আল-লুলু ওয়াল মারজান ১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩১

পরিচ্ছেদঃ ১১/৬. মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা।

৫৩১. উসামাহ ইবনু যায়দ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈকা কন্যা (যায়নাব) তাঁর নিকট লোক পাঠালেন যে, আমার এক পুত্র মরণাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, তাই আপনি আমাদের নিকট আসুন। তিনি বলে পাঠালেন, (তাঁকে) সালাম দিবে এবং বলবেঃ আল্লাহরই অধিকারে যা কিছু তিনি নিয়ে যান আর তাঁরই অধিকারে যা কিছু তিনি দান করেন। তাঁর নিকট সকল কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কাজেই সে যেন ধৈর্য ধারণ করে এবং সাওয়াবের অপেক্ষায় থাকে। তখন তিনি তাঁর কাছে কসম দিয়ে পাঠালেন, তিনি যেন অবশ্যই আগমন করেন। তখন তিনি দন্ডায়মান হলেন এবং তাঁর সাথে ছিলেন সা’দ ইবনু উবাদাহ, মু’আয ইবনু জাবাল, উবাই ইবনু কা’ব, যাইদ ইবনু সাবিত (রাযি.) এবং আরও কয়েকজন। তখন শিশুটিকে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তুলে দেয়া হল। তখন সে ছটফট করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি এ কথা বলেছিলেন, যেন তার শ্বাস মশকের মত (শব্দ হচ্ছিল)। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’ চক্ষু বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। সা’দ (রাযি.) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! একী? তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে রহমত, যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দার অন্তরে গচ্ছিত রেখেছেন। আর আল্লাহ্ তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া করেন।

البكاء على الميت

حديث أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: أَرْسَلَتِ ابْنَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ، إِنَّ ابْنًا لِي قُبِضَ فَأْتِنَا، فَأَرْسَلَ يُقْرِئُ السَّلاَمَ وَيَقُولُ: إِنَّ للهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلٌّ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمًّى، فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ، تُقْسِمُ عَلَيْهِ لَيأْتِيَنَّهَا؛ فَقَامَ وَمَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَرِجَالٌ؛ فَرُفِعَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّبِيُّ وَنَفْسُهُ تَتَقَعْقَعُ كَأَنَّهَا شَنٌّ، فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ سَعْدٌ: يَا رَسُولَ اللهِ مَا هذَا فَقَالَ: هذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ، وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءُ

حديث اسامة بن زيد، قال: ارسلت ابنة النبي صلى الله عليه وسلم اليه، ان ابنا لي قبض فاتنا، فارسل يقرى السلام ويقول: ان لله ما اخذ وله ما اعطى، وكل عنده باجل مسمى، فلتصبر ولتحتسب فارسلت اليه، تقسم عليه لياتينها؛ فقام ومعه سعد بن عبادة، ومعاذ بن جبل، وابي بن كعب، وزيد بن ثابت، ورجال؛ فرفع الى رسول الله صلى الله عليه وسلم الصبي ونفسه تتقعقع كانها شن، ففاضت عيناه فقال سعد: يا رسول الله ما هذا فقال: هذه رحمة جعلها الله في قلوب عباده، وانما يرحم الله من عباده الرحماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩২

পরিচ্ছেদঃ ১১/৬. মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা।

৫৩২. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলে, সা’দ ইবনু ’উবাদাহ (রাযি.) রোগাক্রান্ত হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ, সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস এবং ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ (রাযি.)-কে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে দেখতে আসলেন। তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে পরিজনের মাঝে দেখতে পেলেন। জিজ্ঞেস করলেন, তার কি মৃত্যু হয়েছে! তাঁরা বললেন, না। হে আল্লাহর রসূল! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে ফেললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কান্না দেখে উপস্থিত লোকেরা কাঁদতে লাগলেন। তখন তিনি ইরশাদ করলেনঃ শুনে রাখ! নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তা’আলা চোখের পানি ও অন্তরের শোক-ব্যথার কারণে ’আযাব দিবেন না। তিনি ’আযাব দিবেন এর কারণে (এ বলে) জিহ্বার দিকে ইঙ্গিত করলেন। অথবা এর কারণেই তিনি রহম করে থাকেন। আর নিশ্চয় মৃত ব্যক্তিকে তার পরিজনের বিলাপের কারণে ’আযাব দেয়া হয়।

البكاء على الميت

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: اشْتَكَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ شَكْوَى لَهُ، فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَعُودُهُ، مَعَ عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ عَوْفٍ، وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ، فَوَجَدَهُ فِي غَاشِيَةِ أَهْلِهِ، فَقَالَ: قَدْ قَضَى قَالُوا: لاَ يَا رَسُولَ اللهِ فَبَكَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ فَلَمَّا رَأَى الْقَوْمُ بُكَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَوْا، فَقَالَ: أَلاَ تَسْمَعُونَ، إِنَّ اللهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ وَلاَ بِحُزْنِ الْقَلْبِ، وَلكِنْ يُعَذِّبُ بِهذَا وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ أَوْ يَرْحَمُ، وَإِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ

حديث عبد الله بن عمر، قال: اشتكى سعد بن عبادة شكوى له، فاتاه النبي صلى الله عليه وسلم، يعوده، مع عبد الرحمن بن عوف، وسعد بن ابي وقاص، وعبد الله بن مسعود، فلما دخل عليه، فوجده في غاشية اهله، فقال: قد قضى قالوا: لا يا رسول الله فبكى النبي صلى الله عليه وسلم؛ فلما راى القوم بكاء النبي صلى الله عليه وسلم بكوا، فقال: الا تسمعون، ان الله لا يعذب بدمع العين ولا بحزن القلب، ولكن يعذب بهذا واشار الى لسانه او يرحم، وان الميت يعذب ببكاء اهله عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১১/৮. ধৈর্য ধারণ বিপদের প্রথম ধাক্কাতেই।

৫৩৩. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন, যিনি কবরের পার্শ্বে ক্রন্দন করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর। মহিলাটি বললেন, আমার নিকট থেকে প্রস্থান করুন। আপনার উপর তো আমার মত বিপদ উপস্থিত হয়নি। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে চিনতে পারেননি। পরে তাকে বলা হল, তিনি তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরজায় উপস্থিত হলেন, তাঁর কাছে কোন প্রহরী ছিল না। তিনি নিবেদন করলেন, আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। তিনি বললেনঃ ধৈর্য তো বিপদের প্রাথমিক অবস্থাতেই (ধারণ করতে হয়)।

في الصبر على المصيبة عند أول الصدمة

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِامْرَأَةٍ تَبْكِي عِنْدَ قَبْرٍ فَقَالَ: اتَّقِي اللهَ وَاصْبِرِي قَالَتْ: إِلَيْكَ عَنِّي، فَإِنَّكَ لَمْ تُصَبْ بِمُصِيبَتِي وَلَمْ تَعْرِفْهُ فَقِيلَ لَهَا: إِنَّهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ فَأَتَتْ بَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ تَجِدْ عِنْدَهُ بَوَّابِينَ؛ فَقَالَتْ: لَمْ أَعْرِفْكَ فَقَالَ: إِنَّمَا الصَّبْرُ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الأُولَى

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، قال: مر النبي صلى الله عليه وسلم بامراة تبكي عند قبر فقال: اتقي الله واصبري قالت: اليك عني، فانك لم تصب بمصيبتي ولم تعرفه فقيل لها: انه النبي صلى الله عليه وسلم؛ فاتت باب النبي صلى الله عليه وسلم، فلم تجد عنده بوابين؛ فقالت: لم اعرفك فقال: انما الصبر عند الصدمة الاولى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১১/৯. মৃতের উপর পরিবার-পরিজনের ক্ৰন্দনের কারণে আযাব হয়ে থাকে।

৫৩৪. ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার পরিজনদের কান্নার কারণে ’আযাব দেয়া হয়।

الميت يعذب ببكاء أهله عليه

حديث عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ

حديث عمر بن الخطاب رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: الميت يعذب في قبره بما نيح عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩৫

পরিচ্ছেদঃ ১১/৯. মৃতের উপর পরিবার-পরিজনের ক্ৰন্দনের কারণে আযাব হয়ে থাকে।

৫৩৫. আবূ মূসা আশ’আরী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ’উমার (রাযি.) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাযি.) হায়! আমার ভাই! বলতে লাগলেন। ’উমার (রাযি.) বললেন, তুমি কি অবহিত নও যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জীবিতদের কান্নার কারণে অবশ্যই মৃতদের ’আযাব দেয়া হয়?

الميت يعذب ببكاء أهله عليه

حديث عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِي مُوسى، قَالَ: لَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ رضي الله عنه، جَعَلَ صُهَيْبٌ يَقُولُ: وَاأَخَاهْ فَقَالَ عُمَرُ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَيِّ

حديث عمر بن الخطاب عن ابي موسى، قال: لما اصيب عمر رضي الله عنه، جعل صهيب يقول: وااخاه فقال عمر: اما علمت ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ان الميت ليعذب ببكاء الحي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩৬

পরিচ্ছেদঃ ১১/৯. মৃতের উপর পরিবার-পরিজনের ক্ৰন্দনের কারণে আযাব হয়ে থাকে।

৫৩৬. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উবাইদুল্লাহ্ ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কাহয় উসমান (রাযি.)-এর জনৈকা কন্যার মৃত্যু হল। আমরা সেখানে (জানাযায়) অংশগ্রহণ করার জন্য গেলাম। ইবনু ’উমার এবং ইবনু ’আব্বাস (রাযি.)-ও সেখানে উপস্থিত হলেন। আমি তাঁদের দু’জনের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলাম, অথবা তিনি বলেছেন, আমি তাঁদের একজনের পার্শ্বে গিয়ে উপবেশন করলাম, পরে অন্যজন আগমন করে আমার পার্শ্বে উপবেশন করলেন। (ক্রন্দনের শব্দ শুনে) ইবনু ’উমার (রাযি.) ’আমর ইবনু ’উসমানকে বললেন, তুমি কেন ক্রন্দন করতে নিষেধ করছ না? কেননা, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’মৃত ব্যক্তিকে তার পরিজনদের কান্নার কারণে ’আযাব দেয়া হয়।’ তখন ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, ’উমার (রাঃ)-ও এমন কিছু বলতেন।

অতঃপর ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করলেন, ’উমার (রাঃ) -এর সাথে মক্কাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলাম। আমরা বাইদা (নামক স্থানে) উপস্থিত হলে ’উমার (রাঃ) বাবলা বৃক্ষের ছায়ায় একটি কাফিলা দর্শন করতঃ আমাকে বললেন, গিয়ে দেখো এ কাফিলা কার? ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব (রাঃ) আছেন। আমি তাঁকে তা অবহিত করলাম। তিনি বললেন, তাঁকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। আমি সুহাইব (রাঃ) এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন। অতঃপর যখন ’উমার (রাঃ) (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব তাঁর কাছে আগমন করতঃ এ বলে ক্রন্দন করতে লাগলেন, হায় আমার ভাই! হায় আমার বন্ধু! এতে ’উমার (রাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি আমার জন্য ক্রন্দন করছো? অথচ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির জন্য তার আপন জনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে ’আযাব দেয়া হয়।[১]

ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলেন, ’উমার (রাযি.)-এর মৃত্যুর পর ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট আমি ’উমার (রাযি.)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্ ’উমার (রাযি.)-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম! আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেননি যে, আল্লাহ্ ঈমানদার (মৃত) ব্যক্তিকে তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন তার পরিজনের কান্নার কারণে। অতঃপর ’আয়িশাহ্ (রাযি.) বললেন, (এ ব্যাপারে) আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। (ইরশাদ হয়েছেঃ) ’বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবে না’- (আন’আমঃ ১৬৪)। তখন ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বললেন, আল্লাহ্ই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁদান।

রাবী ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রহ.) বলেন, আল্লাহর কসম! (এ কথা শুনে) ইবনু ’উমার (রাযি.) কোন মন্তব্য করলেন না।[২]

الميت يعذب ببكاء أهله عليه

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، وَعُمَرَ، وَعَائِشَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: تُوُفِّيتْ ابْنَةٌ لِعُثْمَانَ رضي الله عَنهُ بِمكَّةَ، وَجِئْنَا لِنَشْهَدَهَا، وَحَضَرَهَا ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَإِنِّي لَجَالِسٌ بَيْنَهُمَا (أَوْ قَالَ جَلَسْتُ إِلَى أَحَدِهِمَا ثُمَّ جَاءَ الآخَرُ فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِي) فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ، لِعَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ: أَلاَ تَنْهَى عَنِ الْبُكَاءِ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَدْ كَانَ عُمَرُ رضي الله عنه يَقُولُ بَعْضَ ذلِك ثُمَّ حَدَّثَ، قَالَ: صَدَرْتُ مَعَ عُمَرَ رضي الله عنه مِنْ مَكَّةَ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ إِذَا هُوَ بِرَكْبٍ تَحْتَ ظِلِّ سَمُرَةٍ، فَقَالَ: اذْهَبْ فَانْظُرْ مَنْ هؤلاءِ الرَّكْبُ؛ قَالَ فَنَظَرْتُ فَإِذَا صُهَيْبٌ، فَأَخْبَرتُهُ، فَقَالَ: ادْعُهُ لِي، فَرَجَعْتُ إِلَى صُهَيْبٍ، فَقُلْتُ: ارْتَحِلْ فَالْحَقْ أَمِيرَ الْمُؤمِنِينَ فَلَمَّا أُصِيبَ عُمَرُ دَخَلَ صُهَيْبٌ يَبْكِي يَقُولُ: وَاأَخَاهْ وَاصَاحِبَاهْ؛ فَقَالَ عُمَرُ رضي الله عنه: يَا صُهَيْبُ أَتَبْكِي عَلَيَّ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَلَمَّا مَاتَ عُمَرُ رضي الله عنه ذَكَرْتُ ذلِكَ لِعَائِشَةَ، فَقَالَتْ: رَحِمَ اللهُ عُمَرَ وَاللهِ مَا حَدَّثَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ لَيُعَذِّبُ الْمُؤمِنَ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ؛ وَلكِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللهَ لَيَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ وَقَالَتْ: حَسْبُكُمُ الْقُرْآنُ وَلاَ تَزِرُ وزِرَةٌ وِزْرَ أُخْرى قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، عِنْدَ ذلِكَ: وَاللهُ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى
قَالَ ابْنُ أُبِي مُلَيْكَةَ: وَاللهِ مَا قَالَ ابنُ عُمَرَ شَيْئًا

