সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة)
১১৯৮

পরিচ্ছেদঃ ২১/১. সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজে সালাতের মধ্যে হাতের সাহায্য নেয়া।

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَسْتَعِينُ الرَّجُلُ فِي صَلاَتِهِ مِنْ جَسَدِهِ بِمَا شَاءَ وَوَضَعَ أَبُو إِسْحَاقَ قَلَنْسُوَتَهُ فِي الصَّلاَةِ وَرَفَعَهَا وَوَضَعَ عَلِيٌّtكَفَّهُ عَلَى رُسْغِهِ الْأَيْسَرِ إِلاَّ أَنْ يَحُكَّ جِلْدًا أَوْ يُصْلِحَ ثَوْبًا.

ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার সালাতের মধ্যে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা (সালাত সংশ্লিষ্ট কাজে) সাহায্য নিতে পারে। আবূ ইসহাক (রহ.) সালাত আদায়রত অবস্থায় তাঁর টুপী নামিয়ে রেখেছিলেন এবং তা তুলে মাথায় দিয়েছিলেন। ‘আলী (রাযি.) (সালাতে) সাধারণত তাঁর (ডান হাতের) পাঞ্জা বাম হাতের কব্জির উপরে রাখতেন, তবে কখনো শরীর চুলকাতে হলে বা কাপড় ঠিক করতে হলে করতেন।


১১৯৮. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি তাঁর খালা মু’মিনদের মা মাইমূনাহ (রাযি.)-এর ঘরে রাত কাটালেন। তিনি বলেন, আমি বালিশের প্রস্থের দিকে শুয়ে পড়লাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সহধর্মিণী বালিশের দৈর্ঘ্যে শয়ন করলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যরাত বা তার কিছু আগ বা পর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে উঠে বসলেন এবং দু’হাতে মুখমণ্ডল মুছে ঘুমের রেশ দূর করলেন। অতঃপর তিনি সূরাহ্ আলে ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। পরে একটি ঝুলন্ত মশ্কের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং এর পানি দ্বারা উত্তমরূপে উযূ করে সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বলেন, আমিও উঠে পড়লাম এবং তিনি যেমন করেছিলেন, আমিও তেমন করলাম। অতঃপর আমি গিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ালাম। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাত আমার মাথার উপরে রেখে আমার ডান কানে মোচড়াতে লাগলেন (এবং আমাকে তাঁর পিছন হতে ঘুরিয়ে এনে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন)। তিনি তখন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করলেন, অতঃপর দু’রাক‘আত, অতঃপর দু’রাক‘আত, অতঃপর দু’রাক‘আত, অতঃপর দু’রাক‘আত, অতঃপর (দু’রাক‘আতের সাথে আর এক রাক‘আত দ্বারা বেজোড় করে) বিতর আদায় করে শুয়ে পড়লেন। শেষে (ফজরের জামা‘আতের জন্য) মুআয্যিন এলেন। তিনি দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত (কিরাআতে) দু’রাক‘আত (ফজরের সুন্নাত) আদায় করলেন। অতঃপর বেরিয়ে গেলেন এবং ফাযরের সালাত আদায় করলেন। (১১৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৪)

بَاب اسْتِعَانَةِ الْيَدِ فِي الصَّلاَةِ إِذَا كَانَ مِنْ أَمْرِ الصَّلاَةِ

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا وَهِيَ خَالَتُهُ قَالَ فَاضْطَجَعْتُ عَلَى عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا فَنَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى انْتَصَفَ اللَّيْلُ أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ فَمَسَحَ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ آيَاتٍ خَوَاتِيمَ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَوَضَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى يَفْتِلُهَا بِيَدِهِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ.

عبد الله بن يوسف اخبرنا مالك عن مخرمة بن سليمان عن كريب مولى ابن عباس انه اخبره عن عبد الله بن عباس رضي الله عنهما انه بات عند ميمونة ام المومنين رضي الله عنها وهي خالته قال فاضطجعت على عرض الوسادة واضطجع رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم واهله في طولها فنام رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى انتصف الليل او قبله بقليل او بعده بقليل ثم استيقظ رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فجلس فمسح النوم عن وجهه بيده ثم قرا العشر ايات خواتيم سورة ال عمران ثم قام الى شن معلقة فتوضا منها فاحسن وضوءه ثم قام يصلي قال عبد الله بن عباس رضي الله عنهما فقمت فصنعت مثل ما صنع ثم ذهبت فقمت الى جنبه فوضع رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يده اليمنى على راسي واخذ باذني اليمنى يفتلها بيده فصلى ركعتين ثم ركعتين ثم ركعتين ثم ركعتين ثم ركعتين ثم ركعتين ثم اوتر ثم اضطجع حتى جاءه الموذن فقام فصلى ركعتين خفيفتين ثم خرج فصلى الصبح.


Narrated Kuraib Maula Ibn `Abbas:

`Abdullah bin `Abbas said that he had passed a night in the house of Maimuna the mother of the faithful believers , who was his aunt. He said, "I slept across the bed, and Allah's Messenger (ﷺ) along with his wife slept lengthwise. Allah's Messenger (ﷺ) slept till midnight or slightly before or after it. Then Allah's Apostle woke up, sat, and removed the traces of sleep by rubbing his hands over his face. Then he recited the last ten verses of Surat-Al `Imran (2). Then he went towards a hanging leather watercontainer and performed a perfect ablution and then stood up for prayer." `Abdullah bin `Abbas added, "I got up and did the same as Allah's Messenger (ﷺ) had done and then went and stood by his side. Allah's Messenger (ﷺ) then put his right hand over my head and caught my right ear and twisted it. He offered two rak`at, then two rak`at, then two rak`at, then two rak`at, then two rak`at, then two rak`at and then offered one rak`a witr. Then he lay down till the Mu'adh-dhin came and then he prayed two light rak`at and went out and offered the early morning (Fajr) prayer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১১৯৯

পরিচ্ছেদঃ ২১/২. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া।

১১৯৯. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করতাম; তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিতেন। পরে যখন আমরা নাজাশীর নিকট হতে ফিরে এলাম, তখন তাঁকে (সালাতে) সালাম করলে তিনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না এবং পরে ইরশাদ করলেনঃ সালাতে আছে নিমগ্নতা। (১২১৬, ৩৮৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৫)

‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৩৮, আহমাদ ৩৫৬৩) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৬)

بَاب مَا يُنْهَى عَنْهُ مِنَ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ

ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِقَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا وَقَالَ إِنَّ فِي الصَّلاَةِ شُغْلاً حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ السَّلُولِيُّ
حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ سُفْيَانَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِعَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ.

