এমন একদিন আসবে যখন আল্লাহ তা'আলা সৃষ্টির প্রথম ও শেষ অর্থাৎ সকল সৃষ্টিকে একত্রিত করবেন। শুধুমাত্র এ ঘটনার জ্ঞানই আল্লাহর বিচার সম্বন্ধে আপনাকে নিশ্চয়তা প্রদান করে। সুতরাং, কারো টাকা-পয়সা অন্যায়ভাবে বেদখল হয়ে থাকলে সে সেখানে (হাশরের মাঠে) তা পাবে; যাকে অত্যাচার করা হয়েছে সে সেখানে ন্যায় বিচার পাবে এবং যে অত্যাচার করেছে সে সেখানে শাস্তি পাবে।
জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কেন্ট বলেছেন- “এ জীবনের নাটক (এখানেই) শেষ নয়, এ নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্য হবে। কেননা, আমরা দেখছি যে, অত্যাচারী ও তার শিকার ন্যায়বিচার না দেখেই নিবৃত বা ক্ষান্ত হচ্ছে বা অত্যাচারিত তার প্রতিশোধ নিতে পারছে না। অতএব, অবশ্যই অন্য জগৎ হবে, সেখানে ন্যায় বিচার করা হবে।”
শায়খ আলী তানতাবী এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, “এ অমুসলিম দার্শনিকের এ বর্ণনার দ্বারা (এমন এক) পরকালের বা আখেরাতের অস্তিত্বের কথার স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়- যেখানে বিচার করা হবে।”
একজন আরব কবি বলেছেন- “যখন মন্ত্রী ও তার প্রতিনিধি স্বেচ্ছাচারী হয় এবং বিচারক তার বিচারে পক্ষপাতিত্ব করে বা অবিচার করে, তখন ধ্বংস, ধ্বংস; আকাশের বিচারকের পক্ষ থেকে জমিনের বিচারকের জন্য রয়েছে ধ্বংস।”
الْيَوْمَ تُجْزَىٰ كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ لَا ظُلْمَ الْيَوْمَ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
“আজ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিদান দেয়া হবে। আজ (কারো প্ৰতি) কোনো জুলুম করা হবে না; নিশ্চয় আল্লাহ তরিৎ হিসাব গ্রহণকারী।” (৪০-সূরা আল মু’মিন: আয়াত-১৭)