القراءة কিরা’আত প্রসঙ্গ
প্রারম্ভিক দু'আ পাঠান্তে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। এইভাবে শয়ত্বান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন
أَعُوذُ بالله من الشيْطانِ الرجِيمِ من هَمْزِهِ ونَفْخِهِ ونَفْثِهِ
অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়ত্বানের পাগলামী[1] অহঙ্কারী ও কু-কাব্যের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।[2]
তিনি কখনও একটু বৃদ্ধি সহকারে বলতেনঃ
أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان ...
অর্থঃ আমি সর্বশ্রোতা আল্লাহর নিকট শয়ত্বান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি ...।[3]
অতঃপর নীরবে بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ পড়তেন।[4]
[1] هَمْزِهِ কোন রাবী এর ব্যাখ্যা করেছেন المؤتة বলে, মীম অক্ষরে দম্মাহ ও ‘তা' অক্ষরে ফাতহার সাথে; এক প্রকার পাগলামি। ونَفْخِهِ - বৰ্ণনাকারী এর ব্যাখ্যা করেছেন “অহঙ্কার” বলে। نَفْثِهِ - বর্ণনাকারী এর ব্যাখ্যায় বলেছেন “কবিতা”। এ তিনটি ব্যাখ্যা নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে ছহীহ ও মুরসাল সনদ দ্বারা মারফু’ভাবে সাব্যস্ত হয়েছে। এখানে কবিতা দ্বারা মন্দ কবিতা উদ্দেশ্য। কারণ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন কতক কবিতা প্রজ্ঞাবহ। এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।
[2] আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, দারাকুতুনী, হাকিম এবং তিনিসহ ইবনু হিব্বান ও যাহাবী এটিকে ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন। আর পরবর্তীটিসহ এটি ইরওয়াউল গালীলে উদ্ধৃত হয়েছে (৩৪২)।
[3] আবু দাউদ ও তিরমিযী হাসান সনদ, “মাসায়েল উম্মু হানীতে” ইমাম আহমাদ এ কথাই বলেছেন। (১/৫০)।
[4] বুখারী, মুসলিম, আবু আওয়ানাহ, ত্বহাবী ও আহমাদ।
[2] আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, দারাকুতুনী, হাকিম এবং তিনিসহ ইবনু হিব্বান ও যাহাবী এটিকে ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন। আর পরবর্তীটিসহ এটি ইরওয়াউল গালীলে উদ্ধৃত হয়েছে (৩৪২)।
[3] আবু দাউদ ও তিরমিযী হাসান সনদ, “মাসায়েল উম্মু হানীতে” ইমাম আহমাদ এ কথাই বলেছেন। (১/৫০)।
[4] বুখারী, মুসলিম, আবু আওয়ানাহ, ত্বহাবী ও আহমাদ।