উসূলে ফিক্বহ (ফিক্বহের মূলনীতি) তাক্বলীদ (التقليد) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

فَاسْأَلوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ

‘‘যদি তোমরা না জানো, তবে জ্ঞানীদের থেকে জেনে নাও।’’ (সূরা নাহল ১৬:৪৩)

এখানে أَهْلَ الذِّكْرِ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো أهل العلم বা বিদ্বান। আর মুকাল্লিদ أهل العلم বা বিদ্বান নয়। বরং সে নিজেই অন্যের অনুগামী।

আবু উমার বিন আব্দুল বার ও অন্যান্য বিদ্বান বলেছেন,

أجمع الناس علي أن المقلد ليس معدودا من اهل العلم. وأن العلم معرفة الحق بدليله

‘‘সমস্ত মানুষ একমত যে, মুকাল্লিদ أهل العلم দের পর্যায়ভুক্ত নয়। অথচ علم হলো দলীলসহ হক্ব জানা।’’

ইবনুল কাইয়ুম (রহঃ) তেমনই বলেছেন, যেমনটা আবু আমর বলেছেন, নিশ্চয় বিষয়টি মূলতঃ তেমনই। কেননা, বিদ্বানগণের মাঝে এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই যে, ইলম হলো দলীল থেকে অর্জিত জ্ঞান। পক্ষান্তরে দলীল ছাড়া জ্ঞান হলো তাক্বলীদ।

তারপর ইবনুল কাইয়ুম (রহঃ) তাক্বলীদের মাধ্যমে ফাতাওয়া দেয়া জায়েয় হওয়ার ব্যাপারে তিনটি অভিমত বর্ণনা করেছেন।

প্রথম: তাক্বলীদের মাধ্যমে ফাতাওয়া দেয়া জায়েয নেই। কেননা, তাক্বলীদ কোন ইলম নয়। আর ইলম ছাড়া ফাতাওয়া দেয়া হারাম। এটিই হলো অধিকাংশ হাম্বলী অনুসারী ও অধিকাংশ শাফেয়ীদের অভিমত।

দ্বিতীয়: এটি নিজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জায়েয। আর যে বিষয়ে সে নিজেই অন্যকে ফাতাওয়া দেয়, সে বিষয়ে তার জন্য অন্যের তাক্বলীদ করা জায়েয নেই।

তৃতীয়: প্রয়োজন সাপেক্ষে এবং মুজতাহিদ আলিমের অনুপস্থিতির কারণে তা জায়েয। এটিই হলো অধিকতর বিশুদ্ধ অভিমত এবং এর উপর বিদ্বানদের আমল রয়েছে।[1] এখানে তার কথা সমাপ্ত হলো।

এ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমরা যা লিখতে চেয়েছিলাম, তা এর মাধ্যমেই পরিসমাপ্তি ঘটছে। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যে, তিনি যেন আমাদের কথা ও কাজে ‘সঠিকতা’ ঢেলে দেন, আমাদের কর্মগুলোকে সফলতার মুকুট পরিয়ে দেন। নিশ্চয় তিনি দানশীল, মহানুভব। আল্লাহ তা‘য়ালা রহমত ও শান্তির ধারা বর্ষণ করুন আমাদের নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ও তার পরিবার পরিজনের প্রতি।

[1].ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন ১/৭।