ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,
فويل لمن صار لله تعالى في القدر خصيما، وأحضر للنظر فيه قَلْبًا سَقِيمًا، لَقَدِ الْتَمَسَ بِوَهْمِهِ فِي فَحْصِ الْغَيْبِ سِرًّا كَتِيمًا، وَعَادَ بِمَا قَالَ فِيهِ أفكا أثيما
অতএব ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস অনিবার্য যে ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে আল্লাহর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছে এবং রোগাক্রান্ত অন্তর নিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছে। নিশ্চয়ই সে স্বীয় ধারণা অনুসারে গায়েবের (অদৃশ্যের) একটি গুপ্ত রহস্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছে এবং এ সম্পর্কে সে যা মন্তব্য করেছে তার ফলে সে মিথ্যাবাদী ও পাপাচারীতে পরিণত হয়েছে।
.....................................................
ব্যাখ্যা: জেনে রাখা আবশ্যক যে, অন্তরের রয়েছে জীবন ও মৃত্যু, রয়েছে রোগ ও আরোগ্য। অন্তরের রোগ দেহের রোগের চেয়েও ভয়াবহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
أَوَمَن كَانَ مَيْتًا فَأَحْيَيْنَاهُ وَجَعَلْنَا لَهُ نُورًا يَمْشِي بِهِ فِي النَّاسِ كَمَن مَّثَلُهُ فِي الظُّلُمَاتِ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِّنْهَا
যে ব্যক্তি প্রথমে মৃত ছিল, পরে আমি তাকে জীবন দিয়েছি এবং তাকে এমন আলো দিয়েছি যার উজ্জ্বল আভায় সে মানুষের মধ্যে জীবন পথে চলতে পারে, সেকি এমন ব্যক্তির মতো হতে পারে, যে অন্ধকারে পড়ে আছে এবং কোনক্রমে সেখান থেকে বের হয় না? (সূরা আল আন‘আম ৬ : ১২২)।
অর্থাৎ সে কুফুরীর কারণে মৃত ছিল। অতঃপর ঈমানের মাধ্যমে তাকে জীবিত করেছি। সুতরাং পরিশুদ্ধ জীবন্ত অন্তরের কাছে যখন বাতিল এবং নিকৃষ্ট কাজগুলো পেশ করা হয়, তখন পরিশুদ্ধ অন্তর স্বীয় স্বভাব প্রকৃতির দ্বারাই তা কবুল করতে অস্বীকার করে, তা অপছন্দ করে এবং সেদিকে দৃষ্টিপাত করে না। মৃত অন্তরের অবস্থা এর সম্পূর্ণ বিপরীত, সে ভালো-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না।
যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্যকারী অন্তর যার নেই, সে ধ্বংস হয়েছে। এমনি কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করার কারণে যার অন্তর রোগাক্রান্ত হয়েছে, তার অন্তর যেহেতু দুর্বল, তাই তার কাছে যখনই অবৈধ ভোগের বিষয় পেশ করা হয়, রোগের শক্তি ও দুর্বলতা অনুযায়ী তখনই সে দিকে ঝুকে পড়ে।