উত্তর: বল, মীলাদুন্নবী উদযাপন করার নির্দেশ কিতাব ও সুন্নাতের কোথাও আসেনি। শরয়ীতে এর কোনো দলীলও নেই। কোনো সাহাবী থেকে এটি প্রমাণিত নয় এবং চার ইমামের কোনো ইমাম এটি করতে বলেননি। এটি যদি ভালো ও আনুগত্য হত তবে আমাদের আগেই তারা করতেন। মীলাদ উদযাপনকারীরা বলে, তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মীলাদুন্নবী উদযাপন করে। বস্তুত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরযে আইন। তাঁকে ভালোবাসা ব্যতীত কারো ঈমান বিশুদ্ধ হয় না। তবে তা হয় তার আনুগত্যের মাধ্যমে; তার মীলাদ উদযাপন করার মাধ্যমে নয়। এটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছে নাস্তিক বাতেনী উবাইদী নামক ফিরকা। তারা নিজেদের ফাতেমী বলত। এটি ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর চারশো বছর পরের ঘটনা। মীলাদ উদযাপনকারীরা সোমবার দিন মীলাদ (জন্মদিবস) উদযাপন করে থাকে। অথচ সেটি হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যু-দিবস। প্রকৃতপক্ষে মীলাদুন্নবী উদযাপন খ্রিস্টানদের ঈসা আলাইহিস সালামের মীলাদ উদযাপন করার অনুসরণ ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ আমাদেরকে পরিপূর্ণ, পরিচ্ছন্ন, পবিত্র ও নির্ভেজাল শরীয়ত দিয়ে পথভ্রষ্ট জাতিসমূহের বিদ‘আত, নতুন সৃষ্ট কুসংস্কার থেকে মুক্ত রেখেছেন। সমগ্র সৃষ্টি-জগতের রব আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা।