আপনি যখন কুরআন তেলাওয়াত করেন ও এর অর্থ বুঝার জন্য ধ্যান করেন তখন আপনি সুখ অর্জনের দিকে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নিলেন। আল্লাহ কুরআনকে পথ নির্দেশনা, আলো এবং অন্তরের ব্যাধির আরোগ্যকর ঔষধ বলেছেন। তিনি এ গ্রন্থকে রহমত ও দয়া বলেছেন।
قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে (ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ সম্বলিত কুরআন নামে) এক উপদেশ গ্রন্থ এবং অন্তরের (মূর্খতা, সন্দেহ, মোনাফেকি ও বিরোধিতা ইত্যাদি রোগের) আরোগ্য বিধান এসেছে।” (১০-সূরা ইউনুসঃ আয়াত-৫৭)
“তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখে না না কি (কুরআন বুঝার ব্যাপারে) তাদের অন্তরে তালা মারা আছে?” (৪৭-সূরা মুহাম্মদ বা কেতালঃ আয়াত-২৪)
“তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখেনা? যদি এ গ্রন্থ আল্লাহ ছাড়া অন্য করে নিকট থেকে আসতো তবে তারা এতে অনেক অসংগতি পেত।” (৪-সূরা আন নিসা : আয়াত ৮২)
“এ কিতাব (আল কুরআন) যা আমি আপনার নিকট অবতীর্ণ করেছি তা মোবারক (কিতাব), (আর এটা আমি এ জন্য অবতীর্ণ করেছি) যাতে তারা আয়াতসমূহ নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখে।” (৩৮-সূরা ছোয়াদঃ আয়াত-২৯)
কুরআন তেলাওয়াত করা যেমন কল্যাণের কাজ, কুরআন অনুযায়ী আমল করা এবং বিচারের জন্য ও পথ নির্দেশনার জন্য এর শরণাপন্ন হওয়া তেমনই কল্যাণের কাজ।
এক ধাৰ্মিক লোক একবার বলেছেন- “আমি বুঝতে পারলাম যে, হতাশা ও উদ্বিগ্নতার এক মেঘখণ্ড আমার মাথার উপর ঝুলছে। তখন আমি কুরআন নিয়ে কতক্ষণ তেলাওয়াত করলাম। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, তখন আমার হতাশা ও উদ্বিগ্নতা দূর হয়ে গেল ও তার স্থানে সুখ ও প্রশান্তি এল।”
“নিশ্চয় এই কুরআন সুদৃঢ় (অর্থাৎ ন্যায়সঙ্গত ও সঠিক) পথ প্রদর্শন করে।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-৯)
“আর (হে মুহাম্মদ!) এভাবে আমি তোমার নিকট আমার আদেশ থেকে রূহ (তথা প্রত্যাদেশ ও করুণা) ওহীর মাধ্যমে পাঠিয়েছি।” (৪২-সূরা আশ শুরাঃ আয়াত-৫২)