উত্তর: বল, হ্যাঁ, তারা আখিরাতে তাদের রবকে দেখবে। তার স্বপক্ষে দলীল হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿ وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٖ نَّاضِرَةٌ ٢٢ إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٞ ٢٣ ﴾ [القيامة: ٢٢، ٢٣]
“সেদিন কতক মুখমণ্ডল হবে হাস্যোজ্জল। তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে”। [সূরা আল-কিয়ামাহ, আয়াত: ২২-২৩] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা অবশ্যই তোমাদের রবকে দেখবে”। হাদীসটি সহীহ বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। মুমিনগণ তাদের মহান রবকে দেখার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুতাওয়াতির সূত্রে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সাহাবীগণ এবং উত্তমভাবে তাদের অনুসারীরা এ ব্যাপারে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন। অতএব যে আল্লাহর দিদার অস্বীকার করল সে আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতা করল এবং সাহাবীগণ ও উত্তমভাবে তাদের অনুসারী মুমিনদের পথের বিরুদ্ধাচরণ করল। তবে দুনিয়াতে দেখা সম্ভবপর নয়। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা তোমাদের রবকে মৃত্যুর পূর্বে দেখতে পাবে না”। অধিকন্তু আল্লাহর নবী মুসা আলাইহিস সালাম যখন দুনিয়াতে আল্লাহকে দেখার আবেদন করেছিলেন, তখন তিনি বলেছেন, তুমি আমাকে দেখতে পারবে না। যেমন- তার বাণীতে এসেছে—
﴿وَلَمَّا جَآءَ مُوسَىٰ لِمِيقَٰتِنَا وَكَلَّمَهُۥ رَبُّهُۥ قَالَ رَبِّ أَرِنِيٓ أَنظُرۡ إِلَيۡكَۚ قَالَ لَن تَرَىٰنِي ١٤٣﴾ [الاعراف: ١٤٢]
“আর যখন আমার নির্ধারিত সময়ে মূসা এসে গেল এবং তার রব তার সাথে কথা বললেন। সে বলল, হে আমার রব, আপনি আমাকে দেখা দিন, আমি আপনাকে দেখব। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনো দেখবে না”। [সূরা আরাফ, আয়াত: ১৪৩]