নখ কেটে ফেলা মানুষের এক প্রকৃতিগত রীতি। প্রতি সপ্তাহে একবার না পারলেও ৪০ দিনের ভিতর কেটে ফেলতে হয়।[1] কিন্তু এই প্রকৃতির বিপরীত করে কতক মহিলা নখ লম্বা করায় সৌন্দর্য আছে মনে করে। অথচ সভ্য দৃষ্টিতে তা পশুবৎ লাগে এবং ঐ নখে নানা ময়লা জমা হতে থাকে। নিছক পাশ্চাত্যের মহিলাদের অনুকরণে অসভ্য লম্বা ধারালো নখে নখ-পালিশ লাগিয়ে বন্য সুন্দরী সাজে। কিন্তু ‘‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করে সে সেই জাতিরই দলভুক্ত।’’[2]
প্রকাশ থাকে যে, কৃত্রিম নখ ব্যবহারে উলামাগণ অনুমতি দেন না। যেহেতু তাতে ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
নখে নখপালিশ ব্যবহার অবৈধ নয়, তবে ওযুর পূর্বে তুলে ফেলতে হবে। নচেৎ ওযু হবে না।[3] অবশ্য এর জন্য উত্তম সময় হল মাসিকের কয়েক দিন। তবে গোসলের পূর্বে অবশ্যই তুলে ফেলতে হবে।
মহিলাদের চুলে, হাতে ও পায়ে মেহেদী ব্যবহার মাসিকাবস্থাতেও বৈধ। বরং মহিলাদের নখ সর্বদা মেহেদী দ্বারা রঙ্গিয়ে রাখাই উত্তম।[4] এতে এবং অনুরূপ আলতাতে পানি আটকায় না। সুতরাং না তুলে ওযু-গোসল হয়ে যাবে।[5]
[2]. আহমাদ, আবূ দাঊদ, আদাবুয যিফাফ ২০৫পৃঃ
[3]. ইলা রাববাতিল খুদূর ১০১পৃঃ
[4]. আবূ দাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৬৭
[5]. ফাতাওয়াল মারআহ ২৬পৃঃ