উসূলে ফিক্বহ (ফিক্বহের মূলনীতি) ইজমা (الاجماع) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি

ইজমা দু’প্রকার। যথা:

১. القطعي (অকাট্ট ইজমা)

২. الظني (প্রবল ধারণা মূলক ইজমা)

১. القطعي (অকাট্ট ইজমা): যে ইজমা উম্মতের পক্ষ হতে অবধারিতভাবে সংঘঠিত হওয়া জানা যায়, তাকে القطعي ইজমা বলে। যেমন: পাঁচ ওয়াক্ত ছ্বলাত ফরজ হওয়ার উপর ইজমা, ব্যভিচার হারাম হওয়ার উপর ইজমা প্রভৃতি। এ ধরণের ইজমা সাব্যস্ত হওয়া এবং প্রমাণ্যতাকে কেউ অস্বীকার করে না। এ ইজমা বিরোধী ব্যক্তি অজ্ঞ না হলে কাফের গণ্য হবে।

২. الظني (প্রবল ধারণা মূলক ইজমা): যে ইজমা অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, তাকে الظني ইজমা বলে। এ ধরনের ইজমা সাব্যস্ত হওয়া সম্ভবের ব্যাপারে বিদ্বানগণ মতভেদ করেছেন। তবে এ ব্যাপারে অধিকতর অগ্রগণ্য মত হলো শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) এর অভিমত। العقيدة الواسطية নামক গ্রন্থে তিনি বলেছেন,

الاجماع الذي ينضبط ما كان عليه السلف الصالح اذ بعدهم كثر الإختلاف وانتشرت الأمة.

‘‘বিধিবদ্ধ ইজমা সেটাই যার উপর সালাফে সালেহীন ছিলেন। কারণ তাঁদের পরে প্রচুর পরিমাণে মতানৈক্য বৃদ্ধি পায় এবং উম্মাহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।’’[1]

তুমি জেনো রেখো, রহিত নয় এমন সুস্পষ্ট ছহীহ দলীলের বিপক্ষে এ উম্মতের ইজমা বা ঐক্যমত পোষণ করা সম্ভব নয়। কেননা, এ উম্মতের কেবল হক্বের উপরই ঐক্যমত পোষন করতে পারে।কাজেই যখন কোন ইজমাকে দলীলের বিরোধী মনে হবে, সেক্ষেত্রে তুমি দেখতে পাবে যে, হয়ত দলীলটি ছহীহ নয়, অথবা তা দ্ব্যর্থহীন বা সুস্পষ্ট নয় অথবা সেটি মানসুখ বা রহিত অথবা মাস’আলাটিতে মতানৈক্য রয়েছে, যা তুমি জানো না।

[1]. দেখুন, লেখকের শারহুল আক্বীদা ওয়াসীতিয়্যাহ ২/৩২৮।