নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.)
৭। বিতরের ছালাত (صلاة الوتر)
كان صلى الله عليه وسلم يقرا في الركعة الأولى (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى)، و في الثانیة (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ)، وفي الثالثة (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রথম রাকাআতে “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল ‘আলা” (৮৭ : ১৯) দ্বিতীয় রাকাআতে “কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন” (১০৯ : ৬) এবং তৃতীয় রাকাআতে “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ” (১১২ : ৪) পড়তেন।[1] কখনো সূরা ইখলাছের সাথে তৃতীয় রাকাআতে “কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক” (১১৩ : ৫) ও “কুল আউযু বিরাব্বিন না-স” (১১৪ : ৬) যোগ করতেন।[2]
একবার বিতরের (বেজোড়) রাকাআতে তিনি সূরা 'নিসা’ (৪ : ১৭৬) থেকে একশত আয়াত পাঠ করেন।[3] বিতর ছালাতের পরের দু’রাকাআতে[4] ‘ইয-যুলাযিলাত’ (৯৯ : ৮) ও ‘কুল ইয়া-আইয়ুহাল কাফিরুন’ পাঠ করতেন।[5]
[1] নাসাঈ ও হাকিম এবং তিনি একে ছহীহ বলেছেন।
[2] তিরমিযী, আবুল আব্বাস আল আছম্ম স্বীয় ‘হাদীছ’ গ্রন্থে (২য় খণ্ড ১১৭ নং), হাকিম এবং তিনি একে ছহীহ বলেছেন ও যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন।
[3] নাসাঈ ও আহমাদ ছহীহ সনদে।
[4] এই দুই রাকাআত পড়া ছহীহ মুসলিম ও অন্যান্য কিতাবে সাব্যস্ত আছে। তবে এ দুরাকাআত পড়া অপর আরেকটি হাদীছের বিপরীত হয়। তা হচ্ছে- اجعلوا اخر صلوتكم باليل وترا অর্থাৎ তোমাদের রাত্রিকালীন ছালাতের সর্বশেষে বিতরকে রাখবে। আলিমগণ উভয় হাদীছের মধ্যে সমতা বিধান করতে গিয়ে মতবিরোধ করেছেন। কিন্তু এর কোনটাই আমার নিকট প্রাধান্য যোগ্য মনে হয়নি। পূর্বোক্ত আদেশের উপর আমল করতে গিয়ে সতর্কতা স্বরূপ দুরাকাআত না পড়ায় শ্ৰেয়, আল্লাহ সর্বজ্ঞ। তবে পরবর্তীতে আমি একটি বিশুদ্ধ হাদীছ অবহিত হই যাতে বিতরের পরে দু’রাকাআত পড়ার আদেশ রয়েছে, অতএব কাজের সাথে আদেশ সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেকের জন্য এই দুরাকাআত পড়া সাব্যস্ত হল। এমতাবস্থায় (বিতর সংক্রান্ত) প্রথম নির্দেশ তথা হাদীছটিকে শেষে রাখাটা মুসতাহাব এ অর্থে নিতে হবে। ফলে কোন দ্বন্দ্ব থাকে না। আমি বিতরের পরে দুরাকাআত আদেশসূচক হাদীছ “ছিলসিলা ছহীহাহ” (১৯৯৩) তে উদ্ধৃত করেছি। আল্লাহর তাউফীক দানের উপর তাঁর যাবতীয় প্রশংসা।
[5] আহমাদ, ইবনু নাছর, ত্বাহাবী (১/২০০২) ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান, হাসান ছহীহ সনদে।
[2] তিরমিযী, আবুল আব্বাস আল আছম্ম স্বীয় ‘হাদীছ’ গ্রন্থে (২য় খণ্ড ১১৭ নং), হাকিম এবং তিনি একে ছহীহ বলেছেন ও যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন।
[3] নাসাঈ ও আহমাদ ছহীহ সনদে।
[4] এই দুই রাকাআত পড়া ছহীহ মুসলিম ও অন্যান্য কিতাবে সাব্যস্ত আছে। তবে এ দুরাকাআত পড়া অপর আরেকটি হাদীছের বিপরীত হয়। তা হচ্ছে- اجعلوا اخر صلوتكم باليل وترا অর্থাৎ তোমাদের রাত্রিকালীন ছালাতের সর্বশেষে বিতরকে রাখবে। আলিমগণ উভয় হাদীছের মধ্যে সমতা বিধান করতে গিয়ে মতবিরোধ করেছেন। কিন্তু এর কোনটাই আমার নিকট প্রাধান্য যোগ্য মনে হয়নি। পূর্বোক্ত আদেশের উপর আমল করতে গিয়ে সতর্কতা স্বরূপ দুরাকাআত না পড়ায় শ্ৰেয়, আল্লাহ সর্বজ্ঞ। তবে পরবর্তীতে আমি একটি বিশুদ্ধ হাদীছ অবহিত হই যাতে বিতরের পরে দু’রাকাআত পড়ার আদেশ রয়েছে, অতএব কাজের সাথে আদেশ সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেকের জন্য এই দুরাকাআত পড়া সাব্যস্ত হল। এমতাবস্থায় (বিতর সংক্রান্ত) প্রথম নির্দেশ তথা হাদীছটিকে শেষে রাখাটা মুসতাহাব এ অর্থে নিতে হবে। ফলে কোন দ্বন্দ্ব থাকে না। আমি বিতরের পরে দুরাকাআত আদেশসূচক হাদীছ “ছিলসিলা ছহীহাহ” (১৯৯৩) তে উদ্ধৃত করেছি। আল্লাহর তাউফীক দানের উপর তাঁর যাবতীয় প্রশংসা।
[5] আহমাদ, ইবনু নাছর, ত্বাহাবী (১/২০০২) ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান, হাসান ছহীহ সনদে।