যখন কোন মুসলমান বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে কোন কিছু করা শুরু করে তখন তাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে হবে-
তাকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করতে হবে এবং তাকে অবশ্যই আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তো অন্য যে কোন মানুষের চেয়ে বেশি আল্লাহর উপর তাওাক্কুল ছিল এবং স্বয়ং আল্লাহও তাকে ক্ষমা করতেন তবুও তিনি একবার আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধের সময় বর্ম পরেছিলেন।
“(একবার) এক লোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করল, “আমার উটকে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা উচিত নাকি আল্লাহর উপর নির্ভর করা উচিত?” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন- “এটকে বেঁধে রেখে আল্লাহ্র উপর তাওাক্কুল কর।”
আপনার লক্ষ্যে পৌছার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিলে এবং একই সাথে আল্লাহর উপর নির্ভর করলে আপনি ইসলামী একত্ববাদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতিকে বাস্তবায়িত করলেন বা দুটি গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি পালন করলেন। লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে আল্লাহর ওপর ভরসা করা হলো ধর্মের অবজ্ঞেয় ভুল বুঝাবুঝি। আর আল্লাহর উপর নির্ভর না করে যথাযথ পদক্ষেপ করার অর্থ হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অভাব। একজন আরব দেশীয় কবি বলেছেন-
قد يدركُ المتأنِّي بعضَ حاجتِه ٭ وقد يكونُ مع المستعجلِ الزَّللُ
ধীর স্থির ব্যক্তি তার কিছু প্রয়োজন মেটাতে পারে, পক্ষান্তরে ব্যর্থতা ব্যস্তসমস্ত ব্যক্তির সঙ্গী হয়।
সতর্ক থাকার মাধ্যমে তকদীরের (প্রতি বিশ্বাসের) বিরোধিতা করা হয় না বরং তকদীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পালন করা হয়।
وَلْيَتَلَطَّفْ “এবং সে যেন সতর্ক থাকে।” (১৮-সূরা কাহাফঃ আয়াত-১৯)
وَجَعَلَ لَكُمْ سَرَابِيلَ تَقِيكُمُ الْحَرَّ وَسَرَابِيلَ تَقِيكُم بَأْسَكُمْ
“এবং তিনি তোমাদেরকে তাপ থেকে রক্ষা করার জন্য পোশাক ও যুদ্ধ থেকে রক্ষা করার জন্য বর্ম সৃষ্টি করেছেন”। (১৬-সূরা আন নাহলঃ আয়াত-৮১)