আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানীরা এ বিষয়ে একমত যে, যখন কেউ সকল আশা-ভরসা হারিয়ে ফেলে তখন সে (আল্লাহকে বাদ দিয়ে) নিজের উপর নির্ভর করে (আর আল্লাহ যখন তার উপর রাগ হন তখন তিনি তাকে দিয়ে এ কাজ করান) একথাই বুঝা যায়। আর যখন কেউ আল্লাহর উপর নির্ভর করে তখন আল্লাহ (তার উপর খুশি হয়ে) তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন এটাই বুঝা যায়।
আল্লাহর বান্দাগণ সর্বদা প্রথম অবস্থা থেকে দ্বিতীয় অবস্থায় দোল খেতে থাকে। একই সময়ে কারো আবার উভয় অবস্থাই হতে পারে। তাই সে আল্লাহর আনুগত্য করে এবং তাকে সন্তুষ্ট করে, সে আল্লাহর জিকির করে ও তার শোকরিয়া আদায় করে এবং সে এগুলো একমাত্র আল্লাহর সাহায্যেই করতে পারে। কিছু পরে সে আল্লাহকে অমান্য করে তার আদেশের বিরুদ্ধে যায়, তার ক্রোধ অর্জন করে এবং সাধারণত সে আল্লাহকে ভুলে যায়, কারণ সে আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজের উপর নির্ভর করে। অতএব, আল্লাহর বান্দাগণ সর্বদা তার স্বর্গীয় বা জান্নাতী যত্নের মাঝে ও পরিত্যক্ত অবস্থার মাঝে দোল খেতে থাকে।
যখন আল্লাহর কোন বান্দা লক্ষ্য করে যে, সে এক অবস্থা থেকে অপর অবস্থায় পরিবর্তিত হচ্ছে তখন তার উচিত তার দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থাকে অনুধাবন করা ও প্রতি দমে ও তার জীবনের প্রতি মুহুর্তে আল্লাহর সাহায্যের অতীব প্রয়োজনীয়তাকে অনুধাবন করা। তার ঈমান তো আল্লাহর মালিকানার। আল্লাহ্ যদি তাকে এক পলকের জন্য একাকী ছেড়ে দেন তবে তার ঈমান মাটিতে মিশে যাবে বা ধুলোয় লুন্ঠিত হবে। অতএব আপনার বুঝা উচিত যে তিনিই আপনার ঈমানকে রক্ষা করছেন যিনি না কি আসমানকে জমিনে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।