ইদানীং আমি একটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর গল্প পড়েছি। সে তার বাড়িতে কয়েক বছর শয্যাশায়ী হয়েছিল এবং অবশেষে তিক্ততা ও ব্যর্থতার অনুভূতী তাকে পেয়ে বসল। চিকিৎসকরা তার কোন উপকার করতে পারল না। একদিন সে যখন বাড়িতে একাকী ছিল তখন ঘরের ছাদ থেকে একটি বিছা নেমে এল। যদিও সে এটাকে আসতে দেখেছিল কিন্তু সে নড়াচড়া করতে অক্ষম ছিল। বিছাটি তার মাথার উপর নেমে তাকে বারবার দংশন করল। তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সারা শরীরে খিচুনী হতে লাগল।

সে বিস্মিত হয়ে গেল যে ধীরে ধীরে তার অঙ্গ-প্রতঙ্গে অনুভূতি ফিরে এল আর কিছুক্ষণ পর সে নিজেকে ঘরের ভিতরে এদিক-ওদিক হাঁটতে দেখতে পেল। এরপর সে দরজা খুলে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিকট গেল। তারা যখন তাকে তাদের সামনে দাঁড়ানো দেখল তখন তারা তাদের চক্ষুকে বিশ্বাস করতে পারলন (যে তারা একি অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখছে)। কেবলমাত্র তারা চূড়ান্তভাবে শান্ত হওয়ার পরই সে তাদেরকে যা ঘটেছিল তা বুঝাতে সক্ষম হলেন।

এ ঘটনা আমি একজন চিকিৎসকের নিকট উল্লেখ করলাম আর তিনি এর সংঘটনকে যুক্তিযুক্ত বলে গ্রহণ করলেন (আর যে কোন বিজ্ঞ চিকিৎসকই তা করবেন- তা তিনি যে কোন বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির হোন না কেন অনুবাদক)। তিনি আমাকে বললেন যে, কিছু বিষাক্ত সিরাম আছে, যখন এ গুলোর বিষাক্ততা রাসায়নিকভাবে কমানো হয় তখন এগুলো চিকিৎসক কর্তৃক পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

প্রিয় পাঠক! আমি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে এ ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমার জানা আছে এবং আপনাদের উপকারার্থে আমি আপনাদেরকেও এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে একটু ধারণা দিতে চাই। হোমিওপ্যাথির মূল কথা হলো- “সদৃশ সদৃশকে ধ্বংস করে।” সাধারণের মাঝে একথা এভাবে প্রচলিত আছে– “সমানে সমান নাশ বা বিষে বিষ নষ্ট।” আর এ কথার ব্যাখ্যা হিসেবে উপরোক্ত ঘটনাটি মন্দ নয়। কোন কারণে শরীরের ভিতরে সৃষ্ট বিষ থেকে বা বহিরাগত বিষের কারণে (অন্যান্য কারণও আছে) পক্ষাঘাত রোগ হতে পারে। আর পূর্বোক্ত ঘটনায় দেখা গেল যে বহিরাগত (বিছার) বিষের প্রভাবে পক্ষাঘাত ভালো হয়ে গেল।

হোমিও চিকিৎসার কলা-কৌশল না জেনেই আপনারা যেন আবার পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে (বিষাক্ত) বিছার দংশন না খাওয়ান- এজন্য প্রিয় পাঠকবর্গকে অনুরোধ করা যাচ্ছে; কেননা চিকিৎসার কলা-কৌশল ভালোভাবে না জেনে, না বুঝে প্রয়োগ করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। -অনুবাদক

আল্লাহ এমন কোন রোগ দেননি যার চিকিৎসাও দেননি (অর্থাৎ আল্লাহ যে রোগ সৃষ্টি করেছেন, তিনি সে রোগের চিকিৎসাও সৃষ্টি করেছেন)।