حديث عبد الله بن عمر، وعمر، وعاىشة عن عبد الله بن عبيد الله بن ابي مليكة، قال: توفيت ابنة لعثمان رضي الله عنه بمكة، وجىنا لنشهدها، وحضرها ابن عمر وابن عباس، واني لجالس بينهما (او قال جلست الى احدهما ثم جاء الاخر فجلس الى جنبي) فقال عبد الله بن عمر، لعمرو بن عثمان: الا تنهى عن البكاء فان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ان الميت ليعذب ببكاء اهله عليه فقال ابن عباس: قد كان عمر رضي الله عنه يقول بعض ذلك ثم حدث، قال: صدرت مع عمر رضي الله عنه من مكة، حتى اذا كنا بالبيداء اذا هو بركب تحت ظل سمرة، فقال: اذهب فانظر من هولاء الركب؛ قال فنظرت فاذا صهيب، فاخبرته، فقال: ادعه لي، فرجعت الى صهيب، فقلت: ارتحل فالحق امير المومنين فلما اصيب عمر دخل صهيب يبكي يقول: وااخاه واصاحباه؛ فقال عمر رضي الله عنه: يا صهيب اتبكي علي وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان الميت يعذب ببعض بكاء اهله عليه قال ابن عباس: فلما مات عمر رضي الله عنه ذكرت ذلك لعاىشة، فقالت: رحم الله عمر والله ما حدث رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان الله ليعذب المومن ببكاء اهله عليه؛ ولكن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ان الله ليزيد الكافر عذابا ببكاء اهله عليه وقالت: حسبكم القران ولا تزر وزرة وزر اخرى قال ابن عباس، عند ذلك: والله هو اضحك وابكى قال ابن ابي مليكة: والله ما قال ابن عمر شيىا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩৭

পরিচ্ছেদঃ ১১/৯. মৃতের উপর পরিবার-পরিজনের ক্ৰন্দনের কারণে আযাব হয়ে থাকে।

৫৩৭. তিনি [’আয়িশাহ (রাযি.)] বলেন, এ কথাটি ঐ কথাটিরই মত যা রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ কূপের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, যে কূপে বদর যুদ্ধে নিহত মুশরিকদের নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি তাদেরকে যা বলার বললেন (এবং জানালেন) যে, আমি যা বলছি তারা তা সবই শুনতে পাচ্ছে। তিনি বললেন, এখন তারা ভালভাবে জানতে পারছে যে, আমি তাদেরকে যা বলেছিলাম তা ছিল সঠিক। এরপর ’আয়িশাহ (রাযি.) (إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ الْمَوْتَى) (তুমি তো মৃতকে শুনাতে পারবে না) (সূরাহ নামল ২৭/৮০)(وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ) (এবং তুমি শুনাতে সমর্থ হবে না তাদেরকে যারা কবরে রয়েছে) (সূরাহ ফাতির ৩৫/২২) আয়াতাংশ দু’টো তিলাওয়াত করলেন। ’উরওয়াহ (রহ.) বলেন, এর মানে হচ্ছে জাহান্নামে যখন তারা তাদের আসন গ্রহণ করে নেবে।

الميت يعذب ببكاء أهله عليه

حديث عَائِشَةَ وَابْنِ عُمَرَ عَنْ عُرْوَةَ قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَفَعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ فَقَالَتْ: وَهَلَ ابْنُ عُمَرَ رَحِمَهُ اللهُ إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ لَيُعَذَّبُ بِخَطِيئَتِهِ وَذَنْبِهِ، وَإِنَّ أَهْلَهُ لَيَبْكُونَ عَلَيْهِ الآنَ قَالَتْ: وَذَاكَ مِثْلُ قَوْلِهِ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ عَلَى الْقَلِيبِ وَفيهِ قَتْلَى بَدْرٍ مِنَ الْمُشْرِكينَ، فَقَالَ لَهُمْ مَا قَالَ: إِنَّهُمْ لَيَسْمَعُونَ مَا أَقُولُ إِنَّمَا قَالَ: إِنَّهُمُ الآنَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّ مَا كُنْتُ أَقُولُ لَهُمْ حَقٌ ثُمَّ قَرَأَتْ (إِنَّكَ لاَ تُسْمِعُ الْمَوْتَى) وَ (وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ) يَقُولُ حينَ تَبَوَّءُوا مَقَاعِدَهُمْ مِنَ النَّارِ

