মানুষের ভালোবাসা, সম্মান ও সহমর্মিতা অর্জন করার গুণ সৌভাগের, সাফল্যের, উন্নতির ও সমৃদ্ধির একটি লক্ষণ। নবী ইব্রাহীম (আঃ) বলেছেন-

وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ

“এবং পরবর্তী জাতিদের মাঝে আমার জন্য সুখ্যাতি সৃষ্টি করে দিন”। (২৬-সূরা আশ শোয়ারাঃ আয়াত-৮৪)

মূসা (আঃ) সম্বন্ধে আল্লাহ বলেছেন-

وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي

“আমি আমার পক্ষ থেকে তোমার উপর ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম।” (২০-সূরা ত্বাহাঃ আয়াত-৩৯)

নিম্নে বর্ণিত দুটি হাদীসের উভয়টিই নির্ভরযোগ্য

أنتُم شُهَدَاءُ الله في الأرض

“তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী।”

“জিব্রাঈল (আঃ) আকাশবাসীদের মাঝে ঘোষণা দেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ভালোবাস। অতএব আসমানের অধিবাসীগণ তাকে ভালোবাসে এবং পৃথিবীতে তার জন্য গ্রহণযোগ্যতা মঞ্জুর করা হয়।”

একটি হাসি-খুশি মুখ, সদয় কথা-বার্তা ও সদাচরণ হলো মানুষের মনে নিজেকে অনুগ্রহভাজন করার সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী উপায়। আরোও বেশি শক্তিশালী উপায় হলো কোমলতা, নম্রতা, ভদ্রতা ও সহানুভূতি। এ কারণেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَا كَانَ الرِّفْقُ فِي شَيْءٍ إِلا زَانَهُ ، وَلا نُزِعَ مِنْ شَيْءٍ إِلا شَانَهُ

ভাবাৰ্থঃ “যার মাঝে নম্রতা-ভদ্রতা আছে তা সুন্দর। আর যার মাঝে নম্রতা-ভদ্রতা নেই তা কলঙ্কিত।”

مَن يُحْرَمِ الرِّفْقَ يُحْرَمِ الخيرَ كُلَّه

ভাবার্থঃ “যে নম্রতা-ভদ্রতা থেকে বঞ্চিত সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত।”

একজন বিজ্ঞলোক বলেছেন- الرفق يخرج الحية من جحرها

ভাবাৰ্থঃ “সহানুভূতি ও কোমলতা সাপকেও তার গর্ত থেকে বের করে আনে।” অর্থাৎ শক্রর অন্তরে লুকায়িত শক্রতা ও দূর করে দেয়। (-অনুবাদক)

আর পশ্চিমারা বলে, “মধু আহরণ কর কিন্তু মৌচাক ভেঙ্গ না।”

একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে-

المؤمن كالنحلة تأكل طيبا وتضع طيبا واذا وقعت على عود لم تكسره

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তি মৌমাছির মতো পবিত্র জিনিস (খাদ্য) খায় ও পবিত্র জিনিস (খাদ্য) উৎপন্ন করে। আর যখন তা (কচি) ডগায় বসে তখন সে তা ভাঙ্গে না।”