আপনি কি যুবক, স্বাস্থ্যবান, ধনী ও অমর থাকতে চান? আপনি যদি এগুলো চান তবে এগুলো আপনি এ পৃথিবীতে পাবেন না তবে যাই হোক, আপনি এগুলো পরকালে (আখেরাত) পেতে পারেন। মহান আল্লাহ এ পৃথিবীর জন্য দুঃখ কষ্ট ও ক্ষণস্থায়িত্ব নির্ধারিত করে দিয়েছেন। তিনি এ দুনিয়াকে তুচ্ছ ও ধোকার উপকরণ বলেছেন।
বহুকাল পূর্বে একজন কবি ছিলেন। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময়েই চরম দরিদ্র জীবন যাপন করেছেন। তার যৌবনের সিংহভাগে, তিনি টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা পাননি। তিনি স্ত্রীও চেয়ে ছিলেন কিন্তু তিনি সে চেষ্টাতেও ব্যর্থ হন। যখন তিনি বৃদ্ধ হলেন তার চুল পেকে (সাদা) হয়ে গেল ও তার হাড় দুর্বল (ভঙ্গুর) হয়ে গেল, তখন তিনি ধনী হলেন। বহু নারীরা তাকে তখন বিয়ে করতে চাইল (তার নিকট বিয়ে বসতে চাইল) এবং তিনি (তখন) আরামে জীবন যাপন করলেন। তার ঘটনার নির্মম পরিহাস হলো এ যে, যখন তিনি সব আরাম উপভোগ করতে সক্ষম ছিলেন তখন তিনি গরীব ছিলেন (তাই আরামের বস্তু জোগাড় করতে পারেননি ও তা উপভোগ করতে পারেননি) আর যখন তিনি ধনী হলেন তখন তিনি (বার্ধক্যের কারণে) আর জীবনের আনন্দকে উপভোগ করতে পারলেন না। তিনি তার জীবনের শেষ দিকে কবিতার এ চরণগুলো রচনা করেন-
ما كنت أرجوه اذ كنت ابن عشرينا ٭ ملكته بعد أن جاوزت سبعينا
تطيف بي من بنات الترك أغزلة ٭ مثل الغصون على كثبان يبرينا
انينك طول الليل يسهرنا ٭ فما الذى تشتكى قلت الثما نينا
১. “বিশ বছরকালে যা চেয়েছিলাম আশি বছরকালে তা পেলাম।
২. এখন আমার চারিধারে রেশমী শাড়ী ও দামী দামী অলংকার পরা তুর্কী নারীরা গান করে।
৩. তারা বলে আপনার গোঙানি আমাদেরকে সারা রাত জাগিয়ে রাখে। আপনার কী অসুবিধা? আমি বলি, “আশি বছর।”
“আমি তোমাদেরকে এতটা দীর্ঘ জীবন দেইনি। যাতে যে (ব্যক্তি) উপদেশ চায় সে (ব্যক্তি) যেন উপদেশ গ্রহণ করতে পারে এবং তোমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল।” (৩৫-সূরা ফাতিরঃ আয়াত-৩৭)
“আর তারা ভেবেছিল যে তাদেরকে আমার নিকটে ফিরিয়ে আনা হবে না।” (২৮-সূরা আল কাছাছঃ আয়াত-৩৯)
“আর এ পর্থিব জীবনতো খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।” (২৯-সূরা আনকাবূতঃ আয়াত-৬৪)
ان مثل هذه الحياة الدنيا كمسافره استظل تحت ظل الشجرة ثم ذهب وتركها
এ দুনিয়ায় উদাহরণ হলো সে মুসাফিরের মতো, যে নাকি গাছের ছায়ায় খনিক বিশ্রাম করতে বসে। পরে সেখান ছেড়ে চলে যায়।