প্রস্রাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন না করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্। যা খ্রিস্টানদের একান্ত বৈশিষ্ট্য এবং যে কারণে কবরে শাস্তি পেতে হয়।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
مَرَّ النَّبِيُّ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِيْ كَبِيْرٍ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: بَلَى إِنَّهُ كَبِيْرٌ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لَا يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَكَانَ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ، ثُمَّ أَخَذَ جَرِيْدَةً رَطْبَةً فَشَقَّهَا نِصْفَيْنِ، فَغَرَزَ فِيْ كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً، قَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! لِمَ فَعَلْتَ هَذَا ؟ قَالَ: لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا.
‘‘একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন: এ দু’ জন কবরবাসীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তবে তা আপাত দৃষ্টিতে কোন বড় অপরাধের জন্য নয়। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বাস্তবে তা সত্যিই বড় অপরাধ অথবা বস্ত্তত: উক্ত দু’টি গুনাহ্ থেকে রক্ষা পাওয়া তাদের জন্য কোন কষ্টকরই ছিলো না। তাদের এক জন নিজ প্রস্রাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতার্জন করতো না আর অপর জন মানুষের মাঝে চুগলি করে বেড়াতো। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর গাছের একটি তাজা ডালকে দু’ ভাগ করে প্রত্যেক কবরে একটি করে গেড়ে দিলেন। সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি কেন এমন করলেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: হয়তো বা তাদের শাস্তি হালকা করে দেয়া হবে যতক্ষণ না ডাল দু’টি শুকাবে’’। (বুখারী ২১৮; মুসলিম ২৯২)
প্রস্রাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতার্জন না করার মধ্যে এটিও যে, আপনি প্রস্রাব শেষেই দ্রুত উঠে গেলেন অথচ প্রস্রাবের কয়েক ফোঁটা এখনো থেকে গেছে যা পরবর্তীতে আপনার কাপড়কে নাপাক করে দিচ্ছে অথবা প্রস্রাবের পর আপনি পানি বা ঢিলা কিছুই ব্যবহার করেননি। তাই প্রস্রাবের ফোঁটায় আপনার কাপড় নাপাক হয়ে যাচ্ছে।
এর চাইতেও আরো কঠিন অপরাধ এই যে, অনেক খ্রিস্টান মার্কা ভদ্রলোক দেয়ালে ফিট করা ইংলিশ প্রস্রাব খানায় অর্ধ উলঙ্গ হয়ে প্রস্রাব করে সাথে সাথেই কাপড় পরে নেয় অথচ সে ঢিলা বা পানি কিছুই ব্যবহার করেনি। এমতাবস্থায় দু’টি দোষ একত্রে পাওয়া যায়। খোলা জায়গায় অর্ধ উলঙ্গ হওয়া এবং পবিত্রতার্জন না করা। কখনো কখনো এ সব প্রস্রাব খানায় প্রস্রাবের পর পানি ছাড়তে গেলে প্রস্রাব গায়ে আসে। এমন অনেক কান্ড আমাদের স্বচক্ষে দেখা। যা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।