ابن نمير حدثنا ابن فضيل حدثنا الاعمش عن ابراهيم عن علقمة عن عبد اللهقال كنا نسلم على النبي صلى الله عليه وسلم وهو في الصلاة فيرد علينا فلما رجعنا من عند النجاشي سلمنا عليه فلم يرد علينا وقال ان في الصلاة شغلا حدثنا ابن نمير حدثنا اسحاق بن منصور السلولي حدثنا هريم بن سفيان عن الاعمش عن ابراهيم عن علقمة عن عبد اللهعن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه.


Narrated `Abdullah:

We used to greet the Prophet (ﷺ) while he was praying and he used to answer our greetings. When we returned from An-Najashi (the ruler of Ethiopia), we greeted him, but he did not answer us (during the prayer) and (after finishing the prayer) he said, "In the prayer one is occupied (with a more serious matter)."
The same as avobe from the Prophet.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০০

পরিচ্ছেদঃ ২১/২. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া।

১২০০. যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সময়ে সালাতের মধ্যে কথা বলতাম। আমাদের যে কেউ তার সঙ্গীর সাথে নিজ দরকারী বিষয়ে কথা বলত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল- ‘‘তোমরা তোমাদের সালাতসমূহের সংরক্ষণ কর ও নিয়ানুমবর্তিতা রক্ষা কর; বিশেষ মধ্যবর্তী (‘আসর) সালাতে, আর তোমরা (সালাতে) আল্লাহর উদ্দেশে একাগ্রচিত্ত হও’’- (সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ্ ২/২৩৮)। অতঃপর আমরা সালাতে নীরব থাকতে আদেশপ্রাপ্ত হলাম। (৪৫৩৪; মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৩৯, আহমাদ ১৯২৯৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৭)

بَاب مَا يُنْهَى عَنْهُ مِنَ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى ـ هُوَ ابْنُ يُونُسَ ـ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ قَالَ لِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ إِنْ كُنَّا لَنَتَكَلَّمُ فِي الصَّلاَةِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، يُكَلِّمُ أَحَدُنَا صَاحِبَهُ بِحَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ ‏(‏حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ‏)‏ الآيَةَ، فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ‏.‏

حدثنا ابراهيم بن موسى، اخبرنا عيسى ـ هو ابن يونس ـ عن اسماعيل، عن الحارث بن شبيل، عن ابي عمرو الشيباني، قال قال لي زيد بن ارقم ان كنا لنتكلم في الصلاة على عهد النبي صلى الله عليه وسلم، يكلم احدنا صاحبه بحاجته حتى نزلت ‏(‏حافظوا على الصلوات‏)‏ الاية، فامرنا بالسكوت‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam:

In the lifetime of the Prophet (ﷺ) we used to speak while praying, and one of us would tell his needs to his companions, till the verse, 'Guard strictly your prayers (2.238) was revealed. After that we were ordered to remain silent while praying.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০১

পরিচ্ছেদঃ ২১/৩. সালাতে পুরুষদের জন্য যে ‘তাসবীহ্’ ও ‘তাহমীদ’ জায়িয।

১২০১. সাহল ইবনু সা‘দ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আমর ইবনু আওফের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়ার উদ্দেশে বের হলেন, ইতোমধ্যে সালাতের সময় উপস্থিত হল। তখন বিলাল (রাযি.) আবূ বকর (রাযি.)-এর নিকট এসে বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আপনি লোকদের সালাতে ইমামাত করবেন? তিনি বললেন, হাঁ, যদি তোমরা চাও। তখন বিলাল (রাযি.) সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বললেন, আবূ বকর (রাযি.) সামনে এগিয়ে গিয়ে সালাত শুরু করলেন। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন এবং কাতার ফাঁক করে সামনে এগিয়ে গিয়ে প্রথম কাতারে দাঁড়ালেন। মুসল্লীগণ ‘তাসফীহ্’ করতে লাগলেন। সাহল (রাযি.) বললেন, তাসফীহ্ কী তা তোমরা জান? তা হল ‘তাস্ফীক’* (তালি বাজান) আবূ বকর (রাযি.) সালাতে এদিক সেদিক লক্ষ্য করতেন না। মুসল্লীগণ অধিক তালি বাজালে তিনি সে দিকে লক্ষ্য করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কাতারে দেখতে পেলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইঙ্গিত করলেন- যথাস্থানে থাক। আবূ বকর (রাযি.) তখন দু’হাত তুলে আল্লাহ্ তা‘আলার হাম্দ বর্ণনা করলেন এবং পিছু হেঁটে চলে এলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে এগিয়ে গিয়ে সালাত আদায় করলেন। (৬৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৮)

بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ التَّسْبِيحِ وَالْحَمْدِ فِي الصَّلاَةِ لِلرِّجَالِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصْلِحُ بَيْنَ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَحَانَتِ الصَّلاَةُ، فَجَاءَ بِلاَلٌ أَبَا بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ فَقَالَ حُبِسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَتَؤُمُّ النَّاسَ قَالَ نَعَمْ إِنْ شِئْتُمْ‏.‏ فَأَقَامَ بِلاَلٌ الصَّلاَةَ، فَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ فَصَلَّى، فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَمْشِي فِي الصُّفُوفِ يَشُقُّهَا شَقًّا حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ الأَوَّلِ، فَأَخَذَ النَّاسُ بِالتَّصْفِيحِ‏.‏ قَالَ سَهْلٌ هَلْ تَدْرُونَ مَا التَّصْفِيحُ هُوَ التَّصْفِيقُ‏.‏ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ لاَ يَلْتَفِتُ فِي صَلاَتِهِ، فَلَمَّا أَكْثَرُوا الْتَفَتَ فَإِذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّفِّ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ مَكَانَكَ‏.‏ فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ يَدَيْهِ، فَحَمِدَ اللَّهَ، ثُمَّ رَجَعَ الْقَهْقَرَى وَرَاءَهُ وَتَقَدَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى‏.‏

حدثنا عبد الله بن مسلمة، حدثنا عبد العزيز بن ابي حازم، عن ابيه، عن سهل ـ رضى الله عنه ـ قال خرج النبي صلى الله عليه وسلم يصلح بين بني عمرو بن عوف، وحانت الصلاة، فجاء بلال ابا بكر ـ رضى الله عنهما ـ فقال حبس النبي صلى الله عليه وسلم فتوم الناس قال نعم ان شىتم‏.‏ فاقام بلال الصلاة، فتقدم ابو بكر ـ رضى الله عنه ـ فصلى، فجاء النبي صلى الله عليه وسلم يمشي في الصفوف يشقها شقا حتى قام في الصف الاول، فاخذ الناس بالتصفيح‏.‏ قال سهل هل تدرون ما التصفيح هو التصفيق‏.‏ وكان ابو بكر ـ رضى الله عنه ـ لا يلتفت في صلاته، فلما اكثروا التفت فاذا النبي صلى الله عليه وسلم في الصف، فاشار اليه مكانك‏.‏ فرفع ابو بكر يديه، فحمد الله، ثم رجع القهقرى وراءه وتقدم النبي صلى الله عليه وسلم فصلى‏.‏


