الأحكام শব্দটি حكم এর বহুবচন। এর আভিধানিক অর্থ ফায়ছালা করা।
পারিভাষিক অর্থ:
ما اقتضاه خطاب الشرع المتعلق بأفعال المكلفين من طلب أو تخيير أو وضع
‘‘মুকাল্লাফ (যাদের উপর শরীয়াতের বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়) এমন ব্যক্তির কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট শরীয়াতের খেতাব (কুরআন ও হাদীছ) যে তলব (কোন কাজ করা অথবা না করার দাবী), তাখয়ীর (কোন কাজ করা বা না করার জন্য ঐচ্ছিকতা প্রদান) অথবা প্রতীকী বিধান যা কিছু দাবী করে, তাকে আহকাম বলে।’’
خطاب الشرع (শরীয়াতের খেতাব বা সম্বোধন) এ কথা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কুরআন ও সুন্নাহ।[1]
المتعلق بأفعال المكلفين (মুকাল্লাফ ব্যক্তির কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট) এ অংশ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যা তাদের আমলের সাথে সংশ্লিষ্ট; সেটা কথা হোক অথবা কর্ম, করণীয় হোক অথবা বর্জনীয় হোক। সুতরাং উক্ত বক্তব্য দ্বারা আক্বীদা সংশ্লিষ্ট বিষয় বের হয়ে গেছে। অতএব, এ পরিভাষা অনুসারে আক্বীদা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে ‘হুকুম’ হিসাবে অভিহিত করা হবে না।
আমাদের বক্তব্য: المكلفين(শরীয়তের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি) যাদের বৈশিষ্ট্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া এ কথা দ্বারা তারাই উদ্দেশ্য। সুতরাং এটি শিশু ও পাগলকে অন্তর্ভুক্ত করবে না।
আমাদের বক্তব্য: من طلب(কোন তলব) এ কথা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আদেশ ও নিষেধ। চাই তা আবশ্যকতার ভিত্তিতে হোক অথবা উত্তমতার ভিত্তিতে হোক।[2]
আমাদের বক্তব্য: أو تخيير (ঐচ্ছিকতা) এ শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুবাহ বা বৈধ বিষয়।[3]
আমাদের বক্তব্য: أو وضع (প্রতীকী বিধান) এ শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শুদ্ধ, অশুদ্ধ প্রভৃতি বিষয় যেগুলিকে শরীয়ত প্রণেতা কোন কাজ বাস্তবায়ন করা অথবা বাতিল করে দেয়ার বিশেষণ ও প্রতীক হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ইজমা ও ক্বিয়াসকে খেতাব বলা হয় না। কেননা, এগুলির মাধ্যমে শরীয়ত প্রণেতা আমাদেরকে সম্বোধন করেন না। এগুলি মূলতঃ কুরআন-সুন্নাহ উৎসারিত প্রশাখাগত দলীল।
[2]. তলব অর্থ চাওয়া, দাবী করা প্রভৃতি। উসূলে ফিক্বহ শাস্ত্রে তলব বলতে শারঈ আদেশ ও নিষেধ বুঝায়। অর্থাৎ কোন কাজ করা বা না করার দাবীকেই তলব বলে।
[3]. শরীয়ত প্রণেতা কর্তৃক কোন কাজ করা বা না করার ঐচ্ছিকতা প্রদানকে তাখয়ীর বলে। যেমন: সফরে ছিয়াম পালন করা।