বিচার করার সময় উভয় পক্ষের সম্পূর্ণ কথা মনোযোগ সহকারে শুনে তা বিচার-বিশ্লেষণ করে সত্য পর্যন্ত পৌঁছুতে হয়।
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিচারক হিসেবে ইয়েমেনে পাঠাচ্ছিলেন। তখন আমি বললাম: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আপনি আমাকে বিচারক হিসেবে পাঠাচ্ছেন; অথচ আমি অল্প বয়সের একজন যুবক এবং বিচার কার্য সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
إِنَّ اللهَ سَيَهْدِيْ قَلْبَكَ وَيُثَبِّتُ لِسَانَكَ، فَإِذَا جَلَسَ بَيْنَ يَدَيْكَ الْـخَصْمَانِ ؛ فَلَا تَقْضِيَنَّ حَتَّى تَسْمَعَ مِـنَ الْآخَرِ ؛ كَمَا سَمِعْتَ مِنَ الْأَوَّلِ ؛ فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يَتَبَيَّنَ لَكَ الْقَضَاءُ، قَالَ: فَمَا زِلْتُ قَاضِيًا أَوْ مَا شَكَكْتُ فِيْ قَضَاءٍ بَعْدُ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন এবং তোমার জিহবাকে দৃঢ় করবেন। যখন তোমার সামনে উভয় পক্ষ উপস্থিত হবে তখন তুমি দ্রুত বিচার করবে না যতক্ষণ না তুমি দ্বিতীয় পক্ষ থেকে তাদের কথা শুনো যেমনিভাবে শুনেছিলে প্রথম পক্ষ থেকে। কারণ, তখনই তোমার সামনে বিচারের ব্যাপারটি সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। ‘আলী (রাঃ) বলেন: তখন থেকেই আমি বিচারক অথবা তিনি বললেন: অতঃপর আমি আর বিচারের ক্ষেত্রে কখনোই কোন সন্দেহের রোগে ভুগিনি’’।
(আবূ দাউদ ৩৫৮২; তিরমিযী ১৩৩১)