Narrated Sahl bin Sa`d:

The Prophet (ﷺ) went out to affect a reconciliation between the tribes of Bani `Amr bin `Auf and the time of the prayer became due; Bilal went to Abu Bakr and said, "The Prophet (ﷺ) is detained. Will you lead the people in the prayer?" Abu Bakr replied, "Yes, if you wish." So Bilal pronounced the Iqama and Abu Bakr led the prayer. In the meantime the Prophet (ﷺ) came crossing the rows (of the praying people) till he stood in the first row and the people started clapping. Abu Bakr never looked hither and thither during the prayer but when the people clapped too much, he looked back and saw the Prophet (ﷺ) in the (first) row. The Prophet (ﷺ) waved him to remain at his place, but Abu Bakr raised both his hands and sent praises to Allah and then retreated and the Prophet (ﷺ) went forward and led the prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০২

পরিচ্ছেদঃ ২১/৪. সালাতে যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে কারো নাম নিলো অথবা কাউকে সালাম করল অথচ সে তা অবগতও নয়।

১২০২. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সালাতের (বৈঠকে) আত্তাহিয়্যাতু.....বলতাম, তখন আমাদের একে অপরকে সালামও করতাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে ইরশাদ করলেনঃ তোমরা বলবে-

‘‘যাবতীয় মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহরই জন্য। হে (মহান) নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত (বর্ষিত)- হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সালিহ্ বান্দাদের প্রতি; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন প্রকৃত ইলাহ্ নেই। এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।’’

কেননা, তোমরা এরূপ করলে আসমান ও যমীনে আল্লাহর সকল নেক বান্দাকে তোমরা যেন সালাম করলে। (৮৩১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৯)

بَاب مَنْ سَمَّى قَوْمًا أَوْ سَلَّمَ فِي الصَّلاَةِ عَلَى غَيْرِهِ مُوَاجَهَةً وَهُوَ لاَ يَعْلَمُ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نَقُولُ التَّحِيَّةُ فِي الصَّلاَةِ وَنُسَمِّي، وَيُسَلِّمُ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ، فَسَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ قُولُوا التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَإِنَّكُمْ إِذَا فَعَلْتُمْ ذَلِكَ فَقَدْ سَلَّمْتُمْ عَلَى كُلِّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏"‏‏.‏

حدثنا عمرو بن عيسى، حدثنا ابو عبد الصمد عبد العزيز بن عبد الصمد، حدثنا حصين بن عبد الرحمن، عن ابي واىل، عن عبد الله بن مسعود ـ رضى الله عنه ـ قال كنا نقول التحية في الصلاة ونسمي، ويسلم بعضنا على بعض، فسمعه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏ "‏ قولوا التحيات لله والصلوات والطيبات، السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبركاته، السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين، اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله، فانكم اذا فعلتم ذلك فقد سلمتم على كل عبد لله صالح في السماء والارض ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin Mas`ud:

We used to say the greeting, name and greet each other in the prayer. Allah's Messenger (ﷺ) heard it and said:--"Say, 'at-tahiyyatu lil-lahi was-salawatu wat-taiyibatu . Assalamu 'Alaika aiyuha-n-Nabiyu warahmatu- l-lahi wa-barakatuhu. _ Assalamu alaina wa-'ala 'ibadi-l-lahi as-salihin.. Ashhadu an la ilaha illa-l-lah wa ashhadu anna Muhammadan `Abdu hu wa Rasuluh. (All the compliments are for Allah and all the prayers and all the good things (are for Allah). Peace be on you, O Prophet, and Allah's mercy and blessings (are on you). And peace be on us and on the good (pious) worshipers of Allah. I testify that none has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is His slave and Apostle.) So, when you have said this, then you have surely sent the greetings to every good (pious) worshipper of Allah, whether he be in the Heaven or on the Earth . "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০৩

পরিচ্ছেদঃ ২১/৫. সালাতে মহিলাদের ‘তাসফীক’ (হাত তালি দেয়া)।

১২০৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ (ইমামের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য) পুরুষদের বেলায় তাসবীহ সুবহানাল্লাহ্ বলা। তবে মহিলাদের বেলায় ‘তাসফীক’ (এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালুতে মারা)। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩০)

بَاب التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ.

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَعَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ.

علي بن عبد الله حدثنا سفيان حدثنا الزهري عن ابي سلمة عن ابي هريرةعن النبي صلى الله عليه وسلم قال التسبيح للرجال والتصفيق للنساء.


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "The saying 'Sub Han Allah' is for men and clapping is for women." (If something happens in the prayer, the men can invite the attention of the Imam by saying "Sub Han Allah". And women, by clapping their hands).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০৪

পরিচ্ছেদঃ ২১/৫. সালাতে মহিলাদের ‘তাসফীক’ (হাত তালি দেয়া)।

১২০৪. সাহল ইবনু সা‘দ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতে (লোকমা দেয়ার জন্য) পুরুষদের জন্য ‘তাসবীহ্’ আর মহিলাদের জন্য তাসফীক। (৬৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩১)

بَاب التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ.

حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ ‏"‏‏.‏

حدثنا يحيى، اخبرنا وكيع، عن سفيان، عن ابي حازم، عن سهل بن سعد ـ رضى الله عنه ـ قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ التسبيح للرجال والتصفيح للنساء ‏"‏‏.‏


Narrated Sahl bin Sa`d:

The Prophet (ﷺ) said, "The saying 'Sub Han Allah' is for men and clapping is for women.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০৫

পরিচ্ছেদঃ ২১/৬. উদ্ভূত কোন কারণে সালাতে থাকা অবস্থায় পিছনে চলে আসা অথবা সামনে অগ্রসর হওয়া।

رَوَاهُ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

এ বিষয়ে সাহল ইবনু সা’দ (রাযী.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে রিওায়াত করেছেন।

১২০৫. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত; মুসলিমগণ সোমবার (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ওফাতের দিন) ফজরের সালাতে ছিলেন, আবূ বকর (রাযি.) তাঁদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর হুজরার পর্দা সরিয়ে তাঁদের দিকে তাকালেন। তখন তাঁরা সারিবদ্ধ ছিলেন। তা দেখে তিনি মৃদু হাসলেন। তখন আবূ বকর (রাযি.) তাঁর গোড়ালির উপর ভর দিয়ে পিছে সরে আসলেন। তিনি ধারণা করলেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্য আসার ইচ্ছা করছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখার আনন্দে মুসলিমগণের সালাত ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন তিনি সালাত সুসম্পন্ন করার জন্য তাদের দিকে হাতে ইঙ্গিত করলেন। অতঃপর তিনি হুজরায় প্রবেশ করেন এবং পর্দা ছেড়ে দেন আর সে দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। (৬৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩২)

بَاب مَنْ رَجَعَ الْقَهْقَرَى فِي صَلاَتِهِ أَوْ تَقَدَّمَ بِأَمْرٍ يَنْزِلُ بِهِ

بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ قَالَ يُونُسُ قَالَ الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ بَيْنَا هُمْ فِي الْفَجْرِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَأَبُو بَكْرٍيُصَلِّي بِهِمْ فَفَجِئَهُمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَدْ كَشَفَ سِتْرَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَنَظَرَ إِلَيْهِمْ وَهُمْ صُفُوفٌ فَتَبَسَّمَ يَضْحَكُ فَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍعَلَى عَقِبَيْهِ وَظَنَّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرِيدُ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى الصَّلاَةِ وَهَمَّ الْمُسْلِمُونَ أَنْ يَفْتَتِنُوا فِي صَلاَتِهِمْ فَرَحًا بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَأَوْهُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ أَنْ أَتِمُّوا ثُمَّ دَخَلَ الْحُجْرَةَ وَأَرْخَى السِّتْرَ وَتُوُفِّيَ ذَلِكَ الْيَوْمَ.

بشر بن محمد اخبرنا عبد الله قال يونس قال الزهري اخبرني انس بن مالك ان المسلمين بينا هم في الفجر يوم الاثنين وابو بكريصلي بهم ففجىهم النبي صلى الله عليه وسلم قد كشف ستر حجرة عاىشة رضي الله عنها فنظر اليهم وهم صفوف فتبسم يضحك فنكص ابو بكرعلى عقبيه وظن ان رسول الله صلى الله عليه وسلم يريد ان يخرج الى الصلاة وهم المسلمون ان يفتتنوا في صلاتهم فرحا بالنبي صلى الله عليه وسلم حين راوه فاشار بيده ان اتموا ثم دخل الحجرة وارخى الستر وتوفي ذلك اليوم.


Narrated Anas bin Malik:

While Abu Bakr was leading the people in the morning prayer on a Monday, the Prophet (ﷺ) came towards them suddenly having lifted the curtain of 'Aisha's house, and looked at them as they were standing in rows and smiled. Abu Bakr tried to come back thinking that Allah's Apostle wanted to come out for the prayer. The attention of the Muslims was diverted from the prayer because they were delighted to see the Prophet. The Prophet (ﷺ) waved his hand to them to complete their prayer, then he went back into the room and let down the curtain. The Prophet expired on that very day.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০৬

পরিচ্ছেদঃ ২১/৭. মা তার সালাত রত সন্তানকে ডাকলে।

১২০৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মহিলা তার ছেলেকে ডাকল। তখন তার ছেলে গীর্জায় ছিল। বলল, হে জুরায়জ! ছেলে মনে মনে বলল, হে আল্লাহ্! (এক দিকে) আমার মা (এর ডাক) আর (অন্য দিকে) আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরাইজ! ছেলে বলল, হে আল্লাহ্! আমার মা আর আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরায়জ! ছেলে বলল, হে আল্লাহ্! আমার মা ও আমার সালাত। মা বললেন, হে আল্লাহ্! পতিতাদের সামনে দেখা না যাওয়া পর্যন্ত যেন জুরায়জের মৃত্যু না হয়। এক রাখালিনী যে বকরী চরাতো, সে জুরায়জের গীর্জায় আসা যাওয়া করত। সে একটি সন্তান প্রসব করল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল- এ সন্তান কার ঔরসজাত? সে জবাব দিল, জুরায়জের ঔরসের। জুরায়জ তাঁর গীর্জা হতে নেমে এসে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় সে মেয়েটি, যে বলে যে, তার সন্তানটি আমার? (সন্তানসহ মেয়েটিকে উপস্থিত করা হলে) জুরায়জ বলেন, হে বাবূস! তোমার পিতা কে? সে বলল, বকরীর অমুক রাখাল। (২৪৮২, ৩৪৩৬, ৩৪৬৬; মুসলিম ৪৫/২, হাঃ ২৫৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৩)

بَاب إِذَا دَعَتْ الْأُمُّ وَلَدَهَا فِي الصَّلاَةِ

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ نَادَتِ امْرَأَةٌ ابْنَهَا، وَهْوَ فِي صَوْمَعَةٍ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ‏.‏ قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي‏.‏ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ‏.‏ قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي‏.‏ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ‏.‏ قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي‏.‏ قَالَتِ اللَّهُمَّ لاَ يَمُوتُ جُرَيْجٌ حَتَّى يَنْظُرَ فِي وَجْهِ الْمَيَامِيسِ‏.‏ وَكَانَتْ تَأْوِي إِلَى صَوْمَعَتِهِ رَاعِيَةٌ تَرْعَى الْغَنَمَ فَوَلَدَتْ فَقِيلَ لَهَا مِمَّنْ هَذَا الْوَلَدُ قَالَتْ مِنْ جُرَيْجٍ نَزَلَ مِنْ صَوْمَعَتِهِ‏.‏ قَالَ جُرَيْجٌ أَيْنَ هَذِهِ الَّتِي تَزْعُمُ أَنَّ وَلَدَهَا لِي قَالَ يَا بَابُوسُ مَنْ أَبُوكَ قَالَ رَاعِي الْغَنَمِ ‏"‏‏.‏

وقال الليث حدثني جعفر، عن عبد الرحمن بن هرمز، قال قال ابو هريرة ـ رضى الله عنه ـ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ نادت امراة ابنها، وهو في صومعة قالت يا جريج‏.‏ قال اللهم امي وصلاتي‏.‏ قالت يا جريج‏.‏ قال اللهم امي وصلاتي‏.‏ قالت يا جريج‏.‏ قال اللهم امي وصلاتي‏.‏ قالت اللهم لا يموت جريج حتى ينظر في وجه المياميس‏.‏ وكانت تاوي الى صومعته راعية ترعى الغنم فولدت فقيل لها ممن هذا الولد قالت من جريج نزل من صومعته‏.‏ قال جريج اين هذه التي تزعم ان ولدها لي قال يا بابوس من ابوك قال راعي الغنم ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "A woman called her son while he was in his hermitage and said, 'O Juraij' He said, 'O Allah, my mother (is calling me) and (I am offering) my prayer (what shall I do)?' She again said, 'O Juraij!' He said again, 'O Allah ! My mother (is calling me) and (I am offering) my prayer (what shall I do)?' She again said, 'O Juraij' He again said, 'O Allah! My mother (is calling me) and (I am offering) my prayer. (What shall I do?)' She said, 'O Allah! Do not let Juraij die till he sees the faces of prostitutes.' A shepherdess used to come by his hermitage for grazing her sheep and she gave birth to a child. She was asked whose child that was, and she replied that it was from Juraij and that he had come out from his hermitage. Juraij said, 'Where is that woman who claims that her child is from me?' (When she was brought to him along with the child), Juraij asked the child, 'O Babus, who is your father?' The child replied, 'The shepherd.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০৭

পরিচ্ছেদঃ ২১/৮. সালাতের মধ্যে কংকর সরানো।

১২০৭. মু‘আইকিব (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, যে সিজদার স্থান হতে মাটি সমান করে। তিনি বলেন, যদি তোমার একান্তই করতে হয়, তবে একবার। (মুসলিম ৫/১২, হাঃ ৫৪৬, আহমাদ ১৫৫০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৪)

بَاب مَسْحِ الْحَصَا فِي الصَّلاَةِ.

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُعَيْقِيبٌ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الرَّجُلِ يُسَوِّي التُّرَابَ حَيْثُ يَسْجُدُ قَالَ ‏ "‏ إِنْ كُنْتَ فَاعِلاً فَوَاحِدَةً ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو نعيم، حدثنا شيبان، عن يحيى، عن ابي سلمة، قال حدثني معيقيب، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال في الرجل يسوي التراب حيث يسجد قال ‏ "‏ ان كنت فاعلا فواحدة ‏"‏‏.‏


Narrated Mu'aiqib:

The Prophet (ﷺ) talked about a man leveling the earth on prostrating, and said, "If you have to do so, then do it once."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আইকিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০৮

পরিচ্ছেদঃ ২১/৯. সালাতে সিজদার জন্য কাপড় বিছানো।

১২০৮. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সালাত আদায় করতাম। আমাদের কেউ মাটিতে তার চেহারা (কপাল) স্থির রাখতে সক্ষম না হলে সে তার কাপড় বিছিয়ে তার উপর সিজদা্ করত। (৩৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৫)

بَاب بَسْطِ الثَّوْبِ فِي الصَّلاَةِ لِلسُّجُودِ

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا بِشْرٌ حَدَّثَنَا غَالِبٌ الْقَطَّانُ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍقَالَ كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي شِدَّةِ الْحَرِّ فَإِذَا لَمْ يَسْتَطِعْ أَحَدُنَا أَنْ يُمَكِّنَ وَجْهَهُ مِنَ الْأَرْضِ بَسَطَ ثَوْبَهُ فَسَجَدَ عَلَيْهِ.

مسدد حدثنا بشر حدثنا غالب القطان عن بكر بن عبد الله عن انس بن مالكقال كنا نصلي مع النبي صلى الله عليه وسلم في شدة الحر فاذا لم يستطع احدنا ان يمكن وجهه من الارض بسط ثوبه فسجد عليه.


Narrated Anas bin Malik:

We used to pray with the Prophet (ﷺ) in scorching heat, and if someone of us could not put his face on the earth (because of the heat) then he would spread his clothes and prostrate over them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২০৯

পরিচ্ছেদঃ ২১/১০. সালাতে যে কাজ বৈধ।

১২০৯. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায়কালে আমি তাঁর কিবলার দিকে পা ছড়িয়ে রাখতাম; তিনি সিজদা্ করার সময় আমাকে খোঁচা দিলে আমি পা সরিয়ে নিতাম; তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আবার পা ছড়িয়ে দিতাম। (৩৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৬)

بَاب مَا يَجُوزُ مِنَ الْعَمَلِ فِي الصَّلاَةِ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كُنْتُ أَمُدُّ رِجْلِي فِي قِبْلَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَرَفَعْتُهَا فَإِذَا قَامَ مَدَدْتُهَا.

عبد الله بن مسلمة حدثنا مالك عن ابي النضر عن ابي سلمة عن عاىشة رضي الله عنها قالت كنت امد رجلي في قبلة النبي صلى الله عليه وسلم وهو يصلي فاذا سجد غمزني فرفعتها فاذا قام مددتها.


Narrated Aisha:

I used to stretch my legs towards the Qibla of the Prophet (ﷺ) while he was praying; whenever he prostrated he touched me, and I would withdraw my legs, and whenever he stood up, I would restretch my legs.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১০

পরিচ্ছেদঃ ২১/১০. সালাতে যে কাজ বৈধ।

১২১০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সালাত আদায় করার পর বললেনঃ শয়তান আমার সামনে এসে আমার সালাত বিনষ্ট করার জন্য আমার উপর আক্রমণ করল। তখন আল্লাহ্ আমাকে তার উপর ক্ষমতা দান করলেন, আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরলাম। আমার ইচ্ছা হয়েছিল, তাকে কোন স্তম্ভের সাথে বেঁধে রাখি। যাতে তোমরা সকাল বেলা উঠে তাকে দেখতে পাও। তখন সুলাইমান ‘আলাইহিস সালাম-এর এ দু‘আ আমার মনে পড়ে গেল, رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي ‘‘হে রব! আমাকে এমন এক রাজ্য দান করুন যার অধিকারী আমার পরে আর কেউ না হয়’’। তখন আল্লাহ্ তাকে (শয়তানকে) অপমানিত করে দূর করে দিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩১)

নায্র ইবনু শুমায়ল (রহ.) বলেন, فَذَعَتُّهُ শব্দটি زال সহ অর্থাৎ তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরলাম এবং فَذَعَتُّهُ আল্লাহর কালাম يَوْمَ يُدَعُّونَ হতে অর্থাৎ তাদেরকে ধাক্কা মেরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সঠিক হল তবে عينالتاء অক্ষর দু’টি তাশদীদ সহ পাঠ করেছেন। (৪৬১) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৭)

بَاب مَا يَجُوزُ مِنَ الْعَمَلِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى صَلاَةً قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ عَرَضَ لِي، فَشَدَّ عَلَىَّ لِيَقْطَعَ الصَّلاَةَ عَلَىَّ، فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ، فَذَعَتُّهُ، وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أُوثِقَهُ إِلَى سَارِيَةٍ حَتَّى تُصْبِحُوا فَتَنْظُرُوا إِلَيْهِ فَذَكَرْتُ قَوْلَ سُلَيْمَانَ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي‏.‏ فَرَدَّهُ اللَّهُ خَاسِيًا ‏"‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ فَذَعَتُّهُ بِالذَّالِ أَىْ خَنَقْتُهُ وَفَدَعَّتُّهُ مِنْ قَوْلِ اللَّهِ ‏(‏يَوْمَ يُدَعُّونَ‏)‏ أَىْ يُدْفَعُونَ وَالصَّوَابُ، فَدَعَتُّهُ إِلاَّ أَنَّهُ كَذَا قَالَ بِتَشْدِيدِ الْعَيْنِ وَالتَّاءِ‏.‏

