গুনাহে নিমজ্জিত মুসলিম উম্মাহকে গুনাহের মহাসমুদ্র থেকে উদ্ধারের জন্য মহান আল্লাহ যেমন নিজের নাম রেখেছেন গাফুর, গাফ্ফার, রহমান, রহীম, তাওয়াব তেমনি তিনি এমন কিছু পদ্ধতি ও ‘আমল তাঁর রাসূল (সা.)-এর মাধ্যেমে শিক্ষা দিয়েছেন যা করলে কোন গুনাহগার বান্দা আর গুনাহে নিমজ্জিত বা গুনাহযুক্ত থাকবে না। আমরা কুরআন ও গ্রহণযোগ্য হাদীসের আলোকে বেশ কিছু ‘আমল বর্ণনা করেছি যেগুলো কোন পাপী বান্দা যদি তার জীবনে বাস্তবায়ন করে তাহলে তার ‘আমলনামায় আর কোন গুনাহ থাকতে পারে না।
আল্লাহ তা‘আলা স্বল্প সংখ্যক দু’চারটি গুনাহ মাফের উপায় না রেখে পরম দয়া করে অনেকগুলো উপায় রেখেছেন যেন তার কোন বান্দা গুনাহ করে হতাশ না হয় এবং না বলতে পারে যে, শয়তান আমাদের বিভ্রান্ত করে গুনাহ করাচ্ছে কিন্তু গুনাহ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় নেই। তাই আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে গুনাহমুক্ত করার জন্য এতগুলো গুনাহ মাফের উপায়ের ব্যবস্থা করেছেন।
আমি আমার নিজেকে সহ সকল মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য নসীহত করছি যে, আসুন কুরআন ও হাদীসের আলোকে বর্ণিত গুনাহ মাফের উপায়গুলো অবলম্বন করে নিজেকে গুনাহমুক্ত করি এবং গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য অনুসৃত শির্কী ও বিদ্‘আতী পদ্ধতি ও ‘আমল বর্জন করি। আল্লাহর সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখি যে, তিনি আমাদের সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত দান করবেন।
গুনাহসহ মৃত্যুবরণ করলে আর কিছু করার থাকবে না। তাই মৃত্যুর পূর্বেই ইস্তিগফার, তাওবাহ্ ও বিশুদ্ধ ‘আমলগুলো করার মাধ্যমে গুনাহমুক্ত হয়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও আল্লাহ চাইলে কোনো কারণ ছাড়াই যাকে ইচ্ছা তাকে মাফ করে দিতে পারেন এবং দিবেনও। কিন্তু কেউ তো জানে না যে, সে আল্লাহর দয়া পাবে কি পাবে না। তাই গুনাহ মাফের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আল্লাহর দয়ার অপেক্ষায় থাকা উচিত।
আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন আমাদের গুনাহগুলো মাফ করে তার সাথে নিষ্পাপ অবস্থায় সাক্ষাৎ করার তাওফীক দান করুন এবং আমাদেরকে সহজে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ দান করুন। আ-মীন।
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين ، والصلاة والسلام على سيد الأنبياء والمرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين