যে তার রিযিকের বিলম্বে অধৈর্য, কেন তার সম্পদ এত কম সেজন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং অন্যদের তুলনায় পার্থিব সম্পদ কম থাকার কারণে অসন্তুষ্ট সে তো ঐ ব্যক্তির মতো যে নাকি সালাতে ইমামের আগে সালাতের রোকনসমূহ (রুকু, সেজদা, কওমা, জলসা ইত্যাদি) আদায় করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ইমামের সালাম ফিরানোর আগে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করতে পারে না। অনুরূপভাবে, কেউ তার তকদীরের সব রিযিক ভোগ করার আগে মরতে পারে না। সকল সৃষ্টকে সৃষ্টি করার পঞ্চাশ হাজার (৫০,০০০) বছর আগেই তকদীর লিখা হয়ে গেছে।
“আল্লাহর বিধান আসবেই। সুতরাং এর জন্য তাড়াহুড়া করো না।” (১৬-সূরা আন নাহলঃ আয়াত-১)
“আর আল্লাহ যদি তোমার কল্যাণ চান তবে কেউ তার অনুগ্রহকে রদ করতে পারবে না।” (১০-সূরা ইউনুসঃ আয়াত-১০৭)
উমর (রাঃ) বলেছেন- “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পাপীদের ধৈর্য থেকে ও আত্মবিশ্বাসের দুর্বলতা থেকে পানাহ চাই।”
এ কথার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থ আছে। আমি যখন ইতিহাসের প্রধান প্রধান ঘটনা নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখলাম, তখন দেখতে পেলাম যে, আল্লাহর অনেক শক্রদের আশ্চর্য রকম বীরত্বপূর্ণ সহিষ্ণুতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা ও অধ্যাবসায় ছিল। পক্ষান্তরে, আমি এও দেখতে পেলাম যে, বহু মুসলমান নীরস, জড়াগ্রস্ত বা অলস ও দুর্বল ছিল। এসব কিছু তখনই দেখা দিয়েছিল যখন তারা ভুল করে ভাবতে ছিল যে, তারা আল্লাহর উপর নির্ভর করে আছে। আল্লাহর উপর সত্যিকার নির্ভরতা বলতে বুঝায় প্রচেষ্টা করা ও কাজ করা এবং তারপর কাজের ফলাফল আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়া।