বংশ নিয়ে অন্যের সাথে গর্ব করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ মালিক আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَرْبَعٌ فِيْ أُمَّتِيْ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ، لَا يَتْرُكُوْنَهُنَّ: الْفَخْـرُ فِيْ الْأَحْسَابِ، وَالطَّعْنُ فِيْ الْأَنْسَابِ، وَالاسْتِسْقَاءُ بِالنُّجُوْمِ، وَالنِّيَاحَةُ.
‘‘আমার উম্মতের মাঝে জাহিলী যুগের চারটি কাজ চালু থাকবে। তারা তা কখনোই ছাড়বে না। বংশ নিয়ে গৌরব, অন্যের বংশে আঘাত, কোন কোন নক্ষত্রের উদয়াস্তের কারণে বৃষ্টি হয় বলে বিশ্বাস এবং বিলাপ’’। (মুসলিম ৯৩৪ ’হা-কিম : ১/৩৮৩ ত্বাবারানি/কাবীর, হাদীস ৩৪২৫, ৩৪২৬ বায়হাক্বী: ৪/৬৩; বাগাওয়ী ১৫৩৩ ইব্নু আবী শাইবাহ্ : ৩/৩৯০; আহমাদ : ৫/৩৪২, ৩৪৩, ৩৪৪ ‘আব্দুর রায্যাক : ৩/৬৬৮৬)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ يَفْتَخِرُوْنَ بِآبَائِهِمْ الَّذِيْنَ مَاتُوْا، إِنَّمَا هُمْ فَحْمُ جَهَنَّمَ، أَوْ لَيَكُوْنُنَّ أَهْوَنَ عَلَى اللهِ مِنَ الْجُعْلِ الَّذِيْ يُدَهْدِهُ الْخِرَاءَ بِأَنْفِهِ، إِنَّ اللهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِليَّةِ وَفَخْرَهَا بِالْآبَاءِ، إِنَّمَا هُوَ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ، أَوْ فَاجِرٌ شَقِيٌّ، النَّاسُ كُلُّهُمْ بَنُوْ آدَمَ، وَآدَمُ خُلِقَ مِنْ تُرَابٍ.
‘‘নিজেদের মৃত বাপ-দাদাদেরকে নিয়ে গর্বকারীদের সতর্ক হওয়া উচিত তারা যেন তা দ্বিতীয়বার না করে। কারণ, তারা তো মূলতঃ জাহান্নামের কয়লা। অন্যথায় তারা আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট মলকীটের চাইতেও অধিক মূল্যহীন বলে বিবেচিত হবে। আরে মলকীটের কাজই তো শুধু নাক দিয়ে মলখন্ড ঠেলে নেয়া। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদেরকে জাহিলী যুগের হঠকারিতা তথা নিজেদের বাপ-দাদাদেরকে নিয়ে গর্ব করা থেকে পবিত্র করেছেন। মূলতঃ মানুষ তো শুধুমাত্র দু’ প্রকার: মুত্তাকী ঈমানদার অথবা দুর্ভাগা ফাসিক। সকল মানুষই তো আদম সন্তান। আর আদম (আঃ) কে তো মাটি থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। সুতরাং এতে একের উপর অন্যের গর্বের কীই বা রয়েছে ?! (তিরমিযী ৩৯৫৫)