حديث عاىشة وابن عمر عن عروة قال: ذكر عند عاىشة ان ابن عمر رفع الى النبي صلى الله عليه وسلم: ان الميت يعذب في قبره ببكاء اهله فقالت: وهل ابن عمر رحمه الله انما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: انه ليعذب بخطيىته وذنبه، وان اهله ليبكون عليه الان قالت: وذاك مثل قوله ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قام على القليب وفيه قتلى بدر من المشركين، فقال لهم ما قال: انهم ليسمعون ما اقول انما قال: انهم الان ليعلمون ان ما كنت اقول لهم حق ثم قرات (انك لا تسمع الموتى) و (وما انت بمسمع من في القبور) يقول حين تبوءوا مقاعدهم من النار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩৮

পরিচ্ছেদঃ ১১/৯. মৃতের উপর পরিবার-পরিজনের ক্ৰন্দনের কারণে আযাব হয়ে থাকে।

৫৩৮. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইয়াহুদী স্ত্রীলোকের (কবরের) পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, যার পরিবারের লোকরা তার জন্য ক্ৰন্দন করছিল। তখন তিনি বললেনঃ তারা তো তার জন্য ক্ৰন্দন করছে। অথচ তাকে কবরে ’আযাব দেয়া হচ্ছে।

الميت يعذب ببكاء أهله عليه

حديث عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى يَهُودِيَّةٍ يَبْكِي عَلَيْهَا أَهْلُهَا، فَقَالَ: إِنَّهُمْ ليبْكُونَ عَلَيْهَا، وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ فِي قَبْرِهَا

حديث عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم، قالت: انما مر رسول الله صلى الله عليه وسلم على يهودية يبكي عليها اهلها، فقال: انهم ليبكون عليها، وانها لتعذب في قبرها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৩৯

পরিচ্ছেদঃ ১১/৯. মৃতের উপর পরিবার-পরিজনের ক্ৰন্দনের কারণে আযাব হয়ে থাকে।

৫৩৯. মুগীরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে (মৃত) ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা হয়, তাকে বিলাপকৃত বিষয়ের উপর আযাব দেয়া হবে।

الميت يعذب ببكاء أهله عليه

حديث الْمُغِيرَةِ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ نِيحَ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ

حديث المغيرة رضي الله عنه، قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول: من نيح عليه يعذب بما نيح عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪০

পরিচ্ছেদঃ ১১/১০. অধিক আর্তনাদ করা।

৫৪০. আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন-(মুতা-র যুদ্ধ ক্ষেত্র হতে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে (যায়দ) ইবনু হারিসা, জাফর ও ইবনু রাওয়াহা (রাঃ)-এর শাহাদাতের খবর পৌছল, তখন তিনি (এমনভাবে) বসে পড়লেন যে, তাঁর মধ্যে দুঃখের চিহ্ন ফুটে উঠেছিল। আমি (’আয়িশাহ) দরজার ফাঁক দিয়ে তা প্রত্যক্ষ করছিলাম। এক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে জাফর এর পরিবারের মহিলাদের কান্নাকাটির কথা উল্লেখ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন তাঁদেরকে (কান্নাকাটি করতে) নিষেধ করেন, লোকটি চলে গেলো এবং দ্বিতীয়বার এসে (বলল) তারা তাঁর কথা মানেনি।

তিনি ইরশাদ করলেনঃ তাঁদেরকে নিষেধ করো। ঐ ব্যক্তি তৃতীয়বার এসে বললেন, আল্লাহর কসম! হে আল্লাহর রসূল! তাঁরা আমাদের হার মানিয়েছে। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয়, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরক্তির সাথে বললেনঃ তাহলে তাদের মুখে মাটি নিক্ষেপ কর। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ্ তোমার নাকে ধূলি মিলিয়ে দেন। তুমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ পালন করতে পারনি অথচ তুমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিরক্ত করতেও দ্বিধা করোনি।

التشديد في النياحة

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: لَمَّا جَاءَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَتْلُ ابْنِ حَارِثَةَ وَجَعْفَرٍ وَابْنِ رَوَاحَةَ، جَلَسَ يُعْرَفُ فِيهِ الْحُزْنُ، وَأَنَا أَنْظُرُ مِنْ صَائرِ الْبَابِ، شَقِّ الْبَابِ؛ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنَّ نِسَاءَ جَعْفَرٍ، وَذَكَرَ بُكَاءَهُنَّ فَأَمَرَهُ أَنْ يَنْهَاهُنَّ، فَذَهَبَ، ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ، لَمْ يُطِعْنَهُ، فَقَالَ: أنْهَهُنَّ فَأَتَاهُ الثَّالِثَةَ، قَالَ: وَاللهِ غَلَبْنَنَا يَا رَسُولَ اللهِ فَزَعَمَتْ أَنَّه قَالَ: فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ التُّرَابَ فَقُلْتُ: أَرْغَمَ اللهُ أَنْفَكَ، لَمْ تَفْعَلْ مَا أَمَرَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ تَتْرُكْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعَنَاءِ

حديث عاىشة، قالت: لما جاء النبي صلى الله عليه وسلم قتل ابن حارثة وجعفر وابن رواحة، جلس يعرف فيه الحزن، وانا انظر من صاىر الباب، شق الباب؛ فاتاه رجل فقال: ان نساء جعفر، وذكر بكاءهن فامره ان ينهاهن، فذهب، ثم اتاه الثانية، لم يطعنه، فقال: انههن فاتاه الثالثة، قال: والله غلبننا يا رسول الله فزعمت انه قال: فاحث في افواههن التراب فقلت: ارغم الله انفك، لم تفعل ما امرك رسول الله صلى الله عليه وسلم، ولم تترك رسول الله صلى الله عليه وسلم من العناء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪১

পরিচ্ছেদঃ ১১/১০. অধিক আর্তনাদ করা।

৫৪১. উম্মু আতিয়্যাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাই’আত গ্রহণকালে আমাদের কাছ হতে এ অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, আমরা (কোন মৃতের জন্য) বিলাপ করব না। ... আমাদের মধ্য হতে পাঁচজন মহিলা উম্মু সুলাইম, উম্মুল আলা, আবু সাবরাহ্‌র কন্যা মু’আযের স্ত্রী, আরো দু’জন মহিলা বা মু’আযের স্ত্রী ও আরেকজন মহিলা ব্যতীত কোন নারীই সে ওয়াদা রক্ষা করেনি।

التشديد في النياحة

حديث أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: أَخَذَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ الْبَيْعَةِ أَنْ لاَ نَنُوحَ، فَمَا وَفَتْ مِنَّا امْرَأَةٌ غَيْرُ خَمْسِ نِسْوَةٍ: أُمُّ سُلَيْمٍ، وَأُمُّ الْعَلاَءِ، وَابْنَةُ أَبِي سَبْرَةَ امْرَأَةُ مُعَاذٍ، وَامْرَأَتَيْنِ؛ أَوِ ابْنَةُ أَبِي سَبْرَةَ، وَامْرَأَةُ مُعَاذٍ، وَامْرَأَةٌ أُخْرَى

حديث ام عطية، قالت: اخذ علينا النبي صلى الله عليه وسلم عند البيعة ان لا ننوح، فما وفت منا امراة غير خمس نسوة: ام سليم، وام العلاء، وابنة ابي سبرة امراة معاذ، وامراتين؛ او ابنة ابي سبرة، وامراة معاذ، وامراة اخرى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪২

পরিচ্ছেদঃ ১১/১০. অধিক আর্তনাদ করা।

৫৪২. উম্মু ’আতিয়্যাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বায়’আত গ্রহণ করেছি। এরপর তিনি আমাদের সামনে পাঠ করলেন, ’তারা আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক স্থির করবে না।’ এরপর তিনি আমাদেরকে মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করলেন। এ সময় এক মহিলা তার হাত টেনে নিয়ে বলল, অমুক মহিলা আমাকে বিলাপে সহযোগিতা করেছে, আমি তাকে এর বিনিময় দিতে ইচ্ছে করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কিছুই বলেননি। এরপর মহিলাটি উঠে চলে গেল এবং পুনরায় ফিরে আসলো, তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বায়’আত করলেন।

التشديد في النياحة

حديث أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَرَأَ عَلَيْنَا (أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ بِاللهِ شَيْئًا) وَنَهَانَا عَنِ النِّيَاحَةِ، فَقَبَضَتِ امْرَأَةٌ يَدَهَا، فَقَالَتْ: أَسْعَدَتْنِي فُلاَنَةُ أُرِيدُ أَنْ أَجْزيهَا، فَمَا قَالَ لَهَا النَّبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا، فَانْطَلَقَتْ وَرَجَعَتْ فَبَايَعَهَا

حديث ام عطية، قالت: بايعنا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقرا علينا (ان لا يشركن بالله شيىا) ونهانا عن النياحة، فقبضت امراة يدها، فقالت: اسعدتني فلانة اريد ان اجزيها، فما قال لها النبي صلى الله عليه وسلم شيىا، فانطلقت ورجعت فبايعها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১১/১১. জানাযার পিছনে নারীদের অনুগমন নিষিদ্ধ।

৫৪৩. উম্মু ’আতিয়্যাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদেরকে জানাযার পশ্চাদানুগমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে আমাদের উপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি।

نهى النساء عن اتباع الجنائز

حديث أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: نُهينَا عَنِ اتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا

حديث ام عطية، قالت: نهينا عن اتباع الجناىز ولم يعزم علينا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১১/১২. মৃতের গোসল।

