ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ছিয়াম (রোযা) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
প্রশ্ন: (৪২৩) সাওম আদায়কারীর নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করার বিধান কী?

উত্তর: নাকের ড্রপ যদি নাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে তবে সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা লাক্বীত ইবন সাবুরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেন, وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا “সিয়াম অবস্থায় না থাকলে অযুর ক্ষেত্রে নাকে অতিরিক্ত পানি নিবে।”[1] অতএব, পেটে পৌঁছে এরকম করে সাওম আদায়কারীর নাকে ড্রপ ব্যবহার করা জায়েয নয়। কিন্তু পেটে না পৌঁছলে কোনো অসুবিধা নেই।

চোখে ড্রপ ব্যবহার করা সুরমা ব্যবহার করার ন্যায়। এতে সাওম নষ্ট হবে না। অনুরূপভাবে কানে ড্রপ ব্যবহারেও সাওম বিনষ্ট হবে না। কেননা এসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কোনো দলীল নেই এবং যে সব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা এসেছে এগুলো তারও অন্তর্ভুক্ত নয়। চোখ বা কান দ্বারা পানাহার করা যায় না। এগুলো শরীরের অন্যান্য চামড়ার লোম কুপের মতো।

বিদ্বানগণ উল্লেখ করেছেন, কোনো লোকের পায়ের তলায় যদি তরল কোনো পদার্থ লাগানো হয় এবং এর স্বাদ গলায় অনুভব করে, তবে সাওমের কোনো ক্ষতি হবে না। কেননা উহা খানা-পিনা গ্রহণের স্থান নয়। অতএব, সুরমা ব্যবহার করলে, চোখে বা কানে ড্রপ ব্যবহার করলে সাওম নষ্ট হবে না- যদিও এগুলো ব্যবহার করলে গলায় স্বাদ অনুভব করে।

অনুরূপভাবে চিকিৎসার জন্য অথবা অন্য কোনো কারণে যদি কেউ তৈল ব্যবহার করে, তাতেও সাওমের কোনো ক্ষতি হবে না।এমনিভাবে শ্বাস কষ্ট দূর করার জন্য যদি মুখে পাইপ লাগিয়ে অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে চলমান করা হয়, এবং তা পেটে পৌঁছে, তাতেও সাওমের কোনো ক্ষতি হবে না। কেননা তা পানাহারের অন্তর্ভুক্ত নয়।

>
[1] আবু দাঊদ, অধ্যায়: নাক ঝাড়া, ১৪২; তিরমিযী, অধ্যায়: পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ: আঙ্গুল খিলাল করার বর্ণনা; নাসাঈ, অধ্যায়: পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ: নাকে পানি নেওয়ায় বাড়াবাড়ি করা; ইবন মাজাহ, অধ্যায়: পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ: আঙ্গুল খিলাল করার বর্ণনা।