حدثنا محمود، حدثنا شبابة، حدثنا شعبة، عن محمد بن زياد، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم انه صلى صلاة قال ‏"‏ ان الشيطان عرض لي، فشد على ليقطع الصلاة على، فامكنني الله منه، فذعته، ولقد هممت ان اوثقه الى سارية حتى تصبحوا فتنظروا اليه فذكرت قول سليمان ـ عليه السلام ـ رب هب لي ملكا لا ينبغي لاحد من بعدي‏.‏ فرده الله خاسيا ‏"‏‏.‏ ثم قال النضر بن شميل فذعته بالذال اى خنقته وفدعته من قول الله ‏(‏يوم يدعون‏)‏ اى يدفعون والصواب، فدعته الا انه كذا قال بتشديد العين والتاء‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) once offered the prayer and said, "Satan came in front of me and tried to interrupt my prayer, but Allah gave me an upper hand on him and I choked him. No doubt, I thought of tying him to one of the pillars of the mosque till you get up in the morning and see him. Then I remembered the statement of Prophet Solomon, 'My Lord ! Bestow on me a kingdom such as shall not belong to any other after me.' Then Allah made him (Satan) return with his head down (humiliated)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১১

পরিচ্ছেদঃ ২১/১১. সালাতে থাকাকালে পশু ছুটে পালালে।

وَقَالَ قَتَادَةُ إِنْ أُخِذَ ثَوْبُهُ يَتْبَعُ السَّارِقَ وَيَدَعُ الصَّلاَةَ.

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন, কাপড় যদি (চুরি করে) নিয়ে যাওয়া হয়, তবে সালাত ছেড়ে দিয়ে চোরকে অনুসরণ করবে।


১২১১. আযরাক্ব ইবনু ক্বায়স (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আহওয়ায শহরে হারুরী (খারিজী) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিলাম। যখন আমরা নহরের তীরে ছিলাম তখন সেখানে এক ব্যক্তি এসে সালাত আদায় করতে লাগল আর তার বাহনের লাগাম তার হাতে আছে। বাহনটি (ছুটে যাওয়ার জন্য) টানাটানি করতে লাগল, তিনিও তার অনুসরণ করতে লাগলেন। রাবী শু’বাহ (রহ.) বলেন, তিনি ছিলেন আবূ বারযাহ আসলামী (রাযি.)। এ অবস্থা দেখে এক খারিজী বলে উঠলো, ইয়া আল্লাহ্! এ বৃদ্ধকে কিছু করুন। বৃদ্ধ সালাত শেষ করে বললেন- আমি তোমাদের কথা শুনেছি। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে ছয়, সাত কিংবা আট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমি তাঁর সহজীকরণ লক্ষ্য করেছি। আমার বাহনটির সাথে আগপিছ হওয়া বাহনটিকে তার চারণ ভূমিতে ছেড়ে দেয়ার চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয়। কেননা, তা আমার জন্য কষ্টদায়ক হবে। (৬১২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৮)

بَاب إِذَا انْفَلَتَتْ الدَّابَّةُ فِي الصَّلاَةِ.

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا الأَزْرَقُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ كُنَّا بِالأَهْوَازِ نُقَاتِلُ الْحَرُورِيَّةَ، فَبَيْنَا أَنَا عَلَى جُرُفِ نَهَرٍ إِذَا رَجُلٌ يُصَلِّي، وَإِذَا لِجَامُ دَابَّتِهِ بِيَدِهِ فَجَعَلَتِ الدَّابَّةُ تُنَازِعُهُ، وَجَعَلَ يَتْبَعُهَا ـ قَالَ شُعْبَةُ ـ هُوَ أَبُو بَرْزَةَ الأَسْلَمِيُّ ـ فَجَعَلَ رَجُلٌ مِنَ الْخَوَارِجِ يَقُولُ اللَّهُمَّ افْعَلْ بِهَذَا الشَّيْخِ‏.‏ فَلَمَّا انْصَرَفَ الشَّيْخُ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ قَوْلَكُمْ، وَإِنِّي غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِتَّ غَزَوَاتٍ أَوْ سَبْعَ غَزَوَاتٍ وَثَمَانِيًا، وَشَهِدْتُ تَيْسِيرَهُ، وَإِنِّي أَنْ كُنْتُ أَنْ أُرَاجِعَ مَعَ دَابَّتِي أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَدَعَهَا تَرْجِعُ إِلَى مَأْلَفِهَا فَيَشُقَّ عَلَىَّ‏.‏

حدثنا ادم، حدثنا شعبة، حدثنا الازرق بن قيس، قال كنا بالاهواز نقاتل الحرورية، فبينا انا على جرف نهر اذا رجل يصلي، واذا لجام دابته بيده فجعلت الدابة تنازعه، وجعل يتبعها ـ قال شعبة ـ هو ابو برزة الاسلمي ـ فجعل رجل من الخوارج يقول اللهم افعل بهذا الشيخ‏.‏ فلما انصرف الشيخ قال اني سمعت قولكم، واني غزوت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ست غزوات او سبع غزوات وثمانيا، وشهدت تيسيره، واني ان كنت ان اراجع مع دابتي احب الى من ان ادعها ترجع الى مالفها فيشق على‏.‏


Narrated Al-Azraq bin Qais:

We were at Al-Ahwaz fighting the Al-Haruriya (tribe). While I was at the bank of a river a man was praying and the reins of his animal were in his hands and the animal was struggling and he was following the animal. (Shu`ba, a sub-narrator, said that man was Abu Barza Al-Aslami). A man from the Khawarij said, "O Allah! Be harsh to this sheik." And when the sheik (Abu Barza) finished his prayer, he said, "I heard your remark. No doubt, I participated with Allah's Messenger (ﷺ) in six or seven or eight holy battles and saw his leniency, and no doubt, I would rather retain my animal than let it return to its stable, as it would cause me much trouble. "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১২

পরিচ্ছেদঃ ২১/১১. সালাতে থাকাকালে পশু ছুটে পালালে।

১২১২. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হলো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সালাতে) দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ সূরাহ্ পাঠ করলেন, অতঃপর রুকূ‘ করলেন, আর তা দীর্ঘ করলেন। অতঃপর রুকূ‘ হতে মাথা তুলেন এবং অন্য একটি সূরাহ্ পাঠ করতে শুরু করলেন। পরে রুকূ‘ সমাপ্ত করে সিজদা্ করলেন। দ্বিতীয় রাকা‘আতেও এরূপ করলেন। অতঃপর বললেনঃ এ দু’টি (চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ) আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তোমরা তা দেখলে গ্রহণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে। আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে, আমাকে যা ওয়াদা করা হয়েছে তা সবই দেখতে পেয়েছি। এমনকি যখন তোমরা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে দেখেছিলে তখন আমি দেখলাম যে, জান্নাতের একটি (আঙ্গুর) গুচ্ছ নেয়ার ইচ্ছা করছি এবং জাহান্নামে দেখতে পেলাম যে, তার একাংশ অন্য অংশকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলছে। আর যখন তোমরা আমাকে পিছনে সরে আসতে দেখেছিলে আমি দেখলাম সেখানে আমর ইবনু লুহাইকে যে সায়িবাহ* প্রথা প্রবর্তন করেছিল। (১০৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৩৯)

بَاب إِذَا انْفَلَتَتْ الدَّابَّةُ فِي الصَّلاَةِ.