৫৪৪. উম্মু আতিয়্যাহ্ আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা যায়নাব (রাযি.) ইন্তিকাল করলে তিনি আমাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরা তাকে তিনবার বা পাঁচবার বা প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়ে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা শেষ করে আমাকে খবর দাও। আমরা শেষ করার পর তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানি আমাদেরকে দিয়ে বললেনঃ এটি তাঁর শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে দাও।

في غسل الميت

حديث أُمَّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حينَ تُوُفِّيَتِ ابْنَتُهُ فَقَالَ: اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذلِكَ، إِنْ رَأَيْتُنَّ ذلِكَ، بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي فَلَمَّا اذنَّاهُ، فَأَعْطَانَا حَقْوَهُ فَقَالَ: أَشْعرْنَهَا إِيَّاهُ تَعْنِي إِزَارَهُ

حديث ام عطية الانصارية قالت: دخل علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم حين توفيت ابنته فقال: اغسلنها ثلاثا او خمسا او اكثر من ذلك، ان رايتن ذلك، بماء وسدر، واجعلن في الاخرة كافورا او شيىا من كافور، فاذا فرغتن فاذنني فلما اذناه، فاعطانا حقوه فقال: اشعرنها اياه تعني ازاره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১১/১২. মৃতের গোসল।

৫৪৫. উম্মু আতিয়্যাহ্ আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা যায়নাব (রাযি.) ইন্তিকাল করলে তিনি আমাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরা তাঁকে তিনবার বা পাঁচবার বা প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়ে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দ্বারা গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা শেষ করে আমাকে জানাও। আমরা শেষ করার পর তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানি আমাদের দিকে দিয়ে বললেনঃ এটি তাঁর ভিতরের কাপড় হিসেবে পরিয়ে দাও। আইয়ুব (রহ.) বলেছেন, হাফসাহ (রহ.) আমাকে মুহাম্মাদ বর্ণিত হাদীসের ন্যায় হাদীস শুনিয়েছেন। তবে তাঁর হাদীসে আছে যে, তাকে বিজোড় সংখ্যায় গোসল দিবে। আরও আছে, তিনবার, পাঁচবার অথবা সাতবার করে; তাতে আরো আছে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’তোমরা তার ডান দিক হতে এবং তার উযূর স্থানগুলো থেকে আরম্ভ করবে।’ তাতে এ কথাও আছে। (বর্ণনাকারিণী) উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) বলেছেন, আমরা তার চুলগুলো আঁচড়ে তিনটি গোছা করে দিলাম।

في غسل الميت

حديث أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ، فَقَالَ: اغْسِلْنَهَا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذلِكَ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَلْقَى إِلَيْنَا حَقْوَهُ فَقَالَ: أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ
فَقَالَ أَيُّوبُ (أَحَد الرواة) : وَحَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ بِمِثْلِ حَدِيثِ مُحَمَّدٍ، وَكَانَ فِي حَدِيثِ حَفْصَةَ اغْسِلْنَهَا وِتْرًا َكَانَ فِيهِ ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا وَكَانَ فِيهِ أَنَّهُ قَالَ: ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَواضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا وَكَانَ فِيهِ، أَنَّ أُمَّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: وَمَشَطْنَاهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ

حديث ام عطية الانصارية، قالت: دخل علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن نغسل ابنته، فقال: اغسلنها ثلاثا او خمسا او اكثر من ذلك بماء وسدر، واجعلن في الاخرة كافورا، فاذا فرغتن فاذنني فلما فرغنا اذناه فالقى الينا حقوه فقال: اشعرنها اياه فقال ايوب (احد الرواة) : وحدثتني حفصة بمثل حديث محمد، وكان في حديث حفصة اغسلنها وترا كان فيه ثلاثا او خمسا او سبعا وكان فيه انه قال: ابدان بميامنها ومواضع الوضوء منها وكان فيه، ان ام عطية قالت: ومشطناها ثلاثة قرون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১১/১২. মৃতের গোসল।

৫৪৬. উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কন্যার গোসলের ব্যাপারে ইরশাদ করেনঃ তোমরা তাঁর ডান দিক হতে এবং উযূর অঙ্গসমূহ হতে শুরু করবে।

في غسل الميت

حديث أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: لَمَّا غَسَّلْنَا بِنْتَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَنَا، وَنَحْنُ نَغْسِلُهَا: ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا

حديث ام عطية، قالت: لما غسلنا بنت النبي صلى الله عليه وسلم، قال لنا، ونحن نغسلها: ابدان بميامنها ومواضع الوضوء منها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১১/১৩. মৃতের কাফন।

৫৪৭. খাব্বাব (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মদীনায় হিজরত করেছিলাম, এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেছিলাম। আমাদের প্রতিদান আল্লাহর দরবারে নির্ধারিত হয়ে আছে। অতঃপর আমাদের মধ্যে অনেকে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তাঁদের বিনিময়ের কিছুই ভোগ করে যাননি। তাঁদেরই একজন মুস’আব ইবনু উমাইর (রাযি.) আর আমাদের মধ্যে অনেকে এমনও আছেন যাঁদের প্রতিদানের ফল পরিপক্ক হয়েছে। আর তাঁরা তা ভোগ করছেন। মুস’আব (রাযি.) উহুদের দিন শহীদ হয়েছিলেন। আমরা তাঁকে কাফন দেয়ার জন্য এমন একটি চাদর ব্যতীত আর কিছুই পেলাম না; যা দিয়ে তাঁর মস্তক আবৃত করলে তাঁর দু’ পা বাইরে থাকে আর তাঁর দু’ পা আবৃত করলে তাঁর মস্তক বাইরে থাকে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মস্তক আবৃত করতে এবং তাঁর দু’খানা পায়ের উপর ইযখির (ঘাস) দিয়ে দিতে আমাদের নির্দেশ দিলেন।

في كفن الميت

حديث خَبَّاتٍ رضي الله عنه، قَالَ: هَاجَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَلْتَمِسُ وَجْهَ اللهِ، فَوَقَعَ أَجْرُنَا عَلَى اللهِ، فَمِنَّا مَنْ مَاتَ لَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا، مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ عُميْرٍ؛ وَمِنَّا مَنْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ، فَهُوَ يَهْدِبُهَا قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ فَلَمْ نَجِدْ مَا نُكَفِّنُهُ إِلاَّ بُرْدَةً إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ خَرَجَتْ رِجْلاَهُ، وَإِذَا غَطَّيْنَا رِجْلَيْهِ خَرَجَ رَأْسُهُ، فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُغَطِّيَ رَأْسَهُ وَأَنْ نَجْعَلَ عَلَى رِجْلَيْهِ مِنَ الإِذْخِرِ

حديث خبات رضي الله عنه، قال: هاجرنا مع النبي صلى الله عليه وسلم نلتمس وجه الله، فوقع اجرنا على الله، فمنا من مات لم ياكل من اجره شيىا، منهم مصعب بن عمير؛ ومنا من اينعت له ثمرته، فهو يهدبها قتل يوم احد فلم نجد ما نكفنه الا بردة اذا غطينا بها راسه خرجت رجلاه، واذا غطينا رجليه خرج راسه، فامرنا النبي صلى الله عليه وسلم ان نغطي راسه وان نجعل على رجليه من الاذخر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১১/১৩. মৃতের কাফন।

৫৪৮. ’আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিনটি ইয়ামানী সাহুলী সাদা সূতী বস্ত্র দ্বারা কাফন দেয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কামীস এবং পাগড়ী ছিল না।

في كفن الميت

حديث عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُفِّنَ فِي ثَلاثَةِ أَثْوَابٍ يَمَانِيَةٍ بِيضٍ سَحُولِيَّةٍ مِنْ كُرْسُفٍ، لَيْسَ فيهِنَّ قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ

حديث عاىشة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كفن في ثلاثة اثواب يمانية بيض سحولية من كرسف، ليس فيهن قميص ولا عمامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৪৯

পরিচ্ছেদঃ ১১/১৪. মাইয়্যিতকে আবৃত করা।

৫৪৯. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইন্তিকাল করেন, তখন ইয়ামনী চাদর দ্বারা তাঁকে ঢেকে রাখা হয়।

في تسجية الميت

حديث عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حينَ تُوُفِّيَ سُجِّيَ بِبُرْدٍ حِبَرَةٍ

حديث عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم حين توفي سجي ببرد حبرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
৫৫০

পরিচ্ছেদঃ ১১/১৬. জানাযাহ দ্রুতসম্পন্ন করা।

৫৫০. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা জানাযা নিয়ে দ্রুতগতিতে চলবে। কেননা, সে যদি পুণ্যবান হয়, তবে এটা উত্তম, যার দিকে তোমরা তাকে এগিয়ে দিচ্ছ, আর যদি সে অন্য কিছু হয়, তবে সে একটি আপদ, যাকে তোমরা তোমাদের ঘাড় হতে জলদি নামিয়ে ফেলছ।

الإسراع بالجنازة

حديث أَبِي هُرَيْرَةً رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أَسْرِعُوا بِالْجِنَازَةِ، فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ تُقَدِّمُونَهَا، وَإِنْ يَكُ سِوَى ذلِكَ، فَشَرٌّ تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: اسرعوا بالجنازة، فان تك صالحة فخير تقدمونها، وان يك سوى ذلك، فشر تضعونه عن رقابكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ জানাযা (كتاب صلاة الجنائز)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »