দু’ক্ষেত্রে তাক্বলীদ করা হয়-
প্রথম: মুকাল্লিদ ব্যক্তি একেবারেই সাধারণ মানুষ, যিনি নিজে নিজে শারঈ হুকুম জানতে পারেন না। সুতরাং তার জন্য আবশ্যক হলো তাক্বলীদ করা। আল্লাহ বলেছেন,
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
‘‘যদি তোমরা না জানো, তবে জ্ঞানীদের থেকে জেনে নাও (সূরা আন-নাহল ১৬:৪৩)।’’
এব্যাপারে তিনি ইলম ও আল্লাহভীরুতার দিক দিয়ে যাকে শ্রেষ্ঠ পাবেন, তার অনুসরণ করবেন। এক্ষেত্রে যদি দু’জন ব্যক্তি সমপর্যায়ের হয়, তাহলে তাদের যে কারো অনুসরণ করার মাঝে তার স্বাধীনতা থাকবে।
দ্বিতীয়: মুজতাহিদের নিকট এমন কিছু ঘটবে, যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানযোগ্য। এ ক্ষেত্রে যখন তার চিন্তা-ভাবনার অবকাশ থাকে না। এ অবস্থায় অন্যের তাক্বলীদ করা বিধেয় হবে।
তাক্বলীদ জায়েয হওয়ার জন্য কেউ কেউ এটাও শর্ত করেছেন যে, বিষয়টি দীনের এমন মৌলিক বিষয় হবে না, যা বিশ্বাস করা ওয়াজিব। কেননা, আক্বীদাগত বিষয়সমূহের ব্যাপারে ব্যক্তিকে দৃঢ় বিশ্বাসী হতে হয়। অথচ তাক্বলীদ শুধুমাত্র প্রবল ধারণার উপকারে আসে। কিন্তু অগ্রাধিকারযোগ্য অভিমত হলো, এটা শর্ত নয়। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা ব্যাপকভাবে বলেছেন,
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
‘‘যদি তোমরা না জানো, তবে জ্ঞানীদের থেকে জেনে নাও (সূরা আন-নাহল ১৬:৪৩)।’’
আয়াতটি রিসালাতকে সাব্যস্ত করার প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ রিসালাত দীনের মৌলিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। উপরন্তু সাধারণ মানুষ দলীলের মাধ্যমে হক্ব জানতে সক্ষম হয় না। তাই যখন নিজে নিজে হক্ব জানা অসম্ভব হবে, তখন তাক্বলীদ করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। আল্লাহর বাণী:
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ
‘‘তোমরা তোমাদের সাধ্য অনুসারে আল্লাহকে ভয় করো (সূরা আত-ত্বাগাবুন ৬৪:১৬)।’’