২১. বৈঠক বসে যে দু‘আ পড়তে হয় :
رَبِّ اغْفِرْ لِىْ وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ : রব্বিগ ফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাও্ওয়া-বুর্ রহীম ।
অর্থ : হে আমার রব্! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ্ কবূল করুন। কেননা আপনি তাওবাহ্ কবূলকারী ক্ষমাশীল।[1]
২২. বৈঠক শেষের দু‘আ :
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র এবং আপনার প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাওবাহ্ করছি।[2]
২৩.
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَسُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ
উচ্চারণ : লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া সুবহা-নাল্লা-হ, ওয়ালহামদুলিল্লা-হ, ওয়ালা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনও ইলাহ নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে মহান, আল্লাহ পবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। আল্লাহ ছাড়া কোনও উপায় ও সামর্থ নেই।[3]
২৪. আহারের পর নির্দিষ্ট দু‘আ পাঠ করা :
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ أَطْعَمَنِىْ هٰذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّىْ وَلَا قُوَّةٍ
উচ্চারণ : আলহাম্দুলিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যাত্ব ত্ব‘আ-মা ওয়া রযাক্বানীহি মিন গইরি হাওলিম্ মিন্নী ওয়ালা- ক্যুওয়াহ্।
অর্থ : সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এই খাদ্য খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন উপায় ও সামর্থ ছাড়াই।[4]
২৫. কাপড় পরার সময় নির্দিষ্ট দু‘আ পাঠ করা :
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ كَسَانِىْ هٰذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّىْ وَلَا قُوَّةٍ
উচ্চারণ : আলহাম্দুলিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হা-যাস্ সাওবা ওয়া রযাক্বানীহি মিন গইরি হাওলিম্ মিন্নী ওয়ালা- ক্যুওয়াহ্।
অর্থ : সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এই কাপড় পরালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন উপায় ও সামর্থ্য ছাড়াই।[5]
২৬. ঘুমাবার সময় বিছানায় শুয়ে দু‘আ পাঠ করা :
لَا إلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْك لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণ : লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ। সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার।
অর্থ : আল্লাহু ছাড়া সত্যিকারের কোনও ইলাহ নেই, তাঁর কোনও অংশীদার নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা, এবং তিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনও উপায় ও সামর্থ্য নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোনও সত্যিকারের ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সবার চেয়ে মহান বা বড়।[6]
২৭. ইস্তিগফার ও তাওবাহ্ সম্বলিত নির্দিষ্ট দু‘আ পাঠ
أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অর্থ : আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য মা‘বূদ (‘ইবাদাতের যোগ্য) নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর এবং আমি তাঁর কাছে তাওবাহ্ করছি।[7]
২৮. আযান শুনে নির্দিষ্ট দু‘আ পড়া :
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيكَ لَه وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُولُه رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالإِسْلَامِ دِينًا
উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু, রযীতু বিল্লা-হি রব্বাও ওয়াবি মুহাম্মাদিন রাসূলান ওয়াবিল ইসলা-মী দীনা-।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা‘বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও প্রেরিত রাসূল। আল্লাহকে রব্ বলে মেনে নিতে, নাবী (সা.)-কে নাবীরূপে স্বীকার করতে এবং ইসলামকে দীন হিসেবে গ্রহণ করতে আমি সম্মত ও তুষ্ট হয়েছি।[8]
২৯. নির্দিষ্ট জিকির ও তাসবীহ্ পাঠ করা :
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদু লিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার।
অর্থ : নিশ্চয় সুবহা-নাল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ ওয়াল্লা-হু আকবার।[9]
৩০. মজলিস শেষে নির্দিষ্ট দু‘আ পাঠ করা :
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা আপনার জন্য। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই, আপনার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি।
তাহলে উক্ত মজলিসে তার যে অপরাধ হয়েছিল তা ক্ষমা করে দেয়া হবে।[10]
৩১. তাশাহহুদ পড়ে সলাত শেষ করার সময় নির্দিষ্ট দু‘আ পড়া :
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ يَا اَللهُ بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِىْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا أَحَدٌ أَنْ تَغْفِرَ لِىْ ذُنُوبِىْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ইয়া- আল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-হিদুল আহাদুস্ সমাদ, আল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহূ কুফুওয়ান আহাদ, আন তাগফিরা লী যুনূবী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর্ রহীম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই, হে আল্লাহ! আপনি তো সেই সত্ত্বা যিনি এক ও একক এবং অমুখাপেক্ষী, যিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমতুল্য বা সমকক্ষ কেউ নেই। আপনি আমার গুনাহগুলোকে মাফ করে দিন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।[11]
[2]. সুনান আবূ দাঊদ : ৪৮৬১; জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩৪৩৩, হাদীসটি সহীহ।
[3]. মুসনাদ আহমাদ : ৬৪৭৯; হাদীসটি হাসান। দিনের যে কোন সময় এই দু‘আটি যে ব্যক্তি পড়বে সে ব্যক্তির পাপরাশি মাফ হয়ে যাবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমান (বা তার থেকে বেশি) হয়।’’
[4]. সুনান আবূ দাঊদ : ৪০২৫, শু‘আবুল ঈমান : ৬২৮৫; গুনাহ মাফের কথা পূর্বে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় উল্লিখিত হয়েছে।
[5]. সুনান আবূ দাঊদ : ৪০২৫; শু‘আবুল ঈমান : ৬২৮৫; গুনাহ মাফের কথা পূর্বে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় উল্লিখিত হয়েছে।
[6]. সহীহ ইবনু হিব্বান : ৫৫২৮; ইবনু আবী শায়বাহ্ : ২৬৫২৭; আস্ সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ : ৩৪১৪; গুনাহ মাফের কথা পূর্বে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় উল্লিখিত হয়েছে।
[7]. সুনান আবূ দাঊদ : ১৫১৯; জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩৫৭৭, হাদীসটি সহীহ।
[8]. সহীহ মুসলিম : ৮৭৭; গুনাহ মাফের কথা পূর্বে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় উল্লিখিত হয়েছে।
[9]. মুসনাদ আহমাদ : ১২৫৩৪, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ : ৩১৬৮।
[10]. জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩৪৩৩, হাদীসটি হাসান সহীহ।
[11]. সুনান আন্ নাসায়ী : ১৩০০, হাদীসটির সনদ সহীহ।