কারোর থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করা অথবা পরিশোধ করতে টালবাহানা করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ বা হারাম।
শরীয়তে ঋণের ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা পরিশোধ না করে কিয়ামতের দিন এক কদমও সামনে এগুনো যাবে না। এমনকি যে ব্যক্তি নিজের জীবন ও ধন-সম্পদ সবকিছুই আল্লাহ্’র রাস্তায় বিলিয়ে দিয়েছে সেও নয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
يُغْفَرُ لِلشَّهِيْدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلاَّ الدَّيْنَ.
‘‘শুধুমাত্র ঋণ ছাড়া শহীদের সকল গুনাহ্ই ক্ষমা করে দেয়া হবে’’। (সা’হীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৮১১৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন:
سُبْحَانَ اللهِ! مَاذَا أَنْزَلَ اللهُ مِنَ التَّشْدِيْدِ فِيْ الدَّيْنِ، وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ثُمَّ أُحْيِيَ ثُمَّ قُتِلَ ثُمَّ أُحْيِيَ ثُمَّ قُتِلَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْـجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ دَيْنُهُ.
‘‘কি আশ্চর্য! আল্লাহ্ তা‘আলা ঋণের ব্যাপারে কতই না কঠিন বিধান নাযিল করেছেন! সেই সত্তার কসম খেয়ে বলছি যাঁর হাতে আমার জীবন, কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ্’র রাস্তায় একবার শহীদ করা হলে অতঃপর আবারো জীবিত করা হলে অতঃপর আবারো শহীদ করা হলে অতঃপর আবারো জীবিত করা হলে অতঃপর আবারো শহীদ করা হলেও যদি তার উপর কোন ঋণ থেকে থাকে তা হলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না তার উক্ত ঋণ তার পক্ষ থেকে আদায় করা হয়’’। (সা’হীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৫৯৪)
ব্যাপারটি আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যখন কোন ব্যক্তি কারোর থেকে ঋণ নেয়ার সময়ই তা পরিশোধ না করার পরিকল্পনা করে অথবা তখনই তার দৃঢ় বিশ্বাস যে, সে কখনো তা পরিশোধ করতে পারবে না।
কেউ কেউ তো এমনো মনে করে যে, আমি যার থেকে ঋণ নিয়েছি সে বড় ধনী ব্যক্তি। সুতরাং তাকে উক্ত ঋণ না দিলে তার কোন ক্ষতি হবে না। এ চিন্তা কখনোই সঠিক নয়। কারণ, ঋণ তো ঋণই। তা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। চাই ঋণদাতার এর প্রতি কোন প্রয়োজন থাকুক বা নাই থাকুক। চাই তা কম হোক অথবা বেশি।