প্রশ্ন: যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ক্বাযা ও কাদার বা তাকদীর এর প্রতি ঈমান কিভাবে আনা হয়?

উত্তর: বল, দৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস করা দ্বারা যে, প্রত্যেক বস্তু আল্লাহর নির্ধারণ ও তাকদীর অনুযায়ী হয়। তার ইচ্ছা ব্যতীত কোনো কিছুই হয় না। তিনি বান্দাদের ভালো-মন্দ কর্মসমূহের স্রষ্টা। তিনিই বান্দাদেরকে কল্যাণ ও সত্য কবুল করার স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাদেরকে প্রার্থক্যকারী বিবেক দিয়েছেন। আর তাদের দিয়েছেন ইচ্ছা, যা দ্বারা তারা গ্রহণ করবে। তাদের জন্য সত্যকে সুস্পষ্ট করেছেন এবং বাতিল থেকে সতর্ক করেছেন। স্বীয় অনুগ্রহে যাকে চান হিদায়াত দেন এবং যাকে ইচ্ছা স্বীয় ইনসাফের ভিত্তিতে গোমরাহ করেন। তিনি হিকমত-পূর্ণ, প্রজ্ঞাবান ও দয়ালু। তিনি যা করেন, সে সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা যাবে না, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে।

তাকদীরের স্তর চারটি। যেমন,

প্রথম স্তর: আল্লাহর ইলমের প্রতি ঈমান আনা যে, তিনি প্রত্যেক জিনিসকে বেষ্টনকারী। যা হয়েছে এবং যা হবে, আর যা হয়নি, যদি হতো তা কিভাবে হবে, এ সব বিষয়ে তিনি অবশ্যই জ্ঞাত।

দ্বিতীয় স্তর: ঈমান আনা যে, আল্লাহ প্রত্যেক জিনিষ লিখে রেখেছেন।

তৃতীয় স্তর: ঈমান আনা যে, তার ইচ্ছা ব্যতীত কোনো কিছুই হয় না।

চতুর্থ স্তর: ঈমান আনা যে, আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা। তিনিই বস্তুর সত্তা, কর্ম, কথা, নড়াচড়া, স্থিরতা এবং ঊর্ধ্ব জগত ও নিম্ন জগতের সকল বস্তুর গুণাগুণ সৃষ্টিকারী। উক্ত বক্তব্যের দলীল-প্রমাণসমূহ কুরআন ও হাদীসে প্রচুর রয়েছে।