আল্লাহর সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গবেষণা করে ও এর মূল্যায়ন করে আপনি শান্তি পাবেন। মহান আল্লাহ বলেন- “অতপর আমি তা দিয়ে সুশোভিত বাগান উৎপন্ন করি।” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৬০)
“বলুন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা তোমরা দেখ।” (১০-সুরা ইউনুসঃ আয়াত-১০১)
“আমাদের প্রভু হলেন তিনি যিনি প্রত্যেক বস্তুর আকৃতি দান করেছেন অতপর এটাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন।” (২০-সূরা ত্বাহাঃ আয়াত-৫০)
উজ্জ্বল সূর্য, ঝলমলে তারা, নদী-নালা, পাহাড়-পর্বত, গাছ-পালা ফলমূল, বায়ু ও পানি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
“অতএব, সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কতইনা বরকতময়।” (২৩-সূরা আল মু'মিনূনঃ আয়াত-১৪)
একজন আরব কবি বলেছেন-
وفِي كلِّ شيءٍ لَهُ آية ٭ تَدُلّ على أنّهُ الواحِدُ
“প্রত্যেক বস্তুর মাঝে তার নিদর্শন আছে, যা ইঙ্গিত করে যে, তিনি এক।”
প্রসিদ্ধ আরব কবি ইলিয়া আবু মাদ্বী বলেছেন-
أيّهذا الشّاكي وما بك داء ٭ كيف تغدو اذا غدوت عليلا
اترى الشّوك في الورود وتعمى ٭ أن ترى فوقها النّدى إكليلا
والذي نفسه بغير جمال ٭ لا يرى في الوجود شيئا جميلا
১. “হে অভিযোগকারী, (তুমি অভিযোগ করছ) অথচ তোমার তো কোন অসুবিধা (অভিযোগের কারণ) নেই, তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবে? (অথচ তুমি সুস্থ অবস্থায় অভিযোগ করছ!)
২. তুমি কি গোলাপের কাটাই শুধু দেখতে পাচ্ছ? আর ফুলের উপরের মালার মত শিশির বিন্দু দেখতে পাচ্ছ না?!
৩. যে নিজেই অসুন্দর সে প্রকৃতিতে সুন্দর কোন কিছু দেখতে পায় না।
“তারা কি উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে” (৮৮-সূরা আল গাশিয়াহ: আয়াত-১৭)
আইনস্টাইন বলেছেন যে- যে ব্যক্তি বিশ্ব জগত নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে সে বুঝতে পারে যে, যে সত্তা একে সৃষ্টি করেছেন তিনি মহাজ্ঞানী এবং তিনি ঘুঁটি দিয়ে জুয়া-পাশা খেলছেন না।
الَّذِي أَحْسَنَ كُلَّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
যিনি প্রতিটি জিনিসকেই উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছেন। (৩২-সূরা আস সাজদাহঃ ৭)
مَا خَلَقْنَاهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ
“আমি এতদুভয়কে অযথা সৃষ্টি করেনি।” (৪৪-সূরা আদ দেখানঃ আয়াত-৩৯) অর্থাৎ আমি এদেরকে পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করেছি যে কে অনুগত আর কে অনুগত নয় আর তার পর অনুগতদেরকে পুরস্কার দিতে ও অবাধ্যদেরকে শাস্তি দিতে ।
“তবে কি তোমরা মনে করেছিলে যে আমি তোমাদেরকে অহেতুক সৃষ্টি করেছি?” (২৩-সূরা আল মু'মিনূনঃ আয়াত-১১৫)
এসব আয়াতের অর্থ এই যে, ঐশী জ্ঞান অনুযায়ী সব কিছুই পরিকল্পিত ও পরিমিত। আর যে ব্যক্তিই সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করে সেই বুঝতে পারে যে, একজন শক্তিমান আল্লাহ আছেন যিনি সবকিছুকে টিকিয়ে রাখেন ও সবকিছুর ব্যবস্থাপনা করেন এবং সবকিছু অবস্থার সাথে মিল রেখে হঠাৎ (যখন যেমন তখন তেমন) ঘটে এ কথা ভুল অর্থাৎ সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত বিধিমতে ঘটে একথা সত্য।
“সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে।” (৫৫-সূরা আর রাহমানঃ আয়াত-৫)
“সূর্যের সাধ্য নেই যে চন্দ্রের নাগাল পায় আর রাতও দিনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। প্রত্যেকেই (নিজ নিজ) কক্ষ পথে পরিভ্রমণ করছে।” (৩৬-সূরা ইয়াসিনঃ আয়াত-৪০)