নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.) ১ টি
القيام إلى الركعة الثالثة ثم الرابعة তৃতীয় রাকাআতের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান-অতঃপর চতুর্থ রাক'আতের উদ্দেশ্যে

অতঃপর (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রতি ছালাত পাঠান্তে) তাকবীর বলে তৃতীয় রাকাআতের উদ্দেশ্যে দাঁড়াতেন।[1] আর ছলাতে ক্ৰটিকারীকে এর নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেনঃ

ثم اصنع ذلك في كل ركعة وسجدة

অতঃপর প্রত্যেক রাকাআতে ও সাজদায় এরূপ করবে। যেমনটি ইতিপূর্বে অতিবাহিত হয়েছে। আরো এসেছে-

كان صلى الله عليه وسلم إذا قام من القعدة كبر ثم قام

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন বৈঠক থেকে উঠতেন তাকবীর বলতেন। অতঃপর দাঁড়াতেন।[2] আর এই তাকবীরের সাথে তিনি কখনো কখনো দুই হাত উত্তোলন করতেন।[3] আর যখন চতুর্থ রাকাআতের জন্য উঠার ইচ্ছা পোষণ করতেন তখন আল্লাহু আকবার বলতেন।[4] আর এর নির্দেশ দিয়েছিলেন ছলাতে ক্ৰটিকারী ব্যক্তিকে যেমনটি ইতিপূর্বে অতিবাহিত হয়েছে।

আর এই তাকবীরের সাথেও “নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো তাঁর দুই হাত উত্তোলন করতেন।”[5]

অতঃপর তিনি তার বাম পা-র উপর ধীর শান্তভাবে এ পরিমাণ বসতেন যাতে প্ৰত্যেক হাডিড তার নিজ জায়গায় প্রত্যাবর্তন করতে পারে। অতঃপর যমীনে ভর দিয়ে দাঁড়াতেন।[6] “যখন তিনি দাঁড়াতেন আটা খমিরের ন্যায় (মুষ্ঠিবদ্ধাবস্থায়) দু'হাতের উপর ভর দিতেন।”[7]

তিনি এ দু' রাকাআতের (তৃতীয় ও চতুর্থ) প্রত্যেক রাকাআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন এবং এরই নির্দেশ দিয়েছিলেন সালাতে ক্ৰটিকারীকে। কখনো কখনো এ দুরাকাআতে সূরাহ ফাতিহার সাথে যোহর ও আছরের ছলতে কিছু আয়াত পাঠ করতেন। যেমনটি ইতিপূর্বে যোহর ছলতের কিরাআত সংক্রান্ত আলোচনায় অতিবাহিত হয়েছে।

[1] বুখারী ও মুসলিম।

[2] আবু ইয়ালা তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে (২/২৮৪) উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। আর সিলসিলা ছহীহাহতেও তা সংকলিত হয়েছে। (৬০৪)

[3] বুখারী ও আবু দাউদ।

[4] বুখারী ও আবু দাউদ।

[5] আবু আওয়ানাহ ও নাসাঈ ছহীহ সনদে।

[6] বুখারী ও আবু দাউদ।

[7] হারবী তার “গারীবুল হাদীছ" গ্রন্থে (এ অর্থ করেছেন)। আর এ অর্থ বুখারী ও আবু দাউদের নিকটও। আর نهی آن یعتمد الرجل علی یده اذا نهض فی الصلاة নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছলাতের ভিতর কোন ব্যক্তিকে হাতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে নিষেধ করেছেন বলে যে হাদীছ রয়েছে তা মুনকার (প্রত্যাখ্যাত), ছহীহ নয়। যেমনটি বর্ণনা করেছি। যাইফাহ গ্রন্থে ৯৬৭।