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَ سُورَةً طَوِيلَةً، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ بِسُورَةٍ أُخْرَى، ثُمَّ رَكَعَ حَتَّى قَضَاهَا وَسَجَدَ، ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ فِي الثَّانِيَةِ، ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ إِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى يُفْرَجَ عَنْكُمْ، لَقَدْ رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُهُ، حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أَتَقَدَّمُ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ، وَرَأَيْتُ فِيهَا عَمْرَو بْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن مقاتل، اخبرنا عبد الله، اخبرنا يونس، عن الزهري، عن عروة، قال قالت عاىشة خسفت الشمس، فقام النبي صلى الله عليه وسلم فقرا سورة طويلة، ثم ركع فاطال، ثم رفع راسه، ثم استفتح بسورة اخرى، ثم ركع حتى قضاها وسجد، ثم فعل ذلك في الثانية، ثم قال ‏ "‏ انهما ايتان من ايات الله، فاذا رايتم ذلك فصلوا حتى يفرج عنكم، لقد رايت في مقامي هذا كل شىء وعدته، حتى لقد رايتني اريد ان اخذ قطفا من الجنة حين رايتموني جعلت اتقدم، ولقد رايت جهنم يحطم بعضها بعضا حين رايتموني تاخرت، ورايت فيها عمرو بن لحى وهو الذي سيب السواىب ‏"‏‏.‏


Narrated `Aisha:

Once the sun eclipsed and Allah's Messenger (ﷺ) stood up for the prayer and recited a very long Sura and when bowed for a long while and then raised his head and started reciting another Sura. Then he bowed, and after finishing, he prostrated and did the same in the second rak`a and then said, "These (lunar and solar eclipses) are two of the signs of Allah and if you see them, pray till the eclipse is over. No doubt, while standing at this place I saw everything promised to me by Allah and I saw (Paradise) and I wanted to pluck a bunch (of grapes) therefrom, at the time when you saw me stepping forward. No doubt, I saw Hell with its different parts destroying each other when you saw me retreating and in it I saw `Amr bin Luhai who started the tradition of freeing animals (set them free) in the name of idols."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১৩

পরিচ্ছেদঃ ২১/১২. সালাতে থাকাবস্থায় থু থু নিক্ষেপ করা ও ফুঁ দেয়া।

وَيُذْكَرُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو نَفَخَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي سُجُودِهِ فِي كُسُوفٍ.

‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য গ্রহণের সালাতের সিজদার সময় ফুঁ দিয়েছিলেন।


১২১৩. ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের কিবলার দিকে নাকের শ্লেষ্মা দেখতে পেয়ে মসজিদের লোকদের উপর রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের প্রত্যেকের সামনে রয়েছেন, কাজেই তোমাদের কেউ সালাতে থাকাকালে থুথু ফেলবে না বা বর্ণনাকারী বলেছেন, নাক ঝাড়বে না। এ কথা বলার পর তিনি (মিম্বার হতে) নেমে এসে নিজের হাতে তা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করলেন এবং ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, তোমাদের কেউ যখন থুথু ফেলে তখন সে যেন তার বাঁ দিকে ফেলে। (৪০৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৪০)

بَاب مَا يَجُوزُ مِنَ الْبُصَاقِ وَالنَّفْخِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ، فَتَغَيَّظَ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ وَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ قِبَلَ أَحَدِكُمْ، فَإِذَا كَانَ فِي صَلاَتِهِ، فَلاَ يَبْزُقَنَّ ـ أَوْ قَالَ ـ لاَ يَتَنَخَّمَنَّ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ نَزَلَ فَحَتَّهَا بِيَدِهِ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ إِذَا بَزَقَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْزُقْ عَلَى يَسَارِهِ‏.‏

حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد، عن ايوب، عن نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ ان النبي صلى الله عليه وسلم راى نخامة في قبلة المسجد، فتغيظ على اهل المسجد وقال ‏ "‏ ان الله قبل احدكم، فاذا كان في صلاته، فلا يبزقن ـ او قال ـ لا يتنخمن ‏"‏‏.‏ ثم نزل فحتها بيده‏.‏ وقال ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ اذا بزق احدكم فليبزق على يساره‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

The Prophet (ﷺ) saw some sputum on the wall facing the Qibla of the mosque and became furious with the people of the mosque and said, "During the prayer, Allah is in front of everyone of you and so he should not spit (or said, 'He should not expectorate')." Then he got down and scratched the sputum with his hand. Ibn `Umar said (after narrating), "If anyone of you has to spit during the prayer, he should spit to his left."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১৪

পরিচ্ছেদঃ ২১/১২. সালাতে থাকাবস্থায় থু থু নিক্ষেপ করা ও ফুঁ দেয়া।

১২১৪. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে থাকে, তখন তো সে তার রবের সাথে নিবিড় আলাপে মশগুল থাকে। কাজেই সে যেন তার সামনে বা ডানে থু থু না ফেলে; তবে (প্রয়োজনে) বাঁ দিকে বা পায়ের নীচে ফেলবে। (২৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৪১)

بَاب مَا يَجُوزُ مِنَ الْبُصَاقِ وَالنَّفْخِ فِي الصَّلاَةِ

مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍعَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَ فِي الصَّلاَةِ فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ فَلاَ يَبْزُقَنَّ بَيْنَ يَدَيْهِ وَلاَ عَنْ يَمِينِهِ وَلَكِنْ عَنْ شِمَالِهِ تَحْتَ قَدَمِهِ الْيُسْرَى.

محمد حدثنا غندر حدثنا شعبة قال سمعت قتادة عن انس بن مالكعن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا كان في الصلاة فانه يناجي ربه فلا يبزقن بين يديه ولا عن يمينه ولكن عن شماله تحت قدمه اليسرى.


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "Whenever anyone of you is in prayer, he is speaking in private to his Lord and so he should neither spit in front of him nor on his right side but to his left side under his left foot."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১৫

পরিচ্ছেদঃ ২১/১৪. মুসল্লীকে সম্মুখে এগোতে অথবা অপেক্ষা করতে বলা হলে সে যদি অপেক্ষা করে তবে এতে গুনাহ নেই।

21/13. بَابُ مَنْ صَفَّقَ جَاهِلاً مِنَ الرِّجَالِ فِي صَلاَتِهِ

২১/১৩ যে ব্যাক্তি অজান্তে সালাতে হাততালি দেয় তার সালাত বিনষ্ট হয় না।

لَمْ تَفْسُدْ صَلاَتُهُ فِيهِ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍtعَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

এ বিষয়ে সাহল ইবনু সা’দ (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।


১২১৫. সাহল ইবনু সা’দ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সালাত আদায় করতেন এবং তাঁরা তাদের লুঙ্গি ছোট হবার কারণে ঘাড়ের সাথে বেঁধে রাখতেন। তাই মহিলাগণকে বলা হল, পুরুষগণ সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত তোমরা (সাজ্দাহ হতে) মাথা তুলবে না। (৩৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৪২)

بَاب إِذَا قِيلَ لِلْمُصَلِّي تَقَدَّمْ أَوْ انْتَظِرْ فَانْتَظَرَ فَلاَ بَأْسَ.

مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍقَالَ كَانَ النَّاسُ يُصَلُّونَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ عَاقِدُو أُزْرِهِمْ مِنْ الصِّغَرِ عَلَى رِقَابِهِمْ فَقِيلَ لِلنِّسَاءِ لاَ تَرْفَعْنَ رُءُوسَكُنَّ حَتَّى يَسْتَوِيَ الرِّجَالُ جُلُوسًا.

محمد بن كثير اخبرنا سفيان عن ابي حازم عن سهل بن سعدقال كان الناس يصلون مع النبي صلى الله عليه وسلم وهم عاقدو ازرهم من الصغر على رقابهم فقيل للنساء لا ترفعن رءوسكن حتى يستوي الرجال جلوسا.


Narrated Sahl bin Sa`d:

The people used to offer the prayer with the Prophet (ﷺ) with their waist-sheets tied round their necks because of the shortness of the sheets and the women were ordered not to lift their heads till the men had sat straight.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১৬

পরিচ্ছেদঃ ২১/১৫. সালাতে সালামের উত্তর দিবে না।

১২১৬. ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তাঁর সালাতে সালাম করতাম। তিনি আমাকে সালামের জবাব দিতেন। আমরা (আবিসিনিয়া হতে) ফিরে এসে তাঁকে (সালাতে) সালাম করলাম। তিনি জওয়াব দিলেন না এবং পরে বললেনঃ সালাতে আছে নিমগ্নতা। (১১৯৯; মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৪০, আহমাদ ১৪৫৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৪৩)

بَاب لاَ يَرُدُّ السَّلاَمَ فِي الصَّلاَةِ

عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ كُنْتُ أُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَرُدُّ عَلَيَّ فَلَمَّا رَجَعْنَا سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ وَقَالَ إِنَّ فِي الصَّلاَةِ لَشُغْلاً.

عبد الله بن ابي شيبة حدثنا ابن فضيل عن الاعمش عن ابراهيم عن علقمة عن عبد الله قال كنت اسلم على النبي صلى الله عليه وسلم وهو في الصلاة فيرد علي فلما رجعنا سلمت عليه فلم يرد علي وقال ان في الصلاة لشغلا.


Narrated `Abdullah:

I used to greet the Prophet (ﷺ) while he was in prayer and he would return my greeting, but when we returned (from Ethiopia) I greeted the Prophet (while he was praying) but he did not return the greeting, and (after finishing the prayer) he said, "In the prayer one is occupied (with a more serious matter)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
১২১৭

পরিচ্ছেদঃ ২১/১৫. সালাতে সালামের উত্তর দিবে না।

১২১৭. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তাঁর একটি কাজে পাঠালেন, আমি গেলাম এবং কাজটি সেরে ফিরে এলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে সালাম করলাম। তিনি জওয়াব দিলেন না। এতে আমার মনে এমন খটকা লাগল যা আল্লাহ্ই ভাল জানেন। আমি মনে মনে বললাম, সম্ভবত আমি বিলম্বে আসার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম; তিনি জওয়াব দিলেন না। ফলে আমার মনে প্রথম বারের চেয়েও অধিক খটকা লাগল। (সালাত শেষে) আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম এবার তিনি সালামের জওয়াব দিলেন এবং বললেনঃ সালাতে ছিলাম বলে তোমার সালামের জওয়াব দিতে পারিনি। তিনি তখন তাঁর বাহনের পিঠে কিবলা হতে অন্যমুখে ছিলেন। (মুসলিম ৫/৭, হাঃ ৫৪০, আহমাদ ১৪৫৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৪৪)

بَاب لاَ يَرُدُّ السَّلاَمَ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ شِنْظِيرٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَاجَةٍ لَهُ فَانْطَلَقْتُ، ثُمَّ رَجَعْتُ وَقَدْ قَضَيْتُهَا، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ، فَوَقَعَ فِي قَلْبِي مَا اللَّهُ أَعْلَمُ بِهِ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي لَعَلَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ عَلَىَّ أَنِّي أَبْطَأْتُ عَلَيْهِ، ثُمَّ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ، فَوَقَعَ فِي قَلْبِي أَشَدُّ مِنَ الْمَرَّةِ الأُولَى، ثُمَّ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَىَّ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّمَا مَنَعَنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي ‏"‏‏.‏ وَكَانَ عَلَى رَاحِلَتِهِ مُتَوَجِّهًا إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ‏.‏

حدثنا ابو معمر، حدثنا عبد الوارث، حدثنا كثير بن شنظير، عن عطاء بن ابي رباح، عن جابر بن عبد الله ـ رضى الله عنهما ـ قال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم في حاجة له فانطلقت، ثم رجعت وقد قضيتها، فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم فسلمت عليه، فلم يرد على، فوقع في قلبي ما الله اعلم به فقلت في نفسي لعل رسول الله صلى الله عليه وسلم وجد على اني ابطات عليه، ثم سلمت عليه فلم يرد على، فوقع في قلبي اشد من المرة الاولى، ثم سلمت عليه فرد على فقال ‏ "‏ انما منعني ان ارد عليك اني كنت اصلي ‏"‏‏.‏ وكان على راحلته متوجها الى غير القبلة‏.‏


Narrated Jabir bin `Abdullah:

Allah's Messenger (ﷺ) sent me for some job and when I had finished it I returned and came to the Prophet (ﷺ) and greeted him but he did not return my greeting. So I felt so sorry that only Allah knows it and I said to myself,, 'Perhaps Allah's Messenger (ﷺ) is angry because I did not come quickly, then again I greeted him but he did not reply. I felt even more sorry than I did the first time. Again I greeted him and he returned the greeting and said, "The thing which prevented me from returning the greeting was that I was praying." And at that time he was on his Rahila and his face was not towards the Qibla.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২১/ সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ (كتاب العمل فى الصلاة) 21/ Actions while Praying
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »