লজ্জাস্থান
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, মহিলার দেহের প্রায় সবটাই হল লজ্জাস্থান। সুতরাং সেই লজ্জাস্থানকে গোপন করে লজ্জাশীলতা আনয়ন করা মহিলার একটি প্রকৃতিগত স্বভাব। আর এই প্রকৃতিগত লজ্জাশীলতা ও গোপনীয়তায়ই রয়েছে মহিলার প্রকৃত সৌন্দর্য। আর সে সৌন্দর্য দেখার অধিকারী হল একমাত্র স্বামী।
লজ্জাস্থানের লোম পরিষ্কার ব্যাপারে পুরুষের মতই মহিলারও বিধান রয়েছে। অবশ্য পুরুষের চেয়ে মহিলাই এ বিষয়ে অধিক তৎপর।
প্রকাশ থাকে যে, গুপ্তাঙ্গের লোম আদি (বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে) পরিষ্কার করতে কোন মহিলার কাছেও লজ্জাস্থান খোলা বৈধ নয়।[1]
মহিলাদের জন্য খতনার বিধান আছে ইসলামে। তবে পুরুষের মত জরুরী হিসাবে নয়। মুস্তাহাব হিসাবে তা কেউ চাইলে করতে পারে। কথিত আছে যে, সর্বপ্রথম বিবি হাজার (হাজেরা) খতনা করেছিলেন।[2]
[1]. আল-ফাতাওয়াল মুহিম্মাহ, লিনিসাইল উম্মাহ ১৩পৃঃ, ইলা রাববাতিল খুদূর ১০৩পৃঃ
[2]. আল-বিদায়াহ অন-নিহায়াহ ১/১৫৪
[2]. আল-বিদায়াহ অন-নিহায়াহ ১/১৫৪