেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে আমার অনুরূপ কে আছে? আমি এমনভাবে রাত যাপন করি যে, আমার প্রতিপালক আমাকে পানাহার করান। এরপর যখন লোকরা সওমে বিসাল করা হতে বিরত থাকল না তখন তিনি তাদেরকে নিয়ে দিনের পর দিন (লাগাতার) সমে বিসাল করতে থাকলেন। এরপর লোকরা যখন চাঁদ দেখতে পেল তখন তিনি বললেনঃ যদি চাঁদ উঠতে আরো দেরী হত তবে আমি তোমাদেরকে নিয়ে আরো বেশী দিন সওমে বিসাল করতাম। এ কথা তিনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান স্বরূপ বলেছিলেন, যখন তারা বিরত থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
النهى عن الوصال في الصوم
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: نَهى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْوِصَالِ فِي الصَّوْمِ، فَقَالَ لَهُ رَجلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: إِنَّكَ تُوَاصِلُ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: وَأَيُّكُمْ مِثْلِي إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقَينِ فَلَمَّا أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا عَنِ الْوِصَالِ؛ وَاصَلَ بِهِمْ يَوْمًا، ثُمَّ يَوْمًا، ثُمَّ رَأَوُا الْهِلاَلَ فَقَالَ: لَوْ تَأَخَّرَ لَزِدْتُكُمْ كَالتَّنْكِيلِ لَهُمْ حِينَ أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا